বাজারে সোনার চাহিদা এখন রেকর্ড পর্যায়ে, আর এরই মধ্যে ভারত টনকে টন সোনা কিনে চলেছে। ২০২৫ সালে খুচরো বাজারে সোনার দাম প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ভারত এতে দমে না গিয়ে বরং বিপুল পরিমাণ সোনা সংরক্ষণ করছে, আর এই পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। এত সোনা কেনার পিছনে আসল কারণ কী? এটা কি ভবিষ্যতের কোনো বড়সড় আর্থিক পরিকল্পনার অংশ? নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো নতুন কৌশল নিচ্ছে ভারত সরকার? চলুন, এই রহস্যের গভীরে যাওয়া যাক!
এই বছর ২০ জানুয়ারি, তৃতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই তিনি একাধিক দেশের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন। বিশেষ করে মেক্সিকো ও কানাডা ট্রাম্পের এই নতুন শুল্কনীতির বড় ধাক্কা খেয়েছে। নতুন শুল্কের কারণে তাদের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র এই দুই দেশের উপরই নয়, বরং বিশ্ব বাণিজ্যের উপরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন হলো, এর পরবর্তী ধাপ কী হতে পারে?
ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫% শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে। যার ফলে বিশ্বের বাজারে সোনার চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ভারতীয় শেয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। সেনসেক্স ও নিফটি তো তলানিতে ঠেকতে শুরু করেছে। তাই এখন বিনিয়োগকারীরা সোনাকেই সুরক্ষিত বলে মনে করছে এবং এর জন্যই হু হু করে বাড়ছে সোনার দাম।
RBI-এর বিপুল সোনা কেনার রহস্য কী?
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে বিপুল পরিমাণে সোনা সংরক্ষণ করছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের একটি ভারসাম্যপূর্ণ পোর্টফোলিও গড়ে তোলার জন্যই সোনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে
এখানেই শেষ নয়। ২০২৪ সালে RBI অতিরিক্ত ৭২.৬ টন সোনা মজুদ করে রেখেছে, যা আগের তুলনায় চারগুণ বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে সোনার বাজার মূল্য ছিল সরবচ্চ ৭,০৮৯ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ সোনা সংরক্ষণকারী দেশগুলির মধ্যে ১০ নম্বরে রয়েছে।