আমিত কর্মকার, কলকাতা: বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইলে আসা সামান্য একটি এসএমএসই অনেক সময় বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে (TRAI Guidelines)। সাইবার প্রতারকরা প্রতিদিন নতুন নতুন কৌশলে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছে, আর তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে ভুয়ো বা জাল এসএমএস। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। TRAI জানিয়েছে, কয়েকটি সহজ বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার মোবাইলে আসা মেসেজটি আসল নাকি ভুয়ো।
আসলে এসএমএস কীভাবে চিনবেন? (TRAI Guidelines)
TRAI জানিয়েছে, সব অফিসিয়াল বা অনুমোদিত এসএমএসে একটি নির্দিষ্ট হেডার বা শনাক্তকরণের অক্ষর থাকে, যা সাধারণত মেসেজের শেষে দেখা যায়। এই চারটি অক্ষর মনে রাখলেই অনেক ক্ষেত্রে জাল এসএমএস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব। এগুলো হলো— P মানে Promotional বা প্রচারমূলক বার্তা, S মানে Service বা পরিষেবা সংক্রান্ত বার্তা, T মানে Transactional বা লেনদেন সংক্রান্ত বার্তা যেমন ব্যাঙ্ক বা পেমেন্টের তথ্য, আর G মানে Government বা সরকারি বার্তা। যদি কোনো এসএমএসে এই হেডারগুলোর একটিও না থাকে, তাহলে সেই মেসেজটি নিয়ে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
সাইবার প্রতারকরা কীভাবে ফাঁদ পাতছে? (TRAI Guidelines)
TRAI এবং সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুয়ো এসএমএসে কিছু মিল থাকা লক্ষণ প্রায়ই দেখা যায়। প্রথমত, এই ধরনের মেসেজে হঠাৎ ভয় বা লোভ দেখানো ভাষা ব্যবহার করা হয়—যেমন, “কেওয়াইসি আপডেট না করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে” বা “আপনি ১০ লক্ষ টাকা জিতেছেন”। পাশাপাশি থাকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লিঙ্ক, আর ব্যাঙ্ক, কেওয়াইসি বা পুরস্কারের নাম করে ওটিপি চাওয়া হয়। অনেক সময় দ্রুত কাজ করার চাপ দিয়ে ফোন করতে, লিঙ্কে ক্লিক করতে বা এমনকি মেসেজে রিপ্লাই পাঠাতেও বলা হয়, যা স্পষ্টভাবেই প্রতারণার লক্ষণ।
আর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছে যে, যদি কোনও অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করেন বা ভুল ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়েন, এমনকি সেখানে ভুল তথ্য দিয়ে ফেলেন, তাহলে সাইবার প্রতারকরা সহজেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে। মনে রাখবেন, ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থা কখনও এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে ওটিপি চায়না। তাই সাইবার জালিয়াতি মানতে অবশ্যই TRAI এর এই নিয়মকানুন মেনে চলুন।
