কার্বন ক্রেডিট কার্ড: নতুন বছরে এক দারুণ চমক দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! পরিবেশের সুরক্ষাকে মাথায় রেখে সরকার এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে, যা সাধারণ মানুষেরও কাজে আসবে। রাজ্যের পরিবেশ বিভাগ এবার নিয়ে আসছে গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড—হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! কীভাবে এই কার্ড কাজ করবে এবং এতে কী কী সুবিধা মিলবে, তা জানতে পড়ুন আজকের এই প্রতিবেদন।
গ্রিন ক্রেডিট কার্ড চালু করবে সরকার
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের (MoEFCC) আয়োজিত “ফাইন্যান্সিং ইন্ডিয়াস গ্রিন ট্রানজিশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন নিডস” শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবেশ বিভাগের সচিব অভিনব চন্দ্র এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড চালু করে আমরা বাংলায় এক অনন্য উদ্যোগ নিচ্ছি। এই কার্ডের মাধ্যমে যে কেউ তার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে পারবেন এবং আমাদের অংশীদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ব্রাউন পয়েন্ট’ অর্জন করতে পারবেন, যেখানে অনলাইন শপিংয়ের বেশ কিছু বড় নামও রয়েছে।” তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রাজ্য কর্মপরিকল্পনা (SAPCC) খুব শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
কারা পাবে এই বিশেষ কার্ড?
এখন প্রশ্ন আসছে—এই গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড কারা পাবে? রাজ্য পরিবেশ বিভাগের সচিব অভিনব চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে স্কুলের ইকো ক্লাবের সদস্য পড়ুয়ারা এই বিশেষ কার্ড পাবে। গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যাগ এড়িয়ে চলা, বাইসাইকেল ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ ও পুনর্ব্যবহার, আর আতশবাজি পরিহার—এমন সব দায়িত্বশীল কাজ করলে কার্ডধারীরা ‘ব্রাউন পয়েন্ট’ অর্জন করতে পারবেন। অর্থাৎ, পরিবেশের উপকার করলেই মিলবে বিশেষ সুবিধা!
এই কার্ডের ক্রেডিট পরে ব্যবহার করাও যাবে! ‘বড় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারদের’ মাধ্যমে গ্রাহকরা এটি কাজে লাগাতে পারবেন।এদিকে, ইকো ক্লাবগুলোর দায়িত্ব থাকবে সদস্যদের কার্বন ক্রেডিট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখভাল করা। প্রতিটি ইকো ক্লাব তাদের সদস্যদের কার্বন ক্রেডিট রেকর্ড রাখবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও কার্যকর থাকে। শীঘ্রই এই কার্ড সবার জন্য চালু হতে চলেছে বলে জানা গেছে।
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড রেডিনেস প্রোগ্রাম’র আওতায় এই আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন, জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রক। সেখানে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, তিনি জানান, ‘পরিবর্তনের মোকাবিলা করা শুধু একটি পরিবেশমূলক অ্যাজেন্ডাই নয়। এটি উন্নয়নমূলক দিকেও অপরিহার্য। এর জন্য বাড়তি আর্থিক রিসোর্সও দরকার।