JKNews24 Bangla, কলকাতা: টানা সাড়ে চারদিন বিপত্তি, অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা ছিল যে, খুব শীঘ্রই বালিঘাট ও বালি হল্ট স্টেশনের মাঝে অবস্থিত বিবেকানন্দ সেতুর (Vivekananda Setu) পুরনো গার্ডারগুলি পরিবর্তন করা হবে। অবশেষে সেই নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলেছে সেতুর পুরনো গার্ডার পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যালাস্ট লাইন বসানোর কাজ। তবে এই কাজের জন্য একটানা প্রায় সাড়ে চার দিন ওই সেতু দিয়ে চলাচল করবে না বাস, গাড়ি, এমনকি কোনও ট্রেনও। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত শনিবার পরিবহণ সচিব, রেল কর্তৃপক্ষ, এনএইচএআই, ব্যারাকপুর কমিশনারেট, হাওড়া কমিশনারেট এবং বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বালি ব্রিজের একাংশে চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা বাস- মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। বাস- মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস এবং সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের টিটু সাহা সহ অন্যান্যরা। এছাড়া প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২২ জানুয়ারি, বুধবার রাত ১২টা থেকে বালি ব্রিজের একাংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এবং চলাচল বন্ধ থাকবে আগামী ২৭ জানুয়ারি, সোমবার ভোর ৪টা পর্যন্ত।
বালি ব্রিজের একাংশ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসন যাত্রীদের সমস্যা কমাতে একটি বিকল্প রুট নির্ধারণ করেছে। জানা গেছে বালি ব্রিজের একাংশ দিয়ে কলকাতাগামী গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে কলকাতা থেকে বালি হল্ট হয়ে বোম্বে রোড বা দিল্লি রোডের দিকে বাস বা গাড়ি যাবে না। এর পরিবর্তে, বাসগুলো নিবেদিতা সেতু হয়ে যাবে। তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— এই বিকল্প রুট ব্যবহার করার জন্য বাসগুলোর কোনও টোলট্যাক্স দিতে হবে না। এই খরচটি রেল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
বালি ব্রিজের একাংশ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে, তবে প্রশাসন যাত্রীদের সমস্যা কমাতে একটি বিকল্প রুট নির্ধারণ করেছে। জানা গেছে, বালি ব্রিজের একাংশ দিয়ে কলকাতাগামী গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে, কলকাতা থেকে বালি হল্ট হয়ে বোম্বে রোড বা দিল্লি রোডের দিকে বাস বা গাড়ি যাবে না। এর পরিবর্তে, বাসগুলো নিবেদিতা সেতু হয়ে যাবে। তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— এই বিকল্প রুট ব্যবহার করার জন্য বাসগুলোর কোনও টোলট্যাক্স দিতে হবে না।
রেল সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হবে। ডানকুনি শাখার বদলে এই ট্রেনগুলোকে দমদম–নৈহাটি রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু–তাওয়াই এক্সপ্রেস, বিকানের দুরন্ত, অনন্যা এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ–রাজধানী এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, শিয়ালদহ–আজমের এক্সপ্রেস, এবং প্রতাপ এক্সপ্রেস। এছাড়া, বাস থেকে নেমে যাত্রীরা যাতে হাওড়া লাইনের ট্রেন ধরতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করা থাকবে। রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে যাত্রীদের কোনও বড় অসুবিধা হবে না।