Instagram Earning bangla: ঘন্টার পর ঘন্টা ইনস্টাগ্রামে রিলস দেখে সময় কাটান? স্ক্রল করে ভিডিও দেখেন? জানেন কি, ইনস্টাগ্রাম শুধু সময় কাটানোর জায়গা নয়, উপার্জনের দারুণ সুযোগও দেয়। হ্যাঁ, বাড়িতে বসেই ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে সহজেই ১৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একসময় যেখানে শুধু ছবি আর ভিডিও শেয়ার করা হতো, আজ সেই প্ল্যাটফর্ম অনেকের আয়ের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি যদি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন, তাহলে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানিয়ে সহজেই ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানিয়ে আসলে কত টাকা আয় করা যায়? কত ফলোয়ার্স থাকলে কত টাকা আয় সম্ভব? যদি এই প্রশ্নগুলো আপনার মনেও আসে, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখানে আপনি পাবেন ফলোয়ার্স এবং আয়ের সম্পর্কের বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
Table of Contents
কীভাবে ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে আয় করবেন?
ইউটিউব বা ফেসবুকে যেভাবে ইন ভিডিও অ্যাড এর মাধ্যমে উপার্জন করা যায়, ইনস্টাগ্রামে কিন্তু অ্যাড থেকে উপার্জন করা যায় না। এখানে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ, রিলস বোনাস এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রামে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ করে উপার্জনের সহজ উপায়!
আপনি যদি ইনফ্লুয়েন্সর বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন, তাহলে ইনস্টাগ্রামে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে এখন অনেকেই মোটা টাকা আয় করছেন। হেলথ, ফিটনেস, ট্রাভেল, ফ্যাশন, বিজনেস বা লাক্সারি—এই ধরনের ক্যাটাগরির সঙ্গে পার্টনারশিপ করে প্রতি পোস্টে ২০০-৪০০ ডলার চার্জ করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন, নতুন ক্রিয়েটরদের তুলনায় মাইক্রো, ম্যাক্রো এবং মেগা ইনফ্লুয়েন্সরদের এই ক্ষেত্রে আয়ের সুযোগ আরও বেশি। তাই যদি আপনার ফলোয়ারদের সঙ্গে ভালো ইঙ্গেজমেন্ট থাকে, তাহলে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামকে আপনার আয়ের শক্তিশালী মাধ্যম বানিয়ে তুলুন!
ইনস্টাগ্রাম রিলস থেকে আয়ের সুযোগ (Instagram Earning bangla)
আপনারা কি জানেন, সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম রিলস বোনাস প্রোগ্রাম চালু করেছে? এখানে প্রতিটি আকর্ষণীয় রিলসের জন্য ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যদি নিয়ম মেনে কন্টেন্ট তৈরি করেন, তবে প্রতি মাসে ৭ লাখ টাকার বেশি উপার্জন সম্ভব!
তবে এই রিলস প্লে বোনাস সবার জন্য নয়। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পাবলিক ক্রিয়েটর হতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, এক মাসে প্রতিটি রিলসে ন্যূনতম ১,০০০ ভিউ থাকতে হবে। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার্স হলেই অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশনের অপশন পাবেন। একবার মনিটাইজেশনের সুযোগ পেলে, ইনস্টাগ্রাম হতে পারে আপনার আয়ের বড় মাধ্যম।
নিজস্ব ব্যবসা থেকে আয় বাড়ান ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে!
আপনার যদি নিজস্ব ব্যবসা থাকে, তবে ইনস্টাগ্রাম হতে পারে আয়ের একটি চমৎকার মাধ্যম। নিয়মিত আপনার পণ্য বা পরিষেবার ভিডিও ও রিলস পোস্ট করুন। প্রতিটি পোস্টে কমেন্ট বক্সে পণ্য কেনার লিঙ্ক দিয়ে দিন, যাতে আগ্রহী ক্রেতারা সহজেই তা কিনতে পারেন।
এর পাশাপাশি, বেশি সংখ্যক অডিয়েন্সকে আপনার প্রোফাইলের সঙ্গে যুক্ত করার দিকে মনোযোগ দিন। আকর্ষণীয় কন্টেন্ট এবং গ্রাহকদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্স অনুযায়ী উপার্জনের সুযোগ: জেনে নিন বিস্তারিত
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্সের সংখ্যা অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। দেখে নিন কোন ক্যাটাগরিতে আপনি পড়েন এবং কত আয় করতে পারেন:
- ১ থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার্স (ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার): প্রতি পোস্টে আয় করতে পারেন ৪,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা।
- ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ফলোয়ার্স (মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার): প্রতি পোস্টে উপার্জন সম্ভব ১৬,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা।
- ১ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার্স (ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার): এক একটি পোস্ট থেকে আয় করতে পারেন ৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।
- ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার্স (সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সার): একটি পোস্ট থেকে আয় হতে পারে ১ লাখ টাকারও বেশি।