চিনে মিলল উৎকৃষ্ট মানের সোনা, বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যবান ধাতু এবং খনিজের গুরুত্ব অসীম। কোনো দেশের মাটির নিচে যত বেশি সম্পদ, তার অর্থনৈতিক শক্তি ততটাই বৃদ্ধি পায়। যেমন সম্প্রতি ভারতে কর্ণাটক ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান মিলেছে। তবে এবার চীনে বিশাল এক সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া গেছে, যা বিশ্ববাজারে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। ঠিক কোথায় মিলল এই বিশাল স্বর্ণভাণ্ডার? কত টন সোনা লুকিয়ে আছে মাটির নিচে? আর এর প্রভাব কী হতে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন!
চীনের পাহাড়ে খোঁজ মিলল স্বর্ণভান্ডারের
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে অন্যতম সোনা। যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক শক্তি বোঝাতে সোনার মজুত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই কারণেই চীনে নতুন এই বিশাল স্বর্ণভাণ্ডারের সন্ধান একপ্রকার ‘জ্যাকপট’ হাতে পাওয়ার মতোই। জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চালাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারই ফলস্বরূপ হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টির ওয়াঙ্গু গোল্ড ফিল্ডে ৩০০ টনের বিশাল সোনার ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে!
সোনার খোঁজ পাওয়া মানেই সেটা সবসময় ভালো খবর নয়, কারণ সোনার মান এবং প্রকারভেদও গুরুত্বপূর্ণ। তবে চীনে যে সোনার খোঁজ মিলেছে, সেটা সর্বোচ্চ মানের সোনা! এই সোনার সন্ধানে বিজ্ঞানীরা নেক্সট জেনারেশন টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন। এআই, রোবট এবং অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে তারা পাহাড়ের ভেতরের ছবি তুলেছেন, স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন এবং তা পরীক্ষা করেছেন। কয়েক বছর ধরে চলা এই গবেষণার পর অবশেষে এই বিশাল সোনার ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়া গেছে, যা সত্যিই একটি বড় জ্যাকপট!
সোনা যে কোনও দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, সেটা আমরা সবাই জানি। আর চিন্তা করুন, যদি ৩০০ টন সোনা বিশ্বের বাজারে চলে আসে! এটা সত্যিই বিশ্বের স্বর্ণ বাজারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। অন্য ধাতুগুলোর মতো যদি সোনার সরবরাহও বেড়ে যায়, তাহলে আগামী দিনে সোনার দাম কমতে পারে, যা শুধু চীনের নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।