JKNEWS24 BANGLA নিউজ ডেস্কঃ ৭ মে, ২০২৫ তারিখে ভারতজুড়ে আয়োজিত হতে চলেছে ২৫৯টি স্থানে অসামরিক মহড়া (Civil Defence Mock Drill)। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো — জরুরি পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া যাচাই করা।
পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কোথায় হবে অসামরিক মহড়া?
পশ্চিমবঙ্গে মহড়ার স্থানসমূহ:
৭ মে সারাদেশে আয়োজিত ২৫৯টি অসামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা ও শহরও এই কর্মসূচির আওতায় এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মহড়া সচেতনতা বৃদ্ধি, জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে যে অঞ্চলগুলোতে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে রয়েছে:
🔸 উত্তরবঙ্গ: কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, বালুরঘাট, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, কার্সিয়াং, কালিম্পং
🔸 দক্ষিণবঙ্গ ও গ্রেটার কলকাতা: কলকাতা মহানগর ও তার আশপাশ (গ্রেটার কলকাতা), হাওড়া, দুর্গাপুর, হলদিয়া, খড়গপুর, বারাকপুর, আসানসোল, ফরাক্কা, চিত্তরঞ্জন, বর্ধমান
🔸 অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা: জলঙ্গি, বীরভূম, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, কোলাঘাট, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর
এই মহড়াগুলো চলাকালীন কিছু এলাকায় আংশিক যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা সতর্কতা জারি থাকতে পারে। তাই সাধারণ মানুষকে আগেভাগেই জানানো হচ্ছে যেন তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রস্তুতি ও নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতন থাকেন।
এই মহড়ায় কী কী হবে?
৭ মে’র অসামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আগেভাগেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ অপ্রয়োজনীয় ভয়ে না পড়েন এবং সচেতন থাকেন।
এয়ার সাইরেন বাজানো হবে — যেটা শুধুই মহড়ার সংকেত, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই সাইরেন সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে সতর্ক করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করা হবে — যেন ভবিষ্যতে কোনো প্রকৃত বিপদের সময় সবাই কীভাবে সঠিকভাবে সরে যাবে, তা শিখে নিতে পারে।
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও রেসকিউ টিম সম্পূর্ণ সক্রিয় থাকবে — তাদের এই মহড়ায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জরুরি সময়ে তারা কতটা দ্রুত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সেটা যাচাই করা।
সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
🛑 সাইরেন শোনামাত্র যা করবেন:
- 🏠 যদি ঘরে থাকেন, সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করুন।
- 💡 সব আলো ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন, যেন পুরো বাড়ি “ব্ল্যাকআউট” অবস্থায় থাকে। এটা এমন পরিস্থিতির অনুশীলন যেখানে আলো বা সিগনাল না থাকাই নিরাপদ।
- 🚶♂️ যদি বাইরে থাকেন, তবে কাছের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন—যেমন কোনো ভবনের ভিতর, আচ্ছাদিত এলাকা বা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র।
- 📵 কোনো ধরনের গুজব ছড়াবেন না বা অপ্রমাণিত তথ্য শেয়ার করবেন না। বরং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- 🏭 বিশেষ প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগুলিতে যেন ক্যামোফ্লাজ এবং জরুরি প্রস্তুতির ব্যবস্থা থাকে—এই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই মহড়ার মাধ্যমে দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি আরও কার্যকর এবং সংগঠিত হবে বলে আশা করছে সরকার। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলেন।