শীতেও শিশুকে রোজ গোসল করানো কি জরুরিঃ শীতের সকালে শিশুকে গোসল করানোর বিষয়ে অনেক মা-বাবারই দ্বিধা থাকে। শীতের কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের উষ্ণতা শিশুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। আর তাই শীতকালে অনেকেই ভাবেন রোজ গোসল করানো কি ঠিক হবে?। তবে, শিশুকে রোজ গোসল করানো কি উপকারী, নাকি অসুবিধার কারণ হতে পারে? আসুন, এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
শীতেও শিশুকে রোজ গোসল করানো কি জরুরি?
উত্তর হলো, শীতকালেও সুস্থ শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানো উচিত। যদিও শীতের তাপমাত্রা কম থাকে, তবে ত্বকের পরিচর্যা জরুরি। শিশুদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই গোসল না করলে ত্বকে ময়লা জমে এবং নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। যেমন ফুসকুড়ি বা র্যাশ। প্রতিদিন গোসল করলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গোসল করানোর অভ্যাস তৈরি করা উচিত। যাতে শিশুটি নিয়মিত গোসলের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। তবে তার তাপমাত্রা শিশুর শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি না হওয়া উচিত। অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত নয় এবং বেশি সময় ধরে গোসলও করানো যাবে না। গোসল শেষে, শিশুর গা ভালোভাবে মুছে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছানো উচিত। তবে তোয়ালে দিয়ে গা জোরে ঘষে নয়, হালকাভাবে মুছিয়ে নিতে হবে। এছাড়া, শিশুর চুল যেন ভেজা না থাকে, কারণ ভেজা চুল থেকে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
গোসল শেষে শিশুর গায়ে তার উপযোগী লোশন মাখিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে শীতের শুষ্কতা থেকে তার নরম ত্বক সুরক্ষিত থাকে। তারপর তাকে দ্রুত পোশাক পরিয়ে দিতে হবে। যদি শিশুর ঠান্ডা ধাত থাকে, তবে এক দিন পরপর গোসল করানো যেতে পারে। তবে, যদি ঠান্ডা লাগে বা জ্বর হয়, তবে কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে তার গা মুছে দেওয়া যেতে পারে। নবজাতকের ক্ষেত্রে জন্মের পর প্রথম ৭২ ঘণ্টা গোসল না করানোই ভালো। নবজাতকের জন্য সপ্তাহে দুই বা তিন দিন গোসল করানো যেতে পারে এবং ২৮ দিন পর থেকে প্রতিদিন গোসল করানো যেতে পারে।