বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 9

তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকদের জন্য অভিবাসনের দরজা বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের কড়া বার্তা

আমেরিকা এবার তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশের জন্যই অভিবাসনের দরজা বন্ধ করতে চলেছে—এমনই বিস্ফোরক ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump on Migration)। শুক্রবার সকালে (ভারতীয় সময়) নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, আমেরিকার নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। যদিও ট্রাম্প কোনও দেশের নাম স্পষ্ট করে বলেননি, কিন্তু ভারতের এক প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সেই দেশ থেকে নির্বিচারে অভিবাসীরা আমেরিকায় ঢুকে পড়ছেন, আর সেই পরিস্থিতির বেশ কয়েকটি ছবিও তিনি তুলে ধরেছেন।

হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় নিহত দুই ন্যাশনাল গার্ডকে কেন্দ্র করে আবারও আগুন ঝরালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযুক্ত বন্দুকবাজ যে আফগানিস্তানের নাগরিক—রহমানুল্লা লাকানওয়াল—তা সামনে আসতেই ট্রাম্পের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। শুক্রবার তিনি সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে হাজার হাজার মানুষকে গাদাগাদি করে এক জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়। ট্রাম্প দাবি করেন, আফগানিস্তান থেকে দল বেঁধে মানুষ আমেরিকায় ঢুকছে, আর ছবিটি সেই ‘ভয়াবহ’ বিমান পরিবহণেরই অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, কোনও রকম ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ছাড়াই সেই সমস্ত মানুষকে আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, “এটা আফগানিস্তানের পরিবহণের ছবি। আমরা সমস্যা ঠিক করব। কিন্তু ভুলব না, জো বাইডেন আমাদের দেশের কী সর্বনাশ করে গিয়েছেন।”

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য এখানেই থামেনি। এর পরের একটি সমাজমাধ্যম পোস্টে তিনি সরাসরি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির নাগরিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন। তাঁর দাবি, আমেরিকা প্রযুক্তিগত ভাবে যতই এগিয়ে যাক না কেন, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নীতি দেশের জীবনযাত্রার মানকে নষ্ট করছে। ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে আমেরিকায় অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেব। মার্কিন ব্যবস্থাপনাকে পুরোপুরি সঠিক পথে ফেরানোর সুযোগ দেব। বাইডেনের আমলে যত অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তা বাতিল করব।”

তিনি আরও জানান, আমেরিকার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ নয়’ এমন ব্যক্তি কিংবা যারা আমেরিকাকে ভালোবাসতে পারবেন না, তাঁদের দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যারা মার্কিন নাগরিক নন, তাঁদের জন্য সরকারি সুবিধা-সুবিধাও বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, আমেরিকায় এমন কোনও মানুষ থাকবে না, যারা পশ্চিমি সংস্কৃতির সঙ্গে মানাতে পারেন না বা যাঁরা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করেন।

তৃতীয় বিশ্বের দেশ কারা(Donald Trump on Migration)

‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ শব্দগুচ্ছটি বর্তমান প্রেক্ষিতে অপ্রচলিত হয়ে গেছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এটি ব্যবহৃত হতো এমন দেশগুলোর জন্য, যেগুলো পুঁজিবাদী ‘প্রথম বিশ্ব’ বা সমাজবাদী ‘দ্বিতীয় বিশ্ব’-এর সঙ্গে মেলেনি। কিন্তু বর্তমানে, দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভুগছে এমন কিছু দেশকেই অনেকে ‘তৃতীয় বিশ্ব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। আফগানিস্তানের পাশাপাশি এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ এই তালিকায় আসে। তবে ট্রাম্প এখনও স্পষ্ট করেননি, ঠিক কোন দেশ বা নাগরিকদের জন্য তিনি অভিবাসন বন্ধ করতে চাইছেন।

তৃণমূলকে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ: আইন মেনে চলুন, ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করুন

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে তৃণমূলকে সহযোগিতা করতেই হবে (SIR in West Bengal)। শুক্রবার দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল কমিশনের দফতরে গিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন তোলে। তবে দলের দাবি—তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর কমিশন দিতে পারেনি। কমিশনের তরফে পালটা জানানো হয়, আইন মেনেই কাজ চলছে, এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা উচিত নয়। বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের উপর সরাসরি অভিযোগ করেন।

শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে গিয়ে তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কমিশনের সামনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো একেবারেই ঠিক নয়। তাই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে।

কমিশন জানিয়েছে, বিএলও এবং ইআরও-দের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যকে জানানো হয়। কিন্তু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও টাকা এই ভাতার জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। দেরি না করে দ্রুত যেন এই ভাতার টাকা দেওয়া হয়, তা জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

শুক্রবার কমিশনের সদর দফতরে গিয়ে এসআইআর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল (SIR in West Bengal)। সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নাম করে তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদ কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে অভিযোগ করেন যে তাঁর “হাতে রক্ত লেগে আছে”! তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালিকে নিশানা করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। সেই কারণেই দলটির পক্ষ থেকে একের পর এক মোট পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিনিধিরা।

প্রথমত, এসআইআর কি সত্যিই ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণের জন্য করা হচ্ছে, নাকি বাংলাকে নিশানা করাই আসল উদ্দেশ্য? যদি তা না হয়, তাহলে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকা অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম বা অরুণাচলপ্রদেশের মতো সীমান্তসংলগ্ন রাজ্যগুলিতে এই প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে না কেন? শুধুই বাংলায় কেন?

দ্বিতীয়ত, যদি ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় অবৈধ ভোটার থাকেন, তাহলে সেই ভোটে গঠিত সরকার কীভাবে এখনও ক্ষমতায় রয়েছে?

তৃতীয়ত, বিহারে এসআইআর করে কত বিদেশি বা অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে কমিশন?

চতুর্থত, বিজেপি নেতারা বারবার বলছেন, এসআইআরের পরে বাংলার ভোটার তালিকা থেকে এক কোটির বেশি নাম বাদ যাবে—তাঁরা কীভাবে আগাম এই সংখ্যাটি বলছেন? তা কি তবে কমিশন বিজেপি-নিয়ন্ত্রিত সংস্থায় পরিণত হয়েছে?

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে জানান, তৃণমূল যে প্রশ্নগুলি নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলেছিল, তার কোনও স্পষ্ট জবাব কমিশন দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা দাবি করছে যে তৃণমূলের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের ভাষায়, “এগুলি শুধু মানুষকে ভুল পথে চালনা করার জন্য নয়, এগুলি আসলে সর্বৈব মিথ্যা।”

এরপর অভিষেক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনের লুকোনোর কিছু না থাকে, তবে শুক্রবারের বৈঠকের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। পাশাপাশি কমিশন যেসব নথি বা প্রমাণ আছে বলে দাবি করছে, সেটিও জনসমক্ষে আনতে বলেন তিনি। তা না হলে কমিশনের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়েই প্রশ্ন উঠবে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ্য, এর আগেও তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ও কমিশনের বৈঠক লাইভ স্ট্রিম করার দাবি তুলেছিলেন অভিষেক।

দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় জমে শীত, আজকের আবহাওয়ায় বড় আপডেট

সাগরে আবারও তৈরি হয়েছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘দিটওয়া’, আর সেই কারণেই বাংলার আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে বড়সড় পরিবর্তন (Weather Today)। শীতের আমেজ কমে গিয়ে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তবে এর প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে, সেই নিয়েই এখন কৌতূহল। আজ শনিবার গোটা রাজ্যের আবহাওয়া (Weather Today) কেমন থাকতে পারে, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া? (Weather Today)

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ এবং আগামী কয়েকদিন কলকাতায় ভালোভাবেই শীতের আমেজ অনুভূত হবে। আশ্চর্যের বিষয়, এই মরসুমে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই নেমে এসেছে ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তো পারদ আরও নিচে নেমে গিয়ে ছুঁয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আবার ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, রাজ্যের প্রায় সব জেলার আবহাওয়া আগামী এক সপ্তাহ শুষ্কই থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও নদিয়ায় আজও জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবরে (Weather Today)। পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং তো প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ছে—আজও সেখানে পারদ নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারেও কুয়াশা আর ঠান্ডার দাপট বেশ থাকবে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে। তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের কাছাকাছি, শীতের আমেজ টিকে থাকবে, বড় কোনও তাপমাত্রার বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সাগরে তৈরি এই নতুন সিস্টেমের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে, ফলে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। তবে চিন্তার কিছু নেই—এই সিস্টেম কেটে গেলেই তাপমাত্রা আবার দ্রুত কমতে শুরু করবে। ১ ডিসেম্বরের পর থেকেই আবহাওয়া বদলাবে, আর নতুন মাস পড়লেই শীতের পুরো প্রভাব অনুভূত হবে বাংলাজুড়ে। এমনকি ডিসেম্বরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Today)।

যাদবপুরের CGCRI-তে বিজ্ঞানী পদে চাকরির সুযোগ, মাসিক বেতন ও আবেদন প্রক্রিয়া জানতে ক্লিক করুন

যাদবপুরের সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিজিসিআরআই)-এ চাকরির সুবর্ণ সুযোগ এসেছে (CSIR CGCRI Recruitment)। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী প্রার্থীরা এবার সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। গবেষণা-ভিত্তিক কাজের প্রতি যাঁদের আগ্রহ রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি সত্যিই একটি বড় সুযোগ। যদি আপনি যোগ্যতা পূরণ করেন, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আবেদন পাঠাতে হবে।

যাদবপুরের CGCRI-তে বিজ্ঞানী পদে চাকরির সুযোগ (CSIR CGCRI Recruitment)

সিজিসিআরআই–এ মোট ২৮টি বিজ্ঞানী পদে নিয়োগ করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রথমে এক বছরের জন্য ‘প্রোবেশন’–এ রাখা হবে, এবং কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরে সেই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এই পদে যোগ দিলে প্রার্থীরা মাসে ১,৩২,৬৬০ টাকা বেতন পাবেন। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী আরও বিভিন্ন খাতে ভাতা ও সুবিধাও প্রদান করা হবে।

সিজিসিআরআই–এর সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ৩২ বছর হতে হবে, যদিও সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ছাড় পাবেন। বিভিন্ন পদের জন্য বিজ্ঞান বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা থেকে শুরু করে পিএইচডি ডিগ্রি পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। যাঁদের গবেষণার অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো আবেদনমূল্য নেই, তবে অন্যান্য প্রার্থীদের ৫০০ টাকা আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে এবং চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদন পর্ব শেষে, নির্বাচিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের বিস্তারিত শর্তাবলি ও প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দেখে নিতে হবে।

Indian Oil Recruitment: গুয়াহাটিতে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ, আবেদন করুন

0

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (IOCL) তাদের গুয়াহাটি তেল শোধনাগারে শিক্ষানবিশ (অ্যাপ্রেন্টিস) নিয়োগ করছে (Indian Oil Recruitment)। এই নিয়োগের অধীনে মোট ৮২টি শূন্যপদ থাকবে, যেখানে নির্বাচিত প্রার্থীরা বিভিন্ন ট্রেড ও বিভাগে পেশাগত প্রশিক্ষণ পাবেন।

গুয়াহাটিতে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ (Indian Oil Recruitment)

গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতকরা যেমন এই প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তেমনই কেমিক্যাল, পেট্রোকেমিক্যাল, রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীরাও সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, দ্বাদশ উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও এখানে আবেদন করতে পারবেন—তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে ডোমেস্টিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ট্রেড, যেখানে হাতে-কলমে কাজ শেখানো হবে।

প্রশিক্ষণ চলাকালীন অ্যাপ্রেন্টিসরা সরকারি নিয়ম মেনে ভাতা পাবেন, আর লিখিত পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ওপর ভিত্তি করেই করা হবে যোগ্যতা যাচাই। এখানে আবেদন করতে হলে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে, এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের মোট এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তবে যাঁরা আগে কখনও অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁরা এই সুযোগে আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনের জন্য পোর্টাল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। বাছাই করা প্রার্থীদের নাম ২৭ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। কী ভাবে আবেদন করতে হবে, সেই বিষয়ে বিশদ জানতে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নেওয়া যেতে পারে।

NBT Recruitment: অ্যাকাউন্টস–এ দক্ষ প্রার্থীদের জন্য সরকারি চাকরির সুযোগ

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থায় চাকরির সুযোগ খুঁজছেন? ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট (NBT) একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে (NBT Recruitment)। যেখানে চুক্তির ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট—এই দুই পদে মোট ৫টি শূন্যপদ রয়েছে।

ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টে নিয়োগ! NBT Recruitment

উল্লিখিত পদগুলিতে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই বাণিজ্য (Commerce) শাখায় স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি, যোগ্যতার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে—হিসাব রক্ষণ (Accounts) বিভাগে অন্তত তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এই পদগুলিতে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর হতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের তিন মাসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রাখা হবে। কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। আবেদন করার সময় অবশ্যই আবেদনপত্রের সঙ্গে জীবনপঞ্জি (Resume/CV), শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, এবং কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার শংসাপত্র সংযুক্ত করতে হবে—নইলে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের শেষ তারিখ ৫ ডিসেম্বর। আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে প্রার্থীরা মূল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিতে পারেন।

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ! বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ পাবেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা

0

রোবোটিক্স, স্মার্ট ফার্ম মেশিন বা ইলেকট্রিক মোবিলিটি সম্পর্কে দক্ষতা বাড়াতে চান? আপনার জন্য রয়েছে দারুন সুযোগ! সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (CMERI) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য নিয়ে এসেছে দুই মাসের বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম (Government Internship 2025)। এখানে অংশ নিলে আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাবেন।

Government Internship 2025

মেকানিক্যাল, প্রোডাকশন, মেটিরিয়ালস, এনভায়রনমেন্টাল এবং বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যারা স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন, তাঁরাই এই ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে যোগ্যতার জন্য একটি শর্তও রয়েছে—প্রার্থীদের প্রথম বর্ষ বা প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৭.০ CGPA থাকতে হবে। এই মানদণ্ড পূরণ করলেই তারা CMERI-এর এই দুই মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

তবে শুধু স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীরাই নয়, স্নাতকোত্তর স্তরের রসায়ন বা এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ুয়ারাও এই ইন্টার্নশিপে যোগ দিতে পারবেন। যোগ্যতার জন্য তাঁদের ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকা আবশ্যক। এই মানদণ্ড পূরণ করলেই তারা CMERI-র এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

ইন্টার্নশিপটি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ৬০ দিন ধরে চলবে। পুরো প্রশিক্ষণ শেষ হলে যোগদানকারীরা একটি অফিশিয়াল শংসাপত্র পাবেন। ইন্টার্নশিপের সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মাসিক ৫,000 টাকা ভাতা পাবেন। আগ্রহীরা খুব সহজেই অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন জমা দিতে পারবেন।

সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে। কে কোন বিষয়ে এবং কোন মেন্টরের অধীনে ইন্টার্নশিপ করতে চান, তা আগে থেকে ই-মেল মারফত জানিয়ে রাখতে পারবেন। এর জন্য তাঁদের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ওয়েবসাইট-এ গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিতে হবে।

ঘরে বসে মাসে ২৫ হাজার? Meesho Work From Home শুরু করার সহজ উপায়

এখনকার ডিজিটাল যুগে ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করা সত্যিই সহজ হয়ে গেছে (Meesho Work From Home)। চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি গৃহবধূ, ছাত্র-ছাত্রী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিংবা চাকরিজীবী—সবাইই অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারেন। করোনার পর থেকে এই ট্রেন্ড আরও বাড়ছে, কারণ মানুষ এখন ঘরেই বসে দেশের বা বিদেশের যেকোনো কোম্পানির কাজ করে আয় করতে পারছে। আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটি অনলাইন আয়ের কথা জানাতে চলেছি, যেখানে নিয়মিত কাজ করলে বাড়িতে বসেই সহজে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব।

আপনারা চাইলে অধিক কাজের মাধ্যমে এই উপার্জন অর্থের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম গুলি ওর মধ্যে অন্যতম হলো Meesho অ্যাপ সাহায্যে অর্থ উপার্জন করা। এখানে আপনারা বিনা পুঁজিতে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে Meesho সাহায্যে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Meesho কী? (Meesho Work From Home)

Meesho একটি জনপ্রিয় রিসেলিং মোবাইল অ্যাপ। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই কোনো রকম বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। এই অ্যাপ ব্যবহার করে মেয়েদের, ছেলেদের এবং বাচ্চাদের পোশাক, জুতো-স্যান্ডেল, বিউটি প্রোডাক্টস, রান্নাঘরের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী সহজেই সেল করা হয়। চাইলে আপনি মেসোর বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক WhatsApp, Facebook বা Instagram-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন। আপনার শেয়ার করা লিংকে কেউ ক্লিক করে পণ্য অর্ডার করলেই, সেই বিক্রয়ের ভিত্তিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে যাবেন। ঘরে বসে সহজে আয়ের জন্য এটি এখন অনেকেরই প্রথম পছন্দ।

Meesho অ্যাপ কাজ কীভাবে করে?

Meesho ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমেই গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড হয়ে গেলে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে সহজেই Sign Up করতে পারবেন। সাইন আপ সম্পন্ন হলে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি যুক্ত করে নিন, যাতে আপনার কমিশন বা মুনাফা সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টেই জমা হয়। এরপর মেসো অ্যাপ থেকে বিভিন্ন পোশাক, অ্যাক্সেসরিজ বা অন্যান্য সেলিং পণ্যের ছবি ও লিংক আপনার Facebook, WhatsApp বা Instagram পেজে শেয়ার করুন। আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেউ কেনাকাটা করলে সেই অনুযায়ী আপনি কমিশন পাবেন।

কারা কারা কাজটি করতে পারবেন?

মেসোর সাহায্যে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করতে চাইলে, আপনাদের হাতের স্মার্টফোনের সাহায্যে এটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। সকল শ্রেণীর মানুষেরা ঘরে বসেই অন্য কাজের পাশাপাশি একটু সময় দিয়ে কাজটি অনায়াসে পড়তে পারবে। তাই গৃহবধূ, কলেজের ছাত্র ছাত্রী, সমেত সকলেই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসাটি করতে পারবেন। এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে আপনারা google অথবা নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন।

সোনার দামে স্বস্তি, রুপোর ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা বাজার! আজ কলকাতায় সোনার দাম

অগ্রহায়ণ মাসে বিয়ের মরসুম জমজমাট, কিন্তু তার মাঝেই স্বর্ণ ও রুপোর বাজার দিচ্ছে ধাক্কা (kolkata Gold Price)। যদিও আজ সোনার দাম (Gold Price) সামান্য কমেছে, রুপোর ক্ষেত্রে এসেছে বড় দুঃসংবাদ—এক লাফে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দাম বেড়ে গিয়েছে! ফলে সাদা ধাতুর বাজারে চরম চাপে ক্রেতারা। তবে কোন শহরে সোনা-রুপো কত দামে বিক্রি হচ্ছে, তা জানার জন্য IBJA Rates অনুযায়ী বিস্তারিত দেখে নিন নিচে।

22 ক্যারেট হলমার্ক সোনার দাম (kolkata Gold Price)

শহর / অঞ্চল২২ ক্যারেট সোনার দাম (প্রতি ১০ গ্রাম)অতিরিক্ত তথ্য
কলকাতা₹১,২০,৬৫০গতকালের থেকে ₹৫০ কম
মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, কেরালা₹১,১৭,০৯০
দিল্লি, লখনৌ₹১,১৭,৩৪০
ভদোদরা, আহমেদাবাদ₹১,১৭,১৪০

24 ক্যারেট পাকা সোনার দাম

শহর / অঞ্চল২৪ ক্যারেট সোনার দাম (প্রতি ১০ গ্রাম)অতিরিক্ত তথ্য
কলকাতা₹১,২৬,৯০০গতকালের থেকে ₹৫০ কম
মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, কেরালা₹১,২৭,৭৪০
দিল্লি, লখনৌ₹১,২৭,৮৯০
ভদোদরা, আহমেদাবাদ₹১,২৭,৭৯০

18 ক্যারেট সোনার দাম

শহর / অঞ্চল১৮ ক্যারেট সোনার দাম (প্রতি ১০ গ্রাম)অতিরিক্ত তথ্য
কলকাতা₹৯৫,৮০০
মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, কেরালা, পুনে₹৯৫,৮০০
দিল্লি, লখনৌ₹৯৫,৯৫০
ভদোদরা, আহমেদাবাদ₹৯৫,৮৫০

আজ রুপোর বাজার দর | Silver Price Today |

শহর / অঞ্চলরুপোর দাম (প্রতি কেজি)অতিরিক্ত তথ্য
কলকাতা₹১,৬৪,৪০০গতকালের তুলনায় ₹৫,৩৫০ বৃদ্ধি
চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, কেরালা₹১,৮০,১০০
মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুনে, আহমেদাবাদ₹১,৭৩,১০০

বিঃদ্রঃ বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শুধুমাত্র দাম নিয়ে আপডেট দিয়ে থাকি। কাউকে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করি না।

বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ: দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়বে? আজকের আবহাওয়া জানুন

বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি আবহাওয়া সিস্টেম তৈরি হওয়ায় ফের একবার শীতের দাপটে ব্রেক পড়তে চলেছে (Weather Today)। ঘন কুয়াশা আর টানা তাপমাত্রা পতনে যখন শীতপ্রেমীরা আনন্দে ছিলেন, ঠিক তখনই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ার খবর। আজ শুক্রবার থেকে পরের দু’দিন বাংলার বেশিরভাগ জায়গায় পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তবে সব জেলায় একই রকম পরিস্থিতি নয়—কিছু জেলার তাপমাত্রা আজও ১২ ডিগ্রির ঘরে থাকবে। কলকাতাতেও থাকবে হালকা শীতের আমেজ। চলুন, দ্রুত জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত পরিস্থিতি।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Today)

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Today) নিয়ে বলতে গেলে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে আজ পুরুলিয়া, নদীয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিতে ভালই ঠান্ডা অনুভূত হবে। এই জেলাগুলিতে সকালের তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। পাশাপাশি, কলকাতাতেও আজ সকালের দিকে কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

আবহাওয়া দফতরের মতে, পরবর্তী কয়েকদিন ঠান্ডার তীব্রতা বজায় থাকারই সম্ভাবনা ছিল। তবে গভীর সমুদ্রে তৈরি হওয়া দুটি আবহাওয়া সিস্টেমের প্রভাবে পারদ সামান্য উপরে উঠতে পারে। বর্তমানে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে প্রায় ৮৭০ কিলোমিটার দূরে সুমাত্রার কাছে মালাক্কা প্রণালীর ওপর একটি নিম্নচাপ রয়েছে, এবং শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকেও আরেকটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। উভয় সিস্টেমই শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ভারতীয় উপকূলরেখার কাছে তাদের গতিবিধি এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

এবার উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গেলে, শুক্রবার শীতের দাপট বেশ ভালোই অনুভূত হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার—এই চার জেলায় ঠান্ডা থাকবে জমাট। দার্জিলিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামবে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, আর বাকি জেলাগুলিতে পারদ থাকবে ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। যদিও বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, সেটি অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর দিকেই সরে যাচ্ছে। সেই কারণে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে সেই সিস্টেমের কিছু মেঘ ঢুকে পড়লে আকাশ সামান্য মেঘাচ্ছন্ন হতে পারে। ঠান্ডার অনুভূতিও বজায় থাকবে।

এদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে হাওয়া অফিস হাওড়ার জন্য আরও বড় শীতের বার্তা দিয়েছে। হাওড়ার ‘কালিম্পং’ নামে পরিচিত উদয়নারায়ণপুরে ৫ থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৮ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এই সময় ভীষণ ঠান্ডা পড়ার পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।