Suniel Shetty on Aamir: তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন আর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জেরে সম্প্রতি আমির খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন তাঁর দেশপ্রেম নিয়েও। তবে এই পরিস্থিতিতে আমির নিজে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
তাঁর হয়ে এবার পাশে দাঁড়ালেন সুনীল শেট্টি। মিডিয়ার সামনে তিনি বলেন, “আমির খান একজন সৎ মানুষ। ওর দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা একদম ঠিক নয়। সবাই ভুল বুঝতে পারে বা সময় মতো প্রতিক্রিয়া না-ও দিতে পারে, কিন্তু সেটা নিয়ে এত বড় বিতর্ক করা উচিত নয়।
আমির খানের শেষ ছবি ‘লাল সিংহ চড্ডা’ বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। এরপর অনেক দিন তিনি বলিউড থেকে দূরে ছিলেন। এখন আবারও কামব্যাকের তোড়জোড় করছেন তিনি, ‘সিতারে জ়মিন পর’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের মাঝেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
অনেকেই আমির ও তাঁর আসন্ন ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলেছেন। কেন? মূলত দু’টি কারণে। প্রথমত, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আমির খান দীর্ঘদিন চুপ ছিলেন। অন্য তারকারা যখন স্পষ্ট বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আমির নীরব ছিলেন। পরে মুখ খুললেও, ততক্ষণে অনেকেরই ক্ষোভ তৈরি হয়ে গেছে।
এই ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় যখন নেটমাধ্যমে ঘুরে বেড়াতে থাকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমিরের একটি পুরনো ছবি। উল্লেখ্য, ছবিটি ২০১৭ সালের — তখন একটি শুটিংয়ের জন্য তুরস্কে গিয়েছিলেন আমির। তবে পাকিস্তান-সমর্থক হিসেবে পরিচিত দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠতা অনেক নেটিজেনই মেনে নিতে পারছেন না।
এই প্রসঙ্গে সুনীল শেট্টি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সবাই বলিউডের পিছনে লাগে। এখানে বলিউডের প্রসঙ্গ আসে কোথা থেকে? দেশের বিষয়ে তো রাজনীতিকেরা কথা বলবেন। দেশের স্বার্থে কিছু হলে, আমরা তো সেটা সমর্থন করবই। তাই তো আমরা দেশাত্মবোধক ছবি বানাই। আমরা তো আমাদের কাজ করছি।”
তুরস্কে আমিরের ছবি প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, “মানুষের অতীত ভুলে যাওয়া উচিত। আজকের সময়ের প্রতিনিধিত্ব অতীত করে না। তাই ভবিষ্যতে আমরা কী করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বড় কোনও অনুষ্ঠানে গেলে, কারও মাথায় থাকে না, কে কার সঙ্গে ছবি তুলছে। ছবি না তুললেও লোকে বলবে অহঙ্কারী। তাই যা-ই হোক সমালোচিত হতেই হবে।”