রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন দেওয়া (Private Tuition Teacher) নিষিদ্ধ থাকলেও, এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অনেক শিক্ষক এখনও গোপনে গৃহশিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে শিক্ষার গুণমান ও নৈতিকতার ওপর প্রভাব পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা তলব করেছে। আদালত জানতে চাচ্ছে, রাজ্যে কতজন শিক্ষক টিউশনের সঙ্গে যুক্ত। এটি শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিয়মাবলীর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সব খবর
Private Tuition
High Court order on School Teacher Private Tution
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে Private Tution মামলার শুনানি চলছে। আদালত প্রাইভেট টিউটরস অ্যাসোসিয়েশনকে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই তালিকা মঙ্গলবারের মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে হাইকোর্ট টিউশন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। আদালত এবার তালিকার মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে চায়।
শিক্ষকদের লুকিয়ে প্রাইভেট টিউশন নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর অভিযোগ
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চও নির্দেশিকা বাস্তবায়নের কথা বলেছিল। কিন্তু মামলাকারী পক্ষের দাবি, রাজ্য সরকার সেই নির্দেশনা পালন করেনি। এর ফলে আদালতে অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, কমিশন স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছিল টিউশনে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তবুও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সব খবর
প্রাইভেট টিউটরদের আন্দোলন
প্রাইভেট টিউটরদের সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাঁদের দাবি, সরকারি শিক্ষকদের টিউশন তাঁদের জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। শিক্ষকরা আইন অমান্য করে গৃহশিক্ষকতা করায় প্রাইভেট টিউটরদের আয় কমছে। এর ফলে নিয়ম মেনে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনটি হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে নিয়ম লঙ্ঘনকারী শিক্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
শিক্ষার গুণমানের উপর প্রভাব
সরকারি শিক্ষকদের টিউশন দেওয়া শিক্ষার গুণমানের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক স্কুলে পড়ানোর প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন না, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, টিউশনের কারণে স্কুলের পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তালিকা জমা পড়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও প্রত্যাশা
কলকাতা হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনবে। তালিকা পেশ হলে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে। এটি নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির পথ প্রশস্ত করবে। প্রাইভেট টিউটররা আশা করছেন, এর ফলে তাঁদের জীবিকা রক্ষা পাবে। অভিভাবকরাও চান, শিক্ষকরা স্কুলের পড়াশোনায় মনোযোগ দিন। হাইকোর্টের এই উদ্যোগ শিক্ষার গুণমান উন্নত করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |