HS Exam: এই বছর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে চালু হতে চলেছে নতুন সেমিস্টার সিস্টেম, যেখানে পুরো বছরের সিলেবাস ভাগ হয়ে যাবে দুইটি ভাগে—প্রথম সেমিস্টারে থাকবে মাল্টিপল চয়েস (MCQ) ভিত্তিক পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারে হবে লিখিত পরীক্ষা। শুনতে যতটা সহজ লাগছে, বাস্তবে কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটা ততটা সহজ নাও হতে পারে। কারণ এই নতুন পদ্ধতিতে বড়সড় টার্নিং আপডেট নিয়ে এসেছে কর্তৃপক্ষ—এবার পরীক্ষা হবে একাধিক প্রশ্নপত্র সেটে, যাতে প্রশ্নফাঁস বা অনৈতিক পদ্ধতিতে পাশ করার কোনও সুযোগ না থাকে। পাশাপাশি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টেও থাকছে বড় পরিবর্তন, যাতে পরীক্ষার সময় পরিবেশ থাকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত। আজকের পোস্টে আমরা এই সমস্ত পরিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো—তাই চোখ রাখুন পোস্টের শেষ পর্যন্ত!
HS Exam
উচ্চমাধ্যমিকে সেমিস্টার পদ্ধতি পরীক্ষা একাধিক প্রশ্ন সেট
অনেক সময় দেখা যায়, মাল্টিপল চয়েস বা এমসিকিউ ধরণের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা একসাথে বসে কিছুটা ‘হল ম্যানেজ’ করে নেয়—মানে পাশের বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা বা সিগন্যালের মাধ্যমে উত্তর মিলিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এবার সেই জায়গায় কড়াকড়ি আনতে কর্তৃপক্ষ নিয়ে এসেছে এক চমকপ্রদ ব্যবস্থা। এবার পরীক্ষায় থাকবে চার থেকে পাঁচ সেট প্রশ্নপত্র! অর্থাৎ একজন ছাত্রের প্রশ্ন ২ নম্বরে যা থাকবে, পাশের ছাত্রের প্রশ্ন ৩০ নম্বরে একই টপিক থাকলেও একেবারে আলাদা ধারায়। ফলে প্রশ্ন এক থাকলেও তার অবস্থান এবং ক্রম একেবারেই ভিন্ন হবে। এর ফলে কারও পক্ষে আর আলোচনা বা সিগন্যাল দিয়ে উত্তর আদানপ্রদান করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যাবে।
OMR পত্রে পরীক্ষা হওয়ার কারণে কোনো রকম বাড়তি কাগজ বা লুস দেওয়া হবে না, তার পাশাপাশি সমস্ত রাফ ওয়ার্ক বা প্রয়োজনীয় খসড়া কাজ প্রশ্নপত্রের শেষেই অতিরিক্ত পৃষ্ঠাগুলিতে (Extra Pages of Question Paper) করতে হবে।
সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টে সর্বভারতীয় প্যাটার্ন!
তার পাশাপাশি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদ। সাধারণত দেখা যায়, এক্সাম সেন্টারে স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বা রোল নম্বর অনুযায়ী পরপর সিট পড়ে—ফলে একই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে বসে পড়ে যায়। কিন্তু নতুন সেমিস্টার পদ্ধতিতে এবার এই নিয়মে বদল আসছে। এবার সিট থাকবে “ক্রিসক্রস” বা “S প্যাটার্নে”—মানে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর পাশের কিংবা পিছনের সিটে সেই একই স্কুলের আর কেউ থাকবে না! এতে করে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা, সিগন্যাল দেওয়া বা উত্তর দেখে নেওয়ার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
সব খবর
সাধারণত সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে এরকমটি হয়ে থাকে, এবার উচ্চমাধ্যমিকেও তার হুবহু একই নিয়ম আসছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে ‘এমসিকিউ’ ধরনের। তাই সর্বভারতীয় পরীক্ষার ধাঁচে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে আলাদা আলাদা ধরনের প্রশ্ন পায় তাই জন্যেই এই ব্যবস্থা করা।”
উচ্চমাধ্যমিক সেমিস্টার পদ্ধতির পরীক্ষা একনজরে (HS 2026)
| বিষয় | বিস্তারিত পরিবর্তন |
|---|---|
| পরীক্ষা পদ্ধতি | এখন থেকে থাকবে দুটি সেমিস্টার – প্রথম সেমিস্টারে MCQ (অবজেকটিভ) ধরণের পরীক্ষা, আর দ্বিতীয় সেমিস্টারে হবে লিখিত (ডেসক্রিপটিভ) পরীক্ষা। |
| প্রশ্নপত্র সেট | প্রতিটি বিষয়ে থাকবে ৪ থেকে ৫টি আলাদা প্রশ্ন সেট, যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং প্রশ্নফাঁস বা নকলের সুযোগ না থাকে। |
| সেটের ভিন্নতা | একজন ছাত্র যদি “Set A” পান, অন্যজন পেতে পারেন “Set B”, “Set C” বা “Set D” – অর্থাৎ প্রশ্ন একই হলেও অবস্থান ও ক্রম থাকবে ভিন্ন। |
| সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট | এবার সিটিং হবে “ক্রিসক্রস” বা “S প্যাটার্নে” – যাতে পাশের বা পেছনের সিটে নিজের স্কুলের কেউ না বসে। এতে নকলের সুযোগ একেবারে কমে যাবে। |
অবশ্যই বন্ধুদের সাথে এই তথ্যটা শেয়ার করে দাও। আর প্রস্তুতিকে এগিয়ে রাখতে এডুটিপস অ্যাপ ইন্সটল করে নাও, স্মার্ট নোট সংগ্রহ করে নাও এবং পরীক্ষার লাস্ট মিনিট সাজেশন পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকো!


