বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 117

IPL’ই খেলবে: ইংল্যান্ডে পাকিস্তান সুপার লিগে দেশের ক্রিকেটারদের যাওয়া নিষিদ্ধ

JKNEWS24: ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এমন সময়, তাদের জন্য আরো এক বিপর্যয়ের খবর এসে পৌঁছেছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB) তাদের দেশের ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এ খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আইপিএলের অনুকরণে পাকিস্তানে আয়োজন করা T20 লিগ, যেখানে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করতেন। ECB’র এই নিষেধাজ্ঞার ফলে, পাকিস্তানে আর কোনো ইংল্যান্ড ক্রিকেটার PSL-এ খেলতে পারবেন না।

পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার পেছনে আসল কারণটি হলো ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ। PSL-এর সময় ইংল্যান্ডে চলে ঘরোয়া লিগ, আর অনেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা সেই সময় পাকিস্তানে গিয়ে T20 লিগে অংশ নেন। এর ফলে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, কারণ দেশের ক্রিকেটাররা তখন দেশের লিগে খেলা থেকে বিরত থাকেন।

এমন পরিস্থিতিতে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB) তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সুরক্ষা এবং মান বজায় রাখতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই পদক্ষেপের ফলে, পাকিস্তান সুপার লিগের জৌলুস এবং জনপ্রিয়তায় বেশি প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আইপিএলে খেলতে পারবেন ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা

ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয়, তা সবারই জানা। তবে, ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তেমন খারাপ নয়। সুতরাং, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB)-এর পাকিস্তান সুপার লিগে ইংলিশ প্লেয়ারদের খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কিছুটা চমক সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা ফাটল ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে, শুধু পাকিস্তান নয়, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগের সময় কোনো বিদেশি প্লেয়ারকেই অন্য দেশের লিগে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয় না। একমাত্র আইপিএল এর জন্য এই নিয়মে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে, কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম বড় এবং প্রভাবশালী টি২০ লিগ।

পাকিস্তান এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজেদের দেশে আয়োজন করার জন্য তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তবে নানা সমস্যা যেন তাকে থামাতে চায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভারতের অংশগ্রহণ—ভারত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। আর ভারতের না যাওয়ার কারণে, ICC পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলে ট্রফি আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) এতে একেবারেই রাজি হয়নি।

এদিকে, ICC স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারত ছাড়া কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফির আয়োজন সম্ভব নয়, যা পাকিস্তানের জন্য বড় আঘাত। তাই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবার পাকিস্তানে হবে কি না, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এমন অবস্থায়, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB) এর নিষেধাজ্ঞা, যেখানে তারা পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এ ইংল্যান্ডের প্লেয়ারদের খেলার অনুমতি দেয়নি, পাকিস্তান বোর্ডের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সব পরিস্থিতি মিলে পাকিস্তান ক্রিকেটের সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়ে আছে।

কাঠবাদাম কিভাবে খাবো 2024: সুস্থ্য উপকারিতা এবং ব্যবহার পদ্ধতি

“কাঠবাদাম কিভাবে খাবো” এটা ভাবছেন, তবে আসুন জেনে নেবো কাঠবাদাম কী ভাবে খেলে বেশি উপকার মিলবে?খোসা-সহ না কি খোসা ছাড়া খাবেন !

কাঠবাদাম কিভাবে খাবো?

কাঠবাদামের অনেক গুণ। ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বাদাম রোজের খাদ্য তালিকায় রাখেন অনেকে। সকালের নাস্তায় কাঠবাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পানিতে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম খেলে সর্বোচ্চ পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান মেলে। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদামসহ সব ধরনের বাদামে অনেক উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য উপকারী।

তবে অনেকেই আছে কাঠবাদামের খোসা খেতে পছন্দ করেন না। রান্নাতেও অনেক সময় খোসা ছাড়ানো কাঠবাদামই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শরীরের জন্য কোনটি উপকারী তা কি জানেন?

খোসা-সহ কাঠবাদাম খেলে কী হবে?

কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে সাহায্য করে উপাদানটি। এ ছাড়া কাঠবাদামের খোসায় পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটিও রয়েছে প্রচুর। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

খোসা ছাড়া কাঠবাদাম খেলেই বা কী হবে?

খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম যেমন খেতে সুবিধা হয়, তেমন হজম করাও সহজ। কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ সবচে বেশি। যার কারনে ফাইবার বেশি খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খেতে পছন্দ করেন অনেকে।

ভোজানো কাঠবাদাম খেলে কী হয়?

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সত্যিই ওজন কমাতে উপকারী। কাঠবাদামে এই দু’টি উপাদানই আছে। কাঠবাদাম খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। বারবার খাবার খেতে ইচ্ছা করে না। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না।
  • হার্ট ভালো থাকেঃ বিভিন্ন কারণে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হৃদরোগ ঝুঁকি এড়াতে কাঠবাদাম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগ আক্রান্ত্য রোগীদের বেশি করে কাঠবাদাম খেতে বলেছে।

    এই বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। কোলেস্টেরল কম থাকলে হার্টও ভালো থাকে।

  • ত্বক ভালো রাখেঃ কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন আপনার ত্বকে ভেতর থেকে ঝলমলে রাখে। ত্বকের মসৃণ রাখতেও কাঠবাদাম উপকারী।

কাঠবাদাম স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • বাদাম হৃদপিণ্ড ও রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়
  • হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • চোখ, ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য  করে
  • হজম প্রক্রিয়া মজবুত করে
  • মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়  
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  •  ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

কাঠ বাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়?

কাঠ বাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়? কাঠবাদামে রয়েছে পচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন-ই। কাঠ বাদাম খেলে হজমের গোলমাল কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইবার থাকা সত্ত্বেও বেশি কাঠবাদাম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের এসব সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হতে পারে।

খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চিকিৎসকরা বলেন, এক বাটি পানিতে অল্প সমপরিমান কাঠবাদাম রাতভর ভিজিয়ে রাখেন। সকালে ভিজা কাঠ বাদামটি খালি পেটে খাবেন। রোজ সকালে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খেলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খোসা ছাড়ানো অবস্থায় খেলে কাঠবাদাম অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।ভেজানো আমন্ডে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ শরীরের ফোলাভাব কমায় ও অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে।

কী পরিমাণে বাদাম খেতে পারবেন

কাঠ বাদামে ৮০শতাংশ চর্বি আছে। চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে। প্রতিদিন ৫-১০টা কাঠ বাদাম খেতে পারেন।

Healthy Lifestyle Bangla: স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়!

Healthy Lifestyle Bangla:শরীর চর্চাকে যেমন অনেকে বিশেষ ‍গুরুত্ব দেন, ঠীক তেমুন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ব্যায়ামের মত নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

শরীরে অসুখ বাঁধলে যত সহজে আমরা ধরে ফেলি , অন্য দিকে মানসিক অসুখ ততটাই আড়ালে থেকে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা জীবন ও জীবিকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি চাপহীন ও রোগহীন সুখী জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প আর কিছু নেই।

জিনগত দিক থেকে কোনো কোনো সময়ই আমরা দেখে থাকি মানসিক সমস্যা। আবার অন্য দিকে জীবন যাপনে চাপ, ঘুম, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত আলো ও যত্নের অভাব কারণে মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। আপনি হয়তো ভাবছেন নিয়মিত যোগব্যায়াম করে, হাঁটাহাঁটি করে, খাদ্য তালিকার শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা করবেন। কিন্তু যদি হঠাৎ বলা হয় যে, কষ্ট করে অতো কিছু করার দরকার নেই বরং একটা মাত্র কাজ করলেই চলবে। তাহলে আপনি কী করবেন?

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়(Healthy Lifestyle Bangla)

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়: আজে আমরা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলি জেনে নেবো। মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাধারণত আমরা শরীরের অসুখ টের পেলেও নিজের মনের অসুখ টের পাই না। এ কারণে অনেকেই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পরি, এজন্য ফিট ও সুস্থ থাকতে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে এই সময়ই আভাব। এ কারণেই মানুষের মধ্যে চাপ ও উদ্বেগ বাড়ছে।

দীর্ঘদিন এভাবে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকেয়েট্রিতে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি পেপার অন মেন্টাল হেলথ-বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৮.৭ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, মহামারি করোনার কারণে এই মানসিক রোগের ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না বাঁধে সেদিকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ উপায় মেনে চলুন-

  1. রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
  2. পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
  3. অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে
  4. শরীরচর্চা আবশ্যক

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি কি করা উচিত?

  • ১. সঠিক সময় সঠিক খাবার খাওয়া
  • ২. সবজি ও ফলমূল খাওয়া৩. প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করুন
  • ৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম করুন
  • ৫. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
  • ৬. প্রতিদিন পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ করুন
  • ৭. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়মিত চেকআপ করুন
  • 8. সারাদিনে অন্তত পাঁচটি সবজি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হোলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি আপনি শরীরচর্চা করবেন, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোও বেড়ে যাবে। যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে শরীরচর্চার না করলে মেজাজ খারাপ হতে পারে।
যার কারণে, চাপ, ক্লান্তি ও অলসতা বোধ করতে পারেন। তাই শরীর ও মন দু’টোই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও কায়িক পরিশ্রম করেও সুস্থ থাকতে পারবেন।

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত কি করা দরকার?

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত কিছু অভ্যাস তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো যা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে:

1.সুষম খাদ্য গ্রহণ: প্রতিদিন সুষম খাদ্য আহার করুণ। যেমণ প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত খাদ্য রাখুন। অন্যদিকে সবজি, ফল, গোটা শস্য, মাছ, মাংস ও দুধ জাতীয় খাবার খান।

2.নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। বেশী করে হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম, ইত্যাদি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

3. প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন: দিনে কম করে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং কীডণী পড়োব্লেম থেকে দূরে রাখে।

4. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের কারণে  শরীর ও মন  দুটোই ভালো থাকে। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিকগুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে।

5. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: আপনার যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তা-ই করুন। আপনার যদি ঘুরতে যেতে, শপিং করতে কিংবা ছবি আঁকতে ভালো লাগে তাহলে তা-ই করুন।

6. পর্যাপ্ত বিশ্রাম: কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট বিরতি নিন। টানা এক ভাবে কাজ করলে শরীর ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

7. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন: পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। সুস্থ মানসিক অবস্থার জন্য সামাজিক সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অন্যদের সঙ্গে মাত্র ১০ মিনিট কথা বলা স্মৃতিশক্তি ও পরীক্ষার স্কোর উন্নত করতে পারে! তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান ও মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন।

8. মেডিকেল চেকআপ: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে এটি সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

9. অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার করুন: ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যহানিকর হতে পারে। এগুলো থেকে দূরে থাকুন। অনেকেই হতাশ হয়ে ধূমপান ও মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে জানেন কি, এগুলো হতাশা কাটায় না বরং শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরে থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

10. সঠিক ওজন বজায় রাখা: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এবং হৃদরোগ।

এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনি সুস্থ ও সুখী জীবনযাপন করতে পারবেন।

  1. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কাকে বলে

    শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় একজন মানুষের শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা, যেখানে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে এবং কোনো গুরুতর রোগ বা শারীরিক সমস্যা নেই। শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং সঠিক জীবনযাত্রার অভ্যাস।
    মানসিক স্বাস্থ্য হলো মনের সুস্থতা, যা আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, এবং আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ জীবনের চাপ সামলাতে, সম্পর্ক বজায় রাখতে, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হয়। এটি শুধু মানসিক রোগমুক্ত থাকা নয়, বরং আবেগ এবং মানসিক চাহিদা সামলানোর দক্ষতাকেও নির্দেশ করে।

  2. শারীরিক স্বাস্থ্য কি কি

    শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা এবং কার্যক্ষমতা। এটি নিশ্চিত করে যে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে এবং কোনো রোগ বা শারীরিক অসুবিধা নেই।

  3. স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলতে কি বুঝায়

    স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যকে সুস্থ, নিরাপদ এবং কার্যকর অবস্থায় রাখার জন্য নেওয়া পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টা। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার উপর জোর দেওয়া হয়।

Worst Time to Take a Bath: স্নানের সেরা সময় কখন? আসুন জেনে নেওয়া যাক?

স্নানের সেরা সময় কখন?: শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে নিয়মিত স্নানের বিকল্প নেই। স্নান করলে শুধু রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় না বরং শরীর ও মনকে আরও বেশি ভাল ও ফুরফুরে করে তোলে। আপনি ভাবছেন স্নান না করলে কি হবে? আপনি স্নান না করলে শরীরের গন্ধ বাড়তে পারে এবং ত্বক কালো ও বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। একমাস স্নান না করলে কী হবে-শরীরে ব্যাকটেরিয়া, তেল, ঘাম এবং ত্বকের মৃত কোষের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটবে। ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ এবং ত্বক সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা দেখা দেবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসবে বেশি স্নান করলে কি হয়? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বার বার স্নান করলে ত্বক বেশি মাত্রায় আর্দ্র হয়ে পরে। ত্বকের নিজস্ব তৈলাক্ত ভাব শুকিয়ে যায়। এর ফলে শুষ্ক ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে সাহায্য করে দ্রুত।

স্নানের সেরা সময় কখন?

কোন সময় স্নান করা উচিত? আপনি কি সকালে স্নান করার সময় পান না? দিনের শেষে বাড়ি ফিরে ভাল করে সময় নিয়ে স্নান করাই আপনার অভ্যাস? নাকি সকালে স্নান না করে বাড়ি থেকে বেরনোর কথা ভাবতেই পারেন না? এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসবে স্নানের সেরা সময় কখন? বিকেলে স্নান করা উচিত কি না? সন্ধ্যায় স্নান করলে কী হয়?

শাস্ত্র অনুসারে স্নানের সেরা সময়, ভোর ৩.৩০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত এই টাইমে স্নানের জন্য ব্রাহ্ম মুহুর্ত জন্য খুব ভাল । তারপরে সকাল ৬ থেকে ৮ পর্যন্ত শিব মুহুর্ত বলা হয় । সকাল ৮ থেকে ১০ পর্যন্ত তারপর হরি মুহুর্ত স্থায়ী হয়। আপনি যদি এই সময়ে স্নান করেন তবে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

অনেকেই সারাদিনের ক্লান্তি ও ধুলাবালি থেকে মুক্তি পেতে রাতে স্নান করতে পছন্দ করেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে এই অভ্যাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর কিছু ক্ষতিকারক প্রভাবও রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী?

কখন গোসল করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসল সেরে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। আবার অনেকেই কাজ শেষে, বাইরে থেকে ফিরে সন্ধ্যা বা রাতে গোসল করতে বেশি পছন্দ করেন। প্রথম দল মনে করেন, সকালের গোসল শরীরকে সতেজ করে তোলে এবং সারা দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দল মনে করেন, দিন শেষে গোসল করলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় এবং ঘুমও ভালো হয়। এখানেই শেষ নয়, আরও একটি দল আছে, যারা সকালে এবং রাতে—দু’বার গোসল করতে পছন্দ করেন। এখন প্রশ্ন হলো, আসলে কোন সময় গোসল করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো?

সকালে স্নান করলে কি কি উপকার হয়?

ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক মোনা গোহরা জানাচ্ছেন, যদি আপনি খুব বেশি অগোছালো হন, তা হলে অবশ্যই সকালে স্নান করুন। স্নানের সেরা সময় ভোর ৩.৩০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত। কারণ সকালে স্নান করলে আপনার ত্বকের ফোলা ভাব কমাতে এবং ফুরফুরে দেখাতে সাহায্য করে। যদি কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তা হলেও সকালে স্নান করা উচিত।

সকালে স্নান করলে আপনাকে সারা দিনের কাজের জন্য সক্রিয় ও উদ্বুদ্ধ করবে। যদি সকালে ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস থাকে তা হলেও অবশ্যই ওয়ার্কআউটের পর স্নান করুন। শরীর থেকে যে ক্লেদ বেরোয় তা পরিষ্কার করে ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করবে স্নান।

রাতে স্নান করলে কি ক্ষতি হয়?

রাতে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারায় এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা। অর্থাৎ রাতে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, যা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়। রাতে স্নান করলে সর্দি-জ্বরের মতো সমস্যার পাশাপাশি এটি দেহের বিভিন্ন অঙ্গের উপরেও প্রভাব ফেলে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে স্নান করা এড়িয়ে চলা উচিত। রাতে স্নান করলে জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাবের সমস্যাও হতে পারে। অতএব, জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের  রাতে স্নান করা এড়িয়ে চলা উচিত।

ত্বকের ওপর সকালে বা রাতে গোসলের প্রভাব

সকালে বা রাতে—গোসল যেকোনো সময়েই করুন, এটি ত্বকের জন্য ভালো। কানাডার প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জুলিয়া ক্যারোল বলেন, দিনে কখন গোসল করলেন, তা ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর তেমন বড় প্রভাব ফেলে না। তবে গোসলের মূল কাজ হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা, তেল ও দূষণকারী পদার্থ দূর করা। সকালের গোসল শরীরকে সতেজ করে তুলতে পারে, তবে রাতের গোসল বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি সারা দিনের ধুলা-ময়লা ও জীবাণু শরীর থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে ত্বক থাকে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর।

ড. জুলিয়া বলেন, শুধু নিয়মিত গোসল করলেই হবে না, ত্বকের জন্য গোসলের পর সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজিং করাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ, যদি খুব গরম পানি দিয়ে গোসল করা হয়, তাহলে ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার নষ্ট হয়ে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এতে প্রদাহ বা অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই, দিনে যেকোনো সময় গোসল করুন না কেন, ফুটন্ত গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সুতরাং, আপনি সকাল বা রাতে যেকোনো সময় গোসল করতে পারেন—ব্যাপারটা মূলত আপনার অভ্যাস এবং প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য নিয়মিত গোসল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

Silent Heart Attack Symptoms in bangla: আচমকা কারও হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? জীবন বাঁচানোর সহজ 3 উপায় !

Silent Heart Attack Symptoms in bangla: হার্ট অ্যাটাক সম্ভাবনা উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, এবং উচ্চ কোলেস্টেরলসহ আরও অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। ধূমপান হৃদযন্ত্রের ধমনী এবং শিরাগুলিতে মারাত্মক ক্ষতি করে, সেটা আমরা সকলেই জানি। এ ছাড়া, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব কারণ ছাড়াও, আরও অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলির কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এইসব লক্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

Silent Heart Attack Symptoms in bangla

এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারণগুলো যেকোনো সময় গুরুতর রূপ নিতে পারে। এবং হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack )কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেক সময় আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না যে এসব ছোটো ছোটো সমস্যাগুলো কীভাবে আপনার জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব জরুরি।

Heart Attack পর শরীরে এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? হার্ট অ্যাটাক ঘটে যখন রক্ত ​​হার্টের পেশীর একটি অংশে পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত রক্ত ​​জমাট বাঁধতে শুরু করে। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। 

সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বুকের মাঝখানে চাপ, আঁটসাঁট, চেপে যাওয়া বা ভারী হওয়ার মতো অনুভব হতে পারে।
  • ব্যথা আনুভব (সাধারণত বাম হাত), ঘাড়, চোয়াল, কাঁধের ব্লেড, পিঠ বা পেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস সমেস্য। সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিন।
  • অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং ত্বক আঠালো হয়ে যাওয়া।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা বা মাথা ভারী লাগা।
  • খুব ক্লান্ত বোধ করা।

সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব জরুরি। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হার্ট অ্যাটাক মারা যাওয়া লোকদের পরিসংখ্যান

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে সিভিডির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১.৭৯ কোটি মানুষ। যার মধ্যে ৮৫ শতাংশই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণে প্রাণ হারিয়েছে। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’-এর জার্নালের তথ্য অনুসারে, ভারতে সিভিডির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৯০ সালে যেখানে ছিল ২২.৬ লাখ, তা ২০২০ সালে বেড়ে ৪৭.৭ লাখে পৌঁছেছে।

আচমকা কারও হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন?

আচমকা কারও হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

নাড়ি পরীক্ষা করুন:

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? যদি আপনি আপনার আশেপাশে কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে পান, তবে প্রথমে নাড়ি পরীক্ষা করুন। নাড়ি পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে ব্যক্তির কব্জি বা ঘাড়ে দুটি আঙুল রাখুন এবং স্পন্দনের রেট হছে কি সেটা অনুভব করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, ব্যক্তির বুকে আপনার কান রাখুন এবং হৃদস্পন্দন শুনুন। যদি আপনি হার্ট রেট স্পন্দন অনুভব করতে না পারেন বা মনে হয় ব্যক্তি শ্বাস নিচ্ছেন না, তাহলে অবিলম্বে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) শুরু করতে হবে।

স্পন্দন না পেলে, অবিলম্বে CPR শুরু করুন:

যদি ব্যক্তি শ্বাস নিচ্ছেন না বা কেবল হাঁপাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে CPR শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিআর হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং রক্ত ​​পাম্প করতে রেসকিউ করতে কাজ করে।

Brain Stroke Risk in bangla: ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, এই খাবারগুলি রাখুন তালিকায় !

Brain Stroke Risk in bangla: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতি বছর বিশ্বে দেড় কোটি মানুষ ব্রেন স্ট্রোকের (Brain Stroke) শিকার হন। যার মধ্যে ৫০ লক্ষ মানুষ মারা যান। অনেকের ক্ষেত্রে, অনেকেই কিন্তু ব্রেন স্ট্রোক থেকে পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যান। ব্রেন স্ট্রোক এমন একটি সমস্যা যা মস্তিষ্ক ও রক্তনালীকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে, এবং এতে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলত মস্তিষ্কের কোনও অংশে রক্ত না পৌঁছানোর কারণেই এমন সমস্যা শিকার হন ব্যক্তি। ব্রেন স্ট্রোক আধুনিক জীবনে মানুষের কাছে একটা অভিশাপের মতো।

ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে। তাই জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা এবং খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনাটা জরুরি। কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যা খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যায়। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কী কী খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি (Brain Stroke Risk) থেকে বাঁচতে কি খাবেন?

ব্রেন স্ট্রোক একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সাধারণত রক্তনালীর ব্লকেজ বা রক্তক্ষরণের কারণে ঘটে। এর ঝুঁকি কমাতে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্যকারী কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ দেওয়া হলো:

ব্রেন স্ট্রোকের (Brain Stroke) সবুজ শাকসবজি উপকার?

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে দৈনিক খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখাটা খুবই উপকারী। এগুলো ধমনীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং প্রচুর পরিমাণে আন্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় পালং শাক, মেথির শাক ইত্যাদি ইত্যাদি রাখুন।

লেবু জাতীয় ফলের উপকার?

যে কোনো সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই ফলগুলো ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং এতে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোজ লেবু, বাতাবি লেবু, মুসম্বি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডার্ক চকোলেট উপকার?

ডার্ক চকোলেট অনেকেই হয়তো পছন্দ করেন না, কারণ এর স্বাদ একটু তেতো হতে পারে। তবে এতে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা রক্তনালীর জন্য খুবই উপকারী এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এটি খুব একটা মিষ্টি নয়। তাই স্বাস্থ্যকর হিসেবেও অনেক বেশি কার্যকর।

শুঁটিজাতীয় ফলের উপকার?

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে মটরশুঁটি, ডালজাতীয় ফল। কারণ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া, এসব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই দেরি না করে আজ থেকেই এগুলো নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন।

Tea Drinking Best Rules: রোজ সকালে চা খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব! জানুন কীভাবে!

Tea Drinking Best Rules: প্রায় গোটা বিশ্বের মানুষের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। চা-প্রেমীরা দিনে অনেকবার চা পান করে থাকেন, কিন্তু অনেকেই মনে করেন সকালে চা খেলে ওজন বাড়ে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করলে তারা প্রথমেই চা খাওয়া বন্ধ করে দেন। তবে আপনি কি জানেন, নিয়মিত চা খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব! পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন জানিয়েছেন কীভাবে চা খেলে ওজন বাড়তে পারে, আবার সঠিক পদ্ধতিতে চা পান করলে ওজন কমানোও সম্ভব। কৌতূহল হচ্ছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে।

নিয়মিত চা খেলে কি ওজন বাড়ে?

চা নিজে থেকে একদমই ওজন বাড়ায় না, কারণ এটি কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয়। তবে চায়ের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত উপাদান যোগ করার জন্য ওজন বাড়তে পারে। তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত চা খেলে ওজন বাড়ায়:

ফুল ক্রিম দুধ: চায়ে ফুল ক্রিম দুধ যোগ করলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। দুধে থাকা চর্বি অতিরিক্ত ক্যালোরি যা ওজন বাড়ানোর কারণ হতে পারে। সাধারণত এক কাপ চায়ে ৩৩-৬৬ ক্যালোরি থাকে, যা দুধের ফ্যাটের উপর নির্ভর করে। তাই, ওজন কমাতে চাইলে ফুল ক্রিমের পরিবর্তে স্কিমড মিল্ক ব্যবহার করা ভালো।

চিনি: চায়ের সঙ্গে চিনি অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে। তাই চিনি ছাড়া বা কম চিনিযুক্ত চা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আবার সঠিক পদ্ধতিতে চা পান করলে ওজন কমানোও সম্ভব

অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: অনেক সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট বা ফ্রাইড স্ন্যাকস খাওয়া হয়, যা ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ। চা পান করার সময় হালকা স্বাস্থ্যকর বিকল্প যেমন বাদাম বা ফল খেলে এই সমস্যাও এড়ানো যায়।

চা পান করলে ওজন কমানোও সম্ভব?

হ্যাঁ, চা পান করেও ওজন কমানো সম্ভব, যদি সঠিকভাবে পান করা হয়। চা একটি কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয়, তাই এটি স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়ায় না। তবে চায়ে মেশানো দুধ ও চিনি ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। দুধের পরিবর্তে স্কিমড মিল্ক ব্যবহার করলে এবং চিনির পরিমাণ কমালে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় চা সহায়ক হতে পারে।

এছাড়া, গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই, নিয়মিত চা পান করেও সংযম ও সঠিক উপাদান ব্যবহারে ওজন কমানো সম্ভব।

ওজন কমাতের কীভাবে চা খাবেন? (Tea Drinking Best Rules:)

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংযম—অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। চা পান করলে ওজন কমানোও সম্ভব বিশেষ করে চা পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। অতিরিক্ত চা পান করলে শরীরে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর যৌগ বেশি মাত্রায় প্রবেশ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন দু’কাপের মধ্যে চা পান সীমাবদ্ধ রাখাই ভালো। এতে আপনি চায়ের স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন, আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত চা পানে শরীরের উপর চাপ পড়ে, তাই পরিমিত চা পান করাই স্বাস্থ্যকর।

চা ও অন্য খাবার খাওয়ার সময়ে ব্যবধান 

খাবারের আগে বা পরে চা পান করলে তা হজম প্রক্রিয়া এবং পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওজন কমানোর জন্য চা এবং খাবারের মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিটের ব্যবধান বজায় রাখা উচিত। এই সময়টি শরীরকে খাবার থেকে পুষ্টি শোষণ করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এই অভ্যাসটি আপনাকে আরও সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

ঘুমানোর আগে চায়ে ‘না’

ঘুমানোর ঠিক আগে চা পান করলে ঘুমের ধরণ এবং হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত জরুরি, কারণ ঘুমের সময় শরীরের হরমোনগুলো সঠিকভাবে কাজ করে, যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভুলেও চা পান করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার ঘুম এবং স্বাস্থ্য দুইই ভালো থাকবে!

Mobile Causes Brain Tumor: মোবাইল ফোন ডেকে আনছে ব্রেইন ক্যানসার? আসল সত্যিটা জানুন

Mobile Causes Brain Tumor: মোবাইল ফোন কি সত্যিই ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়? গবেষণায় ধরা পড়েছে, সাম্প্রতিক কালে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যানসার বাড়ায়নি। সেই অর্থে আলাদা করে কোনও প্রভাবই ফেলেনি।

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যানসার বা অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে—এই ধারণাটি অনেকের মনে ভয় ধরিয়েছিল। তবে, সেই আশঙ্কার অবসান ঘটিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা একটি বিস্তৃত গবেষণা চালিয়েছে, এবং ফলস্বরূপ জানা গেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যানসার বা মাথা ও গলার ক্যানসারের কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল(Mobile Phone) ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের ক্যানসার বাড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আসলে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে ক্যানসারের কোনো উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক নেই। এই গবেষণাপত্রটি ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা এই বিষয়ে নতুন করে নিশ্চিততা দিয়েছে।

এই গবেষণায় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল তাদের উপর, যাদের পেশাগত কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলতে হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৩টি গবেষণার রিপোর্ট একত্রিত করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষকদলে ছিল ১০টি দেশের ১১ জন বিশেষজ্ঞ, এবং অস্ট্রেলিয়ার ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অথরিটি’ও এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিল। এর মাধ্যমে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া গেছে।

গবেষক দলের একজন সদস্য, নিউ জিল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড’-এর ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মার্ক এলউড জানিয়েছেন, তারা নানা দিক খতিয়ে দেখেছেন এবং কোনো ক্ষেত্রেই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের নয়, ছোটদের শরীরেও মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। মস্তিষ্কের ক্যানসার, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড, স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ক্যানসার, অথবা লিউকেমিয়ার মতো কোনো ঝুঁকি নেই।

মোবাইল ফোন ডেকে আনছে ব্রেইন ক্যানসার? গবেষণায় যুক্ত দুই বিজ্ঞানী, সারা লোগার্ন ও কেন কারিপিডিস তাঁদের জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে লিখেছেন, ‘ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। মোবাইল ফোন খুব সামান্য মাত্রার রেডিয়ো তরঙ্গ বিকিরণ করে, যা একেবারেই বিপজ্জনক নয়। মানুষের শরীরস্বাস্থ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ার প্রশ্নই ওঠে না।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি গবেষণা চালিয়েছিল, যার রিপোর্টে বলা হয়েছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে সেই সময় আরও গবেষণার প্রয়োজন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন রিপোর্টটি আগের গবেষণার ফলাফলকে আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে।

Maruti Suzuki Alto in bangla: নতুন মডেলে দুর্দান্ত মাইলেজ ও উন্নত ফিচার, দাম মাত্র ৫.৫০ লাখের কম!

Maruti Suzuki Alto in bangla: আপনি কি এই বছরেই নতুন চারচাকা গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্য দারুণ সুখবর! দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki Alto) তাদের Alto মডেলের আপগ্রেডেড ভার্সন লঞ্চ করতে চলেছে।

নতুন এই মডেলটি শুধু ডিজাইনের ক্ষেত্রেই নয়, মাইলেজের দিক থেকেও আপনাকে অবাক করবে। আধুনিক ফিচার্সের সমন্বয়ে তৈরি এই গাড়িটি হতে পারে আপনার স্বপ্নপূরণের সেরা সঙ্গী। নতুন Alto-এর ফিচার্স, মাইলেজ ও দাম নিয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন আজকের প্রতিবেদন।

Maruti Suzuki Alto: প্রতি লিটারে ৩০ কিমি মাইলেজ!

নতুন মডেল মানেই ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর এবার Maruti Suzuki Alto তার দশম এডিশন নিয়ে আসতে চলেছে। তবে শুধু ডিজাইন নয়, মাইলেজের ক্ষেত্রেও এই মডেলটি সকলকে চমকে দিতে প্রস্তুত। শোনা যাচ্ছে, নতুন Alto প্রতি লিটারে ৩০ কিমি মাইলেজ দিতে সক্ষম হবে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন—এটি হবে Alto মডেলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মাইলেজ। তাই যদি কম খরচে বেশি মাইলেজের গাড়ি খুঁজে থাকেন, তবে নতুন Alto আপনার জন্য পারফেক্ট চয়েস হতে পারে!

Alto-র নতুন এডিশন: কম ওজনে আরও বেশি মাইলেজ!

মারুতির সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি বিক্রি হওয়া মডেলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল Alto। ছোট গলিপথ হোক বা লম্বা ট্রিপ—দুর্দান্ত মাইলেজ এবং সহজ ড্রাইভের জন্য Alto বহু মানুষের পছন্দের গাড়ি। শেষবার Alto-এর নবম এডিশন বাজারে এসেছিল ২০২১ সালে, যার ওজন ছিল ৬৮০ থেকে ৭৬০ কেজি। তবে নতুন আপগ্রেডেড ভার্সনে ওজন আরও কমে ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এতে শুধু গাড়ির পারফরম্যান্সই উন্নত হবে না, বরং আগের তুলনায় মাইলেজও অনেকটাই বাড়বে।

Maruti Alto-র দশম এডিশন: মাইলেজের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে চলেছে!

Maruti Alto-র আসন্ন দশম এডিশনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে এর অসাধারণ মাইলেজ। বর্তমানে জাপানে Alto-এর পেট্রল ও ইলেকট্রিক হাইব্রিড মডেলে ২৭.৭ কিমি/লিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। এই মডেলে রয়েছে 49PS-এর শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং 2KW ইলেকট্রিক মোটর। নতুন ভার্সনে আরও উন্নত 48V সুপার জেন চার্জ সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে আশা করা হচ্ছে, নতুন Alto সহজেই ৩০ কিমি/লিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম হবে।

মাইলেজ বাড়ল, ওজন কমল—তাহলে দাম কেমন হবে নতুন Alto-র?

মাইলেজ বেড়েছে, ওজনও হয়েছে হালকা, কিন্তু প্রশ্ন একটাই—Alto 10th Edition কি সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যাবে? রিপোর্ট বলছে, নতুন মডেলটির বেস ভেরিয়েন্টের দাম থাকবে একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে, Alto 10th Edition এর দাম শুরু হতে পারে মাত্র ৫.৪৬ লক্ষ টাকা থেকে। তবে অফিসিয়াল লঞ্চের পরেই সঠিক দাম জানা যাবে। আপাতত অপেক্ষা শুধু সেই মুহূর্তের, যখন নতুন Alto আপনার স্বপ্নের গাড়ি হয়ে উঠবে!

Instagram Earning bangla: ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে কত টাকা উপার্জন করা যায়?

Instagram Earning bangla: ঘন্টার পর ঘন্টা ইনস্টাগ্রামে রিলস দেখে সময় কাটান? স্ক্রল করে ভিডিও দেখেন? জানেন কি, ইনস্টাগ্রাম শুধু সময় কাটানোর জায়গা নয়, উপার্জনের দারুণ সুযোগও দেয়। হ্যাঁ, বাড়িতে বসেই ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে সহজেই ১৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একসময় যেখানে শুধু ছবি আর ভিডিও শেয়ার করা হতো, আজ সেই প্ল্যাটফর্ম অনেকের আয়ের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি যদি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন, তাহলে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানিয়ে সহজেই ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানিয়ে আসলে কত টাকা আয় করা যায়? কত ফলোয়ার্স থাকলে কত টাকা আয় সম্ভব? যদি এই প্রশ্নগুলো আপনার মনেও আসে, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখানে আপনি পাবেন ফলোয়ার্স এবং আয়ের সম্পর্কের বিস্তারিত বিশ্লেষণ।

কীভাবে ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে আয় করবেন?

ইউটিউব বা ফেসবুকে যেভাবে ইন ভিডিও অ্যাড এর মাধ্যমে উপার্জন করা যায়, ইনস্টাগ্রামে কিন্তু অ্যাড থেকে উপার্জন করা যায় না। এখানে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ, রিলস বোনাস এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রামে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ করে উপার্জনের সহজ উপায়!

আপনি যদি ইনফ্লুয়েন্সর বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন, তাহলে ইনস্টাগ্রামে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে এখন অনেকেই মোটা টাকা আয় করছেন। হেলথ, ফিটনেস, ট্রাভেল, ফ্যাশন, বিজনেস বা লাক্সারি—এই ধরনের ক্যাটাগরির সঙ্গে পার্টনারশিপ করে প্রতি পোস্টে ২০০-৪০০ ডলার চার্জ করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন, নতুন ক্রিয়েটরদের তুলনায় মাইক্রো, ম্যাক্রো এবং মেগা ইনফ্লুয়েন্সরদের এই ক্ষেত্রে আয়ের সুযোগ আরও বেশি। তাই যদি আপনার ফলোয়ারদের সঙ্গে ভালো ইঙ্গেজমেন্ট থাকে, তাহলে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামকে আপনার আয়ের শক্তিশালী মাধ্যম বানিয়ে তুলুন!

ইনস্টাগ্রাম রিলস থেকে আয়ের সুযোগ (Instagram Earning bangla)

আপনারা কি জানেন, সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম রিলস বোনাস প্রোগ্রাম চালু করেছে? এখানে প্রতিটি আকর্ষণীয় রিলসের জন্য ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যদি নিয়ম মেনে কন্টেন্ট তৈরি করেন, তবে প্রতি মাসে ৭ লাখ টাকার বেশি উপার্জন সম্ভব!

তবে এই রিলস প্লে বোনাস সবার জন্য নয়। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পাবলিক ক্রিয়েটর হতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, এক মাসে প্রতিটি রিলসে ন্যূনতম ১,০০০ ভিউ থাকতে হবে। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার্স হলেই অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশনের অপশন পাবেন। একবার মনিটাইজেশনের সুযোগ পেলে, ইনস্টাগ্রাম হতে পারে আপনার আয়ের বড় মাধ্যম।

নিজস্ব ব্যবসা থেকে আয় বাড়ান ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে!

আপনার যদি নিজস্ব ব্যবসা থাকে, তবে ইনস্টাগ্রাম হতে পারে আয়ের একটি চমৎকার মাধ্যম। নিয়মিত আপনার পণ্য বা পরিষেবার ভিডিও ও রিলস পোস্ট করুন। প্রতিটি পোস্টে কমেন্ট বক্সে পণ্য কেনার লিঙ্ক দিয়ে দিন, যাতে আগ্রহী ক্রেতারা সহজেই তা কিনতে পারেন।

এর পাশাপাশি, বেশি সংখ্যক অডিয়েন্সকে আপনার প্রোফাইলের সঙ্গে যুক্ত করার দিকে মনোযোগ দিন। আকর্ষণীয় কন্টেন্ট এবং গ্রাহকদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্স অনুযায়ী উপার্জনের সুযোগ: জেনে নিন বিস্তারিত

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্সের সংখ্যা অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। দেখে নিন কোন ক্যাটাগরিতে আপনি পড়েন এবং কত আয় করতে পারেন:

  • ১ থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার্স (ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার): প্রতি পোস্টে আয় করতে পারেন ৪,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা।
  • ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ফলোয়ার্স (মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার): প্রতি পোস্টে উপার্জন সম্ভব ১৬,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা।
  • ১ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার্স (ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার): এক একটি পোস্ট থেকে আয় করতে পারেন ৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।
  • ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার্স (সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সার): একটি পোস্ট থেকে আয় হতে পারে ১ লাখ টাকারও বেশি।