বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2

RBI Recruitment 2025: কলকাতা শাখায় চিকিৎসক নিয়োগ ও পারিশ্রমিক

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (RBI) নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে (RBI Recruitment)। কলকাতায় কর্মস্থল হবে এবং মেডিক্যাল কনসালট্যান্ট পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিকভাবে নিয়োগের সময়কাল তিন বছর, তবে প্রয়োজনে পরে মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এই পদে নিযুক্তদের ঘণ্টায় ১,০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

আবেদনের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও জেনারেল মেডিসিনে স্নাতকোত্তর থাকলে আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত দু’বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাকি প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য মূল বিজ্ঞপ্তি দেখা উচিত।

কী ভাবে আবেদন করবেন? (RBI Recruitment)

প্রথমে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ‘হোমপেজ’ থেকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে প্রবেশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬ ডিসেম্বর। এই সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য ও শর্তাবলি জানতে অবশ্যই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটটি খতিয়ে দেখা উচিত।

IGNOU Recruitment 2026: কনসালট্যান্ট পদের জন্য যোগ্যতা ও আবেদন প্রক্রিয়া

পিংকী, কলকাতা: ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (ইগনু) সম্প্রতি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে (IGNOU Recruitment)। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে কনসালট্যান্ট নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে শূন্যপদ রয়েছে তিনটি। এই পদগুলিতে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।

আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে গণিত, সোশ্যাল সায়েন্স বা অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর থাকলেও আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের কমপক্ষে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন এবং MS Word-এর মতো কম্পিউটার দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। বাকি প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিজ্ঞপ্তি দেখা প্রয়োজন।

আবেদন করবেন কী ভাবে? (IGNOU Recruitment)

প্রথমে ইগনু-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.ignou.ac.in/ এ যেতে হবে। সেখানে ‘হোমপেজ’ থেকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। আবেদনপ্রক্রিয়া ৬ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এই সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলি জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি খতিয়ে দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৫০০ জনের গ্রামে ৩ মাসে ২৭ হাজার শিশুর জন্ম! আজব ঘটনা মহারাষ্ট্রে

রহান, কলকাতা: সামনেই পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই রাজনীতির পারদ যখন চড়ছে, ঠিক তখনই মহারাষ্ট্রে ঘটল এক আজব ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Maharashtra)। খাতায়-কলমে যেখানে একটি গ্রামের মোট বাসিন্দা মাত্র দেড় হাজার, সেখানে মাত্র তিন মাসে জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে ২৭ হাজারেরও বেশি শিশু! এই অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের শেনদুরুসানি গ্রাম থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই অসামঞ্জস্য জন্মনথি নিয়ে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গোলযোগ, যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বাংলার নামও। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে গ্রামের প্রশাসনিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা।

অসামঞ্জস্যপূর্ণ জন্ম নথি মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নথিভুক্ত হওয়া জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হলে চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে আসে। সেই পর্যালোচনাতেই দেখা যায়, ইয়াবতমাল জেলার আরনি তহসিলের শেন্দুরুসানি গ্রাম পঞ্চায়েতে জন্মের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। অবাক করার মতো বিষয় হল, যেখানে ওই গ্রামের মোট জনসংখ্যা মাত্র প্রায় ১,৫০০ জন, সেখানে মাত্র তিন মাসে ২৭,৩৯৭টি শিশুর জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিসংখ্যান সামনে আসতেই এলাকাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে প্রশাসন বুঝতে পারে, সমস্যার গোড়া গ্রামের মধ্যেই— একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি নথিভুক্ত নবজাতকদের নামের বড় অংশই নাকি বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।

CRS ID-র অপব্যবহার জন্ম নথিতে

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, গোটা ঘটনাটির পিছনে বড়সড় সাইবার জালিয়াতি রয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অনলাইন ব্যবস্থায় হ্যাক করে নথিগুলি বদলে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের CRS লগইন আইডি ম্যাপ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই সাইবার ক্রাইম ঘটানো হয়েছে। শেনদুরুসানি গ্রামের CRS ID-ই অপব্যবহার করা হয়েছে, তবে আশ্চর্যের বিষয় হল— এই জালিয়াতি গ্রাম থেকে নয়, বহু দূরে মুম্বইতে বসে করা হয়েছে। সেই কারণেই ভিনরাজ্যের, বিশেষ করে বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের বিপুল সংখ্যক নবজাতকের নাম ওই গ্রামের নথিতে উঠে এসেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মুম্বই থেকে বসে কীভাবে গ্রামের সংবেদনশীল তথ্য বদলে দেওয়া হল, আর কেনই বা এই দুই রাজ্যের নাম এত বেশি জড়িয়ে পড়ল গোটা ঘটনায়।

জন্মের নথিতে এই দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক যবতমাল সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক মন্দর পাতকি পঞ্চায়েত বিভাগের উপ-মুখ্য নির্বাহী আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। জানা গিয়েছে, ওই কমিটি শেনদুরুসানি গ্রামে সরেজমিনে তদন্ত চালিয়ে দেখতে পেয়েছে যে নথিভুক্ত ২৭,৩৯৭টি জন্ম এবং ৭টি মৃত্যুর কোনওটিই আসলে গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাভুক্ত নয়। এখন প্রশাসন খতিয়ে দেখছে, কীভাবে CRS ID-তে এই ধরনের কারসাজি করা হল এবং এই ভুয়ো নথিভুক্তির আড়ালে অন্য কোনও বেআইনি কাজ হয়েছে কি না। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

KKR দলে ফাটল? এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে কেনা নিয়ে শুরু মতবিরোধ

৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতে নিয়ে গত মঙ্গলবার আইপিএল নিলামে কার্যত নিজেদের পছন্দমতো দল গড়ে তুলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR IPL Auction)। অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কার মাথিশা পাথিরানা ও বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানদের দলে এনে শক্তিশালী স্কোয়াড তৈরি করেছে শাহরুখ খানের ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এত বড় ও ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়ার পরও নাইট শিবিরে নাকি এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে চরম মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। নাইট রাইডার্সের অন্দরমহলের সূত্রের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেটার প্রশান্ত সোলঙ্কিকে কেনার সিদ্ধান্ত ঘিরেই নাকি দলে অশান্তির সুর শোনা যাচ্ছে।

নিলামের পরই কেন অশান্তির ইঙ্গিত কলকাতা শিবিরে? (KKR IPL Auction)

মিনি নিলামের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে কলকাতা নাইট রাইডার্স কয়েকজন তুলনামূলকভাবে অনামি ভারতীয় ক্রিকেটারকে দলে নেয়, যা নিয়েই শুরু হয়েছে প্রশ্ন আর মতবিরোধ। নিলামের টেবিলে বসে প্রশান্ত সোলাঙ্কি, সার্থক রঞ্জন, কার্তিক ত্যাগী এবং দক্ষ কামরার জন্য হাত তুলেছিলেন কেকেআরের ম্যানেজার বেঙ্কি মাইসোর থেকে শুরু করে অভিষেক নায়াররা। কিন্তু নাইটদের টিম ম্যানেজমেন্টের একাংশ এখন জানতে চাইছে, ঠিক কোন ক্রিকেটীয় যুক্তি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশান্তদের মতো খেলোয়াড়দের কেনা হলো, যখন নিলামে আরও ভালো পারফরম্যান্সের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের নামও ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, তনুশ কোটিয়ান, স্যামস মুলানি, যশ রাজ পুঞ্জা এবং সাইরাজ পাতিলের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত নামগুলিকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ম্যানেজমেন্টের একাংশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সব পরামর্শ উপেক্ষা করেই মাইসোরের টিম অন্য অনামি খেলোয়াড়দের বেছে নেয়। বিশেষ করে প্রশান্ত সোলাঙ্কিকে দলে নেওয়া নিয়েই সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি তৈরি হয়েছে নাইট শিবিরে, কারণ মুম্বইয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করলেও পরে তাঁকে মহারাষ্ট্রে গিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়েছিল—এই প্রেক্ষিতেই তাঁর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তাছাড়া গত দু’বছর মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলেও খুব একটা আহামরি পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই নতুন সঙ্গী। সাম্প্রতিক সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও তাঁর পারফরম্যান্স তেমন চোখে পড়ার মতো ছিল না। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি দু’টি এবং মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে একটি উইকেট পেলেও, এতটুকু সাফল্যের ভিত্তিতেই কেন এই লেগ স্পিনারকে দলে নেওয়া হল— সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্টের একাংশ। অনেকেরই মত, এর বদলে তনুশ কোটিয়ান বা স্যামস মুলানির মতো ধারাবাহিক ঘরোয়া পারফরমারদের নিলে আখেরে দলই বেশি লাভবান হত। সব মিলিয়ে, ভারতীয় অনামি প্রশান্তকে দলে নেওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে নাইট শিবিরে অস্বস্তি ও একপ্রকার অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

ছাত্রের মাকে নিয়ে পালাল শিক্ষক! বাঁকুড়ার সিমলাপালে

বাঁকুড়ায় (Bankura Viral News) ঘটেছে চূড়ান্ত আজব এক ঘটনা! অভিযোগ উঠেছে, এক স্কুলশিক্ষক নাকি নিজেরই ছাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন! সোমবার সকালে খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় যেন ঝড় বয়ে যায়। স্কুলেও শুরু হয় তুমুল হইচই—ছাত্র, ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এতটাই উত্তেজনা তৈরি হয় যে, তাঁকে দ্রুত স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও ওঠে সরবভাবে।

বাঁকুড়ায় কী ঘটেছে (Bankura Viral News)

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মণপুর সম্মিলনী বিদ্যামন্দিরে ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, রবিবার রাতে স্কুলের এক কম্পিউটার শিক্ষক গ্রামের এক ছাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়ে যান। খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকাল থেকে স্কুল চত্বরে উত্তেজনা চরমে ওঠে—ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তার উপর আবার চলছে ফাইনাল পরীক্ষা, ফলে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সিমলাপাল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চরম অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছাত্রের মাকে নিয়ে শিক্ষকের পালানোর ঘটনা সামনে আসতেই গোটা এলাকায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক—সবারই একটাই দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে অবিলম্বে স্কুল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, যিনি নিজে শিক্ষার দায়িত্বে, তাঁর আচরণ নিয়ে এভাবে প্রশ্ন উঠলে ছাত্রছাত্রীরা কীই বা শিখবে? অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন ছিল বন্ধ। পরে সিমলাপাল থানার পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে স্কুলে আবার স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসে।

ধামাকা কালেকশন! মাত্র তিন দিনেই ১০০ কোটির ঘরে ‘ধুরন্ধর’

রাঞ্জান মাহাত, কলকাতা: রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ ছবিটি বক্স অফিসে সত্যিই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে (Dhurandhar Box Office Collection)। মুক্তির প্রথম সপ্তাহ থেকেই দর্শকদের উন্মাদনা থামার নাম নেই। ট্রেড ট্র্যাকার Sacnilk-এর তথ্য মতে, শুধু সোমবারেই ছবিটি আয় করেছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। ফলে ‘ধুরন্ধর’-এর মোট বক্স অফিস কালেকশন গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৬ কোটি টাকা

কত আয় করল ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা (Dhurandhar Box Office Collection)

রিপোর্ট বলছে, ছবিটি প্রথম দিন শুক্রবার ২৮ কোটি দিয়ে শুরু করেছিল। এরপর শনিবার আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ কোটি, আর রবিবার তো একেবারে ঝড়—৪৩ কোটি টাকা । চতুর্থ দিন সোমবার আরও ২৩ কোটি যোগ হওয়ার পর মোট চার দিনে বক্স অফিসে উঠে এসেছে ১২৬ কোটি টাকা। শুক্রবারের মাঝারি ওপেনিংয়ের পর মুখে–মুখে পজিটিভ রিভিউ ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ছবিটি বসে আর নেই—মাত্র তিন দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়ে।

প্রথম সপ্তাহন্তে ছবিটি মোট আয় করেছে ১০৩ কোটি টাকা। রবিবার সর্বোচ্চ কালেকশন ছিল ৪৩ কোটি। এমনকি মাল্টিপ্লেক্সে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে এবং সিঙ্গেল স্ক্রিনেও গতি বাড়ছে। এ বিষয়ে ফিল্ম বিশেষজ্ঞ তরুণ আদর্শ লিখেছেন, ‘ধুরন্ধর’ প্রথম তিন দিনেই ১০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে। মুখে মুখে প্রচারের জেরে রবিবার ব্যবসা দারুণ ছিল। মাল্টিপ্লেক্স ছবি দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়েছে, আর দর্শকদের উন্মাদনা দ্বিতীয় দিন থেকে আরও বাড়ছে।

ছবির মূল আকর্ষণ

জানিয়ে রাখি, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় রণবীর সিংকে দেখা যাবে এক স্পেশাল অফিসারের চরিত্রে, যার মিশন পাকিস্তানের চারজন সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসীকে খতম করা। মুক্তির আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চরিত্রের পরিচয় নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়ালেও সেন্সর বোর্ড স্পষ্ট জানিয়েছে—এটি কোনও বাস্তব ব্যক্তির বায়োপিক নয়, পুরোপুরি কল্পনাভিত্তিক একটি চরিত্র। আর দর্শকদের মধ্যে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, তা-ই প্রমাণ এই অ্যাকশন থ্রিলার নিয়ে কৌতূহল কতটা তুঙ্গে।

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি করবেন?এই ৫ দিকে খেয়াল রাখুন!

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি করবেন?: প্রেগনেন্সিতে সব মহিলাদেরই একটু সাবধানে থাকতে হয়। এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। সেই সঙ্গে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। আর একবার সংক্রমণের ফাঁদে পড়লেই সন্তানের বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সময় নিজের এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মহিলাদের কিছু হাইজিন মেনে চলতেই হবে। আজকের এই নিবন্ধে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যা গর্ভাবস্থায় হাইজিন বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

সারাদিন নানা জিনিস ঘাটাঘাটি করলে হাতে জীবাণু থেকে যায়। আর তা থেকেই সংক্রমিত হতে পারেন গর্ভবতী মহিলারা। তাই খাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে প্রেগনেন্ট মহিলাদের। এমনকী বাথরুমে যাওয়ার পরেও প্রতিবার হাত সাবান দিয়ে ধোয়া উচিত। এছাড়া মুখে হাত দেওয়ার আগে সবসময়ই হাত ধুয়ে নেওয়া ভালো। তবেই নানাবিধ সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে পারবেন হবু মায়েরা। 

গর্ভাবস্থায় সর্দির কারণ

প্রকৃতপক্ষে, ২০০-এর বেশি ধরনের ভাইরাস সাধারণ সর্দি-কাশির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মায়েরাই অন্তত একবার এই ধরনের সর্দি-কাশির শিকার হন, কারণ এই সময়ে মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে, সর্দি-কাশি অনেক সময় বেশ কয়েকদিন ধরে স্থায়ী হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে তারা সহজেই নানা সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে এই সমস্যাটি আরও বেড়ে যায়, কারণ শীতকালীন সর্দি-কাশি বেশ সাধারণ। বায়ুবাহিত সংক্রমণ যেমন হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, গর্ভবতী মায়েরাও সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় সাধারন সর্দি কাশিতে কি গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় সাধারণ সর্দি-কাশি মায়ের জন্য অসুবিধার কারণ হলেও, এটি সাধারণত বাচ্চার জন্য খুব একটা ভয়ের বিষয় নয়। তবুও, এই সময় মায়ের সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকা উচিত। যদি ঠাণ্ডা লেগেই যায়, তবে তা দ্রুত নিরাময়ের ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মায়ের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সন্তানের সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।

গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে কি করবেন?

যদি ঠাণ্ডা লেগেই যায়, তবে মায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরি। এর সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি পান করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় অনেক ওষুধ নিরাপদ নয়, তাই যেকোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে অনেক সময় ঘরোয়া উপায়ে, যেমন গরম পানিতে লেবু বা মধু মিশিয়ে পান করা, ভাপ নেওয়া ইত্যাদি করেও সর্দি-কাশি নিরাময় সম্ভব। তাই, কিছু সহজ এবং নিরাপদ উপায়ে নিজের যত্ন নেওয়াটা মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ!

পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে

গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত কাচা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরা উচিত। নয়তো ময়লা জামা-কাপড় থেকেও সর্দি-কাশির মতো ছোট সংক্রমণ হতেই পারে। তাই রোজ জামা বদলে ফেলুন। তা অ্যান্টিসেপটিক এবং গরম জলেই কাচুন। এছাড়া এই সময় সুতির এবং ঢিলেঢালা পোশাকই পরুন। তাতেই আরাম পাবেন গর্ভবতী মহিলারা। (ছবি সৌজন্যে: Pexels)

গর্ভাবস্থায় এসব খাবার ভুলেও নয়

কাঁচা খাবার থেকেও পেটের সংক্রমণ হতে পারে গর্ভবতী মহিলাদের। তাই এই সময় কাঁচা মাংস, ডিম, সামুদ্রিক খাবার চিজ বা কাঁচা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় পেট ব্যথা হতে পারে। এছাড়া পেটের সংক্রমণের কারণে জ্বর, বমি এবং ডায়ারিয়াও হতে পারে। যা মা এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই খাবার ভালো করে রান্না করে তবেই খান। (ছবি সৌজন্যে: Pexels)

গর্ভাবস্থায় বেশি করে জলপান করুন

পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর হয়ে যায়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ-সবল। কোষ্ঠকাঠিন্যের জ্বালা থেকে মুক্তি মেলে এবং ব্লাডার ইনফেকশনের ঝুঁকিও কমে। এছাড়া আপনার এবং সন্তানের বিকাশের জন্য় রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান অত্যন্ত জরুরি।

তাই নিজের ও সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলাদের অন্ততপক্ষে দিনে ৩-৪ লিটার জলপান করতেই হবে। এছাড়াও এই সময় ক্যাফাইন, অ্য়ালকোহল বা মিষ্টি জাতীয় পানীয় বেশি না খাওয়াই ভালো। তবেই প্রেগনেন্সিতে মা ও সন্তান থাকবে একেবারে সুস্থ। 

গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি প্রতিরোধে কি করবেন?

পুরোপুরি ভাবে সর্দি প্রতিরোধ করা হয়তোবা সম্ভব না। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে আপনি এর ঝুঁকি কমাতে পারেন-

যেমন, কাশি বা সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকুন। কারণ, এই সময়ে জীবাণুগুলো বাতাসে ভাসমান থাকে। যদি একটি জীবাণু আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যে আপনি কাশি বা সর্দিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

আপনার হাত নিয়মিত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠাণ্ডা সাধারণত ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে। অর্থাৎ, একজন অসুস্থ ব্যক্তির নাক থেকে জীবাণু আপনার হাতে চলে আসতে পারে। যখন আপনি সেই হাত দিয়ে কোনো বস্তু স্পর্শ করেন, তখন জীবাণু সেই বস্তুর ওপরও লেগে যেতে পারে। মনে রাখবেন, ঠাণ্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

তাহলে, সঠিকভাবে হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন—বিশেষ করে বাইরে থেকে আসার পর, খাবার খাওয়ার আগে এবং মাস্ক না পরার সময়। হাত ধোয়া আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী

গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসের সতর্কতা

গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসকে থার্ড ট্রাইমেস্টার বা তৃতীয় ত্রৈমাসিক কাল বলা হয়, যা মা ও সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত, তা জানা প্রয়োজন। তাই চলুন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. ইশরাত জেরিনের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ জেনে নিই।

ডা. ইশরাত জেরিন জানান, রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন কে অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে প্রসবের পর এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই, থার্ড ট্রাইমেস্টারে মায়েদের ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত, যেন সন্তান জন্মদানের সময় কোনো ভিটামিনের ঘাটতি না হয়। ভিটামিন কে মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে প্রসবকালীন সময় আরও সmooth ও নিরাপদ হতে পারে।

ঠিক যেমন ফার্স্ট এবং সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি থার্ড ট্রাইমেস্টারেও আয়রন অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে। যদি আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে তবে সময়ের আগেই প্রসব হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই, এই সময়টাতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি ও আপনার সন্তান উভয়েই সুস্থ থাকেন।

গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসে শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে, তাই এই সময়ে মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফার্স্ট ও সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারের তুলনায় থার্ড ট্রাইমেস্টারে ক্যালরির চাহিদাও কিছুটা বেশি থাকে। এজন্য এ সময় অন্তত ৪০০ ক্যালরি অতিরিক্ত গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা মা এবং শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়ক হবে।

এই সময় চর্বিযুক্ত এবং দ্রুত ওজন বাড়ায় এমন খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। ডাক্তাররা মা ও শিশুর ওজনের ওপর ভিত্তি করে ডায়েটের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি দেখা যায় যে শিশুর ওজন প্রয়োজনের চেয়ে কম, তাহলে ডাক্তার সাধারণত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন। তাই, আপনার এবং শিশুর সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় সাধারণ সর্দি বা কাশি সাধারণত শিশুর জন্য কোনো বড় ক্ষতি করে না। এটি প্রায়শই মায়ের ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক পরিবর্তন বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। তবে, যদি কাশি তীব্র হয় বা সাথে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে এটি অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।

গর্ভাবস্থায় কাশির ওষুধ খাওয়া যাবে কি?

বাজারে যেসব কাশির সিরাপ পাওয়া যায় তা খাওয়া যাবে, কিন্তু গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোনো কাশির সিরাপ খাওয়া উচিত নয়। এ সময় কোনো ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঝুঁকির কারণ হতে পারে, তবে তীব্র ব্যথা হলে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে

কাশি হলে কি প্রসব শুরু হয়?

ডাঃ লেভের মতে, গর্ভাবস্থায় সাধারণ সর্দি বা হালকা কাশি সাধারণত শিশুর জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে নিউমোনিয়ার মতো তীব্র সংক্রমণ বা অতিরিক্ত কাশি যাদের আগে থেকেই অকাল প্রসবের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের জন্য প্রসবের জটিলতা বাড়াতে পারে। তাই যদি কাশি তীব্র হয় বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়, অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

আগামীকালের Weather Update, দক্ষিণবঙ্গে শীত কি বাড়বে? জানুন বিস্তারিত

জানারুল, কলকাতা: দিন যত এগোচ্ছে, রাজ্যের তাপমাত্রাও ততটাই নিচের দিকে নামছে (Weather Update)। নভেম্বরে যে হালকা শীতের আমেজ ছিল, ডিসেম্বরে তা যেন আরও বেশিই টের পাওয়া যাচ্ছে। তার ওপর আবার কুয়াশা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, ফলে সকালে রাস্তা-ঘাটে দৃশ্যমানতাও কমে যাচ্ছে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব বাড়ায় আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও একটু নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিসেম্বরে সাধারণত রাজ্যে ঠান্ডা একটু দেরিতেই নামতে দেখা যায়, কিন্তু এবার মাসের শুরুতেই শীত তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে, যা শীতপ্রেমীদের বেশ খুশি করেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, রাজ্যজুড়ে যে শীতের আমেজ এখন চলছে, তা আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহ মোটামুটি একইরকমই বজায় থাকতে পারে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকাগুলিতেও এই সময় শীত বেশ টের পাওয়া যাবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব একটা ওঠানামা করবে না এবং আকাশও পরিষ্কারই থাকবে। এখন দেখে নেওয়া যাক, আগামীকালের আবহাওয়া কেমন হতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া (Weather Update)

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় শুষ্ক এবং শীতল আবহাওয়া বিরাজ করবে। যেহেতু এইমুহুর্তে বঙ্গোপসাগরের কোথাও কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অঞ্চল নেই। তাই বাড়বে পশ্চিমী শীতল হাওয়ার দাপট। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি কমবে। বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এই আট জেলায় শীতের প্রভাব বাড়বে আগামী কয়েকদিনে। সঙ্গে থাকবে কুয়াশার দাপট। কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং পশ্চিমী জেলাগুলোতেও কম-বেশি কুয়াশার প্রভাব থাকবে।

উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া

দক্ষিণবঙ্গের মতোই উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েকদিন শীতল ও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম থাকবে এবং এর বড় কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা—এই সব জেলাজুড়েই ভরপুর শীতের আমেজ টের পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সকালের দিকে কুয়াশার দাপটও অব্যাহত থাকবে, ফলে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।

বিশ্বের প্রথম শত সেঞ্চুরির মালিক সচিন—কোহলিও কি ছুঁতে পারবেন মাইলফলক?

জানারুল, কলকাতা: সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আবার নিজের রুদ্রমূর্তি দেখিয়েছেন। একটানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর শেষ ম্যাচে তিনি ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটিং দেখে প্রতিপক্ষের বোলাররা একেবারে বুঝে গেছে কেন কোহলি মহাতারকা। ম্যাচের মাঠ প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিতেও সতীর্থ রোহিত শর্মা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন। যদিও সিরিজ শেষ, কোহলির সামনে এখনো সুযোগ রয়েছে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন তেন্ডুলকারের ক্লাবে প্রবেশের। এজন্য তার আরও ১৬টি সেঞ্চুরি হাঁকাতে হবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে কোহলির হাতে (Virat Kohli)

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ ওয়ানডে সিরিজে বিরাট কোহলি একেবারে দাপিয়ে খেলেছেন। প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে প্রথম সেঞ্চুরি, এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০২ রান করে মাঠ ছাড়েন। শেষ ম্যাচে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর সবমিলিয়ে শেষ চার ইনিংসে কোহলি করেছেন ৩৭৬ রান। বিশেষ নজরকাড়া বিষয়, দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরির পর তার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে সেঞ্চুরির সংখ্যা বেড়ে ৮৪-এ পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকানো এখনও সচিন তেন্ডুলকরের দখলে, তবে এবার তার পাশে বসার সুযোগ রয়েছে বিরাটেরও।

হিসেব বলছে, কোহলি যদি আগামী দিনগুলিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে থেকে আর মাত্র 16টি সেঞ্চুরি করতে পারেন তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাকানো ক্রিকেটারের হিসেবে সচিনের পাশেই বসবে তাঁর নাম। তবে এই রেকর্ড গড়তে গেলে 2027 ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলতে হবে কোহলিকে। সেক্ষেত্রে জেনে নেওয়া প্রয়োজন 2027 ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর কতগুলি একদিনের ম্যাচে অংশ নেবে ভারত।

2027 বিশ্বকাপের আগে এতগুলি ওয়ানডে খেলবে ভারত

আসন্ন একদিনের বিশ্বকাপ এখনো বেশ দূরে, কারণ ২০২৭ সালের টুর্নামেন্টের আগে ভারত অন্তত ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। আপাতত যা জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই খেলবেন। সেই হিসেবে ১৮ ম্যাচে কোহলির পক্ষে ১৬টি সেঞ্চুরি করা যে খুব কঠিন কাজ, তা অনেকে বলেই মনে করছেন। তবে যদি কোহলি ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলেন এবং ভারতীয় দল ধরে নিলে প্রায় ১০টি ম্যাচ খেলে, তাহলে বিশ্বকাপ মিলিয়ে তার পক্ষে ১০০ সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছনোর সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে বিপরীতে যদি বিশ্বকাপের আগেই তিনি অবসর নেন, তাহলে সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছনোর সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে।

মা-মেয়েকে কুপিয়েছে গৃহকর্মী? দেখুন সিসিটিভি ফুটেজ

রহান, কলকাতা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার মধ্যে মা-মেয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন (Mother and daughter hacked to death)। পুলিশ এই ঘটনায় আয়েশা নামের এক তরুণীকে সন্দেহ করছে। জানা গেছে, ওই তরুণী মাত্র চার দিন আগে অস্থায়ী গৃহকর্মী হিসেবে মা লায়লা আফরোজ ও মেয়ে নাফিজাদের বাসায় কাজ শুরু করেছিলেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বোরকা পরে কাজে এসেছিলেন তিনি, দেড় ঘণ্টা পর বের হওয়ার সময় স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পরই ঘটনার আসল কারণ উদঘাটিত হবে।

Mother and daughter hacked to death

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে গৃহকর্মী আয়েশা কালো বোরকা পরে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে তিনি বের হন, তখন গায়ে ছিল স্কুল ড্রেস। জানা গেছে, আয়েশা ভাড়া থাকতেন বিহারি ক্যাম্পে। মা ও মেয়ের পরিবারের কাছে তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য নেই।

নাফিজার বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবিমস স্কুলে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় ১৩ বছর ধরে ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর। সোমবার সকালে তিনি নিয়ম মতো ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। ১১টার পরে বাসায় এসে প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখেন। এরপর রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।

মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মা ও মেয়েকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে গৃহপরিচারিকাকে, তবে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয়। সকালে গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম কাজের জন্য বাসা থেকে বের হন। দুপুর ১১টার দিকে বাসায় ফেরার পর তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। নাফিজাকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।