কলকাতায় নতুন রাস্তা: ইএম বাইপাসে (Eastern Metropolitan Bypass) গাড়ি চালকদের জন্য চিংড়িঘাটা নামটা শুনলেই এক ধরনের অস্বস্তি চলে আসে। প্রতিদিনের যানজটের কারণে যাত্রীদের যেন নাকাল হয়ে পড়তে হয়। কিন্তু এবার গাড়ি চালকদের জন্য সুখবর! চিংড়িঘাটা এলাকার যানজটের যন্ত্রণার থেকে মুক্তি পেতে খুব শীঘ্রই ইএম বাইপাস আরও চওড়া করা হতে চলেছে।
অবশেষে ৮.৫ মিটার চওড়া রাস্তা নির্মাণ
নিত্যদিন বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজটের কারণে অনেকেরই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নিকোপার্ক থেকে ইএম বাইপাস ধরে রুবির দিকে যাওয়া গাড়ি বা বাসগুলোকে সেই সিগন্যালে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না! চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের চারপাশে রেল বিকাশ নিগম সংস্থা (RVNL) একটি নতুন দুই লেনের রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করেছে। এই নতুন রাস্তা তৈরি হওয়ায় প্রায় ২৯ কিমি ইএম বাইপাসের ব্যস্ততম সংযোগস্থলে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এখন, ৫৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৮.৫ মিটার চওড়া রাস্তা গড়ে ওঠায় রুবির দিকে যাওয়ার সময় যানজট কমবে এবং যাত্রা আরও সহজ হবে!
নয়া রুটটি ঢেকে দিয়েছে কলকাতা পুরসভার নর্দমা লাইনকে
রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) দ্বারা নির্মিত নতুন রাস্তাটি মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে ক্যাপ্টেন ভেরি হয়ে চিংড়িঘাটা ক্রসিংতে। এই রুটটি বেশিরভাগই ধাপা লক পাম্পিং স্টেশনের মধ্য দিয়ে চলে গেছে, এবং এটি পাঁচটি মেট্রো পিলার—৩১৩, ৩১৪, ৩১৫, ৩১৬ এবং ৩১৭—এর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। RVNL জানিয়েছে যে এই রাস্তাটি একটি শক্তিশালী ৬০০ মিমি পুরু স্ল্যাব এবং কালভার্ট দিয়ে তৈরি, যা পুরানো কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নর্দমা লাইনের ওপর নির্মিত হয়েছে।
তবে জানা গেছে, রুটটি যখন ৩১৮ এবং ৩১৯ এর মধ্যে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে চালু হবে, তখন নতুন গড়িয়া-গামী রুটটি বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে, গড়িয়াগামী যানবাহনগুলি মূলত বিধাননগর-গামী রুট দিয়ে চলাচল করবে। সেই ক্ষেত্রে, গাড়িগুলি অনুমতি ছাড়া নতুন রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে, RVNL-এর পরিকল্পনা ছিল ট্রাফিক ডাইভার্ট করার জন্য একটি অস্থায়ী ক্যারেজওয়ে তৈরি করা এবং মেট্রোর কাজের জন্য চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের একটি অংশ ঘিরে রাখার। তবে, রাজ্য সরকার চায় না যে গার্ডার-লঞ্চিং কাজ শেষ হওয়ার পরেও এই নতুন রাস্তাটি ভেঙে ফেলা হোক। আসলে, ভারী যানবাহনের প্রবাহের সময় এই রাস্তা গাড়ির বাম দিকে ঘুরে, চিংড়িঘাটা ক্রসিং পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে কাজ করবে।