বদলে যাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নাম?: দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI), সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এবার উঠেছে এক চমকপ্রদ দাবি—RBI-এর নাম বদলানোর (RBI Name Change)! হঠাৎ কেন এই দাবি উঠল? কে বা কারা এটি সামনে আনলেন? আসলেই কি দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করা সম্ভব? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আসুন, আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক, কেন এই বিতর্ক শুরু হলো এবং এর পিছনে কী কারণ রয়েছে!
রিজার্ভ ব্যাংকার নাম বদলে দেওয়ার দাবি
সম্প্রতি দিল্লির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ইংরেজিতে আমরা দেশের নাম ইন্ডিয়া বলি, আর আমাদের ভাষায় বলি ভারত। তাহলে কেন কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া বা রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বলা হয়? তার মতে, যদি দেশের নাম ভারত হয়, তাহলে এইসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নামও সেই অনুযায়ী হওয়া উচিত।
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই চলছে ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ছিল। বিজেপি-বিরোধী দলগুলি যখন একজোট হয়ে নিজেদের জোটের নাম দিল ‘ইন্ডিয়া’, তখনই শুরু হল ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্ক। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পুরো নাম— ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। এই বিতর্ক গড়ায় আরও দূর, যখন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) সুপারিশ করে, স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ভারত’ ব্যবহার করা হোক।
G20 সম্মেলনেও ইন্ডিয়ার বদলে ভারত নাম লেখা হয়েছিল। এমনকি লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের সময়েও নিজের প্রচারে ‘ইন্ডিয়া’ উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিরোধীদের এই জোটকে কটাক্ষ করে ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ বলেন মোদী। এমনকি দেশের নাম পর্যন্ত পরবর্তন করা হতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির কেজিরিওয়াল থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে বর্তমানে এই বিতর্ক অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।