বাড়ি প্রচ্ছদ

প্রতি মাসে তীব্র পেটব্যথা? যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাবের উপসর্গ চিনে সতর্ক হোন

দীপিকা, কলকাতা: ঋতুস্রাবের সময় তলপেট ও কোমরে যন্ত্রণা হওয়া অনেক মেয়ের জন্য স্বাভাবিক (Period Pain)। তবে যদি যন্ত্রণা অতিরিক্ত হয়, প্রতি মাসে নিয়মিত দেখা দেয় বা সহ্য করা মুশকিল হয়ে ওঠে, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভারী ঋতুস্রাবের সঙ্গে তলপেটের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এটি এতটাই তীব্র হয় যে ব্যথানাশকও কার্যকর হয় না। এই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বিশেষ কিছু উপসর্গ চিনে নেওয়া এবং প্রয়োজন হলে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, যাতে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো যায়।

প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলা এমন যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন (Period Pain)। এই কয়েকটি দিন তাদের কাছে প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে ওঠে। অনেকেই হটব্যাগ, প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করে কষ্ট কমানোর চেষ্টা করেন। এই ধরনের তীব্র যন্ত্রণা অনেক সময়ই ইউটারাস ফাইব্রয়েডের কারণে হতে পারে, তবে এর পাশাপাশি আরও কিছু কারণও থাকতে পারে। তাই এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

হরমোনের ওঠানামা এবং জরায়ুর সঙ্কোচনের কারণে পেট, তলপেট ও কোমরে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। এমনকি শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতেও ব্যথা অনুভূত হয়। এই ধরনের সমস্যা মূলত হরমোনের অস্বাভাবিকতার কারণে ঘটে, যা প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া নামে পরিচিত। হরমোনের তারতম্যের কারণে মেয়েদের মেজাজও প্রভাবিত হয় এবং মানসিক চাপ, জ্বালাপোড়া বা বিরক্তির মতো অনুভূতি দেখা দিতে পারে।

‘ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড’ও ঋতুস্রাবের সময় যন্ত্রণার একটি প্রধান কারণ হতে পারে। ফাইব্রয়েড হল জরায়ুর প্রাচীরে গজানো টিউমার, যা সাধারণত ক্যানসার সৃষ্টিকারী নয়। তবে যদি টিউমারের সংখ্যা বা আকার বাড়তে থাকে, তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে সন্তানধারণে অসুবিধা হতে পারে এবং ঋতুচক্রও অনিয়মিত হয়ে যায়। জরায়ুর মায়োমেট্রিয়াম পেশি থেকে টিউমার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, পেশির কোষগুলি অনিয়মিতভাবে বাড়ে এবং ছোট ছোট টিউমার তৈরি হয়, যা ব্যথার কারণ হয়। যদি টিউমার জরায়ুর বাইরের দিকে গজায়, সেটি সাবসেরোসাল ফাইব্রয়েড বলা হয়, যা ফেটে গেলে জরায়ুতে রক্তপাতও ঘটাতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।

জরায়ুতে সিস্টও ঋতুস্রাবের গোলমাল এবং তলপেটের অসহ্য যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হতে পারে (Period Pain)। এর মূল কারণ হলো ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শারীরিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ‘ওভারিয়ান সিস্ট’। এর ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়, কখনও অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, আবার অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের জন্য ঋতুস্রাব খুব বেদনাদায়ক হয়। এছাড়া খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, নেশার অভ্যাস এবং দেরিতে গর্ভধারণের চেষ্টা এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন জরুরি।

এন্ডোমেট্রিয়োসিসও ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেট, কোমর ও পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। অনেক সময় এন্ডোমেট্রিয়োসিস থাকলেও কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না এবং বন্ধ্যাত্ব বা অন্য পরীক্ষা করার সময়ই ধরা পড়ে। রোগটি স্টেজ-১ বা স্টেজ-২ হলে সাধারণত তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু স্টেজ-৩ বা স্টেজ-৪ হলে রক্তপাত অনেক বেশি হয় এবং ঋতুস্রাবের সময় তীব্র যন্ত্রণা দেখা দেয়। প্রস্রাব বা মলত্যাগের সময়ও ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রক্তাল্পতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যার ফলে কাজের অনীহা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মাথা ঝিমঝিম ভাব এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে খাবার রাখলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি, বিশেষ করে ছোটদের জন্য

দীপিকা, কলকাতা: গরম রুটি-তরকারি বা পরোটা বানিয়ে অনেকেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে টিফিনে নিয়ে যান (Effects of Aluminum Foil)। রেস্তোরাঁ বা রাস্তার ধারের দোকান থেকেও খাবার চকচকে ওই ফয়েলে প্যাক করা হয়। চিকেন তন্দুরি, কবাব বা অন্যান্য জাঙ্ক ফুডও সেই ফয়েলে দেওয়া হয়। তবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল শুধু খাবার গরম রাখার জন্য নয়, বাড়িতেও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে এটি ক্ষতিকর নয়, কিন্তু খাবারের অবস্থান, সংরক্ষণের সময়কাল এবং ব্যবহারের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে এর প্রভাব।

কখন অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিপজ্জনক? (Effects of Aluminum Foil)

গরম রুটি, লুচি বা পরোটা বানিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে, ভাবেন দীর্ঘ সময় খাবার গরম থাকবে। কিন্তু এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গরম খাবার যদি ঘণ্টাখানেক অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রাখা হয়, তাহলে অ্যালুমিনিয়াম খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। রক্তে এই ধাতুর মাত্রা বেড়ে গেলে এটি মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি করতে পারে, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ডিমেনশিয়া ও আলঝাইমার্সের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম শরীরে বেশি জমা হলে হাড়ের ক্ষয়ও হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে গরম খাবার রাখলে তার সূক্ষ্ম কণাগুলি খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বিশেষ করে টকজাতীয় বা গেঁজানো খাবার ঘণ্টা দুয়েক রাখলে খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে টক্সিন তৈরি হতে পারে, যা রক্তে প্রবেশ করলে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া ফয়েলে খাবার দীর্ঘ সময় (২–৩ ঘণ্টা) রাখলে অক্সিজেনের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হয়। টম্যাটো, লেবু, ভিনিগার বা বেশি মশলা ও নুনযুক্ত খাবার রাখলে অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষয় দ্রুত হয় এবং এটি খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে জটিল স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিকল্প উপায় কী কী?

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে খাবার রাখার ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মানা উচিত। প্রথমে, খাবার অবশ্যই ঠান্ডা করে ফয়েলে রাখতে হবে। অম্ল জাতীয় বা গেঁজানো খাবার ফয়েলে রাখা নিরাপদ নয়। ফয়েলে রাখা খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। বেক করার সময় অ্যালুমিনিয়াম শিটের বদলে কাচ বা পোর্সেলিনের বাসন ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর। টিফিনে অ্যালুমিনিয়ামের বদলে স্টিলের টিফিনবাক্স ব্যবহার করুন। খাবার মুড়ানোর জন্য বাটার পেপার বা পার্চমেন্ট পেপার বেশি নিরাপদ। রুটি বা পরোটা গরম ও নরম রাখতে পরিষ্কার সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। ভাজাভুজি বা মশলা মাখানো খাবার ফয়েলের বদলে কলাপাতায় মুড়িয়ে রাখলে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকবে না এবং স্বাস্থ্যও নিরাপদ থাকবে।

শীতের স্পেশাল আচারি দম আলু: নতুন আলু ও আমতেলের গন্ধে লুচি সাথে উপভোগ

দীপিকা, কলকাতা: শীতের মরশুমে টাটকা সবজির মধ্যে নতুন আলুর আসরই আলাদা। খানিক শক্ত হলেও মুখে দিলেই যেন গলে যায় এবং স্বাদে মুগ্ধ করে (Achari Alur Dom)। কড়াইশুঁটি-আলু মাখা মাখা বা কসৌরি মেথি দিয়ে ঝোল ঝোল করে দম করলে স্বাদ সত্যিই অনন্য হয়। আর যদি সেই আলুর দমে একটু আমতেলের গন্ধ ও আচারের টঙি যুক্ত করা হয়, তবে শীতের খাবারের মজা আরও দ্বিগুণ হয়। গরম গরম লুচি হোক বা পরো, আচারি দম আলু দিয়ে খাওয়ার আনন্দটা সবাই উপভোগ করবে।

কি কি উপকরণ লাগবে? (Achari Alur Dom)

  • ১২–১৪টি নতুন আলু
  • ১/৪ কাপ টক দই
  • দেড় টেবিল চামচ আচার (তেলসহ)
  • ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
  • ১ টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কা
  • ৪–৫টি চেরা কাঁচালঙ্কা
  • ১ চিমটে হিং
  • আধ চা-চামচ হলুদ
  • ১ টেবিল চামচ ধনেগুঁড়ো
  • ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
  • আধ চা-চামচ চিনি

ফোড়নের জন্য

  • ১টি তেজপাতা
  • আধ চা-চামচ জিরে
  • ১/৪ চা-চামচ মৌরি
  • আধ চা-চামচ সর্ষে
  • ২টি শুকনো লঙ্কা

প্রণালী

আলু নুন দিয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে আলু হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। একটি পাত্রে টক দই, হিং এবং পছন্দের আচার (তেলসহ) দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও ধনেগুঁড়ো যোগ করুন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।

কড়াইয়ে আবার সর্ষের তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা, সর্ষে, জিরে, মেথি ও মৌরি ফোঁড়ন দিন। এরপর আদাবাটা মিশান। ফেটানো দইয়ের মিশ্রণ ঢেলে আঁচ কমিয়ে রান্না করুন; দই ফেটে না যায় তাই প্রয়োজনে এক চা-চামচ বেসন মিশিয়ে নিতে পারেন। পাঁচ মিনিট পর আলু যোগ করুন এবং ভালো করে কষান। চিনি, ডাঁটি-সহ ধনেপাতা ও চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিশান। প্রয়োজনে সামান্য গরম জল দিন। তেল ছেড়ে মশলা গা-মাখা হয়ে গেলে আলু নামিয়ে নিয়ে সামান্য আচার-তেল ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

মুরগির ঝোলে অভক্তি? শীতে ঘিয়ে রোস্ট মাংস বানিয়ে খান কব্জি ডুবিয়ে

দীপিকা, কলকাতা: শৈশবে মুরগি না পেলে খাওয়াই হত না, কিন্তু বড় হয়ে অনেকেরই চিকেনে আগ্রহ কমে যায় (Chicken Ghee Roast Recipe)। তবে ভালো খবর হলো, নতুন ধরনের রান্না করে আবার এই প্রেম ফিরিয়ে আনা সম্ভব। চাইলে আলু দিয়ে পাতলা ঝোল বানাতে পারেন, অথবা কষানো মুরগি, পেঁপে ও গাজর দিয়ে স্ট্যু বা আচারি চিকেন। বিশেষভাবে কর্ণাটকের ধাঁচে ঘি রোস্ট বানালে এই শীতে অতিথি আপ্যায়নের সময় ঘিয়ের সুবাস আর লঙ্কার ঝাঁজ মিলিয়ে স্বাদ আরও বাড়বে। রেসিপিটিও খুবই সহজ, তাই বাড়িতেই তৈরি করা যাবে।

কি কি উপকরণ লাগবে? (Chicken Ghee Roast Recipe)

কর্ণাটকের ঘি মুরগি রোস্টের উপকরণ:

  • ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস (হাড়সহ)
  • ৮–১০টি ব্যাড়গি শুকনো লঙ্কা (কর্ণাটকের একটি প্রকার)
  • ২ টেবিল চামচ গোটা ধনে
  • ১ চা চামচ গোটা জিরে
  • ১ চা চামচ গোলমরিচ
  • আধ চা চামচ মেথি দানা
  • আধ কাপ টক দই
  • ৪ টেবিল চামচ ঘি
  • ১ টেবিল চামচ গুড়
  • স্বাদমতো নুন
  • কারি পাতা

কি ভাবে বানাবেন?

কর্ণাটকের জনপ্রিয় ব্যাড়গি শুকনো লঙ্কা প্রথমে ১৫ মিনিট হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ধনে, জিরে, গোলমরিচ ও মেথি দানার সঙ্গে লঙ্কাগুলো মিক্সার গ্রাইন্ডারে বেটে নিন, যেন মিহি পেস্ট তৈরি হয়। অন্যদিকে মাংস নুন ও দই দিয়ে ম্যারিনেট করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। কড়াই বা প্যানে ঘি গরম করে মিশ্রিত মশলা ঢেলে ঢিমে আঁচে কষান, হালকা সোনালি রং ধরলে ম্যারিনেট করা মাংস মিশিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করুন, মাংস নরম হলে গুড় ও স্বাদমতো নুন মিশান। শেষ ধাপে ঘি ছড়িয়ে কারি পাতা মেশান এবং আগুন নিভিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আলিপুরদুয়ার প্রশাসনিক বিভাগে একাধিক পদে কর্মী নিয়োগ, আবেদনের শেষ দিন কবে?

পিংকী, কলকাতা: আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে চুক্তিভিত্তিক চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে (WB Job vacancy)। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স, ডিস্ট্রিক্ট কনসালট্যান্ট কোয়ালিটি মনিটরিং, ডিস্ট্রিক্ট পিপিএম কোঅর্ডিনেটর, টিভি এইচভি, ডেন্টাল টেকনিশিয়ান, ডেন্টাল হাইজেনিস্ট, সাইকেট্রিক নার্স এবং কমিউনিটি নার্স পদে মোট ৮টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি পদে প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং বেতন পদের ভিত্তিতে ১৮,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে প্রদান করা হবে। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্য জানতে মূল বিজ্ঞপ্তি দেখাই উত্তম।

আবেদন করবেন কী ভাবে? (WB Job vacancy)

প্রার্থীদের প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ওয়েবসাইট https://alipurduar.gov.in/ এ যেতে হবে। হোমপেজ থেকে ‘রিক্রুটমেন্ট’ সেকশনে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি দেখা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। নিয়োগ সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী জানতে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ওয়েবসাইট দেখাই উত্তম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীর জন্য পহেলা জানুয়ারি ডিএ সংবাদ

পিংকী, কলকাতা: বছরের শেষ পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন বকেয়া ডিএ নিয়ে আশায় রয়েছেন, ঠিক সেই সময় মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর কোনও সরাসরি ঘোষণা না হলেও সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে (Dearness Allowance)। এই বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপকদের কী কী সুবিধা মিলতে পারে—সেই সব তথ্য আজকের এই প্রতিবেদনে সহজ ভাষায় বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মী ও পেনশন গ্রাহকদের জন্য নবান্নের বিজ্ঞপ্তি (Dearness Allowance)

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পেনশনভোগীদের জন্য সময়ে সময়ে বিভিন্ন সরকারি নির্দেশ, বেতন, বোনাস ও ভাতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা স্থায়ীকরণ ও পেনশনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন, আর এই নতুন বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তাঁদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলনের মতোই, সম কাজে সম বেতনের দাবিতে এই অস্থায়ী কর্মীরাও বারবার আন্দোলনে নেমেছেন। তার ফলস্বরূপ বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বেতন ও ভাতা একাধিকবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এবার নতুন করে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো হলো। কোন কোন সুবিধা মিলবে, কারা এই সুবিধার আওতায় পড়বেন না এবং পেনশন গ্রাহকদের জন্য কী নতুন সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে—সেই সব বিষয়ই পর্যায়ক্রমে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সুযোগ সুবিধা

২০১১ সালে চাকরি পাওয়া বিভিন্ন দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের জন্য ২০১৩ সালে ৯০০৮-এফ(পি)-এর নিয়ম অনুযায়ী  ‘Security of Tenure’, অবসরের সুযোগ সুবিধা ও বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট এর সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছিলো। তবে নির্দিষ্ট বছর (কমপক্ষে ৫ – ১০ বছর) চাকরি করলেই এই সুবিধা পাওয়া যেত। নবান্নের নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে, চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর না হলেও গ্রাচুইটি, বেতন ভাতা, অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা সহ বর্ধিত পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে যেসমস্ত কর্মীরা যে সালে নিয়োগ পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী এই বর্ধিত সুযোগ সুবিধা পাবেন।

কারা এই সুবিধা পাবেন না

অনেক সময় বিভিন্ন দপ্তর নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা করে অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেয়। এই ধরনের কর্মীরা সাধারণত ৯০০৮-এফ(পি) এর নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা পান না। অর্থাৎ, এই নিয়ম অনুযায়ী তারা গ্রাচুইটি বা অন্যান্য প্রণোদনা পাবেন না। তাদের বেতন বৃদ্ধি বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা অফিসের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

আগের নিয়ম ও বর্তমান নিয়ম

আগের নিয়মে কর্মীর অবর্তমানে তার স্বামী বা স্ত্রী ফেমিলি পেনশন পেতেন। এবং ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মীর অবিবাহিত, বিধবা অথবা ডিভোর্সি মেয়ে ফ্যামিলি পেনশন পাবেন। তবে নতুন নিয়মে কোনও সরকারি কর্মীর ছেলে বা মেয়ে যদি বিশেষক্ষমতা সম্পন্ন হন তবে ২৫ বছরের পরও সারা জীবন পেনশন পাবেন। সেক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা নয়।

Voter Card Correction Online 2026: নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ সংশোধনের সহজ পদ্ধতি

পিংকী, কলকাতা: আপনার ভোটার কার্ডে যদি নাম, বাবা বা স্বামীর নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ কিংবা বয়স সংক্রান্ত কোনও ভুল থেকে থাকে, তাহলে এখন আর দপ্তরে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। ঘরে বসেই শুধু একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনে খুব সহজে ভোটার কার্ডের সব ধরনের সংশোধন করা যাবে, তাও সম্পূর্ণ সরকারি প্রক্রিয়ায়।

এছাড়াও ভোটার কার্ডে মোবাইল নম্বর লিংক বা পরিবর্তন করা যাবে, পাশাপাশি কার্ডে থাকা পুরনো বা অস্পষ্ট ছবি বদলে বর্তমানের একটি নতুন রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপডেট করার সুবিধাও রয়েছে। সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে নতুন ভোটার কার্ড পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন (Voter Card Correction Online West Bengal) করবেন—আজকের প্রতিবেদনে আমরা ধাপে ধাপে সেই পদ্ধতি সহজ ভাষায় তুলে ধরেছি।

ভোটার কার্ড সংশোধন অনলাইন পদ্ধতি – Voter Card Correction Online West Bengal

১) সবার আগে ভোটার সার্ভিস পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। চাইলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করেও সরাসরি অফিসিয়াল সাইটে প্রবেশ করতে পারেন।
২) হোমপেজে থাকা Sign Up অপশনে ক্লিক করে নিজের মোবাইল নম্বর ও নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হলে Log In–এ ক্লিক করে রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে আসা OTP ভেরিফাই করে লগইন করুন।
৩) লগইন করার পর হোমপেজে থাকা Correction of Entries – Fill Form 8 অপশনে ক্লিক করুন। এবার যে ব্যক্তির ভোটার কার্ড সংশোধন করতে চান, তাঁর ভোটার কার্ড নম্বর লিখে Submit করুন।
৪) এরপর সংশ্লিষ্ট ভোটারের তথ্য স্ক্রিনে দেখা যাবে। সেগুলি যাচাই করে নিচে থাকা OK বাটনে ক্লিক করুন এবং পরের পেজে Correction of Entries in Existing Electoral Roll অপশনে ক্লিক করুন।
৫) এখন ভোটারের সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন। Next–এ ক্লিক করে নিচে নেমে যান এবং যে যে তথ্য সংশোধন করতে চান, সেই বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে সঠিক তথ্য লিখুন। প্রয়োজনীয় নথি তালিকা থেকে নির্বাচন করে আপলোড করুন।
৬) সব ঠিক থাকলে Preview & Submit–এ ক্লিক করুন এবং পরের পেজে গিয়ে eSign & Submit অপশনে ক্লিক করুন।
৭) এবার আধার অথেনটিকেশন পেজ আসবে। সেখানে ভোটারের আধার নম্বর দিয়ে OTP ভেরিফাই করলেই আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আবেদন সফল হলে একটি রেফারেন্স নম্বর ও Acknowledgement রসিদ পাবেন, যার মাধ্যমে পরে আবেদনের স্ট্যাটাস (Approved না Pending) চেক করা যাবে। আবেদন করার পর প্রয়োজনে নিজের বুথের BLO–র সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

ভোটার কার্ড সংশোধন স্ট্যাটাস চেক পদ্ধতি

১) সবার আগে আপনাকে ভোটার সার্ভিস পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। চাইলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করেও সরাসরি অফিসিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করতে পারেন।
২) এরপর হোমপেজে থাকা Track Application Status অপশনে ক্লিক করুন। পরবর্তী পেজে আবেদন করার সময় পাওয়া রেফারেন্স নম্বর লিখে সার্চ করলেই জানতে পারবেন আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে নাকি এখনও পেন্ডিং রয়েছে।

প্রাক্তন পাক প্রধান ইমরান খানকে ফের আইনি ধাক্কা, ১৭ বছরের কারাদণ্ড

রহান, কলকাতা: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবারও বড় আইনি ধাক্কার মুখে পড়লেন (Imran Khan)। দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী, আর নতুন এই রায়ের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে ফের তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

কোন মামলায় এই সাজা দেওয়া হল?

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলাটি সরকারি উপহার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া কিছু মূল্যবান উপহার সরকারি নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হয়। এই মামলায় পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দু’জনকেই ১০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তাজনিত কারণে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আদিওলা হাই সিকিউরিটি জেলের মধ্যে। আর বিশেষ আদালতের বিচারপতি শাহরুখ আরজুমান্দ এই রায় ঘোষণা করেছেন। এদিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জটিলতা এখানেই শেষ নয়। কারণ, মঙ্গলবার জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় তাঁর দুই বোন আলিমা খান এবং নুরিন নিয়াজি সহ একাধিক পিটিআই নেতা ও সমর্থকদের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির সদর বারুনি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে আর তদন্ত চলছে।

কন্যা রাশিফল ২০২৬: স্বাস্থ্য, কেরিয়ার ও ব্যবসা কেমন কাটবে?

২০২৬ সালে কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য বছরটি মিশ্র সম্ভাবনার। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও ছোটখাট সমস্যায় সতর্ক থাকা দরকার(Virgo Horoscope 2026)। বিশেষ করে পেশী ও হজম সংক্রান্ত। কেরিয়ারে ধীরে ধীরে উন্নতি আসবে, ধৈর্য ধরলে বড় সুযোগও মিলতে পারে। ব্যবসায়িক দিক থেকে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাবধান থাকা ভালো, আর্থিকভাবে খরচ বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে রাখলেই কোনো বড় ঝুঁকি নেই। প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে মানসিক বোঝাপড়ার প্রয়োজন, বিবাহিত জীবন সাধারণত স্থিতিশীল থাকবে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সহজ প্রতিকার ও সমাধানের পথ অবলম্বন করলে শান্তি বজায় থাকবে। কন্যা রাশিফল ২০২৬ মূলত ধৈর্য, সচেতনতা এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে ভালো ফল দিতে পারে।

স্বাস্থ্যের দিক থেকে কেমন থাকবে নতুন বছর?

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের দিক থেকে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বছরের বেশিরভাগ সময় স্বাভাবিক থাকলেও, বুধ গ্রহ যখন প্রতিগামী হবে তখন শারীরিকভাবে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথম ঘরে শনির সপ্তম দৃষ্টি বিশেষভাবে শুভ নয়, আর বৃহস্পতির গোচরও স্বাস্থ্যের জন্য পুরোপুরি অনুকূল নাও হতে পারে।

২ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃহস্পতির কিছু ইতিবাচক প্রভাব থাকলেও স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এই সময়ে অলসতা, ক্লান্তি, বা হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। যারা শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরকে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। বছরের শুরুতে, ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, স্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখাশোনা করা ভালো।

এদিকে, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বুধ গ্রহের পশ্চাৎমুখী অবস্থান এবং ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বুধের দহন সময়টিকে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষভাবে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই সময়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং সাধারণত সময়টিকে খুব শুভ বলা যায় না। তাই ২০২৬ সালে স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে, নিয়মিত যত্ন নিলে বড় ধরনের অসুবিধা এড়ানো সম্ভব।

কন্যা রাশির ২০২৬ সালে কেরিয়ার

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, চাকরি ও কেরিয়ারের দিক থেকে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য মিশ্র ফলাফল নিয়ে আসবে। ষষ্ঠ ঘরের অধিপতি শনি সারা বছর সপ্তম ঘরে অবস্থান করবে, যা খুবই অনুকূল নয়। তবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাহু ষষ্ঠ ঘরে থাকবে, যা পেশাগত জীবনে কিছু সুবিধা এবং সহকর্মী ও সিনিয়রদের সম্মান পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

বছরটি পেশাগতভাবে সহায়ক বলে মনে করা যায়, যদি নিজের দক্ষতা ও ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দেন। বছরের শুরু থেকে ২ জুন পর্যন্ত বৃহস্পতি দশম ঘরে অবস্থান করবে, যা অর্থলাভ এবং কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজর কেড়ে নেওয়ার সুযোগ এনে দিতে পারে। রাহু ও বৃহস্পতির সম্মিলিত প্রভাব সাফল্যের পথে সাহায্য করতে পারে।

২ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়টি বিশেষভাবে অনুকূল। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করা, পদোন্নতি পাওয়া বা বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩১ অক্টোবরের পর বৃহস্পতি দ্বাদশ ঘরে প্রবেশ করবে, যা কিছুটা অনুকূল হলেও সামগ্রিকভাবে ২০২৬ সালে যথেষ্ট চেষ্টা ও মনোযোগের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।

আর্থিক দিক থেকে কেমন যাবে নতুন বছর?

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, আর্থিক দিক থেকে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য তুলনামূলকভাবে অনুকূল হবে। কর্মজীবনে ভালো ফলাফল আর আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। বৃহস্পতির অবস্থান আর্থিক জীবনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে ২ জুন পর্যন্ত যখন বৃহস্পতির পঞ্চম দৃষ্টি সম্পদের ঘরে থাকবে। এই সময়ে আপনি অর্থ ব্যয় করতে পারেন, তবে পরিকল্পনা মেনে খরচ করা ভালো।

২ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃহস্পতির উচ্চ ঘরে অবস্থান আর্থিক দিক থেকে চমৎকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সময়ে আর্থিক সুবিধা আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সঞ্চয়ও করতে পারবেন। তবে ৩১ অক্টোবরের পর বৃহস্পতির গোচর কিছুটা অপ্রয়োজনীয় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। এই সময়ে ধৈর্য এবং সচেতনতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

সামগ্রিকভাবে, বৃহস্পতির অবস্থান এবং সম্পদের ঘরের প্রভাব আপনাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে। গত বছরের তুলনায় ২০২৬ সাল অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক বেশি ভালো যাবে। তবে ধারাবাহিক পরিশ্রম ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আরও ভালো আর্থিক ফলাফল অর্জন সম্ভব।

শিক্ষার দিক থেকে কেমন যাবে নতুন বছর?

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, শিক্ষার দিক থেকে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য গড়ের তুলনায় ভালো যাবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পড়াশোনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করা সম্ভব হবে এবং অতিরিক্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। চতুর্থ ঘরের অধিপতি বৃহস্পতি উচ্চ শিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং বছরের শুরু থেকে ২ জুন পর্যন্ত কেরিয়ারের ঘরে অবস্থান থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা থাকবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বৃহস্পতির শক্তিশালী অবস্থান শিক্ষাগত অর্জনের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

৩১ অক্টোবরের পর বৃহস্পতির শক্তি কিছুটা হ্রাস পাবে, কিন্তু দ্বাদশ ঘরে অবস্থান থাকায় যারা বাড়ির বাইরে পড়াশোনা করছেন, তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। পঞ্চম ঘরের অধিপতি শনির অবস্থানও কিছুটা অনুকূল ফলাফল দিতে পারে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত শনি বৃহস্পতির নক্ষত্রে থাকবে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। তবে ২০ জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত কন্যা রাশির শিক্ষার্থীদের অলসতা এড়িয়ে চলা উচিত।

শুধু তাই নয়, খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং পড়াশোনায় পুরো মনোযোগ দেওয়া সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ১৭ মে থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শনি বুধের রাশিতে অবস্থান করবে, যা শিক্ষাগত অগ্রগতিকে আরও সমর্থন করবে। সামগ্রিকভাবে, ২০২৬ সাল কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে।

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী ব্যবসা

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, ব্যবসায়িক দিক থেকে কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের বছরটি গড় ফলাফল নিয়ে আসবে। মাঝেমধ্যে কিছু ফলাফল দুর্বল হতে পারে, কারণ সপ্তম ঘরে বুধের অবস্থান ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত বৃহস্পতি দশম ঘরে অবস্থান করবে, যা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত ঘরের জন্য মোটামুটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে, যদিও জ্যোতিষশাস্ত্রে বৃহস্পতিকে পুরোপুরি শুভ বলা হয় না।

২ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তম ঘরের অধিপতি একাদশ ঘরে উচ্চ অবস্থানে থাকায় ব্যবসার জন্য এটি শুভ সময় বলে মনে হচ্ছে। এই সময়ে সাফল্য পাওয়া এবং লাভজনক চুক্তি সম্পন্ন করার সম্ভাবনা থাকে। তবে বৃহস্পতির দ্বাদশ ঘরে অবস্থান থাকায় ব্যবসার জন্য কিছুটা প্রতিকূল সময় আসতে পারে, অপ্রয়োজনীয় দৌড়াদৌড়ি বা ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ এড়ানো উচিত।

বৈদেশিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বছরটি মোটামুটি অনুকূল হবে। যাদের বিদেশের সঙ্গে ব্যবসার চুক্তি রয়েছে, তারা ভালো ফলাফল পেতে পারেন। তবে বুধের অবস্থান মিশ্র ফলাফল দিতে পারে, তাই অতিরিক্ত সতর্কতা এবং পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ভালোবাসা এবং বিবাহিত জীবন

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, প্রেমের ক্ষেত্রে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য গড় ফলাফল নিয়ে আসবে। সম্পর্ককে সুস্থভাবে বজায় রাখলে এবং অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ এড়ালে সময়টি ইতিবাচক হবে। পঞ্চম ঘরের অধিপতি শনি সপ্তম ঘরে অবস্থান করবে, যার কারণে কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে। তবে যারা প্রেম করে বিয়ে করতে চান, তারা ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় সফল হতে পারবেন। যারা সম্পর্ককে ভবিষ্যতের দিকে সিরিয়াসলি দেখতে চান, তাদের সঙ্গীও সাহায্য করবে।

বিবাহিত জীবনও কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য মোটামুটি অনুকূল থাকবে। সপ্তম ঘরের অধিপতি শুক্র ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাদশ ঘরে উচ্চ অবস্থানে থাকায় বিবাহ সম্পর্কিত বিষয়গুলো অগ্রগতি পেতে পারে। তবে ২ থেকে ৩১ অক্টোবরের সময়কাল বিবাহ বা শুভ কাজের জন্য খুব উপযুক্ত নয়, তাই এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।

জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কাল আবার বিবাহের জন্য শুভ বলে মনে হচ্ছে। এই সময়ে বিবাহ বা সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সামগ্রিকভাবে, ২০২৬ সালে প্রেম ও বিবাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা, ধৈর্য ও পরিকল্পনার মাধ্যমে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

পারিবারিক জীবন এবং অন্যান্য

কন্যা রাশিফল ২০২৬ অনুযায়ী, পারিবারিক জীবনে বছরটি কন্যা রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য মোটামুটি অনুকূল হবে। কোনও প্রধান গ্রহ দ্বিতীয় ঘরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। ২ জুন পর্যন্ত দশম ঘরে বৃহস্পতির অবস্থান থাকার ফলে পরিবারের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়বে এবং পারিবারিক বিষয়গুলো আরও উন্নত হবে। পরিবারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে। তবে ৩১ অক্টোবরের পর বৃহস্পতির অবস্থান কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই সেই সময়ে পারিবারিক ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো।

জমি বা সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে এই বছরটি কিছুটা দুর্বল ফলাফল দিতে পারে। বিতর্কিত জমি বা প্লট কেনা এবং বিতর্কিত বাড়ি কেনা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। শনির প্রভাবের কারণে এসব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই পরিকল্পনা ও সতর্কতা প্রয়োজন।

আরাম বা আয়েসের দিক থেকে এই রাশির জাতক ও জাতিকাদের জন্য বছরটি মোটামুটি শুভ বলে মনে হচ্ছে। যারা নতুন গাড়ি কিনতে চান, তারা যথেষ্ট চেষ্টা করলে সফল হতে পারেন। সামগ্রিকভাবে, পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে সচেতন থাকলে ২০২৬ সাল অনুকূলভাবে কাটানো সম্ভব।

কন্যা রাশিফল ২০২৬ প্রতিকার

এই বছরটিতে সুস্থ এবং সবল থাকার জন্য অবশ্যই কালো গরুর সেবা করুন ও যত্ন নিন। পাশাপাশি নিয়মিত গণেশের পূজা করার চেষ্টা করুন। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, ভাই-বোনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। পাশাপাশি কেরিয়ারে নতুন সুযোগ ও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করার জন্য বাড়িতে একটি বুদ্ধ যন্ত্র স্থাপন করুন।

DSP Recruitment: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে মেডিক্যাল স্পেশালিস্টদের জন্য সুযোগ

পিংকী, কলকাতা: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে চিকিৎসকদের জন্য নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে (DSP Recruitment)। সংস্থার মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল বিভাগে পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই পদে নিযুক্তদের স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অধীনে কাজ করতে হবে। শূন্যপদ মোট সাতটি।

জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ও স্পেশ্যালিস্ট পরামর্শদাতা পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের অবশ্যই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (MBBS) ডিগ্রি থাকতে হবে। স্পেশ্যালিস্ট পদে নিযুক্তদের ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা, স্ত্রীরোগ, পিডিয়াট্রিক্স বা পাবলিক হেলথের ক্ষেত্রে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক।

দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে চিকিৎসক নিয়োগ (DSP Recruitment)

চিকিৎসকদের মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বা স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকা প্রয়োজন। তাঁদের বয়স ৬৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। তাঁরা মোট এক বছরের চুক্তিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। পরে ওই মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হবে।

জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসাররা প্রতি মাসে ৯০,০০০ টাকা এবং স্পেশ্যালিস্টরা প্রতি মাসে ১,২০,০০০ থেকে ১,৬০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন। প্রার্থীদের যোগ্যতা সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হবে, তাই শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মজীবনের শংসাপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি অবশ্যই ইন্টারভিউয়ের সময় সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

ইন্টারভিউ ৬ ও ৭ জানুয়ারি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিসে অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহীদের সকাল ১০টার মধ্যে সমস্ত নথি নিয়ে পৌঁছাতে হবে। ইন্টারভিউ কতক্ষণ চলবে, কোন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা যাবে— এসব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট sailcareers.com থেকে দেখা যাবে।