বর্ষা বিদায় নিচ্ছে, আর তার সঙ্গেই গুটিগুটি পায়ে হাজির হচ্ছে শীতের আমেজ(Winter Update)। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে দ্রুত গতিতে মৌসুমি বায়ু সরে যাচ্ছে। বিশেষ করে আজ, শনিবার পর্যন্ত মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাহার লাইন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় অর্ধেক এলাকা অতিক্রম করেছে। ফলে এখন সকলের মনেই একটাই প্রশ্ন— বাংলা সহ সারা দেশে কবে থেকে সত্যিকারের শীত নামবে? চলুন, সেই উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
শীত কবে পড়বে?
উত্তর ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের হালকা আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। বহু রাজ্যই টানা বৃষ্টির হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন দিনের বেলায় উজ্জ্বল রোদ, আর সকাল-সন্ধ্যায় হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে— এমন আবহাওয়ায় শরীরজুড়ে মিষ্টি রোদ পড়লে বেশ ভালোই লাগে। যদিও দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও বৃষ্টি চলছে, তবুও আবহাওয়া দফতরের মতে, ধীরে ধীরে সারা দেশে শীতের আগমন স্পষ্ট হচ্ছে। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন— বাংলায় কবে থেকে পড়বে প্রকৃত শীত?
কবে শীত পড়বে বাংলায়?
জানা গিয়েছে, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। মঙ্গলবার থেকেই শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সোমবার থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়ে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে শুরু করবে। তবে বঙ্গে এবার শীত কবে নাগাদ পাড়ি জমাতে পারে সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি আবহাওয়া অফিস। যদিও কিছু কিছু আবহাওয়া বিজ্ঞানী বলছেন, নভেম্বর থেকে ভালো মতো ঠান্ডা পেতে শুরু করবেন বাংলার মানুষ।
বহু রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি
মৌসুমি বৃষ্টির তাণ্ডব শেষ হতেই এবার পাহাড়ি রাজ্যগুলোতে শুরু হয়েছে তুষারপাত। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যেই বরফে ঢেকে গেছে। বিশেষ করে কেদারনাথে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও তুষারপাতের একটানা চক্র চলছে, যার ফলে পাহাড়ে হঠাৎ করেই ঠান্ডা বেড়ে গেছে এবং তাপমাত্রা নেমে এসেছে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আইএমডির (IMD) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পাহাড়ের তুষারপাতের প্রভাবে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
সব খবর


