বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 118

benefits of using Fitkiri: ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি ও ত্বক উজ্জ্বল করার সহজ 5 উপায়!

ঘামের দুর্গন্ধঃ এই তীব্র গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষের ভিড়, পলিউশন, আবহাওয়ার আর্দ্রতা—এসব মিলিয়ে মার্কেটগুলোর এয়ার কন্ডিশনারও যেন এই তাপমাত্রার সাথে তাল মেলাতে পারছে না। এর ফলে, ঘামের দুর্গন্ধ আমাদের সবার মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। শুধু মার্কেট নয়, অফিস, আদালত কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও সব জায়গায় আপনার উপস্থিতি কারও কাম্য থাকে না।

অনেক সময় আমরা নিজের গায়ের ঘামের দুর্গন্ধ বুঝতে পারি না, কিন্তু যারা বুঝতে পারেন তাদের জন্যও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনি যেমন নিজেকে সুস্থ ও তাজা রাখতে পারবেন, তেমনি সবার কাছে বিরক্তির কারণও হবেন না।

ফিটকিরিতে কী

ফিটকিরির সঙ্গে আমাদের সকলেরই পরিচয় আছে। ছোটবেলায় যখন বাবা, জেঠু বা কাকারা দাড়ি কাটতেন, তখন তাদের হাতে প্রথম ফিটকিরি দেখেছিলাম। পাড়ার সেলুনেও ফিটকিরির দেখা পাওয়া যেত। আসলে, এটি একটি অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ফিটকিরিতে রয়েছে অনেক গুণ। এতে পটাশিয়াম অ্যালুমিনাম সালফেট থাকে, যা ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ফেসিয়াল করার সময় অনেকেই এটি মুখে মাখেন, কারণ এটি ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বক কিন্তু সহজে ঝুলে যাবে না।

ফিটকিরিতে কী কী গুণ রয়েছে (benefits of using Fitkiri)

ফিটকিরিতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, যা মুখে মাখলে ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। এর মধ্যে পটাশিয়ামও থাকে, যা ইংরেজিতে “আলুম” নামে পরিচিত। মাত্র ৫ টাকার এই ফিটকিরি দিয়েই আপনি আপনার ত্বক উজ্জ্বল রাখতে পারেন এবং মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করতে পারেন। কীভাবে করবেন, তা জানতে পুরোতা পড়ুন।

ফিটকিরিতে ঘামের গন্ধ দূর হবে?

হ্যাঁ, ফিটকিরি ঘামের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, যা ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে, ফলে ঘামের গন্ধও কমতে পারে। যদি কারোর শরীর থেকে খুব বেশি দুর্গন্ধ বের হয়, যেমন বর্ষাকালে বা গরমকালে অনেকেই বগল থেকে ভীষণ দুর্গন্ধের সমস্যায় পড়েন, তাহলে পাশে দাঁড়ানো সত্যিই কঠিন হতে পারে। অনেক সময় স্নান করার পরেও এই দুর্গন্ধ দূর করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে, বগলে ফিটকিরি ঘষা এক সহজ সমাধান হতে পারে। ফিটকিরি ব্যবহার করে আপনার বগল থেকে ঘামের গন্ধ দূর করা সম্ভব।

ফিটকিরিতে মুখের বলিরেখা দূর হবে?

ফিটকিরি মুখের বলিরেখা সরাসরি দূর করতে পারে না, তবে এটি ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে। মুখের বলিরেখা কমাতে আপনি ফিটকিরি দিয়ে মুখে ম্যাসেজ করতে পারেন। এতে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং মুখের ছিদ্র বা কালো দাগও সহজেই কমতে পারে। ফিটকিরির এই বিশেষ গুণ ত্বককে টানটান ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষত সারতে ফিটকিরি ব্যাবহার

ক্ষত সারাতে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ফিটকিরি ক্ষতের জায়গায় প্রয়োগ করলে ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। যদি আপনার কোথাও কেটে যায় বা ছোটখাটো ক্ষত হয়, ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সহজেই সংক্রমণের জ্বালা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এবং ক্ষত দ্রুত সারাতে সহায়তা করে।

মুখের ঘা বা ফোলাভাব দূর হবে

হ্যাঁ, ফিটকিরি মুখের ঘা বা ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি কি জানেন, ফিটকিরির জল মুখে দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের ঘা এবং ফোলাভাব দূর হতে পারে? ত্বকে চুলকানি বা ফোলাভাব থাকলেও এটি কার্যকরী হতে পারে। ফিটকিরির এর অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ মুখের ঘা বা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

ফিটকিরিতে ত্বক উজ্জ্বল হবে?

হ্যাঁ, ফিটকিরি ব্যাবহারে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিসেপটিক ও টানটান করার গুণাগুণ ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে। ফিটকিরি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং পোরস সংকীর্ণ করতে সহায়ক হতে পারে, ফলে ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং স্বচ্ছ দেখায়।

ফিটকিরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে, যা ত্বকের ফোলা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের যেকোনও জায়গায় ফুলে গেলে আপনি ফিটকিরি ঘষতে পারেন এবং এতে খুব সহজেই আরাম পাবেন। এটি ত্বককে শান্ত করতে সহায়তা করে এবং ত্বক উজ্জ্বলও করতে পারে। তবে, যদি আপনার অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ফিটকিরি ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।

PM Bangla Awas Yojana List: নতুন করে আবাস যোজনার তালিকা কবে প্রকাশিত হবে

PM Bangla Awas Yojana List: আবাস যোজনায় (PM Bangla Awas Yojana) টাকা দেওয়ার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। তবে শেষমেষ, রাজ্য সরকার তাদের তহবিল থেকেই এই প্রকল্পের জন্য অর্থ প্রদান করার ঘোষণা করেছে। আর এবার সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের জন্য ফান্ড বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরে যারা আবেদন করেও ঘর তৈরির টাকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাদের জন্য এই উদ্যোগ নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, কবে এবং কীভাবে এই অর্থ প্রদান করা হবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আজকের প্রতিবেদন।

কবে ও কিভাবে টাকা দেওয়া হবে? (PM Bangla Awas Yojana)

পঞ্চায়েত দপ্তরের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩শে ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রাপকের কাছে Bangla Awas Yojana-এর টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এই অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে হবে। প্রথমে গ্রামসভা, এরপর ব্লক লেভেল কমিটি, এবং শেষে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি এই তালিকা অনুমোদন করবে। অনুমোদন পেলে, সরাসরি প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।

আবাস যোজনা তালিকা (PM Bangla Awas Yojana List)

পঞ্চায়েত দপ্তরের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩শে ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রাপকের কাছে Bangla Awas Yojana-এর টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে: প্রথমে গ্রামসভা, তারপর ব্লক লেভেল কমিটি, এবং শেষে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি এই তালিকাটি অনুমোদন করবে। তালিকা অনুমোদন হওয়ার পরেই, প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে।

আবাস যোজনা তালিকা প্রকাশ ও অভিযোগ গ্রহণ

আগামী ২৯শে নভেম্বর থেকে ৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ব্লক, এসডিও অফিস, এবং জেলাশাসকের কার্যালয়ে Bangla Awas Yojana-এর প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। একই সময়, তালিকা নিয়ে যে কোনো অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলো মিটে যাওয়ার পরেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে, যাতে প্রাপকদের সঠিকভাবে সুবিধা পৌঁছাতে কোনো বাধা না আসে।

দুর্নীতির অভিযোগে কড়া নজরদারি

এই প্রকল্প ঘিরে অতীতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, বিশেষ করে অযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করার মতো ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এসব কারণে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভও দেখা গিয়েছিল। তবে এবার সেই পরিস্থিতি এড়াতে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে ১১ দফা গাইডলাইন জারি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ও স্বচ্ছভাবে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যায় এবং কোনো অসঙ্গতি না হয়।

প্রকল্পের স্বচ্ছতা বাড়াতে পদক্ষেপ

তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে অর্থ বিতরণের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রাপকদের তালিকা ব্লক ও জেলা পর্যায়ে যাচাই করা হচ্ছে, যাতে কোনো ভুল বা অসঙ্গতি না ঘটে। এই পদক্ষেপটি দুর্নীতির আশঙ্কা অনেকটাই কমাবে, এবং আশা করা যাচ্ছে যে প্রকল্পটি সঠিকভাবে সকলের কাছে পৌঁছাবে।

PFC Share Price Target Bangla: বিনিয়োগের সেরা পরামর্শ দিল ব্রোকারেজ ফার্ম

PFC Share Price: বর্তমানে পাওয়ার ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (PFC) শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ আলোচিত। একটি পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (PSU) হিসাবে, এই সংস্থা মূলত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে ঋণ প্রদান করে। বিদ্যুৎ খাতের দ্রুত উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে PFC-এর লাভও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক আর্থিক ফলাফল এবং সংস্থার শক্তিশালী কার্যক্ষমতার ভিত্তিতে, ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান CLSA এই শেয়ারের জন্য ইতিবাচক পরামর্শ দিয়েছে।

PFC শেয়ারের বিনিয়োগের পরামর্শ (PFC Share Price)

সোমবার BSE-তে পাওয়ার ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (PFC) এর শেয়ার ₹৪৫২.০৫ দামে খোলা হয় এবং প্রায় ৫.৯১% বৃদ্ধি পেয়ে ₹৪৭৬-এ পৌঁছে পরে ₹৪৪৯ দামে বন্ধ হয়। তবে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ২০২৪), শেয়ারটি আরও ভালো পারফর্ম করে, ৬.৯০% বৃদ্ধি পেয়ে ₹৪৮০ দামে বন্ধ হয়। যদিও সেই সময় Sensex এবং Nifty সূচকগুলো নিম্নমুখী ছিল, তবুও PFC-এর এই অসাধারণ বৃদ্ধি শেয়ারটির শক্তিশালী সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

পাওয়ার ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (PFC) আগেও বিনিয়োগকারীদের জন্য বাম্পার রিটার্ন এনে দিয়েছে। গত দুই বছরে এটি প্রায় ৩৯২.৭৩% রিটার্ন দিয়েছে, আর গত এক বছরে প্রায় ৬৪.৮৯% লাভ করেছে। এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে যে, এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদে লাভের জন্য বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য PFC হতে পারে একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

CLSA এর মূল্য লক্ষ্যমাত্রা এবং পরামর্শ (PFC Share Price Target 2025)

ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান CLSA পাওয়ার ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (PFC) এর জন্য “আউটপারফর্ম” রেটিং বজায় রেখে শেয়ারটির লক্ষ্যমাত্রা (Share Price Target 2025) ৬১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, PFC-এর শেয়ার ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স করতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া এই শেয়ারটি ভবিষ্যতে উচ্চ রিটার্ন আনতে পারে বলে তারা মনে করছে। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি চমৎকার সুযোগ। PFC-এর শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল এবং বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন এর মূল্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভারতে বিদ্যুৎ খাতে দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে PFC-এর ব্যবসার পরিধিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোম্পানিটি মূলত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জন্য ঋণ প্রদান করে, যা ভবিষ্যতে শক্তিশালী রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে।

ভারতের বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সরকারের সহায়ক নীতি PFC-এর বৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। এই কারণেই এই শেয়ারটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। বিদ্যুৎ খাতের এই উন্নয়ন PFC-এর আয়ের ধারাবাহিকতা এবং শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।

Disclaimer: আমরা কোনো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) নিবন্ধিত আর্থিক উপদেষ্টা নই। এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণরূপে তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই বিনিয়োগের জন্য পরামর্শ প্রদান করে না

বিনিয়োগ করার আগে নিজের গবেষণা করুন এবং ঝুঁকি সহনশীলতার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার বিনিয়োগের ফলাফলের জন্য ফাইনান্স বার্তা কোনোভাবেই দায়বদ্ধ থাকবে না।

Fixed Deposit-এ এখন পাবেন ৮.৭৫% সুদ! জানুন কোন কোন ব্যাঙ্ক দিচ্ছে সেরা সুদ

Fixed Deposit (FD): আজকের চড়া বাজারে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা কতটা জরুরি, তা আমরা সকলেই বুঝি। কিন্তু শুধু টাকা সঞ্চয় করলেই হবে না, সেটা কোথায় রাখছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার সময়ে অনেকেই ভালো রিটার্নের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন, আর তার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য উপায় হলো ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit)

ভালো খবর হল, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটে আগের থেকে অনেক বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ব্যাঙ্ক তো ৮.৭৫% পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে! আজকের এই প্রতিবেদনে, আমরা এমন কিছু ব্যাঙ্কের Fixed Deposit-এর বিস্তারিত জানব, যেখানে আপনি সেরা সুদ পেতে পারেন।

এখন Fixed Deposit-তে পাবেন ৮.৭৫% সুদ

ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এমন একটি বিনিয়োগ যেখানে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিশ্চিন্তে টাকা রেখে রিটার্ন পান। এখানে বাজারের ওঠানামা কোনও প্রভাব ফেলে না, অর্থাৎ আপনার টাকা নিরাপদ থাকে। আর যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁদের জন্য এফডি একেবারে সেরা বিকল্প।

এখন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, আগে যেখানে ফিক্সড ডিপোজিটে ৪-৫% সুদ পাওয়া যেত, সেখানে এখন সহজেই ৭-৮% অথবা তারও বেশি রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই সুদের হার আরও বেশি, যা ৮% থেকে ৮.৭৫% পর্যন্ত পৌঁছায়। এর মানে, যদি আপনি নিরাপদে সঞ্চয় করতে চান এবং ভালো রিটার্ন পেতে চান, তাহলে এখনই ফিক্সড ডিপোজিট একটি অসাধারণ বিকল্প।

কোন কোন ব্যাঙ্ক দিচ্ছে সেরা সুদ?

ব্যাঙ্কের নামফিক্সড ডিপোজিটের সময়কালসাধারণ গ্রাহকদের সুদ হারসিনিয়র সিটিজেনদের সুদ হার
IndusInd Bank২ বছর ৯ মাস থেকে ৩ বছর ৩ মাস৭.৫%৮%
HSBC Bank৭৩২ দিন থেকে ৩ বছর৭.৫%৮%
YES Bank২ বছর৭.৭৫%৮.২৫%
SBM Bank৩ থেকে ৫ বছর৮.২৫%৮.৭৫%

আপনার প্রয়োজন আর সময়সীমা অনুযায়ী সঠিক এফডি প্রকল্প বেছে নিন। এর জন্য ব্যাঙ্কগুলির সুদের হার, শর্তাবলী ভালোভাবে দেখে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

মুর্শিদাবাদে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ জাল নোট, গ্রেফতার দুই

ধৃতদের নাম নুর মহম্মদ শেখ ও মহম্মদ আতাউর। নুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার বাণীপুর ও আতাউরের বাড়ি উমরপুরে।

মুর্শিদাবাদে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ জাল নোট। মুর্শিদাবাদে জাল নোট পাচার করতে গিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম নুর মহম্মদ শেখ ও মহম্মদ আতাউর। নুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার বাণীপুর এলাকায় এবং আতাউরের বাড়ি উমরপুর এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা জানতে পারে যে, রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক পাশে এমডিআই মোড় নুর ও আতাউর বিপুল পরিমাণ জাল নোট নিয়ে এসেছিলেন। এমন তথ্য পাওয়ার পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় এবং দুই ব্যক্তিকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়, এবং সবগুলো নোট ছিল ৫০০ টাকার

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, “ধৃতেরা কোথা থেকে এই জাল নোট পেয়েছে এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। আগামীকাল তাদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করানো হবে।”

তিনি আরও জানান, জাল নোটের পাচার চক্রের পেছনে অন্য কোনো বড় সম্পর্ক বা সংগঠনের যোগসূত্র আছে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের এই তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাড়ির সামনে বধূকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা, নদিয়া পুলিশের অভিযান

নদিয়ার তেহট্ট থানার খড়িয়াপাড়া এলাকায় ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে দুই যুবক প্রতিবেশী এক মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। মঙ্গলবার, ওই মহিলার পক্ষ থেকে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক, তবে তাদের খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

তেহট্টের ওই বধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই প্রতিবেশী তাকে খারাপ প্রস্তাব এবং হুমকি দিয়ে আসছিলেন। প্রথমে তারা পূর্বপরিচিত হওয়ায় বিষয়টি কাউকে জানাননি। কিন্তু পরে, ওই যুবকরা আরও উত্ত্যক্ত করতে থাকেন, যার পরিণতি হিসেবে একটি অপহরণের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। শেষমেশ তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

ওই বধূ পুলিশের কাছে বলেন, “অনেক দিন ধরে ওই দু’জন আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিচ্ছিল। ভেবেছিলাম, হয়তো তারা থামবে, কিন্তু না, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। সোমবার রাতে যখন আমি বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম, একটি চার চাকার গাড়ি এসে দাঁড়ায়। দু’জন বেরিয়ে এসে আমাকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা গাড়ির ভিতরে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু আমি চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তখনই তারা আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বধূর অভিযোগও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তেহট্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার জানিয়েছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Benefits of Staircase Walking: সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অসাধারণ উপকারিতা

Benefits of Staircase Walking: আজকাল ব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকেই শারীরিক কার্যকলাপের জন্য সময় বের করতে পারেন না। কিন্তু আমরা সবাই জানি, সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক কার্যকলাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হতে পারে সহজ, কার্যকরী এবং স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা যায় এমন শারীরিক ব্যায়াম।

সিঁড়ি বেয়ে ওঠা শুধু সময় বাঁচায় না, বরং এটি জিমে যোগদানের মতো অতিরিক্ত সময় ও খরচের ঝামেলাও এড়িয়ে যায়। বিনা খরচে এই ব্যায়াম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস ঘুমের মানও উন্নত করে থাকে। যা আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, এটি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

সিঁড়ি বেয়ে ওঠা আমাদের শরীর ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং হাড়কে শক্তিশালী করে তুলে। এটি এমন একটি সহজ ব্যায়াম, যা সব বয়সের মানুষ তাদের দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। নিয়মিত এই অভ্যাস আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। আসুন, এবার দেখে নেওয়া যাক কেন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা আমাদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি কীভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে।

ওজন কমাতে সহায়ক(Benefits of Staircase Walking)

সিঁড়ি বেয়ে উঠলে প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয় এবং এটি একটি হাই ইনটেনসিটি ওয়ার্কআউট হিসেবে কাজ করে। এই অভ্যাস আমাদের হৃদস্পন্দন বাড়ায়, যা বিপাকীয় কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমানোকে আরও সহজ করে তোলে। সিঁড়ি বেয়ে উঠলে প্রতি মিনিটে ৮ থেকে ১০ ক্যালোরি বার্ন হয়, যা অনেক সময় সাধারণ ব্যায়ামের তুলনায় বেশি। পাশাপাশি, এটি পেশী শক্তিশালী করে এবং শরীরের শেপ উন্নত করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস করলে শরীর ফিট ও সুগঠিত থাকে।

ডায়াবেটিসে সহায়ক(Benefits of Staircase Walking)

সিঁড়ি বেয়ে ওঠা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর। এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, কারণ এটি শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি প্রতিদিন মাত্র ৪ থেকে ৫ মিনিট সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামার অভ্যাস করা যায়, তাহলে এটি ডায়াবেটিসজনিত সমস্যাগুলোর ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত এই সহজ ব্যায়ামটি আপনাকে সুস্থ এবং ডায়াবেটিসমুক্ত রাখতে সহায়ক।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে

সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি এক ধরনের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, যা রক্তপ্রবাহ উন্নত করে এবং হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি দূরে রাখতে সহায়ক। সহজ এই অভ্যাস আপনার হার্টকে আরও শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

সিঁড়ি দিয়েও চাপ কমানো যায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মেজাজ উন্নত করে। এটি আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায়, যা আমাদের মনযোগ ক্ষমতাকে উন্নত করে।

হাড় শক্তিশালী হয়

সিঁড়ি বেয়ে উঠলে আমাদের হাড় মজবুত হয়ে যায়। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠা হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়ক। এটি আমাদের জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে এবং হাঁটুতে ফোলা বা ব্যথার মতো সমস্যাগুলোও কমাতে সাহায্য করে। সর্বোচ্চ সুবিধাটি হল, সিঁড়ি বেয়ে ওঠার জন্য কোনো মেশিনের প্রয়োজন নেই—এটি একটি বিনামূল্যের ব্যায়াম যা শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। সহজ এবং প্রাকৃতিক এই অভ্যাসে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।

Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে  পরামর্শ করুন।

  1. সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে কি ওজন কমে?

    হ্যাঁ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি হাই ইনটেনসিটি ব্যায়াম, যা শরীরের অনেক ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠানামা করার মাধ্যমে আপনার বিপাকীয় কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়, যা ওজন কমাতে আরও কার্যকর। এর মাধ্যমে পেশী শক্তিশালী হয় এবং শরীরের চর্বি কমে যায়, ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়।

  2. প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠলে কি হয়?

    প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। এটি আপনার হাড়, পেশী এবং জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠানামা করলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং কোলেস্টেরল ভালো হয়।

  3. সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কি খারাপ?

    সিঁড়ি বেয়ে ওঠা সাধারণভাবে খারাপ নয়, বরং এটি একটি উপকারী শারীরিক ব্যায়াম। তবে, যদি আপনার হাঁটু বা জয়েন্টের সমস্যা থাকে বা আপনি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে এটি আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে।

  4. দিনে কয়টি সিঁড়ি ওঠা উচিত?

    দিনে সিঁড়ি ওঠার সংখ্যা আপনার শারীরিক সক্ষমতা এবং ফিটনেস লেভেলের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, দিনে ৫-১০ মিনিট সিঁড়ি ওঠা শুরু করা ভালো, যা ৫০-১০০টি সিঁড়ি ওঠা হতে পারে।

Murshidabad Deaths: স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পর রাগে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ যুবকের

Murshidabad Deaths: মঙ্গলবার, রাজেশ প্রথমে তার মেয়ে রক্তিমা দাসকে বিষ খাওয়ান। এরপর, তিনি তার ছেলে আর্যবীরের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি জিয়াগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গঙ্গার ঘাটে চলে যান, যেখানে একসাথে মরণঝাঁপ দেন।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের যুবক রাজেশ দাস। স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ ও হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি, এবং এর পরেই দুই নাবালক সন্তানকে বিষ খাইয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানার নিহালিয়া-স্টিমার ঘাট এলাকার বাসিন্দা রাজেশ দাসের সঙ্গে কয়েক বছর আগে মৌ দাসের বিয়ে হয়। কিছু মাস আগে, মৌ স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা নিয়ে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। তবে, মৌ পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাননি এবং স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে মাস দুয়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে রাজেশ প্রথমে তার মেয়ে রক্তিমা দাসকে বিষ খাইয়ে দেন। তারপর, তিনি তার ছেলে আর্যবীর দাসের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। এরপর, দুই সন্তানকে নিয়ে রাজেশ জিয়াগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গঙ্গার ঘাটে চলে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এক সন্তানের হাত ধরে এবং অন্যজনকে কোলে নিয়ে রাজেশ নদীর ঘাটে গিয়ে একসাথে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করতে নামেন এবং তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাদের জিয়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনজনকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

রাজেশের মা খুকু দাস জানিয়েছেন, তিনি একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন এবং সেখানেই কাজ করতে গিয়ে খবর পান যে, তার ছেলে রাজেশ তার নাতি-নাতনিকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। প্রৌঢ়া আরও বলেন, “আমার বৌমা অন্য এক যুবকের সঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকে ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। মাঝেমাঝে সে সন্তানদের উপরেও বিনা কারণে রেগে যেত। আমার মনে হয়, বৌয়ের উপর রাগ থেকেই এই কাজটা করল ও।” এই ঘটনা তার পরিবারে গভীর শোক এবং দুঃখের ছায়া ফেলেছে।

ভরা পেটে কলা খেলে কি হয়: কলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?

কলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? কলা এমন একটি ফল, যা শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এটি খুবই সহজলভ্য এবং সারা বছরই পাওয়া যায়, তাই বেশিরভাগ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এটি একটি অতি পরিচিত নাম। কলার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, হজমে সহায়তা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং কেন এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত।

ভরা পেটে কলা খেলে কি হয়

ভরা পেটে কলা খেলে কি হয়, কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন? কিছু বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারাদিনের উপকারিতা পেতে সকালে কলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে, খালি পেটে না খেয়ে, অন্য খাবারের সাথে বা সকালের জলখাবারের পরে কলা খাওয়া বেশি উপকারী। কলা দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে, তবে সকালে খেলে এর পুষ্টিগুণ বেশি কাজে লাগে এবং দিনভর এনার্জি বজায় রাখে। তাই, সকালে কলা খাওয়া আপনার শরীরের জন্য হতে পারে এক দুর্দান্ত শুরু!

কলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?

কলা খেলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। এর পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিচে কিছু প্রধান উপকারিতা দেওয়া হলো:

পুষ্টিগুণে ভরপুর

কলায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। একটি মাঝারি আকারের কলায় পাওয়া যায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি, ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ১ গ্রাম প্রোটিন, এবং ১৪ গ্রাম চিনি। এছাড়া, কলায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, এবং পটাসিয়াম, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কলায় রয়েছে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনি জানেন তো, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম কারণ? কিন্তু নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ সঠিক মাত্রায় থাকে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

কলায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধি করে

কলায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে, যার কারণে অনেকেই একে ‘প্রকৃতির এনার্জি বার’ বলে থাকেন। ব্যায়ামের আগে বা পরে একটি কলা খেলে আপনি পাবেন দ্রুত এনার্জি

মেজাজ ভালো রাখে

কলায় রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। সেরোটোনিন হরমোন মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রতিটি কলায় গড়ে ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা আপনার মন ভালো রাখতে এবং গভীর ঘুম পেতে সহায়তা করে।

ওজন কমাতে সহায়ক

কলায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি। ফলে এটি খেলে পেট ভরে যায় এবং ক্ষুধা কম লাগে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য কলা একটি আদর্শ ফল।

কিডনি সুস্থ রাখে

কলায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায়। পটাশিয়ামের ধারাবাহিক উপস্থিতি কিডনির জন্য উপকারী, কারণ এটি কিডনির সঠিক কাজ করার জন্য সহায়ক। নিয়মিত কলা খেলে পটাশিয়ামের স্বাভাবিক স্তর বজায় থাকে, যা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই, যদি আপনি কিডনির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করেন, কলা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিৎ।

ডায়রিয়া জন্য উপযোগী

কলায় থাকে একধরনের প্রতিরোধী স্টার্চ, যা পরিপাক প্রক্রিয়াটিকে সহজ এবং সুচল করে। এই স্টার্চটি বৃহদন্ত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ায় পরিণত হতে পারে, যা আপনার হজম ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখে। এছাড়া, যখন ডায়রিয়া হয়, কলা শরীর থেকে অপক্ষয়িত খনিজ পদার্থ পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে। তাই, যদি কখনো হজমের সমস্যা বা ডায়রিয়া হয়, কলা খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

কলা কখন খাবেন?

কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন? কিছু বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারাদিনের উপকারিতা পেতে সকালে কলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে, খালি পেটে না খেয়ে, অন্য খাবারের সাথে বা সকালের জলখাবারের পরে কলা খাওয়া বেশি উপকারী। কলা দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে, তবে সকালে খেলে এর পুষ্টিগুণ বেশি কাজে লাগে এবং দিনভর এনার্জি বজায় রাখে। তাই, সকালে কলা খাওয়া আপনার শরীরের জন্য হতে পারে সবচেয়ে উপকারী।

কলা রাতে খেলে কি হয়?

কলা রাতে খেলে কি হয়? অনেকে মনে করেন, রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো, বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। যারা সর্দি বা কাশির প্রবণতা অনুভব করেন, তাদের জন্যও ঘুমানোর আগে কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ কলা একটি শীতল ফল হিসেবে পরিচিত এবং এটি হজম হতে একটু বেশি সময় নিতে পারে, যা রাতে ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, রাতে কলা খাওয়ার থেকে সকালে বা দুপুরে খাওয়া অনেক বেশি সুবিধাজনক হতে পারে।

Smartphone: মাইক্রোফোন কি গোপনে আপনার কথা শোনে? সহজেই পরীক্ষা করুন এই পদ্ধতিতে!

Smartphone: স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন কি গোপনে আপনার কথা শোনে? স্মার্টফোনে গোপনে আড়ি পাতার ঘটনা আজকাল খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাইবার অপরাধীরা স্পাইওয়্যার বা ক্ষতিকর অ্যাপের সাহায্যে ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগত কথোপকথন পর্যন্ত নজরদারি করে। বিশেষ করে, অনেক সময় মাইক্রোফোন ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই চালু হয়ে যায়।

অনেকেই ভাবছেন, “আমার ফোন কি গোপনে মাইক্রোফোন চালু করে কথা শুনছে?”। এই সন্দেহের সমাধানে যুক্তরাজ্যের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নর্ড ভিপিএনের বিশেষজ্ঞরা একটি সহজ পরীক্ষা পদ্ধতি প্রস্তাব করেছেন। এটি অনুসরণ করলে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন তাদের স্মার্টফোন নিরাপদ আছে কি না।

নর্ড ভিপিএনের তথ্যমতে, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা বলার কয়েক দিন পরই ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে সেই বিষয়ের বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছেন। এই পরীক্ষাটি আরও স্পষ্ট করেছে যে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন কতটা গোপনে তথ্য সংগ্রহে সক্ষম।

নর্ড ভিপিএনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মারিজাস ব্রেইডিস এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা এসব ঘটনাকে অনেক সময় স্বাভাবিক বলে ধরে নিই। কিন্তু এটি আসলে দেখিয়ে দেয় যে, আমরা আমাদের ফোনকে কতটা অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের অনুমতি দিচ্ছি।

নর্ড ভিপিএনের পরীক্ষাপদ্ধতিতে মোট চারটি ধাপ রয়েছে। পরীক্ষাটি কারও সাহায্য ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি সহজে করতে পারবেন। পরীক্ষার ধাপগুলো কীভাবে সম্পন্ন করতে হবে, তা জেনে নেওয়া যাক—

প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনাকে এমন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে, যার প্রতি আপনার আগ্রহ নেই বা আপনি আগে কখনো সেই বিষয়টি নিয়ে ফোনে অনুসন্ধান করেননি বা আলোচনা করেননি। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের কুকিং রেসিপি বা নতুন কোনো প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে কখনো ভাবেননি বা অনুসন্ধান করেননি।

দ্বিতীয় ধাপ: এরপর, কয়েক দিন ধরে সেই বিষয়টি নিয়ে আপনার দৈনন্দিন কথোপকথনে আলোচনা শুরু করুন। লক্ষ্য রাখুন, কি ধরনের বিজ্ঞাপন বা বিষয়বস্তু আপনার ফোনে আসছে, যাতে আপনি জানতে পারেন আপনার ফোন আসলেই কোনো গোপন নজরদারি চালাচ্ছে কিনা।

তৃতীয় ধাপ: ফোনের(Smartphone) ব্যবহার স্বাভাবিক রাখুন। শুধু কি–ওয়ার্ডগুলো উচ্চারণ করুন, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো সার্চ করবেন না।

চতুর্থ ধাপ: কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর লক্ষ্য করুন, আপনার ফোনে দেখানো অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলোর ধরন পরিবর্তিত হয়েছে কি না। বিশেষভাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে মনোযোগ দিন। দেখুন, আপনার নির্বাচিত বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন বা তথ্য আসছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বিষয় হয় ‘আজারবাইজান’, তবে আপনি আজারবাইজান সম্পর্কিত ফ্লাইট অফার বা ভ্রমণ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন পেতে পারেন।

যদি আপনার আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর বিজ্ঞাপন বা তথ্য অনলাইনে হাজির হয়, তবে এটি একটি সংকেত হতে পারে যে, আপনার ফোন আপনার কথোপকথন শুনে সেই তথ্য সংগ্রহ করছে।