wbchse 2025 examination: দোঁরগোড়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতে আর বাকি নেই আর এক মাসও। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব। ছাত্রদের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন তাদের অভিভাবকরাও। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাও কারণ পড়ুয়াদের তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার একটি বড় সুযোগ করে দেয় এই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের কাছে তাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণের জন্য এই পরীক্ষার গুরুত্বও অত্যন্ত বেশী। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অন্তিমবারের মতো বার্ষিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, আগামী বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এই বছরের পরীক্ষা নিয়ে প্রথম থেকেই একটু বেশী কড়াকড়ি মনোভাব প্রকাশ করেছে পর্ষদ। আর তাই পরীক্ষার আগেই কীভাবে হবে তা নিয়ে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করল সংসদ।
অ্যাডমিট কার্ড
আগের বছরগুলিতে অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা থাকত না, ফলে পরীক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তে জানতে হতো তারা কোথায় পরীক্ষা দেবে। কিন্তু এবার সেই নিয়ম বদলানো হয়েছে! নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে অ্যাডমিট কার্ডেই পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম থাকবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা আগেভাগেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবেন, রুট প্ল্যান করতে পারবেন এবং পরীক্ষার দিন অপ্রত্যাশিত ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে।
প্রশ্নপত্র নিয়ে নির্দেশিকা
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত আঞ্চলিক সেন্টারে প্রশ্নপত্র পৌঁছে গিয়েছে, সেখান থেকে তা জমা রয়েছে ট্রেজারিতে। যেহেতু প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণ গোপনীয়, তাই পরীক্ষার দিন ঠিক সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের সামনেই তা খোলা হবে। নিরাপত্তার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হিসেবে, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে থাকবে আলাদা ডিজিটাল সিরিয়াল নম্বর। পরীক্ষার্থীদের তাদের উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় সেই নম্বর লিখতে হবে। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো আশঙ্কা না থাকে এবং পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর
পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যেন কোনওভাবেই মোবাইল বা অন্য কোনও ডিজিটাল যন্ত্র নিয়ে ঢুকতে না পারে, তাই প্রবেশের সময়ই তাদের মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে ভালোভাবে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্তত দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়া নজরদারির আওতায় থাকে এবং কোনো অনিয়মের সুযোগ না থাকে।