ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! ফাল্গুনের ছোঁয়া লেগেছে বাতাসে, শীতের পর্দা নামছে ধীরে ধীরে। তার উপর রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির দাপট, এমন আবহাওয়ায় খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ হলে জমে যায় আসর! কিন্তু সমস্যা একটাই—এই সময় বাজারে ইলিশ পাওয়াই যেন এক কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে ঘুরছেন, কিন্তু কোথাও সে রকম ঢালাও ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে ইলিশপ্রেমী বাঙালিদের জন্য এসেছে দারুণ সুখবর! সম্প্রতি কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
শীতকালে ইলিশের দেখা পাওয়া একপ্রকার দুষ্কর! এই সময় সাধারণত ইলিশের মরশুম নয়, তাই বাজারে তেমন ইলিশ মেলে না। তবে এবার যেন চমক লাগিয়ে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ! নদী ও সমুদ্রে টানা ১৫ দিন ধরে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে বাঙালির অতি প্রিয় ইলিশ। এর ফলে মাছ বিক্রেতাদের কাছে ইলিশের জোগান বেড়েছে, আর সবচেয়ে বড় কথা—এর দামও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে! গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত ট্রলারগুলোর জালে ইলিশ উঠেছিল, তারপর যেন হঠাৎই হারিয়ে গিয়েছিল এই সুস্বাদু মাছ। তবে এবার শীতের শেষ লগ্নে সেই ইলিশ ফিরে আসায় ইলিশপ্রেমীদের মুখে হাসি ফুটেছে!
সূত্রের খবর, কাকদ্বীপে জালে ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে। ছোট ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকা, কিন্তু ওজন ৫০০ গ্রাম হলেই সেই দাম গিয়ে ঠেকছে ৮০০ টাকায়! তবু এতদিন পর বাজারে ইলিশের জোগান বাড়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। তবে আনন্দের মাঝেই আছে একটা ছোট দুশ্চিন্তাও। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। তার আগে যতটা সম্ভব মাছ সংগ্রহ করে রাখতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, “গত কয়েক মাস ধরে ইলিশের দেখা মেলেনি, অবশেষে সেই খরা কাটল। তবে বর্ষার ইলিশের মতো স্বাদ এদের ততটা ভালো নয়, কারণ বেশিরভাগ মাছেরই পেটে ডিম রয়েছে।