কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন দুলাল সাহা,বাবাকে একেকজন একেক ভাবে মানে, পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম। বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো কর্তব্য মনে করেন অনেকেই। শিলিগুড়ির আশ্রম পাড়ার দুলাল সাহার চিন্তাভাবনা একটু আলাদা, তিনি ভেবেছেন এবং কাজ করে দিয়েছে ন। তার চিন্তা-ভাবনা একটাই ছিল, কিভাবে একদিন অন্তত খাওয়ানো যায় মানুষকে। বাবার প্রয়াণ দিবসের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে, সন্ধ্যায় খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন পথ চলতে মানুষের জন্য। তিনি জানালেন, এর থেকে ভালোভাবে নিজের বাবাকে শ্রদ্ধা জানানোর আর কোন উপায় আমি দেখিনি। মানুষ খেয়ে যদি তৃপ্তি পান, তবে এর থেকে বড় আশীর্বাদ আমার কাছে আর কি হতে পারে।
আজকের দিনটি মনে রাখার মত দিন আমার কাছে, তাই আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আমি মানুষের কাছে এক বেলার আহার পৌঁছে দিলাম। পাড়া প্রতিবেশীরা জানান , মাঝেমধ্যেই দুলাল বাবু সাধারণ মানুষকে খাওয়ান, জিজ্ঞেস করলে বলেন মানুষকে খাওয়াতে আমি ভালোবাসি, এর থেকে ভালো কাজ আর কি হতে পারে? আজকালকার দিনে সবকিছুই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর আমি যদি এক বেলা অন্তত তার সমাধান করতে পারি , তবেই বুঝতে পারব আমি কিছু করলাম মানুষের জন্য। সবাইতো অর্থবান হন না, যারা হন না , তাদের কাছে দুবার না দুমুঠো খাদ্য যোগাড় করা যে কতখানি কষ্টের, আমি তা ভালোভাবে বুঝতে পারি।
সেই কারণে আমি যখনই পারি খাওয়াতে চেষ্টা করি, সাধারণ মানুষকে। কারন মানুষের মধ্যেই ভগবান আছেন ঈশ্বর আছেন, মানুষকে সেবা করলেই ভগবানের সেবা করা যায়। আমার কাছে সেটাই আসল ধর্ম। জানালেন দুলাল সাহা, মানুষের আশীর্বাদ পাই আমি, এর থেকে বড় পুরস্কার আর আমার কাছে কি আছে? দুলাল সাহা জানালেন , তিনি ভবিষ্যতেও এই কাজটি করে যাবেন , যতদিন তার শরীরে শক্তি আছে ততদিন পর্যন্ত। তাইতো আশ্রমপাড়া দুলাল সাহা, জীবন বীমা নিগমের উচ্চ পদস্থ অফিসার পদে থাকা সত্ত্বেও কোন অহংকার না করে , মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করেন। এটাকেই ভাই কাজকেই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওনা বলে মনে করেন, এটাই বা ক’জন ভাবে?