Central Sector Scholarship 2025: শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, আর সেই কারণেই ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে। তবে এখানেই শেষ নয়—যারা উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে চান তাদের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে এসেছে বিশেষ বৃত্তির সুযোগ। অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে যাতে কোনো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই চালু হয়েছে Central Sector Scholarship (CSS)। ২০০৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই প্রকল্প আজও সমানভাবে কার্যকর এবং হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষ ২০২৫-এও এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই অসংখ্য পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছে। যারা এখনো করেননি, তারা শীঘ্রই আবেদন করুন, কারণ এই স্কলারশিপে নির্বাচিত হলে প্রতি মাসেই আর্থিক সহায়তা পাবেন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
Central Sector Scholarship 2025:
Central Sector Scholarship (CSS) কী?
এই স্কিম মূলত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। মূলত দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপ আনা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার বহু প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রী অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দেন, তাই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশোনা বন্ধ না করেন তার জন্যই মূলত এই স্কলারশিপ।
উদ্দেশ্য:
- মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করা। এর ফলে তারা তাদের পড়াশোনা শেষ করে নিজের ইচ্ছামত ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।
- তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। প্রতি মাসে মাসে ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হয় এর ফলে পড়াশোনা অনেকটাই সাহায্য হয়।
- দেশের শিক্ষার মান উন্নত করা। এর ফলে সমাজেরও উন্নতি ঘটে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
ChatGPT বলেছে:
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই বয়সসীমার কথা বলা যাক—আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে, এবং এই বয়সসীমার মধ্যে থাকা সকল ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করতে পারবেন।
সব খবর
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণিতে স্বীকৃত বোর্ড থেকে ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থাকতে হবে, অর্থাৎ এটি মূলত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই নির্ধারিত। স্নাতক স্তরের পড়ুয়ারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়লে প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা বৃত্তি পাবেন।
অর্থনৈতিক যোগ্যতার দিক থেকেও কিছু নিয়ম রয়েছে—আবেদনকারীর পরিবারকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। তবে যদি কেউ ইতিমধ্যেই অন্য কোনো কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের বৃত্তি পাচ্ছেন, তাহলে এই স্কলারশিপ আর পাওয়া যাবে না।
বৃত্তির পরিমাণ কত?
এই স্কলারশিপে নির্বাচিত হলে স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে পাবেন (প্রতি শিক্ষাবর্ষে সর্বোচ্চ ১০ মাস পর্যন্ত) আর স্নাতকোত্তর স্তরে পড়লে প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে (প্রতি শিক্ষাবর্ষে সর্বোচ্চ ১০ মাস পর্যন্ত)। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই সুবিধা সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে, যা কোর্সের মেয়াদের উপর নির্ভর করবে।
আবেদন প্রক্রিয়া কীভাবে করবেন?
আবেদন করতে হলে অনলাইনে যেতে হবে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল (NSP)–এ।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: scholarships.gov.in
আবেদনের ধাপগুলো:
- ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল আইডি থাকতে হবে।
- এরপর আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিয়ে যেমন- আপনার নাম, ইমেল, মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করুন।
- আধার কার্ড, জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস ও পরিবারিক আয়ের শংসাপত্র আপলোড করুন।
- সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করুন।
- সাবমিশনের পর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর সেভ করে রাখুন।
- আবেদনের শেষ তারিখ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
কোন কোন ডকুমেন্টস লাগবে?
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য কিছু জরুরি ডকুমেন্টস থাকা একেবারেই আবশ্যক। আবেদন করার আগে এগুলো আপনার কাছে প্রস্তুত রাখলে প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো হলো—
- আবেদনকারীর আধার কার্ড
- দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
- জন্মতারিখের প্রমাণ হিসেবে অ্যাডমিট কার্ড বা জন্ম সনদপত্র (Birth Certificate)
- পরিবারের আয়ের শংসাপত্র (Income Certificate)
- আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং পাসবুকের প্রথম পাতার ফটোকপি
- কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে) – তবে শুধু সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরাই নয়, জেনারেল ক্যাটেগরির ছাত্র-ছাত্রীরাও এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন।
এই স্কলারশিপ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের পড়াশোনায় সহায়তা করা। অনেক সময় অর্থের অভাবে অনেকেই উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে না, কিন্তু এই বৃত্তি সেই বাধা দূর করে দেয়। ফলে পড়ুয়ারা নিশ্চিন্তে পড়াশোনায় মন দিতে পারে, চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারে বা গবেষণার দিকে মনোযোগ বাড়াতে পারে। বলা যায়, Central Sector Scholarship 2025 দেশের মেধাবী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সত্যিই আশীর্বাদস্বরূপ। তাই যারা যোগ্য, তারা যেন সময় নষ্ট না করে দ্রুত আবেদন করে নেয়। মনে রাখবেন, আবেদন করার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৫। তাই দেরি না করে আজই scholarships.gov.in এ গিয়ে নিজের আবেদন সম্পূর্ণ করে ফেলুন।


