Monday, November 17, 2025

JKNEWS24 ➠ One Stop Solution for Bangla News & Bangla Khabar !

Facebook Like Button বন্ধের...

অনলাইন দুনিয়ায় কার্যত একচেটিয়া রাজত্ব করছে ফেসবুক, আর সেই মেটা ...

ভারতে শুরু ই-পাসপোর্ট! UAE...

গত কয়েক মাস ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা ভারতীয়দের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল—নতুন...

ভারতীয় বিমান বাহিনীতে চাকরির...

Pinky Khan, কলকাতা: সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য আছে এক চমৎকার সুযোগ!...
Homeপ্রকল্পসরকারি প্রকল্পঅনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

- Advertisement -

আরও পড়ুন

- Advertisement -
Pinky Khan
Pinky Khanhttps://jknews24.in/
সাত বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিজিটাল মিডিয়া পেশাজীবী, যিনি অনলাইন কনটেন্ট তৈরি, গণমাধ্যম ও তথ্যসংক্রান্ত কাজে দক্ষ। সরকারি প্রকল্প, স্কলারশিপ ও চাকরির আপডেট নিয়মিতভাবে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
- Advertisement -

Passport Apply & Documents: আপনি যদি পাসপোর্ট বানাতে চান, তাহলে আপনার কিছু জরুরি ও সঠিক নথিপত্র অবশ্যই প্রস্তুত রাখতে হবে। এই সমস্ত ডকুমেন্টস যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে খুব সহজেই আপনি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আমরা সহজ ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি, ভারতীয় পাসপোর্ট বানাতে ঠিক কী কী ডকুমেন্টস লাগে, অনলাইনে কীভাবে আবেদন করতে হয়, আর এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ—পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ঠিক কী নথি জমা দিতে হয়—সেই বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পাসপোর্ট আবেদন করতে ঠিকানা প্রমাণ 

পাসপোর্ট তৈরির জন্য ঠিকানা প্রমাণ হিসেবে আপনি নিচের যেকোনো একটি বা একাধিক নথি ব্যবহার করতে পারেন (Passport Apply & Documents)। এগুলোর মধ্যে যেটা আপনার কাছে রয়েছে, সেটাই জমা দিলেই চলবে। সহজভাবে বুঝে নিন কী কী নথি লাগবে:

  1. জলের বিল – আপনার ঠিকানার জলের বিল চলবে।
  2. টেলিফোন বিল – ল্যান্ডলাইন অথবা পোস্টপেইড মোবাইল নম্বরের বিলও ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
  3. বিদ্যুৎ বিল – নিজের বা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দিলেই হবে।
  4. আয়কর মূল্যায়নের কাগজপত্র – ইনকাম ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট অর্ডার থাকলে সেটাও দিতে পারেন।
  5. আধার কার্ড – আধার কার্ডই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঠিকানার প্রমাণ।
  6. ভোটার কার্ড – ভোটার আইডিও চলবে।
  7. গ্যাস সংযোগের প্রমাণ – যেকোনো LPG গ্যাস সংস্থার সংযোগপত্র বা বিল প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
  8. প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নিয়োগকর্তার সার্টিফিকেট – চাকরি করলে অফিসিয়াল লেটারহেডে ঠিকানাসহ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন।
  9. স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্ট কপি – যদি আপনি বিবাহিত হন এবং ঠিকানা মিল থাকে, তাহলে স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার কপি দিতে পারেন।
  10. নাবালকদের ক্ষেত্রে পিতামাতার পাসপোর্ট কপি – ছোটদের ক্ষেত্রে মা-বাবার পাসপোর্ট কপিই যথেষ্ট।
  11. বাড়িভাড়া নেওয়ার চুক্তিপত্র – ভাড়াবাড়িতে থাকলে রেজিস্টার্ড রেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট জমা দিতে পারেন।
  12. ফটোসহ ব্যাংক পাসবুক – চলমান ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ফটোসহ পাসবুক (শুধু পাবলিক সেক্টর, প্রাইভেট ভারতীয় বা আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংকের)।

পাসপোর্ট তৈরি করতে প্রমান পত্র(Passport Apply & Documents)

1) জন্ম সার্টিফিকেট
2) প্যান কার্ড
3) স্কুল সার্টিফিকেট / মাধ্যমিক এডমিট কার্ড ইত্যাদি
4) ড্রাইভিং লাইসেন্স
5) ভোটার কার্ড
6) ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন বা পাবলিক কোম্পানি দ্বারা জারি করা পলিসি বন্ড যাতে বীমা পলিসির ধারকের জন্ম তারিখ থাকে।
7) আবেদনকারীর চাকরির রেকর্ডের একটি উদ্ধৃতাংশ (শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে) অথবা বেতন পেনশন আদেশ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে) এর একটি অনুলিপি, যা আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্তৃক যথাযথভাবে সত্যায়িত বা প্রত্যয়িত, যার জন্ম তারিখ থাকবে।

শিশুদের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে

1) জন্ম সার্টিফিকেট।
2) বাবা/মায়ের পাসপোর্ট কপি
3) অনুমতিপত্র (Annexure D

সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করন -

WhatsApp Group Join Now

অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি 2025 

পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করলেই কাজ হয়ে যাবে। নিচে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেওয়া হল কীভাবে আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন:


📝 পাসপোর্ট তৈরির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:

1) রেজিস্ট্রেশন করুন
প্রথমে passportindia.gov.in অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।

2) আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে লগইন করে পাসপোর্ট আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। যে তথ্য দেবেন, তা অবশ্যই ডকুমেন্ট অনুযায়ী মিল থাকা জরুরি।

3) অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক ও পেমেন্ট করুন
ফর্ম সাবমিট করার পর আপনার সুবিধামতো পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন ও অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।

4) পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন
নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার আসল ডকুমেন্ট ও ফটোকপির যাচাই করিয়ে নিন।

5) পুলিশ ভেরিফিকেশন
ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের পর আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী থানা থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। পুলিশ আপনার ঠিকানায় এসে যাচাই করবে।

6) পাসপোর্ট হাতে পাবেন
পুলিশ ভেরিফিকেশন সফল হলে সাধারণত ৭ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ডাকযোগে আপনার পাসপোর্ট হাতে চলে আসবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন জরুরি?

পাসপোর্ট হাতে পেতে, পুলিশ ভেরিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আবেদনকারীর পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করা হয়ে থাকে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তি ভারতের বৈধ নাগরিক এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আইনত অপরাধ বা মামলার রেকর্ড নেই।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস কি কি লাগবে

1) ঠিকানা ও ব্যক্তিগত পরিচয় যাচাইয়ের জন্য:
আপনার কোথায় থাকেন ও পরিচয় প্রমাণ করার জন্য নিচের যেকোনো একটি দিতে পারেন –

  • আধার কার্ড
  • ভোটার কার্ড
  • রেশন কার্ড

2) জন্মের প্রমাণ হিসেবে:
আপনার জন্মতারিখ প্রমাণের জন্য দরকার হতে পারে –

  • জন্ম সার্টিফিকেট
  • মাধ্যমিক পাশের সার্টিফিকেট
  • অথবা স্কুল সার্টিফিকেট

3) অপরাধমূলক রেকর্ড যাচাই (Police Verification):
এই ধাপে পুলিশ দেখে নেবে আপনার নামে কোনো অপরাধমূলক মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে কিনা। এটার জন্য আপনাকে আলাদা করে কিছু কাগজ দিতে হবে না।

4) বাবা/মায়ের তথ্য যাচাইয়ের জন্য:
আপনার অভিভাবকদের পরিচয় যাচাই করতে দিতে হতে পারে –

  • তাঁদের আধার কার্ড / ভোটার কার্ড / রেশন কার্ড
  • যদি কেউ না থাকেন (প্রয়াত), তবে মৃত্যু সনদ (Death Certificate)

5) কোথায় থাকেন, তার প্রমাণ হিসেবে:
আপনি বর্তমানে যেই এলাকায় থাকেন, তার প্রমাণ দিতে হবে। এর জন্য দরকার হতে পারে –

  • গ্রাম পঞ্চায়েতের বসবাসের সার্টিফিকেট
  • অথবা স্থানীয় প্রশাসনের (বিডিও অফিস/ পৌরসভা ইত্যাদি) কোনো বসবাসের সনদ

6) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ:
আপনি যদি শিক্ষিত হন, তাহলে আপনার পড়াশোনার প্রমাণ হিসেবে –

  • স্কুল/কলেজের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে

7) বসবাসের প্রমাণ হিসেবে জমির দলিল (যদি চাওয়া হয়):
কখনও কখনও বসবাসের স্থায়ীতা যাচাই করতে –

পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথায় হবে?

পাসপোর্ট আবেদন করার পর, প্রথমত পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন ও ফটো উঠে আসতে হবে। এরপর আপনার উল্লেখিত ঠিকানার লোকাল থানা থেকে ফোন করে ডাকা হবে। এরপর সেখানে আবেদনকারীকে নিজে থেকে উপস্থিত থেকে ডকুমেন্টস দেখা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে, আপনার বাড়িতে পাসপোর্ট চলে আসবে।

- Advertisement -
- Advertisement -

পড়তে ভুলবেন না

- Advertisement -