ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র পর এবার দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ (Cyclone Mantha)। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদই বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে অক্টোবরের শেষের দিকে উপকূলে দুর্যোগ নামতে পারে। তবে এক প্রশ্নই সচরাচর উথ্থিত হচ্ছে—ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ নামটি এসেছে কোথা থেকে এবং এটি কবে ল্যান্ডফল করতে পারে? আজকের প্রতিবেদনে জানব এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
‘শক্তি’র পর আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আরবসাগরে মরসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হয়েছিল, যা এবারের সাইক্লোন সিজনের শুরুচিহ্ন। ‘শক্তি’র পরেই পরবর্তী ঝড় হিসেবে ‘মন্থা’ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সাইক্লোনের মৌসুম সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত চলে। এই সময়ে মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে ঘূর্ণিঝড়গুলি গঠন ও ঘনীভূত হয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র নামকরণের তাৎপর্য
বলে দিই, এবারের সাইক্লোন ‘মন্থা’-এর নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। এটি বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির একটি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ২০০০ সালে পার্শ্ববর্তী ১৩টি দেশের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি নামকরণের তালিকা তৈরি করেছিল, যা পরবর্তি ১৫৯টি ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। তাই এবারের তালিকায় নাম রয়েছে থাইল্যান্ডের এবং সেই কারণে ‘মন্থা’-র নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড।
প্রসঙ্গত, গত ‘শক্তি’ ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছিল শ্রীলংকা। ‘মন্থা’-এর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেবে আরব আমিরাত, যার নাম রাখা হবে ‘সেনিয়ার’। তবে গাণিতিক বিভিন্ন মডেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখালেও তা নিশ্চিত নয়—সময় বা গতি পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাম নির্ধারিত থাকা মানেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া নয়।
সব খবর
কবে নাগাদ তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’?
এখন পর্যন্ত দিল্লি মৌসুম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে উত্তর-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে বাংলা থেকে বর্ষার বিদায় ঘটবে এবং শীতের আগমন শুরু হবে। অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে আবারও ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, ‘মন্থা’ কি সত্যিই উপকূলে আঘাত হানবে নাকি গভীর সমুদ্রে দুর্বল হয়ে যাবে।


