jknews24 bangla: নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগতে পারে দমদম, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে জঙ্গি ধরার অভিযানের ফলে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন। তদন্তে উঠে এসেছে যে অভিযুক্ত জঙ্গিরা আরও বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছে এবং জেল থেকেই নানা ছক কষছে। বিশেষ করে, জেলবন্দি তারিকুল বিভিন্ন সময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্যদের নির্দেশ দিত বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে জেল কর্তৃপক্ষ এখন আরও সতর্ক হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে জঙ্গি ধরার অভিযানের ফলে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন। তদন্তে উঠে এসেছে যে অভিযুক্ত জঙ্গিরা আরও বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছে এবং জেল থেকেই নানা ছক কষছে। বিশেষ করে, জেলবন্দি তারিকুল বিভিন্ন সময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্যদের নির্দেশ দিত বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে জেল কর্তৃপক্ষ এখন আরও সতর্ক হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
জেলে বন্দি থাকা সত্ত্বেও বাইরের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে জেল কর্তৃপক্ষকে নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে বন্দীদের শাস্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে। এই সমস্যার সমাধানে এবার রাজ্যের জেলগুলোতে বসানো হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জ্যামার। কারণ বর্তমানে যে জ্যামারগুলি রয়েছে, সেগুলি শুধুমাত্র টু জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং ফোর জি ও ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কার্যকর নয়। তাই উন্নত নিরাপত্তার জন্য এবার ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা জটিল সমস্যা নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের কারা দফতর ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলে জ্যামারের চরিত্র বদলাচ্ছে। অত্যাধুনিক জ্যামার বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান বা টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে রাজ্যের সেন্ট্রাল বা কেন্দ্রীয় জেলগুলিতে এই জ্যামার চালু হবে। আপাতত, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রেসিডেন্সি বা দমদম জেলে এটি শুরু হতে পারে। তবে এই ব্যবস্থা চালু হলে একদিকে যেমন জেলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে, তেমনি এটি চালু হলে জেল এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু সমস্যা হতে পারে। কারণ টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম চালু হলে সংশ্লিষ্ট জেল এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলিতে ‘নো সিগন্যাল’ হতে পারে, যা সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
এই ধরনের সমস্যা ভিন রাজ্যেও দেখা গিয়েছে। রাজস্থান বা কর্ণাটকে যখন প্রতিটি জেলে টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছিল, তখন জেল এবং তার আশেপাশের পুরো এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয়রা এতে আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভও করেছিলেন। এছাড়া বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রাহারা সেন্ট্রাল জেলেও একই প্রক্রিয়া চালু করতে গিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে কারা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সমস্যা এড়ানোর জন্য জেল অফিসিয়াল বা আশেপাশের এলাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর যাতে এক্সেম্পশন পায়, তার জন্য আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।