বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 116

আবাসে ঘর না পেয়ে কাটমানি ফেরত চাওয়ায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

JKNews24, মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে প্রধামন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) নিয়ে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। উপনির্বাচনের আগে থেকেই এই যোজনা ঘিরে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব স্বয়ং বিষয়টি সামাল দিতে মাঠে নেমেছেন। দুর্নীতি ঠেকাতে এবং প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে সমীক্ষাগুলিকে নতুন করে বিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, আবাস যোজনার সমীক্ষায় কোনো গরমিল বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালাচ্ছে প্রশাসন।

রঘুনাথগঞ্জ, মিঠিপুর: আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ যেন থামার নাম নিচ্ছে না। এবার সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বারবার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের ঘর বরাদ্দ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে।

ঘর পাওয়ার আশায় কাটমানি দেওয়া এক ব্যক্তির জন্য ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর মোড় নেয়। অভিযোগ, ঘর না পেয়ে নিজের দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের শিকার হন আতাবুর রহমান নামে ৬০ বছরের এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আবাস যোজনা নিয়ে কাটমানি ফেরত চাওয়ায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা উত্তপ্ত মিঠিপুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার তৃণমূল কর্মী মিঠুন শেখ প্রধামন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতাবুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিলেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় আতাবুর শনিবার বিকেলে নিজের টাকা ফেরত চাইতে যান। অভিযোগ, সেই সময় মিঠুন শেখ আতাবুরকে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে আতাবুরের মাথা ফেটে যায়। আহত অবস্থায় আতাবুরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সন্ধ্যা নাগাদ তিনি মারা যান।

হাসপাতালেই মৃত্যু আক্রান্তের

আতাবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি হওয়ায় শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সকাল ৯টা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রধামন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ পুরোদমে চলছে। তবে বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা উপ নির্বাচনের কারণে সেখানে সমীক্ষার কাজ কিছুদিন স্থগিত ছিল। উপ নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁকুড়া জেলাজুড়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশাসন এই কাজের জন্য মোট ৮০০টি দল নামিয়েছে, যারা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করছে।

রোজ ভাত খেলে কি সুগার হতে পারে? চিকিৎসকের থেকে জানুন সত্যিটা !

রোজ ভাত খেলে কি সুগার হতে পারে?: ভাত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। বিশেষ করে বাংলায়, ভাত ছাড়া দিনের খাবার যেন অপূর্ণ। দিনে একবার এই খাবার না খেলে আমাদের মনটা কেমন কেমন করে। কিন্তু এই প্রিয় খাবারটিকে ঘিরে রয়েছে অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস। কথিতভাবে স্বাস্থ্য-সচেতন ব্যক্তিদের একটি সংখ্যা বিশ্বাস করে যে প্রতিদিন ভাত খেলে আমাদের শরীর এ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়! এ কারণে তারা এই খাবার থেকে দূরে থাকেন। এবং অন্য লোকেদের খেতেও বারণ করে। তবে অনেকেই চিন্তিত থাকেন, রোজ ভাত খেলে কি সুগার বা ডায়াবেটিস হতে পারে? আসুন, এই নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নিই।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঠিকঠাক কাজ করে চলার জন্য শরীরের শক্তির প্রয়োজন।আর শরীরের এনার্জির প্রধান উৎস হলো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। আর তেমনই কার্ব রিচ অত্যন্ত উপকারী খাবার হলো ভাত। দেহে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ভাত খেতেই হবে।শুধু তাই নয়, ভাতে আমরা প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, নিয়াসিন, থিয়ামিন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও পেয়ে থাকি।তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত এই খাবার খেতেই হবে। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

রোজ ভাত খাওয়ার সঠিক নিয়ম

  • পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: রোজ ভাত খেতে হলে, পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। বেশি পরিমাণে ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
  • সঠিক কম্বিনেশন: ভাতের সাথে সবজি, ডাল এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে, এটি শরীরে ধীরে ধীরে শর্করা ছাড়তে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হোল গ্রেইন ভাত: সাদা চালের বদলে বাদামি চাল বা হোল গ্রেইন চাল ব্যবহার করতে পারেন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাত

যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ভাত খেতে পারেন। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাতের পরিমাণ কমিয়ে, এর সাথে প্রচুর শাকসবজি, প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডায়াবিটিস হওয়ার কারণ কী?

ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ যা মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শরীরের অক্ষমতা দ্বারা সৃষ্ট হয়। ডায়াবেটিসের কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যা সাধারণত দুই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যাই। যাদের জিনগত কারণ রয়েছে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ, পিতা-মাতা বা নিকটাত্মীয়দের কেউ মধুমেহ থাকে, তাহলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অলস জীবনযাত্রা ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেও সঙ্গী হতে পারে এই রোগ। 

টাইপ 1 ডায়াবেটিসের কারণ:

  • ইমিউন সিস্টেমের আক্রমণ: টাইপ 1 ডায়াবেটিস একটি অটোইমিউন ডিজিজ, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম প্যানক্রিয়াসে থাকা ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষগুলিকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে। এর ফলে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এটি সাধারণত বংশগত এবং জেনেটিক কারণ দ্বারা সৃষ্ট হয়।
  • পরিবেশগত কারণ: কিছু ভাইরাস সংক্রমণ বা পরিবেশগত ফ্যাক্টরও টাইপ 1 ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কারণ:

  • ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স: টাইপ 2 ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম হয়, তবে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এই অবস্থাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
  • ওজন এবং জীবনধারা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, এবং উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাদ্যাভ্যাস টাইপ 2 ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।
    বংশগত কারণ: টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে বেড়ে যায়।
  • বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সে।

ডায়াবেটিস একটি জীবনব্যাপী রোগ, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং এর জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ব্লাড সুগার কন্ট্রোল: ডায়াবেটিসে রোগীরা কী কী উপায়ে লেবু ব্যবহার করবে?

ব্লাড সুগার কন্ট্রোল: লেবু এমন সবজি যা আমরা সব খাবারে ব্যবহার করি। লেবু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কারন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বছরের পর বছর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এটি আমাদের শরীরকে ডিটক্স করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। তবে আপনি কি জানেন লেবুর রস আমাদের শরীরএ রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লেবুর রস ওষুধের মতোই কাজ করে। আসুন আমরা জেনে নেব কি উপাই এ লেবুর রস সেবনে ব্লাড সুগার কন্ট্রোল করা যেতে পারে।

লেবু খেয়েই কন্ট্রোলে রাখুন ব্লাড সুগার!

খাবারের আগে লেবু খাবেন

আপনার যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকে। তবে প্রতিদিন খাওয়ার কিছু সময় আগে লেবু রস খাবেন। এক গ্লাস জলের সঙ্গে লেবুর রস এবং লবন মিশিয়ে পান করুন পতিদিন , এতে আপনার স্বাস্থ্যর উপকার হবে।

খাবারের সঙ্গে লেবু খাবেন

ব্লাড সুগার রোগীদের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, প্রতিদিনের খাবারের সাথে লেবু রস খাওয়া দরকার। বিশেষত, মসুর ডাল, শাকসবজি, আমিষ জাতীয় জিনিস বা যেকোনো ধরনের তরকারির সাথে লাঞ্চ এবং ডিনারে লেবু মিশিয়ে খেতে হবে।

স্ন্যাকসের সঙ্গে লেবু

যদি আপনি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকে, তবে পতিদিন স্ন্যাকসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। এতে আপনি উপকার পাবেন। তবে মনে রাকবেন, চিনেবাদামের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে খুব ভাল উপকার হয়। এতে আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পানীয়ের সঙ্গে লেবু

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকালের শুরু থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চা খাই। কিন্তু আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন তবে আপনার উচিত, লেবুর রস মিশিয়ে পান করা। কালো চা বা গ্রিন টি এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

সালাডের সঙ্গে লেবু ব্যাবহার?

আমরা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে সালাড খেয়ে থাকি। তবে মনে রাকবেন, সালাড লেবুর রস যোগ করে তার পর খাবেন। লেবুতে রস উপস্থিতে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ডায়াবেটিক রোগীদের অনেক উপকার করে।

লেবু কি ডায়াবেটিস কমে?

লেবু ডায়াবেটিস সরাসরি কমাতে পারে না, তবে এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন C, আঁশ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এছাড়া, লেবুর রস বা লেবু পানি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

লেবুর খোসা কি ডায়াবেটিস হলে ভালো?

হ্যাঁ, লেবুর খোসা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী হতে পারে। লেবুর খোসায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন C, ফ্ল্যাভোনয়েডস, এবং ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগী কি মধু লেবু পানি খাওয়া যাবে?

ডায়াবেটিস রোগী মধু লেবু পানি খেতে পারবেন, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

ডায়েটের জন্য হেলদি স্ন্যাকস 2024?: ডায়েটেও খেতে পারবেন সুস্বাদু খাবার, জেনে নিন সেরা হেলদি স্ন্যাকসের তালিকা!

ডায়েটের জন্য হেলদি স্ন্যাকসঃ যা খাচ্ছেন তা আপনার ক্ষুধা নিবারণ করছে ঠিকই কিন্তু সেটা আপনার সাস্থ্যের জন্য উপকারী তো? নাকি উল্টো ক্ষতিই হচ্ছে আপনার সাস্থ্যের? তাই আপনার সাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে স্ন্যাকস হিসেবে পুষ্টিকর খাবার খান।

ডায়েটের জন্য হেলদি স্ন্যাকসের তালিকা(Healthy Snacks for Diet)

Healthy snacks for diet?:বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় জিনিস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভাল। কারন এই সব বীজের মধ্যে পছুর পরিমানে নিউট্রিয়েন্টস ও পুষ্টিকর উপকরণ থেকে থাকে। এই তালিকার মধ্যে কুমড়োর বীজ রাখতে পারেন।

ডায়েটের জন্য হেলদি স্ন্যাকস বানাতে কুমড়োর বীজ ব্যাবহার করতে পারেন। বিভিন্ন বাঙালি নিরামিষ পদের রান্নার ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ দেয়া থাকে। আপনি সামান্য ভেজে নিয়েও কুমড়োর বীজ খেতে পারেন, এটা মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার মধ্যে পরে। তবে তেল দিয়ে ভাজবেন না , বরং শুকনো কড়াইয়ে তাপে একটু রোস্ট করে নিবেন।ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অনেক খনিজ উপকরণ রয়েছে এই কুমড়োর বীজে।

কটেজ চিজ বা পনির খেতে পারেন হেলদি স্ন্যাকস অর্থাৎ মুখরোচক স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। আপনি এই তালিকায় রাখতে পারেন ছানাও। বাড়ীতে দুধ থেকে ছানা তৈরি করে নিতে পারেন। তার জন্য আমকে পাতিলেবুর রস ব্যাবহার করতে হবে। এছাড়া পনিরও বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন।কটেজ চিজ বা পনির এবং ছানা হল একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও এই দুই খাবারে মধ্যে পছুর পরিমানে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি১২ রয়েছে। এই উপকরণটি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে এবং সহজে খিদে পাবে না।

ডায়েটের জন্য হেলদি স্ন্যাকস ?(Healthy snacks for diet?)

ডায়েট স্ন্যাকসের তালিকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাদাম মুখরোচক স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন। আপনি আমন্ড, কাজুবাদাম, আখরোট, কিশমিশ এইসব বাদাম খেতে পারেন। বাদামের সঙ্গে রাখা যেতে পারে ড্রাই ফ্রুটসও। এক্ষেত্রে কিশমিশ, খেজুর এগুলি খেতে পারেন। এইসব বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস। ফলে এই খাবারগুলি খেলে সঠিক ভাবে পুষ্টি পাবেন আপনি।

সহজে ছোলা সেদ্ধ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর পদ তৈরি করে নেওয়া যায় । এক্ষেত্রে কাবলি ছোলাও ব্যবহার করতে পারেন আপনি চাইলে। তবে বলে রাখি যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কাঁচা ছোলা এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে খান সেদ্ধ ছোলা।এমনি ছোলার পরিবর্তে যদি আপনি কাবলি ছোলা খান, তাহলে কিছু পরিমাণ কম খাবেন। ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন, মিনারেলস- সমস্ত ধরনের নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এই ছোলার মধ্যে যা আমাদের স্বাস্থ্যের সার্বিকভাবে খেয়াল রাখে।

Pan Card 2.0 Update Online: প্যান কার্ডের নিয়মে বড়সড় বদল, পুরোনো কার্ড কি বাতিল হবে?

Pan Card 2.0 Update Online: শীঘ্রই আসছে নতুন প্যান কার্ড (PAN 2.0)! প্যান কার্ড আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলিং, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, এবং আরও অনেক প্রয়োজনীয় কাজের জন্য অপরিহার্য। তবে এবার প্যান কার্ড ব্যবহারের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নতুন নিয়ম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে—বর্তমান প্যান কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? নতুন কার্ডের জন্য কি আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে? কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছে।

নতুন প্যান কার্ড কি আসবে? (Pan Card 2.0 Update Online)

কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, নতুন প্যান কার্ডের নাম হবে PAN 2.0। এটি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ধারণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও আধুনিক এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। নতুন এই প্যান কার্ডে যুক্ত করা হবে কিউআর কোড সুবিধা। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের প্যান কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সহজেই স্ক্যান করে পেতে পারবেন।সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, PAN 2.0-এর মাধ্যমে পুরো প্যান কার্ড সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে কাগজবিহীন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হবে।

প্যান কার্ডে কি পরিবর্তন আসবে?

নতুন প্যান 2.0 কার্ডে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক কিউআর কোড সুবিধা। এই কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের প্যান কার্ডের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, প্যান আপগ্রেডেশন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইন হবে। ব্যবহারকারীদের আর কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হবে না বা পুরনো প্যান কার্ডের নথি সুরক্ষিত রাখতে হবে না। উল্লেখযোগ্যভাবে, নতুন প্যান কার্ড প্রাপ্তি হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, এবং এটি নাগরিকদের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে।

বর্তমান প্যান কার্ড বাতিল হবে কি?

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, বর্তমান প্যান কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই! কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, আপনার বর্তমান প্যান কার্ড সম্পূর্ণ বৈধ থাকবে এবং এটি বাতিল করা হবে না। আপনি যখন খুশি নতুন PAN 2.0 কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ, নতুন প্যান কার্ড পাওয়ার পরও আপনার পুরনো প্যান কার্ড ব্যবহারযোগ্য থাকবে।

কেমন হবে প্যান কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া?

একটি দারুণ খবর হলো, প্যান কার্ড আপগ্রেডেশন প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! আপনার নতুন PAN 2.0 কার্ড পেতে কোনো অতিরিক্ত খরচ লাগবে না। আরও ভালো বিষয় হলো, আপনাকে নতুন করে কোনো আবেদন করতেও হবে না। সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার তথ্য আপডেট করবে এবং নতুন প্যান কার্ড সরাসরি আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলিয়াম তেলের সন্ধান: ১০০ বর্গকিমি জমিতে খননের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র!

পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলিয়াম তেলের সন্ধান: কেন্দ্র দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর, রানাঘাট, কাঁকপুল সহ আরও ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের রিজার্ভ রয়েছে। এই নতুন আবিষ্কারের পর, খনিজ তেল খননের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ চাওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তেলের খনি থাকতে পারে বলে অনুমান করছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে, ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় খননের জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী সংসদে এই খবর জানিয়েছেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর সহ একাধিক জায়গায় তেলের সন্ধান মিললেও, রাজ্যের অনুমতি না পাওয়ায় তেল উত্তোলন শুরু করা যায়নি।

কেন্দ্র দাবি করেছে, রাজ্য সরকারের কাছে অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছিল ওএনজিসি (ONGC), এবং ৩টি চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। আরও ২টি চিঠি পাঠিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। তবে, অশোকনগর এলাকায় তেল উত্তোলনের বিষয়ে, রাজ্য সরকারের তরফে কোনো উত্তর বা সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেলের খনি সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, এবং ওএনজিসি জানিয়েছে, অশোকনগরের ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তেল রয়েছে। এছাড়াও, রানাঘাট ও কাঁকপুল সহ আরও ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের উপস্থিতি পাওয়ার দাবি করেছে কেন্দ্র। এই এলাকাগুলিতে খননের জন্য লিজ অনুমতি চেয়ে বাবার চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্নের জবাবে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এই সব তথ্য প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তেলের খনির পিছনে ইতিমধ্যে ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, যদি এখানে খননকার্যের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে বছরে পশ্চিমবঙ্গের আয় হতে পারে ৮১২৬ কোটি টাকা

কলকাতায় সোনার দাম কমল, আজ গয়না কিনতে কত খরচ হবে?

কলকাতায় সোনার দাম: শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক উত্তেজনার কারণে মার্কিন ডলারের সূচক পতন হওয়ায় হলুদ ধাতুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিক পতনের কারণে বুলিয়ন মার্কেট এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সেপ্টেম্বরের পর এই মাসে সোনার বাজার সবচেয়ে বড় পতনের মুখে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম গতকাল ০.৫ শতাংশ বেড়ে ২৬৫২.৭১ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে। তবে, চলতি সপ্তাহে সোনার দাম প্রায় ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন গোল্ড ফিউচারের দরও ০.৬ শতাংশ বেড়ে ২৬৮১ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই মাসে এখনও পর্যন্ত সোনার মূল্য প্রায় ৩ শতাংশ নিম্নগামী। অন্যদিকে, মার্কিন ডলারের সূচকও ধাক্কা খেয়ে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, রুপোর দামও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট সিলভারের দাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে ৩০.৫৪ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে। এছাড়া, স্পট প্ল্যাটিনামের মূল্য ১.৭ শতাংশ বেড়ে ৯৪৬.৮৩ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স, এবং স্পট প্যালাডিয়ামের দাম ০.৭ শতাংশ বেড়ে ৯৮১.৬৩ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে।

কলকাতায় খুচরা বাজারের দর

ক্যারেট/ধাতুপূর্বের দাম (₹)হ্রাস (₹)বর্তমান দাম (₹)
২৪ ক্যারেট সোনা (১০ গ্রাম)৭৮,১১০১১০৭৮,০০০
২২ ক্যারেট সোনা (১০ গ্রাম)৭১,৬০০১০০৭১,৫০০
১৮ ক্যারেট সোনা (১০ গ্রাম)৫৮,৫৮০৮০৫৮,৫০০
রুপো (১ কেজি)৯১,৫০০৯১,৫০০

কলকাতায় সোনার দাম এবং রুপোর দাম

শনিবার কলকাতায় পাকা সোনার দাম ছিল ৭৮,০০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম। গয়নার সোনা কেনার জন্য নগরবাসীদের প্রতি ১০ গ্রামে ৭১,৫০০ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে ১৮ ক্যারেট সোনার মূল্য ছিল ৫৮,৫০০ টাকা। অন্যদিকে, এদিন শহরে এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ছিল ৯১,৫০০ টাকা। সোনার ও রুপোর দামে সামান্য ওঠানামা হলেও এটি ক্রেতাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।

MCX -এ সোনা এবং রুপোর দাম

গতকাল মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) সোনার ও রুপোর দামে উত্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডিসেম্বরের গোল্ড ফিউচারস ০.৮৯ শতাংশ বেড়ে ৭৬,৪০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম-এ পৌঁছেছে। অন্যদিকে, ডিসেম্বরের সিলভার ফিউচারস ১.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮,৯৪৩ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম হয়েছে।

চিকিৎসার নামে ৮৭ জনকে ধর্ষণ: ২০ বছর পর ফাঁস হলো ছ’হাজার ঘণ্টার ভিডিওসহ ভয়ংকর অপরাধ!

চিকিৎসার নামে ৮৭ জনকে ধর্ষণ: পেশায় নামী চিকিৎসক, বাহ্যিকভাবে ভদ্র এবং মার্জিত। কিন্তু তার এই মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর রূপ। অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চিকিৎসার নাম করে একের পর এক নারকীয় অপরাধ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এই স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠেছে মানবতার সীমা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ।

আর্নে বাই, ৫৫ বছরের এই সুদর্শন ব্যক্তি, যিনি নরওয়ের বাসিন্দা, তার বিরুদ্ধে ৮৭ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এসব ভয়াবহ অভিযোগ একে একে সামনে এসেছে, যা নরওয়ের প্রশাসনকেও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। নরওয়ের ফ্রোস্টা নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা এই স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের দুটি মামলা সহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনাটিকে নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর্নের বিরুদ্ধে মোট ৯৪ জন মহিলাকে যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৭ জন সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই ভয়াবহ কুকীর্তি চালিয়ে গিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ জানিয়েছে, আর্নের শিকারদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সি ছিল এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরী। এর পাশাপাশি, তিনি ৬৭ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকেও যৌন নিগ্রহের শিকার করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের সময় আর্নের কাছ থেকে ছ’হাজার ঘণ্টারও বেশি ভিডিও ফুটেজ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, যেখানে তাঁর স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষার সমস্ত রেকর্ডিং অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, রোগীদের অজান্তে তাঁদের চিকিৎসার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যাচ্ছিল সমস্ত দৃশ্য।

রেকর্ডিংগুলি পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে, এতে অত্যন্ত সংবেদনশীল ভিডিও তোলা হয়েছে। চিকি‌ৎসকের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একাধিক ক্যামেরা উদ্ধার করেছে, যেগুলির সাহায্যে আর্ন রোগীদের চিকিৎসার সময় গোপনে ভিডিও তৈরি করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহিলাদের পরীক্ষা করার সময় অত্যন্ত উদ্ভট পদ্ধতি বেছে নিতেন আর্নে। রোগীদের অভিযোগ, তিনি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করার জন্য ছোট গোলাকার বোতল এবং নলের মতো বস্তু ব্যবহার করতেন।

বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের গ্রামে বসেই এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছেন আর্ন। প্রথমে একটি-দু’টি অভিযোগ জমা পড়লেও, অনেক মহিলাই এবার সাহস করে এই প্রভাবশালী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, আর্নের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁরা নানা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। আর্নের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এক রোগিণী। তিনি জানান, আর্ন যে যন্ত্রণাদায়ক চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন, তাতে তিনি অনুভব করেছিলেন যে, তিনি মারা যেতে পারেন

অন্য এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে, গলায় ব্যথা নিয়ে আর্নের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষানিরীক্ষার পর, যখন তাঁর জ্ঞান ফিরল, তখন তিনি দেখেন যে, একটি বেঞ্চে অন্তর্বাস পরে শুয়ে রয়েছেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, যেহেতু আর্ন তাঁর গ্রামের চিকিৎসক ছিলেন, তাই তিনি বিশ্বাস করে যে নির্দেশই আর্ন দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। ‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্ন পরীক্ষার সময় মহিলাদের তলপেটে মাসাজের নাম করে তাদের যৌন নিগ্রহ করতেন। নিজেই চেম্বারে বসে রোগী দেখার নাম করে তিনি যৌন লালসা মেটাতেন, যা রোগীদের জন্য ছিল এক দুঃস্বপ্নের মতো।

নরওয়ের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২২ সালের অগস্ট মাসে আর্নের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে নরওয়ের পুলিশ। ২০২৩ পর্যন্ত আর্নের বিরুদ্ধে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েনি, তাই তার পেশার উপর সরকারি কোনও বাধা আরোপ করা হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর গম্ভীরভাবে নজর রাখছে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিচার চলাকালীন আর্নেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়নি, তবে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাকে ২১ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। নরওয়ের ফ্রস্টা নামের এই ছোট্ট শহরে মাত্র ২,৬০০ বাসিন্দা বাস করেন। আর্নে ছিলেন একজন নামজাদা ব্যক্তিত্ব এবং খ্যাতনামা চিকিৎসক। তবে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসায়, স্বাভাবিকভাবেই এটি শক দিয়ে গেছে শহরের বাসিন্দাদের।

government employees portal: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরির নিয়মে বড় পরিবর্তন, বেতন ও প্রমোশনের জন্য দ্রুত জমা দিতে হবে এই কাগজপত্র

government employees portal: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে Government Employees-দের প্রমোশন বা পদোন্নতি পেতে বাধ্যতামূলকভাবে বিশেষ নথি জমা দিতে হবে। যদি এই নথি জমা না করা হয়, তবে পদোন্নতি আটকে দেওয়া হবে। সম্প্রতি নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Government Employees portal new order on Integrity Certificate কি নথি জমা দিতে হবে?

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে সমস্ত সরকারি কর্মচারীকে সততার সার্টিফিকেট বা ইন্টিগ্রিটি সার্টিফিকেট (Integrity Certificate) জমা দিতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা কর্মচারীর পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, এবং সততার প্রমাণ প্রদান করে। এই নথি জমা দেওয়া না হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী পদোন্নতির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ইন্টিগ্রিটি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে, একজন কর্মচারী তার দায়িত্ব পালন করতে সৎ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত।

কেন চালু করা হলো এই নিয়ম?

সরকারি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অনেক কর্মচারী তাদের দায়িত্ব পালনে বা আচরণের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মানতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, কর্মীদের মধ্যে পেশাদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সততার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে কর্মচারীদের কাজের প্রতি আরও মনোযোগী এবং দায়িত্বশীল করে তোলা সম্ভব হবে বলে সরকারের বিশ্বাস।

কারা জমা দেবেন এই সার্টিফিকেট?

নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, অফিসার, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শ্রেণির সমস্ত সরকারি কর্মচারীর জন্য সততার সার্টিফিকেট (Integrity Certificate) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্মচারীর কাজের রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এই সার্টিফিকেট প্রস্তুত করা হবে। এটি শুধু জমা দেওয়াই নয়, কর্মচারীর পরিষেবা লগবুকেও সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে কর্মচারীদের কাজের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা সম্পর্কে একটি স্থায়ী নথি তৈরি হবে।

জমা না দিলে কী হবে?

যে সরকারি কর্মচারীরা সততার সার্টিফিকেট (Integrity Certificate) জমা দিতে ব্যর্থ হবেন, তারা কোনোভাবেই প্রমোশন বা পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন না। অর্থাৎ, নিয়ম মেনে চলা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা কর্মচারীরাই ভবিষ্যতে তাদের কর্মজীবনে অগ্রগতির সুযোগ পাবেন। সরকার আশা করছে, এই নিয়মের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ এবং সুশৃঙ্খল হবে। এর পাশাপাশি কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতার অনুভূতি বাড়বে এবং কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের মান আরও উন্নত হবে।

Kasba Attempt to Murder Case: সুশান্তকে খুন করতে বিহার থেকে আনা অস্ত্র রাখতে সাহায্য, গ্রেফতার আরও এক ষড়যন্ত্রকারী

Kasba Attempt to Murder Case: গত ১৫ নভেম্বর, নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এক আততায়ী। এই ঘটনার পর, পুলিশ এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা সুশান্তকে খুন করতে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল।

কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশান কলোনি থেকে শুক্রবার বিকেলে মহম্মদ আলি নামে ওই ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। অভিযোগ, সুশান্তকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন তিনি এবং এমনকি, বিহার থেকে অস্ত্র আনার কাজেও তার ভূমিকা ছিল।

গত ১৫ নভেম্বর সুশান্তকে নিজের বাড়ির সামনে লক্ষ্য করে গুলিতে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এক আততায়ী। ওই আততায়ী যুবরাজ সিংহকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, সুশান্তকে খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন গুলজ়ার। তাঁর মাধ্যমেই উঠে আসে মহম্মদ আলি-এর নাম। ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগ দাবি করে আসছিলেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানায়, গুলজ়ারই সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে তিনি বিহারে তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ব্যক্তির সাহায্যেই ‘শুটার’ ভাড়া এবং অস্ত্র জোগাড় করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সুশান্তকে খুন করার জন্য বিহার থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল, আর সেগুলি রাখার বন্দোবস্তও করেছিলেন আলি। শুধু অস্ত্র মজুত করতে সাহায্য নয়, খুনের পুরো পরিকল্পনায় আলি সমস্ত রকম সাহায্য প্রদান করেছিলেন।

কসবাকাণ্ডে আলি-র পাশাপাশি আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুটার যুবরাজ, গুলজ়ার ছাড়াও এক আহমেদ আলি নামে ট্যাক্সিচালক-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ফুলবাবু নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়।

সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা-এর ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি করছে তদন্তকারীরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং স্কুটার উদ্ধার করেছে। তবে সূত্র জানাচ্ছে, এই ঘটনায় আরও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর এখনও নাগাল পায়নি পুলিশ। তদন্তকারীরা এখনো খোঁজ চালাচ্ছেন যে, এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা কারা জড়িত ছিল।