বর্তমানে একদিকে যেমন ভালো চাকরি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি চাকরি করেও বেশিরভাগ মানুষের সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনেকেই চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম ব্যবসা শুরু করছেন, আবার কেউ কেউ কাজ ছেড়ে পুরোপুরি নিজেদের ব্যবসা শুরু করছেন। আপনি কি এমন কিছু ভাবছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনেই রইল বাড়ি বসে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয়ের কিছু ব্যবসার দারুণ আইডিয়া!
কম পুঁজিতে ঘর থেকেই শুরু করুন ব্যবসা
আপনি যদি ২০২৫ সালে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনার সামনে একাধিক অপশন রয়েছে। তবে, যদি কম খরচে কাজ শুরু করে মোটা টাকা আয় করতে চান, তাহলে আজ যে ব্যবসার কথা জানাবো, সেটা হতে পারে সবচেয়ে লাভজনক। ভাবছেন কী কাজ সেটা? উত্তর হলো—ফটো রেস্টোরেশন বিজনেস! একেবারে কম খরচে, শুধু একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলেই শুরু করা যাবে, আর প্রতিমাসে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
ফটো রিস্টোরেশনের ব্যবসা
বিগত দুয়েক দশকে প্রযুক্তি সত্যিই ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। একসময় ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবি তোলার জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হতো, কিন্তু এখন তো স্মার্টফোনেই হাজার হাজার কালার ফটো রেখে দেওয়া যায়! তবে, অনেকের বাড়িতেই পুরোনো ছবি থাকে, যেগুলো অযত্নের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, বা কেউ কেউ চান, পুরোনো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবিগুলো কালার করতে। এ ধরনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ফটো রেস্টোরেশন বিশেষজ্ঞদের খোঁজ পড়ে অনেকের। সময়ের সঙ্গে এই কাজের চাহিদা বেড়েছে অনেক। তাই, আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।
কিভাবে শুরু করবেন ব্যবসা?
ফটো রিস্টোরেশন কাজ শুরু করতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি নিজে ফটো এডিটিংয়ের কিছু দক্ষতা জানেন। বিশেষত কলেজ স্টুডেন্ট বা আইটি সেক্টরে কাজ করা মানুষ যারা পার্টটাইমে একটু এক্সট্রা ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটা দারুণ একটি সুযোগ। শুরুতে আপনাকে একটা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন, যা ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। কিছু সফটওয়্যারও লাগবে, যেগুলো মাসে ২০০০-৩০০০ টাকা খরচ হবে। এই দুইটি জিনিস জোগাড় হয়ে গেলেই আপনি শুরু করতে পারবেন, আর ধীরে ধীরে এই ব্যবসা থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।
কিভাবে ক্লাইন্ট পাবেন?
আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে—কিভাবে কাজ পাবেন? এর বেশ কয়েকটি উপায় আছে। প্রথমেই বলতে হবে, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়, কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এবং গ্রুপে নিজের কাজের স্যাম্পেল শেয়ার করতে থাকুন। সেখান থেকেই অনেকে আপনার কাস্টমার হয়ে যাবে। আরও, যারা একবার আপনার কাছে কাজ করিয়েছে, তারা পরবর্তীতে আবারও আপনার কাছ থেকে কাজ করাবে এবং অন্যদেরও আপনার ব্যাপারে জানাবে। আর যদি শুরুতেই কিছু টাকা বিনিয়োগ করে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, তাহলেও ভালো কাস্টমার আসবে।
কত টাকা আয় করা সম্ভব?
যেহেতু ফটো রিস্টোরেশন কাজের মূল্য মূলত ছবি এবং কাজের জটিলতার উপর নির্ভর করে, তাই এর কোনো ফিক্সড রেট থাকে না। ছবি কতটা খারাপ অবস্থায় রয়েছে এবং সেটি ঠিক করতে কতটা সময় লাগবে, তার উপর নির্ভর করে পারিশ্রমিকের অঙ্ক নির্ধারণ হয়। আপনি যদি একজন দক্ষ ফটো এডিটর হন, তাহলে দিনে ২-৩টি কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ টাকা করে আয়, আর কিছু বড় প্রজেক্ট হাতে আসলে, আপনি প্রতিমাসে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।