কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির মেয়ে রত্না বর্মন বাংলা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে রত্না ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। তার বাবা সন্তোষ বর্মন, একটি মুদিখানার দোকানে কাজ করেন। দুই ভাই ও এক বোনের এই পরিবার। আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হলেও রত্নার এই সাফল্যে গোটা পরিবার এবং এলাকাবাসী খুশি।
রত্নার বাবা জানান, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট নিয়ে রত্নার পাগলামি চোখে পড়ার মতো। এই ভালোবাসার কারণেই তিনি রত্নাকে পাড়ার ক্লাবে ভর্তি করেন। রত্নার এতদূর আসার পেছনে তার কোচ এবং ক্লাবের কর্মকর্তাদের অবদান অনেক।
রত্নার একটি মজার দিকও আছে—তিনি একজন ভালো গিটারিস্ট। তবে তার আসল ভালোবাসা ক্রিকেট। নিজের প্যাশনকে পেশায় পরিণত করার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি। আপাতত তার লক্ষ্য বাংলা দলের হয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে খেলা।
রত্না জানিয়েছেন, তার বাবা-মা তাকে সফল করতে অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি চান ভালো চাকরি করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। তার দুই ভাইও তাকে ক্রিকেট খেলার জন্য ভীষণ উৎসাহ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাদের ভালোভাবে দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে চান রত্না।
রত্না রিচা ঘোষের বড় ভক্ত। তিনি বলেন, “আমি রিচা দির মতো খেলতে চাই। বাংলা দলের হয়ে জায়গা করে নেওয়ার পর আমার লক্ষ্য হবে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা তৈরি করা। আমি জানি সফল হব, এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
দুই এক দিনের মধ্যে রত্না কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং তার ভবিষ্যৎ গড়ার পথে নতুন যাত্রা শুরু করবেন। তার এই অদম্য আত্মবিশ্বাস এবং পরিশ্রম তাকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যাবে বলেই সবার বিশ্বাস।