বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 12

স্নাতকেরাও পাচ্ছেন গবেষণার সুযোগ! কোন বিভাগে নিয়োগ চলছে জানুন

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অধীনে গবেষণার দারুণ সুযোগ এসেছে স্নাতক তরুণ-তরুণীদের জন্য(CLRI Recruitment)। কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে মোট ১৪টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে, যেখানে কাজ করতে হবে সিএসআইআর-এর সেন্ট্রাল লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। শুধু স্নাতকই নয়, কিছু প্রকল্পে স্নাতকোত্তররাও আবেদন করতে পারবেন। প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট, জুনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট—এই তিন পদে কর্মী নেওয়া হবে। প্রকল্প অনুযায়ী ৫ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ মিলবে, আর বয়সসীমা রাখা হয়েছে ২৮ থেকে ৩৫ বছর। গবেষণায় ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে এই সুযোগ নিঃসন্দেহে অনেক বড়।

স্নাতকেরাও পাচ্ছেন গবেষণার সুযোগ (CLRI Recruitment)

গণিত, রাশিবিজ্ঞান, ডেটা সায়েন্স, লেদার টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফ্যাশন ডিজ়াইন, বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, জুলজি থেকে ফার্মাসি—এমন বিস্তৃত বিষয়গুলিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তররা এই গবেষণা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই করা হবে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। তাই যোগ্যতা থাকলে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারেন এখনই।

উল্লিখিত পদে নিযুক্তেরা প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪২ হাজার টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে পাবেন। যাঁরা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) কিংবা গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা উল্লিখিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

আগ্রহীদের সরাসরি পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে। এর জন্য আলাদা করে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেন্ট্রাল লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর চেন্নাই-এর দফতরে ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে ২২ ডিসেম্বর। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৩ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে নেওয়া হবে। কী কী নথি সঙ্গে রাখতে হবে, তা সংস্থার ওয়েবসাইট মারফত জেনে নিতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গবেষণার চাকরি: ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেবে আইআইইএসটি শিবপুর

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ এবার মিলছে আইআইইএসটি, শিবপুরে (IIEST Shibpur Jobs 2025)। প্রতিষ্ঠানটির মেকানিক্যাল বিভাগ এবং ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ও সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট পদে নিয়োগ করা হবে। প্রার্থীদের সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গবেষণার চাকরি IIEST Shibpur Jobs 2025

রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট পদে আবেদন করতে হলে বায়োটেকনোলজি, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োফিজিক্স, মেটেরিয়ালস সায়েন্স, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানোটেকনোলজি বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং– এই বিভাগগুলোর যেকোনও একটিতে পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রগুলিতে গবেষণার অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রার্থীরাই এই পদের জন্য যোগ্য বলে জানানো হয়েছে।

সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট পদে আবেদন করতে হলে মেকানিক্যাল, প্রোডাকশন, মেটালার্জি অ্যান্ড মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং— এই যে কোনও একটি বিষয়ে পিএইচডি সম্পূর্ণ থাকতে হবে। উভয় পদেই প্রার্থীদের গবেষণামূলক কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। নির্বাচিতদের মাসিক পারিশ্রমিক থাকবে ৫৭ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকার মধ্যে।

এই পদগুলো ৩০ মাস থেকে ৫ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে পূরণ করা হবে এবং আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে নির্ধারিত।

প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। আইআইইএসটি শিবপুরে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে ২৮ নভেম্বর। তবে আগ্রহীরা চাইলে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে ই-মেল মারফত আগাম আবেদন পাঠাতে পারবেন। ইন্টারভিউয়ের দিন জীবনপঞ্জি, শিক্ষাগত ও কর্মজীবনের শংসাপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক।

তেলেঙ্গানায় অস্ত্র-সহ ৩৭ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ, তেলেঙ্গানায় পুলিশের বড় সাফল্য

বড়সড় সাফল্য পেল তেলেঙ্গানা পুলিশ। মাওবাদী দমন অভিযানে একসঙ্গে ৩৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন পুলিশের কাছে। এদের মধ্যে আছেন আঞ্চলিক কমিটির তিন জন শীর্ষ নেতা। শনিবার তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিজিপি শিবধর রেড্ডির কাছে তারা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ৩৭ জন মাওবাদীর মাথার মোট মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

আত্মসমর্পণকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কোয়াদা সম্বিয়া ওরফে আজাদ, আপ্পাসি নারায়ণ ওরফে রমেশ, মুচাকি সোমাদা প্রমুখ। আজাদ এবং রমেশ তেলেঙ্গানার মাওবাদীদের আঞ্চলিক কমিটির দায়িত্বে ছিলেন, এবং দু’জনেরই মাথার মূল্য ছিল ২০ লক্ষ টাকা করে।

পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আছেন দণ্ডকারণ্য আঞ্চলিক কমিটির নেতা সোমাদা, ডিভিশনাল কমিটির তিন সদস্য এবং বিভিন্ন এরিয়া কমিটির ৯ জন। তারা পুলিশের কাছে নিজেদের অস্ত্রও জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে দু’টি এসএলআর, চারটি ৩০৩ রাইফেল, একটি জি–৩ রাইফেল, একটি একে-৪৭ রাইফেল এবং মোট ৩৪৬ রাউন্ড গুলি।

তেলেঙ্গানার ডিজিপি শিবধর রেড্ডি জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির আহ্বান মেনে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার সুযোগে ৩৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান, সংগঠনের ভিতরে মতবিরোধ ও নেতৃত্বের লড়াইয়ের কারণে অনেক মাওবাদী দলে থাকার আগ্রহ হারাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী নেটওয়ার্ক পুরোপুরি নির্মূল করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। একই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে গত কয়েক মাস ধরে টানা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিছুদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের জঙ্গলে একটি অভিযানে নিহত হন মাওবাদীদের কুখ্যাত নেতা মাদ্ভী হিডমা। একের পর এক সফল অভিযানের পর এই গণআত্মসমর্পণ নিরাপত্তাবাহিনীর বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে নানা মহল।

শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা: ‘আপনাদের তেজপাতা করে রাখা হয়েছে’

বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বড় বার্তা দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তৃণমূলকে হঠাতে বিজেপির পাশে দাঁড়াতে হবে। শুভেন্দু বলেন, “আপনাদের আমার মতো জয় শ্রীরাম বলতে হবে না, ভারতমাতার কী জয় বলুন।” তিনি তৃণমূলকে মুসলিমদের ওপর প্রভাব রাখতে তেজপাতার সঙ্গে তুলনা করে তোপও দাগেন। এ নিয়ে শুভেন্দুর জয় শ্রীরাম স্লোগান না দেওয়ার বিষয়টি তৃণমূল ও সিপিএম কটাক্ষ করেছে।

রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, বর্তমানে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের বড় অংশ তৃণমূলের কাছে যায়। পরিসংখ্যানও সেটাই দেখাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি স্বীকার করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ভগবানপুরের মুগবেড়িয়ায় পরিবর্তন সংকল্প যাত্রার মঞ্চ থেকে তিনি মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা আমাদের ভোট দেন না জানি। কিন্তু আমরা আপনাদের বিরোধী নই। সব ভারতীয়ের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। এ আমাদের ঘোষিত অবস্থান। আমি আহ্বান জানাচ্ছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের, আপনারা আসুন। আপনাদের তেজপাতা করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরকারিতে লাগে কিন্তু, খাওয়া যায় না।”

এরপর জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি জয় শ্রীরাম বলি। কিন্তু আপনাদের বলতে হবে না। ভারতমাতা কী জয় বলুন, বন্দেমাতরম বলুন, জয় হিন্দ বলুন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদীর রাষ্ট্রবাদ, দেশপ্রেম, বিকাশবাদ এবং যোগীজির সুরক্ষা-সুশাসনকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব বেকার এক সঙ্গে জোট বাঁধুন এবং কাজ করুন।”

শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “জয় শ্রীরাম শুধু ভোটের ব্যবস্থা। এই এলাকায় গেলে বলব, আর ওই এলাকায় গেলে বলব না। বিজেপি যে ধর্মকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করছে, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।”

জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। বলেন, “জয় শ্রীরাম স্লোগান গত দু-একদিন বিজেপি একাধিক সভায় দেখা যাচ্ছে না। আমরা যেমন বলি, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, জয় বাংলা। জয় বাংলা তো আমরা সব জায়গায় বলি। রাজনৈতিক দলের স্লোগান তো সব জায়গায় দেওয়া যাবে। কোথাও কোথাও যদি জয় শ্রীরাম স্লোগান ব্যবহার করতে না দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে এই স্লোগান রাজনৈতিক ভেদাভেদমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে চিঠি পাঠাল ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার জন্য ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে(Hasina)। শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত চিঠি পৌঁছে দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনার যেন নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রকে এটি দ্রুত পৌঁছে দেন। তবে এখনও নয়াদিল্লি থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করা হয়নি।

গত বছরের জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশে ছাত্রজনতার বিক্ষোভের পরে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের মধ্যে সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছেন। ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দেশে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়। সম্প্রতি ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সেই মামলায় হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ভারতের কাছে তাঁকে ফেরত চাওয়ার চিঠি পাঠিয়েছে।

বস্তুত, হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টি এর আগেও বাংলাদেশ ভারতকে কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছিল। ভারত সরকার সেই বার্তা গ্রহণ করলেও, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রকাশ্যে জানায়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, যা হাসিনার জমানাতেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, আদালতের রায়ে যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেছে এবং সে অপরাধ প্রত্যর্পণের যোগ্য হয়, তাহলে এক দেশ অন্য দেশের হাতে তাকে তুলে দেবে। তবে চুক্তিতে কিছু শর্তও রয়েছে। বিশেষ করে, যদি অপরাধটি রাজনৈতিক প্রকৃতির হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা হবে না।

পাশাপাশি, খুন, গুম করা এবং অত্যাচার (যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি হাসিনা অভিযুক্ত) রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনও উদ্দেশ্য না-থাকে, তা হলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না।

হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের ট্রাইবুনালের রায়ের পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ভারতও। মোদী সরকারের তরফে তখন জানানো হয়, হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল যে রায় দিয়েছে, সে সম্পর্ক অবগত ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশকে ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী’ হিসাবে উল্লেখ করে নয়াদিল্লি। বলা হয়, ভারত সবসময়ে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার পক্ষেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করবে ভারত সরকার।

শীতকালে অসুস্থতা এড়াতে এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চলুন

শীতে সর্দি-জ্বর খুব সাধারণ সমস্যা (Winter Health Protection Tips)। তবে একবার ধরলেই সহজে ছাড়ে না, পুরোপুরি কাবু করেই শেষ হয়। জ্বরের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শিশুদের খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এই সময়ে ঠিকমতো খাবার না পেলে দুর্বলতা বেড়ে যায় এবং সেরে ওঠার সময় দীর্ঘ হয়। তাই জ্বরের সময়ে কী খাওয়ানো উচিত এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Winter Health Protection Tips

জ্বরের সময়ে শিশুর শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তাই শক্তি, জল এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির খুব প্রয়োজন হয়। এই সময়ে ভারী খাবারের বদলে সহজপাচ্য, হালকা এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে এমন খাবারই বেশি উপকারী।

জ্বরের সময় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বের হওয়ায় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে। এই ঘাটতি পূরণ করতে জল, ওআরএস, ডাবের জল, লেবুর রস বা রাগির পাতলা জাউ দিতে পারেন। এগুলো শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মিনারেলও সরবরাহ করে।

এ সময় হালকা গরম স্যুপ শিশুর শরীরকে আরাম দেয়। সবজির স্যুপ, ডাল, পাতলা খিচুড়ি বা কলার মতো সহজপাচ্য খাবার শক্তি জোগায়। ডালের মতো হালকা প্রোটিন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

জ্বরের সময়ে ভাজাভাজি বা তেলযুক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই উচিত। চিপস, ফাস্ট ফুড হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম গলা ব্যথা বাড়াতে পারে, তাই এগুলোও দেওয়া উচিত নয়।

চকলেট, কেক বা অতিরিক্ত চিনি থাকা পানীয় জ্বরের সময়ে শিশুকে কম দিন। অতিরিক্ত চিনি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি বাজার থেকে কেনা নুডলস বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারও এই সময়ে না খাওয়ানোই নিরাপদ।

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

শীতের সময়ে চোখ-মুখ ফোলা? ঘরোয়া টোটকায় কমান সহজেই

0

মনের মতো সাজ তো হল, কিন্তু রূপটান দিতে গিয়েই চোখ-মুখে ফোলা ভাব দেখা দিলে মন খারাপ হতে পারে (Remedy For Swollen Face)। সাধারণত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা রাত জেগে কাজ করার ফলে চোখ ও মুখ ফোলা হতে পারে। টিভি দেখার বা অন্ধকার ঘরে মোবাইলের আলো দীর্ঘ সময় চোখে পড়লেও এ সমস্যা হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই, এই ফোলা ভাব ঘরোয়া উপায়ে সহজেই কমানো যায়।

Remedy For Swollen Face

১) সবচেয়ে আগে কাঁচা নুন খাওয়া কমানো জরুরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে ৫–৬ গ্রাম নুন যথেষ্ট, যা এক চা চামচের কিছু কম। তবে অনেকেই রান্নায় বা খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত নুন ব্যবহার করেন। এছাড়া ভাজাভুজি, বার্গার, পিৎজা ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত নুন জমে যায়, যা চোখ-মুখে ফোলা ভাবের কারণ হতে পারে।

২) চোখের চার পাশে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে আলতো হাতে মালিশ করতে পারেন। হাতে সময় থাকলে চোখে লাগানোর আগে অ্যালো ভেরার রস কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ভাল ফল পাবেন।

৩) পর্যাপ্ত জল পান করাও খুব জরুরি। অন্য কোনও অসুখ না থাকলে দিনে ৩–৪ লিটার জল খাওয়াই উচিত। শরীরকে সুস্থ ও আর্দ্র রাখতে পানি অপরিহার্য। জলের অভাব হলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে পারে না, এবং এর ফলে চোখ-মুখে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।

৪) দিনে অন্তত দুই-তিনবার মুখে ‘আইস প্যাক’ ব্যবহার করতে পারেন। নরম তোয়ালেতে কিছু বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগালে প্রদাহ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তবে যদি ঠান্ডা অনুভব করলে সমস্যা হয়, তাহলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫) ডিটক্স পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বা অপ্রয়োজনীয় তরল বের করতে সাহায্য করে। শসা, বেদানা, আঙুর ও লেবু ছোট ছোট করে কেটে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকাল থেকে ধীরে ধীরে দিনভর সেই জল পান করতে হবে।

২৭ নভেম্বর শুক্র-শনি নবপঞ্চম যোগ: ভাগ্য খুলে যাবে এই ৫ রাশির!

আগামী ২৭ নভেম্বর শুক্র ও শনি গ্রহ ১২০ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করতে চলেছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই বিশেষ অবস্থানকেই বলা হয় নবপঞ্চম যোগ (Navpancham Yoga)। জ্যোতিষবিদদের মতে, এই সংযোগ কিছু রাশির জন্য দারুণ শুভ ফল বয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে যাদের রাশিচক্রে শুক্র ও শনি গ্রহের প্রভাব বেশি, তারা এই সময় জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পারেন। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রাশি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

বৃষ রাশিফল

বৃষ রাশির জন্য এই যোগ যেন আশীর্বাদস্বরূপ। চাকরি বা ব্যবসায়ে নতুন সুযোগ আসতে পারে, আটকে থাকা টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। বিনিয়োগে লাভ, কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি—সব মিলিয়ে আর্থিক দিক বেশ স্থিতিশীল থাকবে। দাম্পত্য জীবনেও শান্তি বজায় থাকবে, আর প্রেমের সম্পর্কে আরও মধুরতা আসতে পারে।

তুলা রাশিফল

এই গ্রহসংযোগ তুলা রাশির জাতকদের জন্যও বেশ ইতিবাচক। কাজের জায়গায় সুনাম ও মর্যাদা বাড়বে, প্রমোশনের সম্ভাবনাও রয়েছে। নতুন চাকরির খবরও পেতে পারেন। ফ্যাশন, মিডিয়া, ডিজাইন বা বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সময়টা বিশেষভাবে শুভ। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতাও মিলতে পারে।

ধনু রাশিফল

ধনু রাশির জাতকদের ভাগ্যে যেন এক নতুন আলো দেখা দেবে। নতুন ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে লাভ হতে পারে। বিদেশ ভ্রমণের সম্ভাবনা থাকছে, এমনকি বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জনের সুযোগও মিলতে পারে। চাকরির সাক্ষাৎকার বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সম্ভাবনা যথেষ্ট।

কুম্ভ রাশিফল

কুম্ভ রাশির জন্য এই সময় বিশেষভাবে শুভ। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, দাম্পত্য জীবনেও মধুরতা বাড়বে। আগের কোনো প্রচেষ্টার ফল এবার হাতে আসতে পারে। এছাড়া বিলাসবহুল জিনিস বা নতুন যানবাহন কেনার সুযোগও মিলতে পারে।

মীন রাশিফল

মীন রাশির জাতকদের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী সময়। ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি হবে, নতুন প্রকল্প হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেম ও বিবাহের ক্ষেত্রেও সুসংবাদ পাওয়া যেতে পারে।

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

KKR New Captain: শাহরুখের দলে বড় পরিবর্তন, নেতৃত্ব পেতে পারেন এই বিদেশি তারকা

গতবারের ব্যর্থতা থেকে বড় শিক্ষা নিয়ে নতুন মরসুমে ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR New Captain)। তাই শাহরুখ খানের ম্যানেজমেন্ট এবার প্রধান কোচ, সহকারি কোচ থেকে বোলিং কোচ—সব জায়গাতেই বড় পরিবর্তন এনেছে। অবাক করার মতোভাবে টানা ব্যর্থতার জেরে ১১ বছর পর দল থেকে বাদ পড়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল, আর সঙ্গে বিদায় নিতে হয়েছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেও। তবে তারকারা বাদ পড়লেও টিকে গিয়েছেন অজিঙ্কা রাহানে। যদিও তিনি অধিনায়ক হবেন কি না, সে নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। আর তাইই জল্পনা বাড়ছে—সব দিক বিচার করে হঠাৎ করেই কোনও নতুন তারকার হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দিতে পারে KKR ম্যানেজমেন্ট।

KKR এর অধিনায়ক হয়ে যেতে পারেন ইনি (KKR New Captain)

গত আইপিএলে রাহানের অনুপস্থিতিতে একাধিকবার নাইটদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল আন্দ্রে রাসেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা সুনীল নারিনকে। আর মজার বিষয় হল, তার নেতৃত্বে কখনওই লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি KKR-কে। বরং দায়িত্ব কাঁধে থাকলে ব্যাটে-বলে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন এই বিদেশি অলরাউন্ডার। দীর্ঘদিন ধরে নাইট শিবিরে থাকার কারণে দলের DNA হাতের তালুর মতো চেনেন নারিন, যা তাকে স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কত্বের দৌড়ে বড় ফেভারিট করে তোলে।

সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত যদি রাহানেকে ২০২৬ আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে না ভাবা হয় এবং নিলামে যদি কোনও বড় তারকাকে দলে না টেনে আনতে পারে KKR, তাহলে হঠাৎ করেই সুনীল নারিনকে অধিনায়কের আসনে বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে যখন শাহরুখ খান নিজেও নারিনের প্রতিভার ওপর প্রবল আস্থা রাখেন। তাই IPL 2026 শুরু হওয়ার আগে নারিন যদি নাইটদের নতুন ক্যাপ্টেন হয়ে যান, তাতে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

উল্লেখ্য, গত 15 নভেম্বর ভেঙ্কটেশ, রাসেলের মতো মোট 10 পরিচিত মুখকে ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা। সেই সূত্রেই, এই মুহূর্তে নাইট ম্যানেজমেন্টের পার্সে 64.3 কোটি টাকা বেঁচে রয়েছে। আর এই বিপুল অর্থ নিয়েই নিলাম টেবিলে একেবারে ঝড় তুলতে পারে শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেক্ষেত্রে, নিলাম পর্ব থেকে কোন প্লেয়ারদের কিনলে আখেরে লাভ হবে, কাদের নেওয়া যাবে না সেসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে KKR এর অন্দরে।

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

উথালপাথাল বঙ্গোপসাগর! ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ কবে আছড়ে পড়বে? জানালো IMD

নভেম্বর শেষ হতে চললেও আবহাওয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। বঙ্গোপসাগরে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে এক আবহাওয়া ব্যবস্থা, যা থেকে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার (Cyclone Senyar) তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যা সোমবার আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর বুধবারের মধ্যে ধীরে ধীরে সিস্টেমটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।

বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার (Cyclone Senyar)

IMD-র লেটেস্ট পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সরে গেছে এবং আগামী সপ্তাহে এটি আরও তীব্রতর হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর এই ব্যবস্থাটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে, আরও শক্তিশালী হবে এবং ২৬শে নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ বা সম্ভাব্য তীব্রতা কতটা হতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। তবে, আবহাওয়া বিভাগ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (২৪ ঘন্টায় ১০৫-২০৪ মিমি) সতর্ক করেছে এবং এটি মঙ্গলবার পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার কখন স্থলভাগে আঘাত হানবে?

আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি উপসাগর বরাবর পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে সিস্টেমটি ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা অর্জন না করা পর্যন্ত ঠিক কোন স্থলভাগে এবং কখন আঘাত হানতে পারে, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির নির্দিষ্ট ল্যান্ডফল ট্র্যাক নেই—এর গতিবিধি অনুযায়ী পরবর্তী আপডেটই জানাবে, এটি তামিলনাড়ু–অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে, নাকি উত্তর দিকের কোনো পথে মোড় নেবে।

কোন এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?

২৩ নভেম্বর থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আবহাওয়ার পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই দ্বীপপুঞ্জেই বৃষ্টিপাত দ্রুত বাড়বে। বিশেষ করে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে, কারণ ঘূর্ণিঝড়জনিত এই আবহাওয়া ব্যবস্থা তখন ওই অঞ্চলের খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। এই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ৪৫ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এবং ২৫ নভেম্বর তা বাড়িয়ে প্রায় ৬৫ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে?

তীব্র হাওয়া এবং উত্তাল সমুদ্রের কারণে, মৎস্যজীবীদের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিষেধাজ্ঞা ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি তীব্র হওয়ার সাথে সাথে, দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবধি অ্যালার্ট হয়ে আছে। উপকূলীয় এবং নিচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের হাওয়া এবং সমুদ্রের আপডেটের জন্য প্রতিদিনের বুলেটিন পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির নাম কে রেখেছে ‘সেনিয়ার’ ?

“সেনিয়ার” নামটি, যার অর্থ “সিংহ”। আর এই নামটি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এটি এই অঞ্চলে ব্যবহৃত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামের একটি পূর্ব-অনুমোদিত তালিকার অংশ। এই তালিকাটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) এর সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ESCAP) ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত প্যানেল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।