আর মাত্র কয়েক দিন পরেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে SIR প্রক্রিয়া (SIR in West Bengal), আর এই কারণেই ভোটার লিস্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক তৎপরতা। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি কিন্তু শুরু থেকেই স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসআইআর ইস্যুতে সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এবার মমতা ও অভিষেকের সেই আক্রমণের পর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তালিকা থেকে নাম সরানোর অভিযোগ তৃণমূলের
রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষবার বাংলায় SIR প্রক্রিয়া হয়েছিল ২০০২ সালে, আর সেই বছরের ভোটার তালিকাকেই এবার গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত কোনও নথি জমা দিতে হবে না। কিন্তু এবার সেই ২০০২ সালের লিস্টকেই ঘিরে বড়সড় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এই ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (SIR in West Bengal)। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যাতে একটিও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, চুপি চুপি ভোটে কারচুপি চলছে। তাঁর অভিযোগ, “২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যাঁদের নাম রয়েছে এবং যার হার্ড কপি পর্যন্ত আছে, কমিশনের ডিজিটাল আপলোড কপিতে সেই নামই নেই।”
কী অভিযোগ করলেন কুণাল? (SIR in West Bengal)
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন কুণাল ঘোষ আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে — এটা বিরাট কেলেঙ্কারি (SIR in West Bengal)। আসলে বিজেপির পার্টি অফিস থেকেই ঠিক করা হচ্ছে, কার নাম থাকবে আর কারটা বাদ যাবে। এর ফলে বহু হিন্দু ভোটারের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।” তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “অশোকনগরের ১৫৯ নম্বর বুথে প্রায় ৯০০ জন ভোটারের নাম উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল।” কুণাল আরও জানান, বাদ যায়নি কোচবিহার বিধানসভার নাটাবাড়ি বুথ নম্বর ২-এর ঘটনাও। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “মতুয়াদের ধরে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা কিছু বুঝবেন না। যারা সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট মেনে আবেদন করেছেন, তাঁদের নাম কেটে দিয়ে পরে ক্যাম্প থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে— এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। মতুয়াদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে, আর এই কারণেই আমাদের দলের তিনজন ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন।”
উল্লেখ্য, বাংলায় SIR নিয়ে চুপ থাকেনি তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনিও বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে বলেন, ”উৎসবে সামিল বাংলাকে পর্যুদস্ত করার ষড়যন্ত্র কেন্দ্র ও কমিশনের (SIR in West Bengal)। বাংলাকে ভয় দেখাতে গিয়ে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণের। বাংলার মানুষ এটা বরদাস্ত করবে না।” যদিও এই সকল অভিযোগ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করেনি বিজেপি এবং জাতীয় কমিশন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে তৃণমূলের দাবি করা এই অভিযোগ যথা শীঘ্রই তদন্ত করবে কমিশন।
সব খবর
🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন “JKNEWS24 Bangla”। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!


