বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 114

Weight loss Tips: শীতকালে লাফিয়ে কমবে ওজন, গরম পানীয়ে মিশিয়ে নিন এই মশলা

Weight loss Tips: ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটা কি জানেন যে আপনার প্রিয় খাবারগুলো পুরোপুরি ছেড়ে না দিয়েও ওজন কমানো সম্ভব? হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন! আপনি যদি খাদ্যতালিকায় কয়েকটি বিশেষ পানীয় যোগ করেন, তাহলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। রাতে এই বিশেষ পানীয়গুলো পান করলে পেটের মেদ কমানো আরও সহজ হয়ে যায়। কারণ এগুলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, এগুলো আপনার চর্বি দ্রুত পোড়াতে এবং হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

Weight loss Tips: দারুচিনি জল

দারুচিনি শুধুমাত্র মশলা নয়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য একটি অসাধারণ উপাদান। এটি আপনার শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা উষ্ণ গরম জলে সামান্য দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করেন, তাহলে এটি আপনার শরীরের চর্বি দ্রুত পোড়াতে সহায়ক হবে। নিয়মিত এই পানীয় পান করলে ওজন কমানো সহজ হয়ে যাবে।

Weight loss Tips: আদা চা

আদা একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি শুধুমাত্র আপনার হজমশক্তি উন্নত করতেই নয়, পেটের চর্বি কমাতেও অসাধারণ ভাবে সাহায্য করে। যদি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ আদা চা পান করেন, এটি শুধু আপনার শরীর থেকে টক্সিন দূর করবে না, বরং আপনার ঘুমের মানও উন্নত করবে। আদার উষ্ণতা শরীরকে আরাম দেয়, যা গভীর এবং শান্ত ঘুমের জন্য সহায়ক।

Weight loss Tips: লেবু জল

লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক, যা আপনাকে ফিট ও সক্রিয় রাখে। যদি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন, এটি শুধু আপনার শরীরকে ডিটক্স করবে না, বরং সহজেই ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

Weight loss Tips: সবুজ চা

গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, যাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাটেচিন, যা আপনার মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে তাজা এবং সক্রিয় রাখে। যদি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ গ্রিন টি পান করেন, এটি সারা রাত আপনার শরীরের ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া, গ্রিন টি শরীরের টক্সিন দূর করেও হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

Weight loss Tips: পুদিনা চা

পুদিনা শুধু সুগন্ধি নয়, এটি আপনার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে খুবই কার্যকর। পুদিনা পাতা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের আরাম দেয়, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতেও সহায়ক। ঘুমানোর আগে এক কাপ পুদিনা চা পান করলে এটি আপনার শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করবে এবং গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক হবে। পুদিনা চায়ের উষ্ণতা আপনাকে শিথিল করবে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করবে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা নিরাপদ, বন্ধুত্ব মজবুত করতে ভারতের এগিয়ে আসা উচিত: ফারুকী

মাস কয়েক আগের ঘটনা। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ চলছিল, আর সেই সময় তিনি ছিলেন শুধুই একজন ছবি প্রযোজক এবং পরিচালক। কিন্তু দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে তখনও তিনি নীরব থাকেননি। আর এখন, দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শপথ গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার তিনি প্রথমবার নিজের দেশের পরিস্থিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি একদিকে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, অন্যদিকে পড়শি দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

ফারুকী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধ্যায় শেষ।” এই পরিবর্তন বাস্তবতা ভারতকেও মেনে নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। ফারুকী লিখেছেন, “ভারতীয় বন্ধুদের বোঝা উচিত, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়ে তারা বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করেছে।”

এছাড়া, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও তিনি অভিযোগ করেছেন। তাঁর মতে, ভারতের সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফারুকীর মতে, “ভারতের উচিত ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়া।”

নিজের দেশের অবস্থান স্পষ্ট করার পর, ফারুকী আলোকপাত করেছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের হিন্দুরা সন্ত্রাসের শিকার। তবে ফারুকী এ নিয়ে একটি ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি।”

তাঁর মতে, সংখ্যালঘু হিন্দুরা যে ততটা খারাপ অবস্থায় নেই, সেটা অনেক ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। বিষয়টির প্রকৃত চিত্র সামনে আনতে ফারুকী সমস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আন্তর্জাতিক সাংবাদিকেরা এসে নিজেদের চোখে দেখে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরুন।”

পোস্টের শেষে ফারুকী একটি কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, “ভারত কীভাবে আশা করে যে, গণহত্যা, আর্থিক তছরুপ এবং হিংসা ছড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ এখনো ভালবাসবে?” ফারুকীর বিস্ময় এখানেই থেমে থাকেনি। তিনি তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, “যদি তাই হয়, তবে ভারত কি জার্মানিকেও হিটলারের মতো একনায়কের পক্ষ নিতে বলবে?”

Pushpa 2 Stampede: অল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা, হায়দরাবাদে প্রিমিয়ারে দুর্ঘটনার জেরে বিতর্ক তুঙ্গে!

Pushpa 2 Stampede: দক্ষিণী সুপারস্টার অল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। অভিনেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টিম এবং সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে, যেখানে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশের অভিযোগ, অল্লু অর্জুনের টিম এবং প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেনি। যার ফলে প্রিমিয়ারের দিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। এই অনিয়মের জেরে প্রেক্ষাগৃহে ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

হায়দরাবাদ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অক্ষাংশ যাদব জানিয়েছেন, অভিনেতা অল্লু অর্জুন, তাঁর নিরাপত্তা টিম এবং সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫ এবং ১১৮(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে।

মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিক্কাদপল্লী থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডিসিপি অক্ষাংশ যাদব বলেন, “এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং যারা দায়ী তাদের শাস্তি পেতে হবে।”

পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অল্লু অর্জুনের টিম কিংবা সন্ধ্যা থিয়েটারের কর্তৃপক্ষ, কারও তরফ থেকেই পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়নি। কোথায় এবং কখন ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ার হবে, তা নিয়ে আগে থেকে কোনো বার্তা পাননি তাঁরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা অল্লু সন্ধ্যা থিয়েটারে পৌঁছে যান।

সেই সময় থিয়েটারের সামনে এমনিতেই প্রচুর ভিড় ছিল। অভিনেতার উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দর্শকদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে ৩৫ বছরের এম. রেবতী এবং তাঁর নয় বছরের পুত্র গুরুতর আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক রেবতীকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির অবস্থাও এখনও আশঙ্কাজনক।

Post Office FD VS PPF: কোনটি বেশি লাভজনক? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন সঠিক তথ্য

Post Office FD VS PPF: বর্তমান সময়ে টাকা সঞ্চয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিস একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে। পোস্ট অফিসে একাধিক স্কিম উপলব্ধ, যেগুলি সাধারণ জনগণকে সঞ্চয়ের পাশাপাশি ভালো রিটার্নের সুযোগ দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি স্কিম হলো পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)। তবে অনেকেই এই দুটি স্কিমের মধ্যে কোনটি সঠিক তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের মধ্যে খুঁটিনাটি পার্থক্য তুলে ধরব। আপনাকে আপনার বিনিয়োগের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

পোষ্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট (Post Office Fixed Deposit) Post Office FD VS PPF

পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট (FD) সাধারণত ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই, তবে এটি সরকারের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় আরও নিরাপদ। পোস্ট অফিসে আপনি ন্যূনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারেন।

পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার (২০২৪)

বিনিয়োগের সময়কালসুদের হার (%)
১ বছর৬.৯০%
২ বছর৭.০০%
৩ বছর৭.১০%
৫ বছর৭.৫০%

পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত একটি ডিটেলস প্রতিবেদন আমাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটের সুবিধা অসুবিধা সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন তাই ওই প্রতিবেদনটি অবশ্যই দেখবেন।

পোষ্ট অফিস পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Post Office PPF)

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) ভারত সরকার পরিচালিত একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। এটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের জন্য আদর্শ এবং সরকারের ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে আসে। আপনি পোস্ট অফিস বা ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে PPF-এ সুদের হার ৭.১০ শতাংশ, যা সঞ্চয়ের উপর একটি ভালো রিটার্ন নিশ্চিত করে। আপনি বছরে ন্যূনতম ₹৫০০ এবং সর্বোচ্চ ₹১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পের একটি বড় সুবিধা হলো, এটি ট্যাক্স সেভিংয়ের সুযোগ দেয়, অর্থাৎ, আপনি আয়কর আইন ৮০সি এর আওতায় কর ছাড় পেতে পারেন।

বিনিয়োগের নিয়ম: পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম একদম সোজা—আপনাকে পুরো টাকাটি একবারেই জমা করতে হবে। এরপর সেই জমাকৃত টাকার উপর আপনি নির্দিষ্ট সুদের হার অনুযায়ী রিটার্ন পেতে থাকবেন।

অন্যদিকে, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) আরও একটু ফ্লেক্সিবল। এখানে আপনি প্রতি বছর ন্যূনতম ₹৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ₹১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এই টাকা আপনি একবারে না জমিয়ে সর্বোচ্চ ১২টি কিস্তিতে ধাপে ধাপে জমা করতে পারবেন।

সুদের হার: পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটে আপনি ১ থেকে ৫ বছরের মেয়াদে সুদের হার পাবেন ৬.৯০% থেকে ৭.৫০% পর্যন্ত। সুদের হার নির্ভর করবে আপনি কোন মেয়াদে বিনিয়োগ করছেন তার উপর।

অন্যদিকে, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৭.১০%। যদিও এটা ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে কিছুটা কম, তবে এখানে চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা পাওয়া যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে আরও ভালো রিটার্ন দিতে পারে।

সুদ গণনা: পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটে আপনি সরল সুদ অনুযায়ী সুদ পাবেন, অর্থাৎ আপনার মূল টাকার উপর নির্দিষ্ট সুদ হিসেব করা হবে, কিন্তু সুদের উপর আর সুদ পাবেন না।

তবে, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) এর ক্ষেত্রে চক্রবৃদ্ধি সুদ প্রযোজ্য, অর্থাৎ আপনি আপনার মূল টাকার পাশাপাশি, প্রতি বছর জমাকৃত সুদের উপরও সুদ পাবেন। এই চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে আরও বেশি রিটার্ন এনে দিতে পারে।

প্রিম্যাচিউর ক্লোজ: পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটে আপনি প্রথম ৬ মাসের মধ্যে টাকা তুলতে পারবেন না। তবে, ৬ মাস পর আপনি টাকা তুলে নিতে চাইলে কিছু চার্জ কাটা হতে পারে, যা আপনার আংশিক রিটার্নে প্রভাব ফেলবে।

অন্যদিকে, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)-এ আপনি ৫ বছর পর থেকে আংশিক টাকা তুলে নিতে পারবেন। আর পুরো টাকা তুলতে হলে ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হতে হবে। তাই যদি আপনি কোনও জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলে নিতে চান, PPF-এ কিছুটা ফ্লেক্সিবিলিটি পাবেন, তবে পুরো টাকা তোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

Bangla Shasya Bima: বাংলা শস্য বীমা লিস্ট, টাকা কবে আসবে এবং স্ট্যাটাস চেক করুন

Bangla Shasya Bima: রাজ্যের কৃষকদের জন্য বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্প নিয়ে একটি বড় আপডেট এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে, যার মধ্যে কিছু প্রকল্পে সরাসরি অর্থ সাহায্য পাওয়া যায়, আবার কিছু প্রকল্পে অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার (PM Kisan Yojana) মতোই, বাংলা শস্য বীমাও কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

বাংলা শস্য বীমা টাকা কবে দেবে? (Bangla Shasya Bima)

সম্প্রতি, বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকদের একাউন্টে ফের টাকা পাঠাতে শুরু করেছে। যেসব কৃষক নিজেদের ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা এবার সেই টাকা পাবেন। আপনি কি এখনও আপনার টাকা পেতে পেরেছেন? চিন্তা নেই, সহজেই চেক করে দেখতে পারেন আপনার স্ট্যাটাস! জেনে নিন কিভাবে আপনার শস্য বীমার স্ট্যাটাস চেক করবেন।

শস্য বীমা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, খরা, বা ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টে ক্ষতিপূরণের অর্থ পান। এর ফলে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পান এবং সহজেই পুনরায় তাদের চাষবাস শুরু করতে সক্ষম হন। এটি তাদের জন্য এক ধরনের আর্থিক সুরক্ষা, যাতে তারা ফসলের ক্ষতির পরেও তাদের জীবিকা চালিয়ে যেতে পারেন।

বাংলা শস্য বীমা লিস্ট 2024

কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান করা হয়, যাতে তারা সহজে ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে পারেন। তবে, এটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট মরশুমে বীমার জন্য আবেদন করলে সম্ভব হয়। ফসলের ক্ষতির পর কৃষকরা দ্রুত আর্থিক সহায়তা পান, যা তাদের পুনরায় চাষাবাদ শুরু করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, পিএম কিষান যোজনার (PM Kisan Yojana) মতো রাজ্য সরকারও দেশের ও রাজ্যের কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা প্রদান করে, যাতে তারা তাদের কৃষিকাজে আরও সহায়তা পায় এবং আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারেন।

২০২৪ সালের খরিফ মরশুমে ক্ষতিপূরণ বিতরণ শুরু হয়ে গেছে। যারা প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁদের ধানের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা সরাসরি এই অর্থ পাবেন। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলা এই শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় এসেছে, তবে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলির কৃষকরাই এই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে কৃষকরা দ্রুত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন, যাতে তারা আবারো চাষাবাদ শুরু করতে পারেন এবং তাদের জীবিকা চালিয়ে যেতে পারেন।

বাংলা শস্য বীমা স্ট্যাটাস চেক

রাজ্য সরকারের শস্য বীমা প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করতে চাইলে, প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করুন। এরপর Farmer ID বা ভোটার কার্ড নম্বর এন্ট্রি করুন এবং সার্চ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার সামনে তিনটি ধরনের তথ্য আসবে:

  1. Claim Details – অর্থ নির্দিষ্ট অঙ্কের জন্য প্রস্তুত, অর্থাৎ আপনি পেতে যাচ্ছেন।
  2. Claims Under Process – অর্থ প্রক্রিয়াধীন, অর্থাৎ কিছু সময়ের মধ্যে আপনার একাউন্টে চলে আসবে।
  3. Claim Not Reported Yet – আবেদন গ্রহণ হয়নি বা আপনি প্রকল্পের জন্য যোগ্য নন।

কলকাতা মেট্রোয় কর্মখালি: নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি

কর্মখালি: যাঁরা নতুন চাকরি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এলো এক দারুণ সুযোগ! এবার কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (Kolkata Metro Rail Corporation Ltd.) একাধিক পদে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছে। আপনি যদি কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে এই সুযোগ একদমই হাতছাড়া করবেন না। কীভাবে আবেদন করবেন, কোন কোন পদে নিয়োগ হবে, এবং যোগ্যতার শর্তগুলি—এই সব তথ্য পেতে আজকের এই প্রতিবেদনটি একেবারেই আপনার জন্য।

নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি মেট্রোর

কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (KMRC)-এর তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল) পদের জন্য ২ জন প্রার্থী নিয়োগ করা হবে। এই পদের জন্য আবেদন করতে চাইলে অবশ্যই আইআরএসই (IRSE) অফিসার হতে হবে। উল্লিখিত পদগুলি ডেপুটেশনের ভিত্তিতে পূরণ করা হবে, তাই যারা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন্ন, শুধুমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল) পদে আবেদন করতে আগ্রহী হন, তাহলে আগে দেখে নিন আপনার যোগ্যতা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্তগুলির সঙ্গে মানানসই কিনা।

নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি যোগ্যতা(কর্মখালি)

যাঁরা কেন্দ্রীয়, রেল, বা রাজ্য সরকারের মন্ত্রক/বিভাগ/পাবলিক সেক্টরে কর্মরত, এবং গ্রেড এসএ-তে কাজ করছেন, তাঁরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, প্রার্থীর অবশ্যই গ্রুপ “এ” পদে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নিয়োগের জরুরি নথি

প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইমেল এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি, কাজের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ যেমন প্রতিষ্ঠান, পদ, দায়িত্ব এবং বেতনও উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, আবেদনপত্রের সঙ্গে থাকতে হবে একটি এনওসি (No Objection Certificate) এবং দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এই সমস্ত নথি একটি সিল করা খামের মধ্যে সংযুক্ত করে রেলওয়ে বোর্ডের যুগ্মসচিব (ডেপুটেশন) এর কাছে পাঠাতে হবে।

আবেদন কি করে করবেন

আবেদন প্রক্রিয়াবিস্তারিত তথ্য
আবেদন করার মাধ্যমhttps://www.kmrc.in/
আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রয়োজনীয় নথিব্যক্তিগত বিবরণ, কাজের অভিজ্ঞতা, এনওসি, পাসপোর্ট সাইজ ছবি
নির্দেশনাওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করুন এবং সময়মতো আবেদন করুন।

সম্পত্তির লোভে সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা! মা ও সৎ বাবাকে আটক, তদন্তে চাকদহ থানার পুলিশ

একটি চমকে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শিমুরালি চৌরাস্তা মোড়ে, সম্পত্তির লোভে সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা! যেখানে স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি পুত্রের নামে থাকার পর সেই সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য নিজের ছেলেকেই অপহরণের চেষ্টা করলেন এক মা। অভিযোগ, মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এবং শ্বশুরের সহায়তায় তিনি ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন। মঙ্গলবার, এই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে সাদা গাড়ি করে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ছেলেটি চিৎকার করলে আশপাশের স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং গাড়িটিকে আটকে রেখে চাকদহ থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অঙ্কুশ বিশ্বাস হলেন রাউতাড়ি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। কয়েক বছর আগে অঙ্কুশের বাবা অমিয় বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর আগে অমিয় বিশ্বাস নিজের নাবালক পুত্রের নামে সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন। অঙ্কুশের মা তাকে শিমুরালি পঞ্চায়েতের তেলেপুকুর এলাকায় বাপের বাড়িতে রেখে দমদমের এক বাসিন্দাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। ফলে অঙ্কুশ বর্তমানে তার দাদু ও দিদার কাছে থাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্কুলের পরীক্ষার শেষে এক বন্ধুর মায়ের সঙ্গে চাঁদুড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সৎসঙ্গ এলাকার বাড়িতে ফিরছিল অঙ্কুশ। সেই সময় তারা একটি খাবারের দোকানে দাঁড়ালে, হঠাৎ করে একটি ‘পুলিশের স্টিকার’ লাগানো সাদা গাড়ি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির লোকজন জোরপূর্বক অঙ্কুশ এবং তার বন্ধুর মাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু অঙ্কুশ চিৎকার করতে শুরু করে। অঙ্কুশের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং গাড়িটিকে আটক করেন। পরে, চাকদহ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, এবং অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।

ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এবং এখন বড় প্রশ্ন উঠছে—কেন এই অপহরণের চেষ্টা? এর মধ্যে অঙ্কুশের পরিবার থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উঠে এসেছে। অঙ্কুশের মা বলেন, “আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যেতে পারব না?” তার এই মন্তব্য প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে, কারণ আদালত থেকে জানা যায়, অঙ্কুশের দাদু বলছেন, “নাতিকে আমার কাছে রাখার আইনি অধিকার রয়েছে। আদালত থেকে সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে।” অঙ্কুশ নিজে জানায়, “বাবার টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল আমার মা, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও শ্বশুর।”

নেশা ছাড়াতে জানলায় বেঁধে নগ্ন করে মারধর! বারুইপুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে পুলিশের হানা

নেশা ছাড়াতে জানলায় বেঁধে নগ্ন করে মারধর! নেশামুক্তি কেন্দ্রে রোগীর উপর অমানবিক আচরণের অভিযোগ আবার সামনে এল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এক কেন্দ্রে ১৪ বছরের এক নাবালককে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ, নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন নাবালককে জানলায় গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হয় এবং তার পরনের পোশাক খুলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে নাবালক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর আগে একই এলাকার আরেকটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে রোগীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। বুধবারের ঘটনায় পুলিশের তরফে ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারুইপুর থানার পুলিশ নেশামুক্তি কেন্দ্রটি আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের হাতে একটি ভিডিয়ো আসে, যেখানে এক নাবালককে নির্যাতনের দৃশ্য ধরা পড়ে। ওই ভিডিয়ো দেখে সংশ্লিষ্ট নেশামুক্তি কেন্দ্রটি চিহ্নিত করে বারুইপুর থানার পুলিশ। দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে নাবালককে উদ্ধার করা হয় এবং তাকে অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

বারুইপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় থাকা নেশামুক্তি কেন্দ্রেই ঘটেছে এই অমানবিক ঘটনা। অভিযুক্ত পার্থ চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ মাস ধরে কেন্দ্রটি চালু ছিল। আর যে নাবালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাকে মাত্র ২৬ দিন আগে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল।

নেশামুক্তি কেন্দ্রটি একটি ভাড়া বাড়িতে চলত। সেই বাড়ির মালিক শিবুপ্রসাদ সাহা জানান, ‘‘১১ মাস আগে পার্থ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। তখন জানতে পারি তাঁরা নেশামুক্তি কেন্দ্র চালাবেন। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম, সেখানে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী আমি ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছি এবং থানায় যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কেন্দ্রের কার্যকলাপ নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল, তবে এত বড় ঘটনার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

Salman Khan: শুটিংয়ের সেটে ঢুকে হুমকি, অভিযোগে লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠীর নাম আবার শিরোনামে

Salman Khan: বলিউডের ভাইজান সলমন খানকে ফের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তবে এইবার হুমকি দেওয়ার ধরন একেবারেই অন্যরকম। টেলিফোন বা সামাজিক মাধ্যমে নয়, সরাসরি শুটিং সেটে ঢুকে হুমকি দেওয়া হয়েছে!

বুধবার রাতে মুম্বইয়ের দাদর এলাকায় সলমন খানের শুটিং সেটে ঘটে গেল এক অবাঞ্ছিত ঘটনা। শুটিং চলাকালীন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হঠাৎ করেই সেটে ঢুকে পড়েন। সেই সময় সলমন নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেটের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তিনি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের নাম করে হুমকি দেন। নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আটক করেন। পরে শিবাজি পার্ক থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায়। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠীর নাম। লরেন্স বর্তমানে গুজরাতের জেলে বন্দি। তবে অভিযোগ, তাঁর ভাই আনমোল বিশ্নোই, যিনি বিদেশে অবস্থান করছেন, সেখান থেকেই এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। এনআইএ ইতিমধ্যেই আনমোলের মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লক্ষ টাকা। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, সিদ্দিকি হত্যার পর থেকেই সলমন খানকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কখনও পাঁচ কোটি, কখনও দুই কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

সলমনের উপর বিশ্নোই গোষ্ঠীর ক্ষোভের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার এবং চিঙ্কারা হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠী বলিউড সুপারস্টারকে হুমকি দিয়ে আসছে। বিশ্নোই সম্প্রদায়ের দাবি, এই ঘটনার জন্য সলমনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে সলমন সেই দাবি উপেক্ষা করেছেন, যা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সময়ের সঙ্গে এই রাগ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, তা এখন সরাসরি হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সলমনের বিরুদ্ধে সরাসরি শুটিং সেটে হুমকি দেওয়ার ঘটনা বলিউডে এবং নিরাপত্তা মহলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

Griha Lakshmi Yojana 2024: রাজ্যের মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ₹2000, জানুন আবেদন প্রক্রিয়া

Griha Lakshmi Yojana 2024: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে এবার কেন্দ্র সরকারের নতুন প্রকল্প “গৃহলক্ষ্মী যোজনা” (Griha Lakshmi Yojana) চালু হলো। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ₹2000 ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে এই প্রকল্পে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছেন বহু মহিলা। সাধারণ মহিলাদের ভাতা ₹1000 থেকে বেড়ে ₹1500 এবং তফশীল মহিলাদের ভাতা ₹1200 থেকে ₹2000 হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।

Griha Lakshmi Yojana application status check

মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আরও একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ বা তফশীল যেকোনো শ্রেণির মহিলারা প্রত্যেকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ডিসেম্বর মাস থেকেই এই অর্থ সরাসরি মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সঙ্গে এই ভাতার কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ অন্য একটি প্রকল্প। কি প্রকল্প? কাদের জন্য? কিভাবে আবেদন করতে হবে? জেনে নিন বিস্তারিত নিচে।

গৃহলক্ষ্মী যোজনা (Griha Lakshmi Yojana 2024)

কর্ণাটক রাজ্য সরকার সম্প্রতি সেখানকার মহিলাদের জন্য চালু করেছে নতুন ‘গৃহলক্ষী যোজনা’। যার মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যের গৃহিণীদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। প্রায়শই নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারা অর্থনৈতিক চাপের কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হন। এই প্রকল্প তাদের জন্য স্বস্তির বাতাস নিয়ে এসেছে। প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার মাধ্যমে মহিলারা তাদের পরিবারের বিভিন্ন খরচ মেটাতে পারবেন এবং আর্থিক দিক থেকেও স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন।

কাদের জন্য এই প্রকল্প?

গৃহলক্ষ্মী যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

  1. আবেদনকারীকে অবশ্যই কর্ণাটক রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  2. আবেদনকারীকে APL (Above Poverty Line) অথবা BPL (Below Poverty Line) পরিবারের অন্তর্গত হতে হবে।
  3. শুধুমাত্র গৃহিণী বা মহিলারাই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিভাবে আবেদন করবেন?

Gruha Lakshmi Scheme প্রকল্পের সুবিধা পেতে আগ্রহী মহিলারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ।

  1. প্রথমে প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  2. ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  3. সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন পরিচয়পত্র, ব্যাংক ডিটেলস ইত্যাদি আপলোড করতে হবে।
  4. আবেদন ফর্ম সাবমিট করার পর এটি যাচাই করা হবে।
  5. আবেদন অনুমোদিত হলে DBT (Direct Benefit Transfer) এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

কতটা উপকার হবে মহিলাদের?

গৃহলক্ষ্মী যোজনা (Griha Lakshmi Yojana) কর্ণাটকের মহিলাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষত, যারা নিম্নবিত্ত বা দুস্থ পরিবার থেকে আসেন, তাদের জন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত সহায়ক। এটি তাদের সংসার চালাতে এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে।