JKews Bangla নিউজ ডেস্কঃ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানাপোড়েন এবার রূপ নিয়েছে সরাসরি সংঘাতে। মাত্র ২৫ মিনিটে পাকিস্তানের ভেতরে ২৪টি হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই অভিযানে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
বুধবার (৭ মে) ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে, আর আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ।
মাত্র ২৫ মিনিটেই চমকে দেওয়া হামলা! ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে একযোগে ২৪টি হামলা চালিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই গোপন অভিযানে নিশানা করা হয় অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে। এতে প্রায় ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বিক্রম মিস্রি জানান, এই অভিযান শুরু হয় রাত ১টা ৫ মিনিটে এবং শেষ হয় ১টা ৩০ মিনিটে—মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথভাবে এই হামলায় অংশ নেয়, যা ছিল একেবারেই সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত।
তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, দায়িত্বশীল এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের একটি বাধ্যতামূলক প্রতিক্রিয়া। পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ভবিষ্যতে আরও হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে আমাদের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।
বিক্রম মিস্রি বলেন, আমরা কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু নিজেদের সীমানা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।
ভারতের সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, গত তিন দশক ধরে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে সন্ত্রাসবাদের এক বিস্তৃত অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল নিয়োগ কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, আর লঞ্চ প্যাড—যেখান থেকে জঙ্গিদের ভারতে পাঠানো হতো। তবে এবার ভারত সেই অবকাঠামোগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো হামলার ঝুঁকি না থাকে। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাস মোকাবিলায় এক বড় দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
ভারত যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছে, তাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানো হয়েছে — যেগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বক্তব্য অনুযায়ী, এই স্থাপনাগুলো পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ছিল।
হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল:
- বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহান আল্লাহ
- মুরিদকে-এর মারকাজ তৈয়বা
- সরজল (তেহরা কালান)
- শিয়ালকোটের মেহমুনা জয়া সুবিধা
- বরনালার মারকাজ আহলে হাদীস
- কোটলীর ভিম্বার মারকাজ আব্বাস এবং মাসকার রাহিল শহীদ
- মুজাফফরাবাদের শাওয়াই নালা ক্যাম্প ও মারকাজ সৈয়দনা বিলাল-৩
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৈরি উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের ৯টি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।