লিপজেল দিলেও ঠোঁট ফাটে: ঠোঁট আমাদের শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অংশ। এর ত্বক এতটাই পাতলা যে শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় ঠোঁট ফাটা সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কারণ এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। ঠোঁটে তৈলাক্ত গ্রন্থি না থাকার কারণে এটি সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরম বা তীব্র শীত—উভয় পরিস্থিতিতেই ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়।
Table of Contents
লিপজেল দিলেও ঠোঁট ফাটে?
হ্যাঁ, অনেক সময় লিপজেল ব্যবহার করলেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিছু লিপজেলে এমন উপাদান থাকতে পারে যা আপনার ঠোঁটের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। উদাহরণস্বরূপ, সুগন্ধি বা অ্যালকোহলযুক্ত লিপজেল ঠোঁট আরও শুষ্ক করতে পারে। তবে, যদি আপনার থাইরয়েড সমস্যা, ভিটামিন ডি বা আয়রনের ঘাটতি, অ্যালার্জি, বা অটোইমিউন রোগ থাকে, তাহলে লিপজেল ব্যবহারের পরও ঠোঁট ফাটা সমস্যা কাটবে না। একইভাবে, যদি আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে, তবে লিপজেল কাজ করলেও ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং শরীরের ভেতর থেকে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি।
লিপজেল ব্যবহার করেও ঠোঁট ফাটার কারণ
শীতকালে ঠোঁটের শুষ্কতা খুবই সাধারণ সমস্যা, তবে মধু ব্যবহার করে আপনি সহজেই এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মধুতে থাকা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ঠোঁটের ত্বককে আর্দ্র করে এবং শুষ্কতা কমিয়ে দেয়। আপনার ঠোঁটে মধু লাগানোর পর, ৫ মিনিট খুব আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম জলে ঠোঁট পরিষ্কার করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে করলে, ফাটা ঠোঁট হয়ে উঠবে গোলাপের পাপড়ির মতো নরম এবং মসৃণ।
নারকেল তেল
নারকেল তেল শীতকালে ত্বক, চুল এবং ঠোঁটের জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায়। আপনি যদি ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে চান। তবে নারকেল তেল হালকা গরম করে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন, ঠোঁট হয়ে উঠবে নরম এবং মসৃণ।
শসার রস
শসার রস ঠোঁটে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যেতে পারে। শসার রসে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ঠোঁটকে শীতল এবং নরম রাখে। এছাড়া, যদি আপনি শসার রসে একটু মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে রেখে, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, এতে ঠোঁটের ফাটা ভাব দূর হবে এবং ঠোঁট হয়ে উঠবে নরম ও গোলাপি।