আপনার সন্তান কি দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে যাচ্ছে? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে (HS Syllabus) এবার যুক্ত হতে চলেছে একটি নতুন বিষয়, যা শুনে আপনি নিশ্চয়ই চমকে উঠবেন। এবার যদি প্রিয়জন বা কারও চোখের সামনে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তাহলে ডাক্তার আসার আগেই স্কুল পড়ুয়া তাদের জীবন বাঁচাতে পারবে। সিলেবাসে এই নতুন বিষয় যোগ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি পদক্ষেপ শিখতে পারবে।
উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে যুক্ত হচ্ছে সিপিআর প্রক্রিয়া!
আপনার নিশ্চয়ই কখনও দেখার বা শুনার সুযোগ হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় কারও হৃৎপিন্ড সাময়িকভাবে থমকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) জীবন বাঁচাতে পারে। তবে সমস্যা হলো, CPR-এর কথা জানা এবং বাস্তবে সেটি প্রয়োগ করার মধ্যে বড় ফারাক থাকে। ঠিক এই কারণেই এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে CPR এবং অন্যান্য জরুরি জীবনরক্ষা পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে যুক্ত করা হচ্ছে। হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন—এবার স্কুল পড়ুয়ারাও শিখতে পারবে কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কারও জীবন বাঁচানো যায়।
উপকৃত হবে পড়ুয়ারা
যদি শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যায় বা কেউ জলে ডুবে যায়, তখন কীভাবে সেই খাবার বা জল বের করা এবং হৃদযন্ত্র চালু রাখা যায়—এসব পদ্ধতিও এবার তৃতীয় সেমেস্টারের স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তবে বইয়ের পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। উল্লেখ্য, CPR-এর কিছু তথ্য অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমেও ছিল, তবে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ার পক্ষে কার্যকরী CPR দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে এটি বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবে দক্ষভাবে প্রয়োগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেবাস প্রণেতারা।
তবে বাংলার আগে এমন পদক্ষেপ শুরু হয়েছে কেরলে। রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকরা স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR)-এর মতো জীবনরক্ষাকারী পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সব খবর
KGMU-এর কর্মকর্তাদের পরামর্শ, উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজের পাঠ্যক্রমে CPR-এর পাঠ বাধ্যতামূলক করা উচিত। পাশাপাশি, কলেজ, সরকারি ইউনিট, বাসিন্দাদের সমিতি এবং যুব সংগঠনগুলিকে সম্পৃক্ত করে CPR প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান আয়োজনেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ব্যস্ত পাবলিক স্পেস এবং বিভিন্ন ইভেন্টের সময় প্রাথমিক চিকিৎসার কিট এবং জীবন রক্ষাকারী ডিভাইস, যেমন অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেটর (AED), সহজলভ্য রাখা উচিত।


