শীতকালে খুশকির সমস্যা যেন লেগেই থাকে! মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানিও বেড়ে যায়। ঠান্ডা বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া আর ম্যালাসেজিয়া নামের এক ধরনের ছত্রাকের কারণেই এই সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেকেই অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও কিছুদিন পর খুশকি আবার ফিরে আসে। তবে চিন্তার কিছু নেই! যদি প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করতে পারেন, তাহলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। তাই ঘরোয়া উপায়েই খুশকির সমস্যা কমানোর কিছু সহজ সমাধান জেনে নিন!
খুশকি দূর করার ঘরোয়া টোটকা
মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন চুলের যত্নে। এটি খনিজ এবং পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ও খুশকি দূর করতে দুর্দান্ত। পাশাপাশি চুলের ফলিকলকেও শক্তিশালী করে মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন কয়েক মিনিট। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শ্যাম্পু করার আগে মাত্র ৩০ মিনিট সময় দিন চুলের যত্নে! অ্যালোভেরা জেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ঘষে লাগান, তারপর অপেক্ষা করুন। এটি মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখবে, চুলকানি কমাবে এবং খুশকির সমস্যাও ধীরে ধীরে কমিয়ে দেবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকির হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারেন!
আপেল সিডার ভিনেগার ও পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাথার ত্বককে সোজা রাখবে, খুশকি কমাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
শ্যাম্পু ও লবণ মিশিয়ে হাতে নিন এবং ভালোভাবে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। লবণ চুলের ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে এবং খুশকির সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এরপর চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
সমপরিমাণ নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
নারকেল তেলের সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং খুশকি কমবে। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করুন। চাইলে শ্যাম্পুর সঙ্গে কিছু ফোঁটা টি ট্রি অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন।