এশিয়া কাপ ২০২৫: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টুর্নামেন্ট নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের টানাপোড়েন এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে তাজা। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল মেনেই দুবাইতে মিনি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খেলতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। অন্যদিকে, ভারতের ম্যাচ বাদে বাকি প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সম্পর্কের জটিলতার মধ্যেও ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
যদিও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জেতে ভারত, ফলে ম্যাচ ভেন্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব আপাতত অতীত। সেই উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই, IPL-এর মাঝেই ক্রিকেট দুনিয়ায় আসছে বড় খবর! সূত্রের দাবি, আসন্ন আগস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়া কাপে অংশ নিতে ভারত সফরে আসছে পাকিস্তান দল।
বিবাদ ভুলে ভারত সফর করবে পাকিস্তান দল?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৫ সালের হকি এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারের রাজগীরে। আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এই টুর্নামেন্টেই অংশ নিতে খুব শীঘ্রই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে পাকিস্তানের হকি দল।
জানা যাচ্ছে, টুর্নামেন্টে আয়োজনের জন্য হকি ইন্ডিয়া ও বিহারের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর সেই চুক্তি মেনেই বিহারের মাটিতে গড়াবে আন্তর্জাতিক এশিয়া কাপের হকি টুর্নামেন্ট।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দল
প্রাপ্ত তথ্য যা বলছে তাতে, আগামী আগস্ট মাসে বিহারের রাজগীরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া 2025 এশিয়া কাপের আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও অংশগ্রহণ করবে জাপান, কোরিয়া, চিন এবং মালয়েশিয়ার হকি দল। জানা গিয়েছে, আরও দুটি দল বাছাই পর্বের ম্যাচে জয়ী হয়ে এশিয়া কাপে খেলতে আসছে।
প্রসঙ্গত, আগামী আগস্টে বিহারের রাজগীরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে 2025 এশিয়া কাপ আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্ট। এই নিয়ে বিহারের ক্রীড়া বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডঃ বি রাজেন্দ্র বলেন, “রাজগীরে হিরো এশিয়া কাপ 2025 হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে টুর্নামেন্টটি যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ মানের অভিজ্ঞতা পান।
আমরা এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক হকি দলগুলিকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি,” উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানালেন মুখ্য সচিব। তিনি আরও বলেন, “বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই পুরুষদের আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র রাজগীরের মর্যাদা বাড়াবে না, বরং স্থানীয় তরুণ খেলোয়াড়দের জন্যও এক বিশাল অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।