কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: ভয়ে পৈতে লুকিয়ে নামাজ: এক মুক্তিযোদ্ধার অকপট স্বীকারোক্তি, পাক সেনাদের কোপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিজের পৈতা লুকিয়ে মুসলিম সেজে নাম নিয়েছিলেন সামশের আলি। পাকিস্তানি সেনার গোপন ছবি তুলে তা ভারতীয় সেনার হাতে পৌঁছে দিতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই সাহসী গুপ্তচর সোমনাথ চৌধুরীর জীবন যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। ডুয়ার্সের চালসার এক ভাঙাচোরা ঘরে বসে এখনও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেন বাংলার এই প্রাক্তন ‘জেমস বন্ড’। তিনি আফসোস করে বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আমাদেরও অবদান ছিল।”
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর যাঁরা পাক সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ে নেমেছিলেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। সোমনাথ চৌধুরী সেই মুক্তিযোদ্ধাদেরই একজন। নদিয়া জেলার সন্নিকটে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চলে তিনি পাক সেনাদের গতিবিধি নজরে রেখে গোপন তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতেন। তাঁর সাহসিকতার কাহিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
তবে আজকের বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে মর্মাহত সোমনাথ। চালসার বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় দেশের অবস্থা দেখে তিনি বলেন, “এইভাবে তো এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে।” তাঁর মতে, মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের ঐক্য ও সহযোগিতার যে দৃঢ় ভিত্তি ছিল, তা যেন হারিয়ে যাচ্ছে।