সারাদিন মন খারাপ?: আপনার কি সারাদিন মন ভার হয়ে থাকে? কিছুতেই হাসিমুখে জীবনকে দেখতে পারেন না? সবসময় মাথায় ঘোরে নেগেটিভ চিন্তা? এই সব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে ধরে নিতে হবে যে শরীরে ফিল গুড হরমোন বা অক্সিটোসিন কম পরিমাণে তৈরি হচ্ছে। তাই মনের যত্ন নিতে এই হরমোন যাতে শরীরে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে মেনে চলতে হবে কয়েকটি সহজ সরল পন্থা। আর সেই সকল কৌশল নিয়েই বিশদে আলোচনা হল নিবন্ধটিতে।
সারাদিন মন খারাপ?
কথা বলার সময় চোখে তাকান
আপনি কি কথা বলার সময় অপর ব্যক্তির চোখের দিকে তাকাতে ভয় পান? যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বদলানোর চেষ্টা করুন। কথা বলার সময় সামনের ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে, আপনার শরীরে একটা বিশেষ হরমোন — অক্সিটোসিন — মুক্তি পায়। এতে আপনি স্বাভাবিকভাবেই বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন এবং মনের ভেতরেও একটা প্রশান্তি আসবে। ছোট্ট এই বদলটাই আপনার ব্যক্তিত্বে বড় একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটান
প্রতিদিন নিজের পোষ্যের সঙ্গে একটু সময় কাটানো খুবই জরুরি। বিশেষ করে অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরলে বা যখন মন ভারাক্রান্ত থাকে, তখন তাদের সঙ্গে সময় কাটালে মনের সব দুঃখ-বেদনা, গ্লানি অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে তৈরি হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যা মনকে করে শান্ত আর শরীরকে রাখে সুস্থ। তাই, যত ব্যস্তই হন না কেন, পোষ্যের সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটানো কখনো ভুলবেন না!
ডিপ ব্রিদিং করুন
মনের অবস্থা খারাপ লাগলে বা মনটা ভেঙে পড়লে ডিপ ব্রিদিং করতে পারেন। খুব সহজ একটা নিয়ম আছে—৫ গুন ধরে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, তারপর ৫ গুন পর্যন্ত শ্বাস ধরে রাখুন, আর শেষে ৫ গুন ধরে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এই ছোট্ট অভ্যাসটাই শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন তৈরি করবে, যা মনকে করে খুশি আর শান্ত। পাশাপাশি আপনার ফুসফুসও থাকবে ভালো অবস্থা তে।
রান্না করতে হবে
মনকে ভালো করতে চাইলে রোজ রান্না করুন। নিজের পছন্দের মতো একটা পদ বানিয়ে নিজেও পরিবারের সকলকে খাওয়ান। তাতেই মন ভালো হয়ে যাবে। শরীরে পৌঁছে যাবে অক্সিটোসিন।
শাক, সবজি এবং ফল রাখুন ডায়েটে
জাঙ্ক ফুড আর ফাস্ট ফুড থেকে একটু দূরেই থাকুন। তার বদলে প্রতিদিন অন্তত একটা fresh ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। সঙ্গে শাক-সবজিও আপনার ডায়েটে রাখুন, এতে মনের অবস্থা অনেক ভালো থাকবে। তবে বর্ষাকালে শাক খেতে একটু extra সতর্ক থাকবেন। ভালো করে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর খাওয়া উচিত, তবেই শরীর ও মন দুটোই পাবেন সঠিক যত্ন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে সচেতনতার উদ্দেশ্যে। নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই কোনও সিদ্ধান্ত নিন।