“কাঠবাদাম কিভাবে খাবো” এটা ভাবছেন, তবে আসুন জেনে নেবো কাঠবাদাম কী ভাবে খেলে বেশি উপকার মিলবে?খোসা-সহ না কি খোসা ছাড়া খাবেন !
Table of Contents
কাঠবাদাম কিভাবে খাবো?
কাঠবাদামের অনেক গুণ। ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বাদাম রোজের খাদ্য তালিকায় রাখেন অনেকে। সকালের নাস্তায় কাঠবাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পানিতে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম খেলে সর্বোচ্চ পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান মেলে। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদামসহ সব ধরনের বাদামে অনেক উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
তবে অনেকেই আছে কাঠবাদামের খোসা খেতে পছন্দ করেন না। রান্নাতেও অনেক সময় খোসা ছাড়ানো কাঠবাদামই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শরীরের জন্য কোনটি উপকারী তা কি জানেন?
খোসা-সহ কাঠবাদাম খেলে কী হবে?
কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে সাহায্য করে উপাদানটি। এ ছাড়া কাঠবাদামের খোসায় পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটিও রয়েছে প্রচুর। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
খোসা ছাড়া কাঠবাদাম খেলেই বা কী হবে?
খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম যেমন খেতে সুবিধা হয়, তেমন হজম করাও সহজ। কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ সবচে বেশি। যার কারনে ফাইবার বেশি খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খেতে পছন্দ করেন অনেকে।
ভোজানো কাঠবাদাম খেলে কী হয়?
- ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সত্যিই ওজন কমাতে উপকারী। কাঠবাদামে এই দু’টি উপাদানই আছে। কাঠবাদাম খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। বারবার খাবার খেতে ইচ্ছা করে না। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না।
- হার্ট ভালো থাকেঃ বিভিন্ন কারণে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হৃদরোগ ঝুঁকি এড়াতে কাঠবাদাম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগ আক্রান্ত্য রোগীদের বেশি করে কাঠবাদাম খেতে বলেছে।
এই বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। কোলেস্টেরল কম থাকলে হার্টও ভালো থাকে।
- ত্বক ভালো রাখেঃ কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন আপনার ত্বকে ভেতর থেকে ঝলমলে রাখে। ত্বকের মসৃণ রাখতেও কাঠবাদাম উপকারী।
কাঠবাদাম স্বাস্থ্য উপকারিতা
- বাদাম হৃদপিণ্ড ও রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে
- চোখ, ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে
- হজম প্রক্রিয়া মজবুত করে
- মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
কাঠ বাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়?
কাঠ বাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়? কাঠবাদামে রয়েছে পচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন-ই। কাঠ বাদাম খেলে হজমের গোলমাল কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইবার থাকা সত্ত্বেও বেশি কাঠবাদাম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের এসব সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হতে পারে।
খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিকিৎসকরা বলেন, এক বাটি পানিতে অল্প সমপরিমান কাঠবাদাম রাতভর ভিজিয়ে রাখেন। সকালে ভিজা কাঠ বাদামটি খালি পেটে খাবেন। রোজ সকালে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খেলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খোসা ছাড়ানো অবস্থায় খেলে কাঠবাদাম অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।ভেজানো আমন্ডে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ শরীরের ফোলাভাব কমায় ও অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে।
কী পরিমাণে বাদাম খেতে পারবেন
কাঠ বাদামে ৮০শতাংশ চর্বি আছে। চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে। প্রতিদিন ৫-১০টা কাঠ বাদাম খেতে পারেন।