New Income Tax Bill: দেশের কর ব্যবস্থায় এবার আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের পুরনো আয়কর আইন (১৯৬১ সালের) বদলে এবার সংসদে নতুন একটি আয়কর বিল পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, যা পেশ হতে পারে আগামী ১১ই আগস্ট। এই নতুন বিলের মূল লক্ষ্য হল কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, সরল ও প্রযুক্তি-সহায়ক করে তোলা, যাতে সাধারণ মানুষ আরও সুবিধাজনকভাবে কর প্রদান করতে পারেন এবং কর ফাঁকি রোধ করা যায়। ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে পুরনো আইন এখন অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক, তাই সময়ের দাবি মেনে এই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।
Table of Contents
কেন এই নতুন বিলের প্রয়োজন?
১৯৬১ সালের পুরনো আয়কর আইনটি এখনকার সময়ে বেশ জটিল হয়ে উঠেছে, এবং এর অনেক নিয়ম-কানুন বর্তমান পরিস্থিতিতে আর ততটা প্রাসঙ্গিক নয়। ফলে সাধারণ মানুষকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়—বিশেষ করে ছোটখাটো ভুল হলেও মোটা অঙ্কের জরিমানা বা নোটিশের ঝুঁকি থাকে। এই জটিলতা দূর করতে এবং করদাতাদের জীবন সহজ করতে সরকার এবার নিয়ে আসছে একটি নতুন, সহজ এবং স্বচ্ছ আয়কর বিল। নতুন এই আইনের ফলে করদাতারা নিজেরাই সহজে কর গণনা করতে পারবেন, কোনো বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই কর জমা দিতে পারবেন এবং প্রশাসনিক হয়রানি থেকেও মুক্ত থাকবেন।
নতুন বিলে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে?
- সহজবোধ্য ভাষা: নতুন আইনের ভাষা হবে অত্যন্ত সহজ এবং সাধারণ মানুষের বোধগম্য। এর ফলে করদাতারা নিজেরাই আইন পড়ে বুঝতে পারবেন এবং পেশাদারদের উপর নির্ভরতা কমবে।
- প্রযুক্তি-বান্ধব ব্যবস্থা: নতুন বিলটি সম্পূর্ণ প্রযুক্তি-নির্ভর হবে। এর ফলে কর জমা দেওয়া থেকে শুরু করে রিফান্ড পাওয়া পর্যন্ত সবকিছুই হবে আরও দ্রুত এবং স্বচ্ছ।
- ডিজিটাল অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তি: বর্তমান আইন ডিজিটাল অর্থনীতির অনেক দিক, যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অনলাইন লেনদেন, সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে না। নতুন বিলে এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
- করের বোঝা কমানো: আশা করা হচ্ছে, নতুন কর কাঠামোয় করের হার কিছুটা কমানো হতে পারে, যা মধ্যবিত্ত এবং চাকরিজীবী শ্রেণীর জন্য বড় স্বস্তির খবর হবে। করের স্ল্যাবেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।
- স্বচ্ছতা বৃদ্ধি: কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য নতুন আইনে বিশেষ কিছু ধারা যুক্ত করা হতে পারে, যা কর আধিকারিকদের স্বেচ্ছাচারিতা কমাবে এবং করদাতাদের হয়রানি রুখবে।
নতুন এই আয়কর বিলটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এক বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একদিকে যেমন সাধারণ করদাতারা আরও সহজে ও স্বচ্ছভাবে কর জমা দিতে পারবেন, তেমনই সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়বে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের করব্যবস্থা আরও প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক এবং সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এখন সবার নজর ১১ই আগস্টের দিকেই, যেদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে এই বহুল প্রতীক্ষিত বিলটি পেশ করবেন। অনেকের মতে, এই বিলই ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক দিশা নির্ধারণ করতে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |