আর রক্ষে নেই! আজ শুক্রবার থেকেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Today) বাংলার জেলায় জেলায় হাড়-কাঁপানো শীতের পূর্বাভাস জারি করেছে। সঙ্গে চরম সতর্কতাও ঘোষণা করা হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—গতকাল বৃহস্পতিবারই মরসুমের সবচেয়ে শীতল দিন কাটাল কলকাতা, তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৫.৬ ডিগ্রিতে। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে আরও কমবে পারদ—এমনটাই ইঙ্গিত আবহাওয়াবিদদের। উত্তরের জোরালো হাওয়ায় আজও ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা। অন্যদিকে বীরভূমে তো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মাত্র ১০ ডিগ্রি, ফলে শীতপ্রীতিদের মুখে এখন হাসি, আর সাধারণ মানুষের মনে জমে উঠছে শীতের কামড়!
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
প্রথমেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে কথা বলা যাক। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে তীব্র থেকে তীব্রতর ঠান্ডা ও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদীয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায় জারি হয়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতের সতর্কতা। তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই নিচে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও নেমে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। সব মিলিয়ে এক কথায়—শীতের দুর্দান্ত ইনিংস ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গোটা বাংলায়!
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এবার উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া যাক। দক্ষিণবঙ্গের মতোই উত্তরবঙ্গেও দ্রুতগতিতে বাড়ছে ঠান্ডার দাপট। পাহাড়ি জেলাগুলোর মধ্যে দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, আর কালিম্পংয়ে রেকর্ড হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি। আজ শুক্রবার দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং জেলায় আরও বেশি শীতের কামড় অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গেও জমে উঠেছে শীতের আমেজ।
আগামীকালের আবহাওয়া
শনিবারও জেলায় জেলায় ঠান্ডার দাপট থাকবে বলে খবর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক বা দুটি জায়গায় সকালে অগভীর থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে দৃশ্যমানতা ১ কিমি থেকে ২০০ মিটারেরও কম হবে। অপরদিকে শীত থাকবে বলে খবর।
