বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 11

পুরুলিয়ার সরকারি স্কুলে বড় নিয়োগ! আবেদন নয়, সরাসরি ইন্টারভিউতে মিলবে চাকরি

পুরুলিয়া জেলার সরকারি স্কুলগুলোতে নতুন করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ঘোষণা এসেছে(Purulia Govt School Recruitment)। জেলার প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখানে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কোনও ঝামেলা নেই—সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই মিলবে চাকরির সুযোগ।

পুরুলিয়ার সরকারি স্কুলে বড় নিয়োগ (Purulia Govt School Recruitment)

পুরুলিয়া জেলার একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে সুপারিনটেনডেন্ট, পিয়ন, সুইপার, ক্লার্ক, নাইট গার্ড এবং রাঁধুনি—এই ছয়টি পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। জেলা পরিষদের অধীনে চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদেরই আলাদা যোগ্যতা নির্ধারিত রয়েছে। কোন পদের জন্য কী শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা লাগবে, তা জানতে মূল সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি একবার দেখে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।

পুরুলিয়া জেলার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই কর্মী বাছাই করা হবে। ১০, ১১ এবং ১২ ডিসেম্বর—টানা তিন দিন সকাল ১০টা থেকে ইন্টারভিউ শুরু হবে। নির্ধারিত দিনে প্রার্থীদের নিজের আবেদনপত্রসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ঠিকানায় হাজির হতে হবে। কোন কোন নথি জমা দিতে হবে বা পুরো প্রক্রিয়াটি কীভাবে চলবে—এসব বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই।

মাধ্যমিক পাশ করেই চাকরির সুযোগ! নদিয়া স্বাস্থ্যজেলায় বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নদিয়া জেলায় বড়সড় চাকরির সুযোগ এসেছে (Govt Jobs in Nadia)! রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী, স্টাফ নার্স, কমিউনিটি হেলথ অফিসার, মেডিক্যাল অফিসার, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, কমিউনিটি হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট-সহ মোট ৪৩টি বিভাগে ৬৯৭টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। জেলার বহু চাকরিপ্রার্থী এই নিয়োগকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন, আর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অনুযায়ী দ্রুত আবেদন করলেই মিলতে পারে স্থায়ী সরকারি চাকরির সুবর্ণ সুযোগ।

দিয়া স্বাস্থ্যজেলায় বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (Govt Jobs in Nadia)

মাধ্যমিক পাস করে যারা চাকরির খোঁজে আছেন, তাঁদের জন্য এসেছে দারুণ সুযোগ। স্যানিটারি অ্যাটেন্ডেন্ট ও নবজাতকদের সহায়িকা পদে মাধ্যমিক পাশেই আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্যও রয়েছে একাধিক পদ—অপথ্যালমিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাটেন্ডেন্ট, কুক কাম কেয়ারটেকার, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী যে কেউ সহজেই এই পদগুলিতে আবেদন করে নিতে পারেন নিজের উপযুক্ত চাকরি।

ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি অর্জন করেছেন, এমন ব্যক্তিদের ফার্স্ট রেফারেল ইউনিট, সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার, মেডিক্যাল অফিসার, স্পেশ্যালিস্ট মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়াও কাউন্সেলর, কমিউনিটি নার্স, স্টাফ নার্স পদে নার্সিংয়ে জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফরি (জিএনএম), অক্সিলিয়ারি নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি (এএনএম), ব্যাচেলর ইন সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন— এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হবে।

নিযুক্ত প্রার্থীদের জন্য বেতনও যথেষ্ট আকর্ষণীয়—কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ১,০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি মাসে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবেদন করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনে নতুন চাকরি! কী ভাবে করবেন আবেদন?

ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন আবার নতুন করে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছে (Municipal Service Commission)। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। যারা সরকারি চাকরি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ হতে পারে।

Municipal Service Commission

এই নিয়োগে মোট তিনটি পদে কর্মী নেওয়া হবে—অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ড্রাফটসম্যান। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে মাসিক বেতন ৫৬,১০০ টাকা, যেখানে আবেদন করতে হলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি লাগবে। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বেতন নির্ধারিত হয়েছে মাসে ৩৫,৮০০ টাকা এবং আবেদন করতে হবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা নিয়ে। উভয় পদের ক্ষেত্রেই বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৬ বছর।

ড্রাফটসম্যান পদেও ভালো সুযোগ রয়েছে। এখানে মাসে ২৮,৯০০ টাকা বেতন পাওয়া যাবে। আবেদন করতে হলে দ্বাদশ শ্রেণি পাশের সঙ্গে আর্কিটেকচার বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা থাকতে হবে। এই পদের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪০ বছর। প্রতিটি পদের আরও বিস্তারিত যোগ্যতা ও শর্ত জানতে অবশ্যই মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নেওয়া উচিত।

আবেদন করবেন কী ভাবে?

ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ‘হোমপেজ’ থেকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে। সেখানে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৪ ডিসেম্বর। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলি জানতে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটটি দেখুন।

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

৪৫০০ কিমি দূর থেকে দিল্লিতে আগ্নেয়গিরির ছাই, কীভাবে এলো?

দীর্ঘ ১০ বছর পর ইথিওপিয়ার ‘হেলি গুব্বি’ আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হয়েছে (Ethiopia Volcanic Ash)। এই অগ্নুৎপাতের ছাই (Ethiopia Volcanic Ash) এতদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে যে দিল্লির আকাশে তা দেখা যাচ্ছে। এমনকি গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার আকাশেও ছাই ঢুকেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরির প্রবল বিস্ফোরণে ছাই প্রায় ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠে গেছে। কিন্তু কীভাবে এটি এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছে, তা এখনো রহস্য।

‘হেলি গুব্বি’ আগ্নেয়গিরির ছাই এতদূর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত, অগ্নুৎপাতের বিস্ফোরণে ছাই ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠে যায়। এরপর উচ্চতার তীব্র বাতাস তা লোহিত সাগরের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে আসে এবং ইয়েমেন ও ওমানের দিকে পৌঁছে দেয়। ধীরে ধীরে বাতাসের সঙ্গে ছাই আরব সাগরের উপরে এসে পড়ে। তবে এই ছাই পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়ার আগে গুজরাট, রাজস্থান এবং উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোর আকাশে ঢুকে পড়েছিল।

আমজনতার এতে কী অসুবিধা হতে পারে? (Ethiopia Volcanic Ash)

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষের উপর কি এই আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কোনো প্রভাব পড়বে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ জীবনযাত্রায় কোনো দূষণজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আকাশ কিছুটা ঘোলাটে দেখাতে পারে এবং সূর্যোদয়ের সময় আকাশের রং খানিকটা বদলে যেতে পারে। এছাড়া কিছু এলাকায় আকাশ থেকে ছাই ঝরতে পারে, কিন্তু যেহেতু ছাই প্রায় ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে, তাই কোনো বড় ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১০ বছর পর এই আগ্নেয়গিরিটি জেগে ওঠায় বিজ্ঞানীরা এটিকে ঐতিহাসিক আর বিরল ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করছে। ‘হেলি গুব্বি’ আগ্নেয়গিরির এই অগ্নুৎপাতে গোটা বিশ্বের উড়ান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। এমনকি দিল্লিতে পড়েছে প্রভাব। বলাই বাহুল্য, ছাইয়ের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে বায়ুপ্রবাহ সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করছে। সে কারণেই দিল্লি এনসিআর অঞ্চলে শেষ পর্যন্ত এই ছাই এসে পৌঁছেছে।

৮ বছরের রিটার্ন ৩ গুণ! Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগকারীদের সুখবর

সোভারিন গোল্ড বন্ডে (Sovereign Gold Bond) বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর! ২০১৭-১৮ সিরিজ VIII-এ যারা বিনিয়োগ করেছিলেন । তারা ৮ বছরের অপেক্ষার পর মেয়াদ পূর্তিতে ৩১৭ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনগুণের বেশি লাভ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এই বন্ডের ফাইনাল রিডেম্পশন প্রাইসও ঘোষণা করেছে। RBI-এর তথ্য অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১২,৩০০ টাকা প্রতি ইউনিটে। এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

RBI র ঘোষণায় খুশি বিনিয়োগকারীরা (Sovereign Gold Bond)

Zee News-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, ২০ নভেম্বর মেয়াদপূর্তি হওয়া সোভারিন গোল্ড বন্ডের রিডেম্পশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৩,২০০ টাকা প্রতি ইউনিটে। এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৭, ১৮ এবং ১৯ নভেম্বরের ৯৯৯ বিশুদ্ধ সোনার গড় দামের ভিত্তিতে। মনে রাখতে হবে, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই বন্ড ইস্যু করার সময় প্রতি গ্রাম সোনার দাম ছিল ২,১৫১ টাকা। অর্থাৎ, যাঁরা সেই সময় বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা ৮ বছর পরে প্রতি ইউনিটে ৯,৩৪৯ টাকার লাভ পেয়েছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কেন এই বন্ডে রিটার্নের পরিমাণ এত বেশি?

কেন এত বেশি রিটার্ন?

ভারত সরকারের Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগকারীদের জন্য আনন্দের খবর, কারণ এই বন্ডে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির হার (CAGR) এখন ১৯.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেওয়া প্রতিবছরের ২.৫ শতাংশ সুদ। ফলে ২০১৭ সাল থেকে এই বন্ডে বিনিয়োগকারীরা বিপুল রিটার্ন পেয়েছেন, যা তাদের মুখে হাসি ফোটিয়েছে। Sovereign Gold Bond-এর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে বিগত বছরগুলিতে সোনার দামের ক্রমবর্ধমান উত্থান। সাম্প্রতিককালে সোনার বাজারে যে বৃদ্ধি দেখা গেছে, তাতে SGB বিনিয়োগকারীরা বাজার দর অনুযায়ী যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন।

উল্লেখ্য, Sovereign Gold Bond এ বিনিয়োগের পর মেয়াদ শেষে আর আলাদা করে টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্তির পর বিনিয়োগকারীর আসল এবং সুদ অর্থাৎ লাভের টাকা সরাসরি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। বলে রাখি, ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষের পর প্রাপ্ত মূল ক্যাপিটাল গেইন সম্পূর্ণ করমুক্ত। এছাড়াও মেয়াদের আগেই এই বন্ড বিক্রি করতে চাইলে তাতে ইনডেক্সশন বসানো হবে।

দুর্যোগের মাঝেই দক্ষিণবঙ্গে শীতের কামব্যাক: আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে?

একটু জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার অবস্থা বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে (Weather Update West Bengal)। লাইনে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়, আর তাপমাত্রা অনেক জেলায় স্বাভাবিকের তুলনায় উর্ধ্বমুখী। ফলে কবে বাংলায় প্রকৃত শীতের আমেজ নামবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিছু এলাকায় যেমন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম রয়েছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমার আশায় থাকলেও নতুন সপ্তাহে সম্ভাব্য দুর্যোগ নিয়ে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ বাংলার ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সমগ্র বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update West Bengal)

প্রথমেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে, পারদ পতনের ইঙ্গিত মিলেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিনে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। আজ দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বেশ ঠান্ডা থাকবে। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া এবং বীরভূমের জন্য, যেখানে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে।

অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মালাক্কা প্রণালীর উপর একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বুধবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। মালাক্কা প্রণালী হচ্ছে মালয় উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মধ্যে একটি সরু জলراه, যা আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরকে সংযুক্ত করে। এটি বাংলার উপকূল থেকে প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে। ইতিমধ্যে দার্জিলিং জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা হয়েছে। সমতল জেলাগুলির তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩ ডিগ্রিতে। আগামী দিনে এই পারদ আরও বেশ খানিকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। আজও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভালো ঠান্ডা বিরাজ করবে।

ইন্টারনেট ছাড়াই পরিচয় যাচাই সম্ভব! UIDAI-এর নতুন পদক্ষেপ

আর লাগবে না আধার কার্ডের জেরক্স! পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ডের জেরক্স কপি জমা দেওয়ার যে পুরনো নিয়ম ছিল, এবার সেই প্রথারই অবসান ঘটাতে বড় উদ্যোগ নিল UIDAI (Aadhaar Paperless Verification)। খুব শিগগিরই আসতে চলেছে আধারের নতুন একটি অ্যাপ, যা পরিচয়পত্র যাচাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াকেই বদলে দেবে। এবার থেকে এই একটিমাত্র অ্যাপের মাধ্যমেই পরিচয় যাচাইসহ আধার-সংক্রান্ত বেশিরভাগ কাজ সেরে ফেলা যাবে। ফলে কোথাও ফর্ম জমা দিতে গেলে আধার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ আর করতে হবে না। সহজ, ঝামেলাহীন এবং নিরাপদ উপায়ে মিলবে সব পরিষেবা।

কেন আনা হচ্ছে নতুন আধার অ্যাপ? (Aadhaar Paperless Verification)

অন্যের আধার কার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা অহরহ ঘটছে। এই ধরনের প্রতারণা রোধ করতে এবং কাগজবিহীন পরিষেবা চালু করার জন্য UIDAI একটি বিশেষ আধার অ্যাপ নিয়ে আসছে। এ বিষয়ে UIDAI-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ভুবনেশ্বর কুমার জানিয়েছেন, “ফিজিক্যাল কপির ব্যবহার কমলে স্বাভাবিকভাবেই আধার হোল্ডারদের গোপনীয়তা বাড়বে। এই অ্যাপের মূল উদ্দেশ্য হলো আধার কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতি আটকানো এবং আধারের অপব্যবহার রোধ করা।”

ইন্টারনেট ছাড়াই যাচাই করা যাবে পরিচয়

UIDAI যে নতুন আধার অ্যাপটি লঞ্চ করতে চলেছে তাতে ব্যবহারকারীর পরিচয় যারাই করতে কোনও রকম ইন্টারনেট লাগবে না। অর্থাৎ ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই হোটেলের চেক ইন থেকে শুরু করে আধার যাচাইয়ের মাধ্যমে যেকোনও জায়গায় নিজের পরিচয় প্রমাণ করা যাবে এই অ্যাপের হাত ধরে। বলে রাখি, এই অ্যাপের মাধ্যমে আধার নম্বরের বদলে শুধুমাত্র কিউআর কোড অথবা ফেস ভেরিফিকেশনের মাধ্যমেও পরিচয় যাচাই করা সম্ভব হবে।

আপডেট প্রক্রিয়াও সহজ হবে, বাড়বে গোপনীয়তাও

UIDAI জানিয়েছে, নতুন আধার অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাত্র এক ক্লিকেই ব্যবহারকারী নিজের বায়োমেট্রিক ডেটা লক বা আনলক করতে পারবেন। পাশাপাশি আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, নাম—এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপডেট করাও হবে আরও সহজ। ব্যবহারকারীরা চাইলে কোন তথ্য শেয়ার করবেন আর কোনটি করবেন না, সেটাও নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। মোট কথা, কাগজবিহীন পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে আধারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কমবে, নিরাপত্তা বাড়বে এবং আধার সেন্টারের ভিড়ও অনেকটাই কমে যাবে।

বেতন ২০,০০০! মুর্শিদাবাদ স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রচুর শূন্যপদে চাকরি

পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এ বার সত্যিই বড় সুখবর এসেছে। মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (DHFWS Murshidabad Recruitment 2025) প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে কর্মী নেওয়া হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে, আর নিয়োগ পেলে শুরুতেই মিলবে মোটা অংকের বেতন। ঠিক কোন যোগ্যতা লাগবে, কীভাবে আবেদন করবেন—সব কিছু জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন।

মুর্শিদাবাদ কমিউনিটি হেলথ অফিসার নিয়োগ (DHFWS Murshidabad Recruitment)

জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি, মুর্শিদাবাদের তরফ থেকে যে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে। আর এখানে মোট ২৭৩টি শূন্যপদ রয়েছে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কী লাগবে?

এই পদে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের বিএসসি নার্সিং ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি জিএনএম ডিগ্রি থাকলেও আবেদন করা যাবে।

বয়স সীমা কত দরকার?

এখানে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা রাখা হয়েছে ৪০ বছর। তবে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সর্বনিম্ন বয়স সম্পর্কে কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

বেতন কাঠামো

এখানে চাকরি পেলে প্রার্থীরা প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা বেতন পাবেন। এর পাশাপাশি ইনসেন্টিভ হিসেবে আরও ৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। আর প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতি মাসে ১০,000 টাকা করে বৃত্তিও পাওয়া যাবে।

আবেদন পদ্ধতি

চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর জন্য নিন্মলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন—

  • প্রথমে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (wbhealth.gov.in) যান।
  • এরপর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে বার করুন।
  • এরপর নতুন আবেদনকারী হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
  • এরপর আবেদনপত্রটি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
  • এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে সাবমিট করুন।

উল্লেখ্য, এখানে আবেদন শুরু হয়েছে ১৯ নভেম্বর থেকে এবং আবেদন চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন সেরে নেবেন।

DHFWS Murshidabad Official Notification- Download Now

🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন JKNEWS24 Bangla। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!

শীতে গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়: রইল ৫টি কার্যকর ঘরোয়া টোটকা

0

শীতকাল এলেই আনন্দের সঙ্গে শুরু হয় ত্বকের নানা ঝামেলা। ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাবে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়, আর সেই কারণেই পরিবেশ হয়ে ওঠে বেশ শুষ্ক (Crack Heel Problem In Winter)। এই শুষ্ক আবহাওয়া আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়, ফলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে যোগ হয় জ্বালা, চুলকানি, লালচে হয়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে ত্বকের সমস্যার তালিকা বাড়তেই থাকে। শুধু মুখ নয়, হাত-পা, বিশেষ করে গোড়ালির অবস্থা আরও খারাপ হয়। শীতে অনেকেরই গোড়ালি ফেটে যায়, ব্যথা করে, আর হাঁটা পর্যন্ত কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই শীত এলে ত্বক ও গোড়ালির বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

শুধু শীতকাল নয় হাত ও পায়ের অবস্থা অনেকের গরমের সময়ও হয়ে থাকে। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে, কম জল পান করলে চামড়া শুকিয়ে গেলে অথবা দেহে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি-র অভাব থাকলে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। যদিও সে ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্য নিতেই হয়। কিন্তু শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে পা ফাটার থেকে রক্ষা পেতে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেওয়াই যায়। চলুন আমাদের আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

শীতে গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায় নারকেল তেল

নারকেল তেল শীতকালে ত্বকের যত্নে সত্যিই দারুণ কাজ করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও পুষ্টিগুণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে শুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক থাকে নরম ও মসৃণ। নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। বিশেষত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় এবং গোড়ালিতে নারকেল তেল মালিশ করলে ফাটা পায়ের সমস্যাও অনেকটাই কমে যায়। টানা কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই ফল চোখে পড়বে।

পেট্রোলিয়াম জেলি (Crack Heel Problem In Winter)

শীতকালে ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি সত্যিই অসাধারণ কাজ করে। এটি ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা আর্দ্রতা আটকে রাখে এবং ত্বককে দীর্ঘক্ষণ নরম-আর্দ্র রাখে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ফাটা পায়ের সমস্যা কমাতেও এটি খুব কার্যকর। প্রতিদিন সামান্য গরম জলে পা ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বক নরম হয়। এরপর ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়লেই পরের দিন সকালে পা হবে মসৃণ ও নরম। কয়েক দিন নিয়ম করে করলেই ফাটা গোড়ালির সমস্যা প্রায় দূর হয়ে যাবে।

শীতে গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায় মধু

মধুকেও প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান বলা হয়ে থাকে। কারণ গোড়ালির ফাটা ত্বক জুড়তে মধু অত্যন্ত কার্যকরী। মধু এবং গরম জল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর আলতো করে গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পরে নিন। মিনিট দশেক পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন-চার দিন এটি করতে পারেন।

মাউথ ওয়াশ

কখনও ভাবতে পারেননি মাউথওয়াশ দিয়েও ফাটা গোড়ালি সারানো যায়? কিন্তু এই সহজ ঘরোয়া টোটকাটি সত্যিই দারুণ কাজ দেয়। শুধু ১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে তাতে পায়ের ফাটা অংশ কয়েক মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে জীবাণু নষ্ট হবে, ত্বক নরম হবে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। কয়েকদিন নিয়ম করে করলেই দেখবেন, আপনার গোড়ালি ধীরে ধীরে আগের মতো মসৃণ হয়ে উঠছে।

ভাড়ায় দিতে পারবেন সোনা, ঘরে বসেই হবে দারুণ আয়! জানুন সম্পূর্ণ উপায়

সোনা শুধু অলংকার নয়, অনেকের কাছে এটি নিরাপত্তারও প্রতীক। সাধারণত আমরা মনে করি ব্যাঙ্ক বা লকারে সোনা রাখলেই সেটি পুরোপুরি সুরক্ষিত। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সোনার দাম বাড়ছে, সেখানে লকারে ফেলে রেখে দিলে তো কোনো লাভই হয় না! তাই এখন অনেক বিনিয়োগকারী নতুন পথে হাঁটছেন—গোল্ড লিজিং (Gold Leasing) । এখানে সোনা ভাড়া দিয়ে বছরে ১% থেকে ৭% পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। নিশ্চয়ই ভাবছেন—গোল্ড লিজিং আসলে কী, কীভাবে কাজ করে, আর কীভাবে আপনি সোনা এখানে রাখতে পারবেন? সে সব জানতেই পড়ে ফেলুন পুরো প্রতিবেদনটি।

কী এই গোল্ড লিজিং? (Gold Leasing) 

ধরুন, আপনার কাছে কিছু সোনা আছে—কিন্তু এখনই তা বিক্রি করতে চান না। আবার লকারে রেখে দিলেও তো কোনো লাভ হচ্ছে না। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই কাজে আসে গোল্ড লিজিং। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার সোনা জুয়েলার, রিফাইনারি বা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে ভাড়া দিতে পারেন। যাদের গয়না বানানোর জন্য, কিংবা রিফাইনারিতে প্রসেসিংয়ের জন্য সোনার প্রয়োজন হয়, তারা এই সোনা ব্যবহার করে। এমনকি আন্তর্জাতিক ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টেও এটি কাজে লাগে। আর এর বিনিময়ে আপনি পান নগদ টাকা বা সোনার আকারে সুদ—যেটাই বেছে নেন। এই পুরো ব্যবস্থাকেই বলা হয় গোল্ড লিজিং।

কীভাবে আয় হবে?

স্বাভাবিক ও মানবিক টোনে আপনার অনুচ্ছেদটি এখানে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হলো—

সোনা লিজিংয়ে সাধারণত বছরে ১% থেকে ২% পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। তবে বাজারে সোনার চাহিদা বেড়ে গেলে এই রিটার্ন ৫% থেকে ৬% পর্যন্তও উঠে যেতে পারে। কিছু কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে রিটার্ন ৭% ছুঁয়েও যায়। অর্থাৎ, সোনা আপনার কাছেই থাকবে, মালিকানাও আপনারই—কেবল লকারে ফেলে রাখার বদলে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ তৈরি হবে। সেই কারণেই এখন অনেক বিনিয়োগকারী ভল্টে সোনা আটকিয়ে না রেখে লিজিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন।

বিশ্বজুড়ে আজ সবচেয়ে বেশি সোনা লিজিংয়ের লেনদেন হচ্ছে London OTC, LBMA এবং COMEX-এর মতো প্ল্যাটফর্মে। ভারতেও ধীরে ধীরে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেক বড় জুয়েলারি কোম্পানি এবং রিফাইনারি সরাসরি সোনা লিজিং অফার করছে। পাশাপাশি ডিজিটাল সোনা প্ল্যাটফর্ম RSBL বা Gullak-এও সোনা রেখে লিজিংয়ের সুবিধা নেওয়া যায়। আর ব্যাঙ্কের ‘গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম’-এ সোনা জমা রাখলে সেখান থেকেও সুদ আয় করা সম্ভব।

তবে বলার বিষয়, সোনা লিনিং সাধারণত নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই যেকোনও বিনিয়োগের মতো ঝুঁকি থাকে। আগেভাগে প্ল্যাটফর্ম যাচাই করুন, আর বিশ্বস্ত জুয়েলার কিংবা প্রতিষ্ঠানে লিজ দেওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্তের পথে হাঁটুন। কারণ, আর্থিকভাবে ক্ষতি হলে ইন্ডিয়া হুড বাংলা কোনওভাবে দায়বদ্ধতা নেবে না। আমরা শুধুমাত্র বিনিয়োগ সম্পর্কিত কিছু টিপস দিয়ে থাকি।