শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার সুকুমার ভাদুড়ী, পেশায় পুরোহিত হলেও, মনেপ্রাণে একজন প্রকৃত সমাজসেবক। তার জীবন দর্শন এবং মানসিকতা তাকে আলাদা করে তুলে ধরে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে তিনি হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার এবং বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করেছেন।
সুকুমার ভাদুড়ী মনে করেন, ধর্ম যাই হোক না কেন, একে অপরের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস রাখা উচিত। তিনি বলেন, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই,” এই শিক্ষাই আমাদের মনীষীরা দিয়ে গেছেন। অথচ আমরা এখন তা ভুলে গিয়ে শুধুই হিংসা, বিদ্বেষ এবং প্রতিহিংসার পথ বেছে নিচ্ছি। এতে লাভ তো কিছুই হচ্ছে না; বরং সাধারণ নিরীহ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং ভবিষ্যৎ গড়তে আসা মানুষের পথ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলে মনে করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রবণতা তাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। তার মতে, ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার মানুষ যদি একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
সুকুমার ভাদুড়ী দুই দেশের সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন, অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। কারণ বিদ্বেষ এবং প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের জীবন। তিনি বলেন, “আমার কাজ পূজা করানো, ভগবানকে ডাকা। কিন্তু মানুষের এই কষ্ট, এই অত্যাচার দেখে আমি অস্থির হয়ে যাই।”
তার বক্তব্য স্পষ্ট—সমস্যা সমাধানের দিকে না এগোলে, এই আগুন দিনে দিনে আরও বাড়বে এবং ক্ষতির মুখে পড়বে শুধু সাধারণ মানুষ। তাই দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং সমস্যার মূলে সমাধান আনতে হবে।