বর্তমানে দেশে যে সমস্ত টেলিকম কোম্পানি রয়েছে, তার মধ্যে সরকারি দুটি সংস্থা হল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) ও মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (MTNL)। তবে আয়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হওয়ায়, সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এদিকে যখন দেশের বাকি টেলিকম অপারেটররা ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা চালু করেছে। তখনও BSNL ও MTNL-এর 4G নেটওয়ার্কই ঠিকমতো চালু হয়নি। এই পরিকাঠামোগত ঘাটতি মেটাতে সরকার ৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবারের ক্যাবিনেট মিটিংয়েই সরকারি টেলিকম সংস্থার জন্য ৬,০০০ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করা হয়েছে। যদিও এখনও অফিসিয়াল ঘোষণা হয়নি, তবে মনে করা হচ্ছে, এটি শুধুমাত্র BSNL ও MTNL-এর পুনরুজ্জীবনের প্রথম ধাপ। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র পরিকাঠামো উন্নয়নের সূচনা মাত্র। এর পাশাপাশি ধাপে ধাপে মোট ১ লক্ষ ফোরজি সার্ভিস যোগ্য এলাকা তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
কোথায় ব্যবহার হবে সরকারি টাকা?
মুম্বাই ও দিল্লি এলাকার সরকারি টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার MTNL, ইতিমধ্যেই 4G সার্ভিস চালুর জন্য BSNL এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। শীঘ্রই গোটা দেশ জুড়ে 4G পরিষেবা চালু করবে বিএসএনএল। এরই মাঝে জানা যাচ্ছে আগামী ১০ বছরের জন্য চুক্তি বন্ধ হয়েছে BSNL ও MTNL।
বিএসএনএল-এর 4G পরিষেবা চালুর কাজ এখন জোরকদমে চলছে! সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিশাল বিনিয়োগ করা হয়েছে। শুরুতে মোট ১৯,০০০ কোটি টাকার বাজেট অনুমান করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে। তবে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরও ৬,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে, আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের কাছে বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সুখবর হল, এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, যা বিএসএনএল-এর 4G পরিষেবা চালু করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে!