Dev – Shubhashree: আর মাত্র তিন দিনের অপেক্ষা, তারপরই বড়পর্দায় ধুমকেতুর ধামাকা! ১৪ই আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে দেবের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ধুমকেতু। দশ বছর ধরে এই একটি ছবিকে ঘিরেই ভক্তদের উন্মাদনা এতটা তুঙ্গে ছিল, যা বাংলা সিনেমায় বিরল ঘটনা। দেব নিজেও স্বীকার করেছেন, তাঁর ভক্তদের ভালোবাসা আর অপেক্ষাই এই ছবিকে আজকের দিনে এনে দিয়েছে। ট্রেলার লঞ্চের গ্র্যান্ড অনুষ্ঠানে ছিল তারকাখচিত ভিড়, আর মঞ্চে দেব-শুভশ্রীর রোম্যান্টিক পারফরম্যান্স যেন দর্শকদের আগাম উৎসবের স্বাদ দিয়ে গেল।
এখানেই শেষ নয়। সেদিন তাঁরা যেভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছন, বা পাতি কথায় নিজেদের মধ্যে ফ্রিভাবে আচরণ করেছেন, তা অনেকের নজর এড়ায়নি। কেউ কেউ তো তাঁদের ছবি নিয়ে, অনেক ধরণের মশকরা করেছেন। প্রাক্তনের বাহুডোরে তাঁদের অনুভূতি ঠিক কী? এই নিয়ে নানা ঠাট্টা-তামাশা হয়েছে। কিন্তু, পরের দিন রাজ চক্রবর্তী সাফ জানিয়ে দেন, শুভশ্রীর মুখে তৃপ্তির হাসি ছিল। তাঁর স্ত্রী এবং প্রাক্তনকে নিয়ে কোনোরকম মন্তব্যকেই তিনি প্রাধান্য দেননি।
আর দেব? নানা দিক থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে—এটা কি তিনি আগে থেকেই ভেবেছিলেন? শুভশ্রীকে ঘিরে পুরনো গল্প নতুন করে টেনে আনা হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান রসিকতা—সবই যেন আবার সামনে এল। দেব খোলাখুলি বললেন, “বিষয়টা সত্যিই দুঃখজনক। আমি সেদিনই বলেছিলাম, পুরো ছবিটাই পাল্টে যাবে। ভাল কিছু শোনার জন্য অনেকেই আগ্রহী নয়, তাই এটা হবেই জানতাম।” কথা শেষ করেই তিনি রাজ চক্রবর্তীকে দিলেন বড়সড় বাহবা, পরিচালক হিসেবে রাজের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
“রাজ খুব ভালভাবে হ্যান্ডেল করছে বিষয়টা। রুক্মিণী কোথাও কোথাও খুব সাধারণভাবে নিয়েছে। আমার মনে হয় পরিবার সকলের কাছেই একটা বিরাট সাপোর্ট! দর্শক চেয়েছিলেন আমাদের। তাঁরা ধুমকেতু দেখতে চেয়েছিলেন। সেটাই আমরা চেষ্টা করেছি। নস্টালজিয়া বিষয়টা যাতে ফেরে সেটাই চেষ্টা করছিলাম। আমার গায়ে লাগে না এসব কথায়। তবে, পার্সোনাল অ্যাটাক না করাই ভাল। রুক্মিণীর নিজেরই অনেক অবদান আছে। রাজের সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। তবে, শুভশ্রীর উপস্থিতি বলে দিচ্ছে, রাজ কতটা খুশি। আমরা কেউ স্টেজে অভিনয় করছিলাম না।”
দেব খোলামেলা ভঙ্গিতে রাজ আর শুভশ্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন। সোজাসাপ্টা তিনি বললেন, “আমি জানি না, কাদের অভিনয় বলে মনে হচ্ছে। যদি সত্যিই এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে রাজ, শুভশ্রী আর রুক্মিণী—তোমাদের সবার কাছেই আমি ক্ষমা চাইছি।” তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয় নিয়ে যত বেশি আলোচনা হয়, ততই সেটা অপ্রয়োজনীয়ভাবে গুরুত্ব পায়। তাই তিনি চান, বিতর্ক নয়, বরং ইতিবাচক বিষয়গুলোই সামনে আসুক।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |