“মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজী?” – কিন্তু ধূপগুড়ির ভাণ্ডারকুড়া গ্রামের বাস্তবতা যেন পুরো উল্টো। জলপাইগুড়ি জেলার এই জঙ্গল ঘেরা গ্রামের তরুণ-তরুণীরা বিয়ের জন্য প্রস্তুত হলেও বিয়ের আয়োজন করতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ? হাতির ভয়।
জঙ্গলের কোলে গড়ে ওঠা গ্রাম:
ভাণ্ডারকুড়া গ্রামটি আলতা ২ নং পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। চারপাশে ঘন সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই গ্রামটির পাশেই জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জ। সেখান থেকে প্রায়শই হাতির দল গ্রামে ঢুকে পড়ে। খাবারের খোঁজে বা ঘুরতে ঘুরতে তারা মানুষের বাড়িঘরে হানা দেয়। কখনও গ্রামে ঢুকে সবকিছু তছনছ করে দেয়।
হাতির ভয়ে আতঙ্ক:
গ্রামের মানুষ সবসময় আতঙ্কে দিন কাটান। দিনের আলো ফুরোলেই বাড়ে ভয়। রাত নামলে ছায়াকেও যেন হাতি মনে হয়। বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা তো দূরের কথা, ছোটখাটো অনুষ্ঠান করতেও দ্বিধায় ভোগেন তারা।
বিয়ে বাতিলের কারণ:
বিয়ের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও হাতির তাণ্ডবের আতঙ্কে শেষ মুহূর্তে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রামে অনেক বিয়ের যোগ্য ছেলে-মেয়ে থাকলেও এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে অনেকের বিয়ে আটকে গেছে।
গ্রামবাসীদের প্রশ্ন:
গ্রামবাসীরা জানতে চান, এই সমস্যা কি দিনের পর দিন চলতেই থাকবে? নাকি কখনও এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।
উপসংহার:
হাতির আতঙ্ক দূর করতে বনবিভাগ বা প্রশাসনের তরফে কার্যকরী উদ্যোগ প্রয়োজন। নাহলে ভাণ্ডারকুড়ার এই সমস্যা গ্রামের মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে থাকবে।