বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 119

Tollywood star dev and jisshu: যিশুকে ফোন দেবের, শুনলাম শাহরুখ খানের সঙ্গে সিনেমা করছ?

Tollywood star dev and jisshu: দেব আর যিশুর মজার ফোনালাপ যেন এখন সবার আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকেই দেবকে ফোন করেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। এবার পালা নিলেন দেব। সাংবাদিকদের সামনে ‘খাদান’-এর সহ-অভিনেতা যিশুকে ফোন করলেন তিনি। আর ফোন ধরেই একেবারে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, “শুনলাম শাহরুখ খানের সঙ্গে সিনেমা করছ?”

শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা ‘কিং’-এ যিশু সেনগুপ্তর অভিনয়ের গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই টলিপাড়ায় ঘুরছে। তবে এবার সেই জল্পনায় যেন ঘি ঢাললেন দেব! নিজের আসন্ন সিনেমা ‘খাদান’-এর প্রচারের ফাঁকেই সাংবাদিকদের সামনে যিশুকে ফোন করেন সুপারস্টার দেব। ফোন স্পিকারে দিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, “শুনলাম শাহরুখ খানের সঙ্গে সিনেমা করছ?”

যিশুও কম যান না! হালকা রসিকতার ছলে জল্পনার আগুনে আরও খানিকটা তেল ঢাললেন। বললেন, সে তো আমিও শুনলাম। যিশুর এই উত্তরে উপস্থিত সকলেই হেসে উঠলেও, তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। তবে যিশুর হালকা রহস্যময় ভঙ্গি কি এই গুঞ্জনকে সত্যি হওয়ার আশা দেখাচ্ছে? ।

যিশুর উত্তর শেষ হতে না হতেই দেব আরেক ধাপ এগিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, “কনফার্ম নয়?” যিশু হালকা হাসি নিয়ে বললেন, “আমি অন্তত জানি না। আমি হয়তো…” তবে যিশুর কথা শেষ হওয়ার আগেই দেব যেন পুরো বিষয়টা নিয়ে মজা করতে করতে বলে উঠলেন, “ওহ! রাত্রিবেলা ফোন করছি। এগুলো মিডিয়া জেনে নিলে আবার নিউজ করবে।”

আলোচনা যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, সেটা বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের স্পিকার বন্ধ করে দেন দেব। হাসতে হাসতে যিশুকে জানিয়ে দেন, রাতে আবার তাঁকে ফোন করবেন।

ডিভোর্সের গুঞ্জন উপেক্ষা করেও যিশু সেনগুপ্ত কিন্তু পেশাদারিত্বে একেবারে অবিচল। ‘খাদান’ সিনেমার প্রচারে নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন তিনি। তবে, প্রচারের বেশিরভাগ দায়িত্বই বহন করছেন দেব। বহুদিন পর এই ছবিতে দেবকে অ্যাকশনের মেজাজে দেখা যাবে, যেখানে তাঁর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন যিশু।

Tollywood star dev and jisshu বড়দিনের উপহার ‘খাদান’

ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে ২০ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগেই। সুজিত রিনো দত্ত পরিচালিত এই সিনেমায় দেব ও যিশুর পাশাপাশি রয়েছেন আরও এক ঝাঁক প্রতিভাবান অভিনেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বরখা বিশত, ইধিকা পাল, অনির্বাণ চক্রবর্তী, স্নেহা বসু, জন ভট্টাচার্য, সুজন নীল ভট্টাচার্য, এবং বিশ্বজিৎ ঘোষ।

গানগুলো ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়

ছবির দুটি গান, ‘রাজার রাজা’ এবং ‘হায় রে বিয়ে’, ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে ‘রাজার রাজা’ গানটি অ্যাকশন-প্যাকড গল্পের ছোঁয়া দিয়েছে, যা ছবির উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

অ্যাকশনের মেজাজে দেব

দর্শকদের জন্য বড় আকর্ষণ হল দেবের অ্যাকশন-অবতার। দীর্ঘদিন পর তিনি যে ধরনের শক্তিশালী অ্যাকশনে ফিরছেন, তা ছবিটির অন্যতম মূল আকর্ষণ। দেবের অনুগামীরা তো বটেই, সাধারণ দর্শকরাও এই ছবির জন্য মুখিয়ে আছেন।

তাই, বড়দিনের উৎসবে পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে ‘খাদান’ হতে পারে একটি দারুণ পছন্দ। দেব-যিশু জুটির দুর্দান্ত কেমিস্ট্রি এবং মনোমুগ্ধকর গান আপনাকে প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে যেতে বাধ্য করবে!

today gold price kolkata 22k: সোনার দামে বড় চমক,

নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সোনার দামে বড় চমক! (today gold price kolkata 22k)

আজ, বুধবার, গতকালের তুলনায় সোনার দাম আবারও একটু বেড়েছে। ২২ ক্যারাট সোনার দাম বর্তমানে ৭১ হাজার টাকার ওপরে, যা বিয়ের মরশুমে সোনা কেনার পরিকল্পনা করা মানুষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে গোটা দেশের তুলনায় কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরুসহ কিছু শহরে সোনার দাম তুলনামূলক কম। তাই বিয়ের মরশুমে সোনা কেনার আগে অবশ্যই বাজারের বর্তমান দর দেখে নিন।

শহরভিত্তিক সোনার আজকের দাম (১০ গ্রাম) (today gold price kolkata 22k)

শহর২২ ক্যারাট (₹)২৪ ক্যারাট (₹)
কলকাতা৭১,১৫০৭৭,৬২০
দিল্লি৭১,৩০০৭৭,৭৭০
মুম্বই৭১,১৫০৭৭,৬২০
আহমেদাবাদ৭১,২০০৭৭,৬৭০
চেন্নাই৭১,১৫০৭৭,৬২০
গুরুগ্রাম৭১,৩০০৭৭,৭৭০
পুনে৭১,১৫০৭৭,৬২০
লখনউ৭১,৩০০৭৭,৭৭০
বেঙ্গালুরু৭১,১৫০৭৭,৬২০
জয়পুর৭১,৩০০৭৭,৭৭০
ভুবনেশ্বর৭১,১৫০৭৭,৬২০
পাটনা৭১,২০০৭৭,৬৭০
হায়দরাবাদ৭১,১৫০৭৭,৬২০

Vitamin Deficiency 2024: অনবরত গা চুলকাচ্ছে? কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয় জানুন!

Vitamin Deficiency: ভিটামিনের ঘাটতির কারণে চুলকানি, ত্বকে ফাটল এমনকি সংক্রমণের মতো সমস্যাও হতে পারে। সময় থাকতে জেনে সতর্কতা নিন।

ত্বকে ঘন ঘন চুলকানি ও শুষ্কতা অনেকের জন্যই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি বা শুষ্ক ত্বক থাকার অন্যতম কারণ হতে পারে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, বিশেষ করে কিছু ভিটামিনের ঘাটতি হলে ত্বকে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এমন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে, যেগুলির ঘাটতির ফলে ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি বাড়তে পারে। তাই এই লক্ষণগুলিকে অবহেলা না করে পুষ্টির দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি ত্বককে বেশ কয়েকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যার মধ্যে শুষ্ক ও ফ্ল্যাকি ত্বক অন্যতম। তাই ত্বক, চুল, নখকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্যের মাধ্যমে বা প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ডাঃ রিঙ্কি কাপুর, যিনি একজন কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ডার্মাটো-সার্জন, দ্য এস্থেটিক ক্লিনিক থেকে জানাচ্ছেন, কোন ভিটামিনের ঘাটতি চুলকানি ও ত্বকের সমস্যার কারণ হয় এবং আমাদের খাদ্যতালিকায় ঠিক কোন ভিটামিনগুলির অন্তর্ভুক্তি দরকার।

Vitamin Deficiency: ভিটামিন এ

ভিটামিন এ ত্বকের কোষ মেরামত ও নতুন কোষ তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে ত্বকে শুষ্কতা, মৃত কোষ জমা এবং একজিমা বা প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণে নিয়মিত সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের সবজি যেমন গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, কমলা লেবু, আম, পেঁপে ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া খাসির মাংস, মুরগি, মাছ, ডিম, গম এবং সয়াবিন থেকেও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল।

Vitamin Deficiency: ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি, যাকে আমরা “রোদ বা সূর্যালোক ভিটামিন” বলেও চিনি। হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ত্বকের এপিডার্মিসে ভিটামিন ডি থাকে, আর ত্বক শুষ্ক হলে তা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির একটি সাধারণ লক্ষণ। এই ভিটামিন ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরি করে, যা ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ব্রণ, বলিরেখা বা সূক্ষ্ম রেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে, যা ত্বককে আরও উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে। আপনি সূর্যের আলো (নিরাপদ সময়ে) এবং লাল মাংস, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, প্রাতঃরাশের সিরিয়াল, কমলা, সয়া দুধ, মাশরুম, ওটমিল ইত্যাদি খাবার থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারেন।

Vitamin Deficiency: ভিটামিন ই

ভিটামিন ই ত্বককে হাইড্রেটেড এবং ময়শ্চারাইজড রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের লিপিড স্তরকে বজায় রাখার পাশাপাশি প্রদাহ এবং বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণগুলোও কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই-এর অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফাটল ধরতে পারে, যা আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। ত্বকের ফাটল সারিয়ে তুলতে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। এই ভিটামিন পেতে আপনি সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়োর বীজ, গোলমরিচ, কুসুম এবং সয়াবিন তেল ইত্যাদি খাবার আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

Vitamin Deficiency: ভিটামিন সি

ভিটামিন সি শুধুমাত্র ত্বক রক্ষাকারী নয়, এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি-এর অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, লেবু, গোলমরিচ, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, ক্যান্টালপ ইত্যাদি খাবার থেকে আপনি সহজেই ভিটামিন সি পেতে পারেন, যা ত্বককে সজীব এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।

জিঙ্ক

সামান্য জিঙ্কের অভাবও কিন্তু বেশ কিছু ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন সোরিয়াসিস, শুষ্ক স্ক্যাল্প, এটোপিক ডার্মাটাইটিস এমনকি একজিমা। তাই ত্বককে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ঝিনুক, লাল মাংস, মুরগি, লবস্টার, মটরশুটি, বাদাম ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ঠিকঠাক রাখতে হলে আপনার খাদ্য তালিকায় এসব পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি আমাদের শরীরের ভেতর থেকে পুষ্টি দেওয়াও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত খাবার রাখা উচিত, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তবে শুধু খাদ্যই নয়, প্রয়োজনে বিশেষ কোনো পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যেন সঠিক সমাধান পাওয়া যায়।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

Vitamin B12 Deficiency: হাত-পা অসাড়, মন খারাপ বা ভুলে যাচ্ছেন? জেনে নিন কোন ভিটামিনের অভাবে এমন সমস্যা হচ্ছে

Vitamin B12 Deficiency: সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন নার্ভের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রক্তের লাল কণিকা (আরবিসি) ও ডিএনএ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। ভিটামিন বি ১২-এর জন্য দৈনিক যে পরিমাণ প্রয়োজন (Reference Daily Intake) তা হল ২.৪ মাইক্রোগ্রাম। তবে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। বিশেষ করে নিরামিষাশীদের মধ্যে এই ঘাটতি বেশি দেখা যায়, কারণ ভিটামিন বি ১২ সাধারণত ‘প্লান্ট বেসড ভিটামিন’ নয়।

Vitamin B12 ভিটামিন পাওয়া যায়

নার্ভের কোষ এবং রক্তের কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন বি ১২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ডিএনএ তৈরিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের শরীর নিজে থেকে ভিটামিন বি ১২ তৈরি করতে পারে না, তাই এই ভিটামিনটি খাবার ও পানীয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিমে প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু শস্য, পাউরুটি এবং ইস্টেও ভিটামিন বি ১২ আছে, তাই সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চলা খুবই জরুরি।

Vitamin B12 গুরুত্ব

রক্তকণিকা ও স্নায়ুকোষের স্বাস্থ্য রক্ষায়, ডিএনএ ও জিনগত উপাদান তৈরি এবং হাড়ের সুস্থতার জন্য ভিটামিন বি ১২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিন চুল, নখ এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। কিন্তু ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে মানসিক অবসাদ, স্মৃতিশক্তির হ্রাস এবং হাত-পা অসার হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হয়েছে? লন্ডনের National Health Services (NHS)-এর গবেষকরা এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন, যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Vitamin B12 প্রভাব

National Health Services (NHS)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি শরীরের চারটি অংশে প্রথমে প্রভাব ফেলে—হাত, হাতের পাতা, পা ও পায়ের পাতা। যাঁদের এই ভিটামিনের অভাব রয়েছে, তাঁদের এই চার অংশে অদ্ভুত একটি অনুভূতি হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় ‘প্যারাসথেসিয়া’ বা ‘পিন অ্যান্ড নিডল’, অর্থাৎ ঝিঁঝি ধরে কিংবা সূক্ষ্ম ছুঁচ ফোটানোর মতো অনুভূতি। তবে, এই সমস্যা শুধু ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির কারণে নয়; নার্ভের নানা সমস্যা, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, কম রক্ত, হাইপারভেন্টিলেশন এবং ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। তাই, এই ধরনের অনুভূতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি

আরও কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হচ্ছে? গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভিটামিনের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভিটামিন বি ১২-এর অভাব মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে চিন্তাশক্তি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মস্তিষ্কের স্নায়ুর সঙ্গে জড়িত রোগ যেমন ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স, এবং পার্কিনসন্সের সঙ্গেও ভিটামিন বি ১২-এর সম্পর্ক রয়েছে। এই ভিটামিনের অভাবে মস্তিষ্কের স্নায়ু শুকিয়ে যেতে পারে, যার ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। আপনি যদি ঘনঘন সবকিছু ভুলে যান বা মনে রাখতে অসুবিধা অনুভব করেন, তবে এটি ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির একটি লক্ষণ হতে পারে। তাই, যদি আপনি এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে কি সমস্যা হয়

ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে পেটে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি পেটে সংক্রমণ বা প্রদাহের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই, এই ভিটামিনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাবারের তালিকায় মাংস, দুধ ও ডিম অন্তর্ভুক্ত করে এই ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে পারেন। যদি আপনি কোনো সমস্যা অনুভব করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সঠিক হবে।

লন্ডনের National Health Services (NHS)-এর গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে অ্যানিমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে শরীর সঠিকভাবে লাল রক্তকণিকা (আরবিসি) তৈরি করতে পারে না, যা মেগালোব্লাসটিক অ্যানিমিয়ার কারণ হতে পারে। ফলে, আরবিসি সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়।

এছাড়া, ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে ত্বকে হলদেটে ভাব, শ্বেতি, এবং চুলের রঙ বদলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, এই ভিটামিনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। যদি আপনি এ ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

ভিটামিন বি ১২ শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। কিন্তু এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় আমরা যখন দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকি, তখন পা অসাড় হয়ে যেতে পারে—এটা এক ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি। যদি আপনারও এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে ভিটামিন বি ১২-এর উপর একটু নজর দেওয়া দরকার। ত্বক, চুল, এবং মনোভাবের জন্যও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব!

ভিটামিন বি ১২ কোন খাবারে বেশি থাকে

নিরামিষ খাবারে ভিটামিন বি ১২-এর পরিমাণ কিছুটা কম থাকে, তাই যাঁরা নিরামিষভোজী, তাঁদের জন্য এই ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। অন্যদিকে, প্রাণিজ খাবারে ভিটামিন বি ১২-এর পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন, ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস, সামুদ্রিক মাছ—এসব খাবারে প্রচুর ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়। পাশাপাশি, দুধ, দই এবং ছানাও এই ভিটামিনের ভালো উৎস। তাই সঠিক পুষ্টির জন্য খাদ্যতালিকায় এ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ!

কাদের ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বেশি?

কাদের ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বেশি? মূলত, বয়স্ক মানুষ, শিশু, ভেগান এবং ডায়াবেটিকদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে নিরামিশাষীদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি দেখা যায়, কারণ এটি ‘প্লান্ট বেসড ভিটামিন’ নয়। তাই এই গোষ্ঠীর মানুষের জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি!

Breakfast Skipping Effect: একমাস ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরের লাভ না ক্ষতি হয় জানুন!

Breakfast Skipping Effect:ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরের লাভ না ক্ষতি হয়। কথায় আছে, দিনের শুরুটা যদি ভাল হয়, তাহলে পুরো দিনটাই ভাল যায়। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার, অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে দেন। এই বদভ্যাস দীর্ঘদিন চললে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে শরীরের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করলে শরীরে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ সরবরাহ হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ব্রেকফাস্ট না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে(Skipping Breakfast Side Effects)। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। একটানা এক মাস ব্রেকফাস্ট না করলে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরছি।

Breakfast না করলে কী হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, Breakfast না করলে আমাদের মেজাজের উপর সেরোটোনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার অনেকটাই প্রভাব ফেলে। সেরোটোনিনের মাত্রা সঠিক রাখতে নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। এক মাস ধরে ব্রেকফাস্ট না করলে সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা বিরক্তি, দুশ্চিন্তা এবং এমনকি বিষণ্নতার লক্ষণও বাড়াতে পারে। তাই, ভালো মেজাজ এবং সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত সকালের খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেকফাস্ট না করলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রভাব পড়তে পারে। কিছু মূল সমস্যার মধ্যে রয়েছে:

  1. শক্তির অভাব: Breakfast না করলে দিনের শুরুতে শরীরে শক্তির অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে, ক্লান্তি, অস্থিরতা ও মনোযোগের অভাব হতে পারে।
  2. রক্তে শর্করার কমে যাওয়া: ব্রেকফাস্ট না দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  3. মেটাবলিজম ধীর হয়ে যাওয়া: ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীরের মেটাবলিজমের গতি কমে যেতে পারে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  4. মনোসংযোগের অভাব: সকালের খাবার না খেলে মনোসংযোগ ও সৃজনশীলতা কমে যেতে পারে, যা কাজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
  5. অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা: ব্রেকফাস্ট না করলে পরবর্তী খাবারের সময়ে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  6. পুষ্টির অভাব: ব্রেকফাস্টে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় যা শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার সরবরাহ করে। ব্রেকফাস্ট না করলে এসব পুষ্টির অভাব হতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, এটি কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার অঙ্গ নয় আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

pan card update bangla: বদলে যাবে প্যান কার্ডের ফরম্যাট! কিউআর কোড সহ নতুন নিয়মে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের

pan card update bangla: বদলে যাবে প্যান কার্ডের ফরম্যাট! কিউআর কোড সহ নতুন নিয়মে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। প্যান ২.০ প্রকল্পের অধীনে গ্রাহকদের জন্য একাধিক আধুনিক সুবিধা নিয়ে আসা হচ্ছে। নতুন প্যান কার্ডে কিউআর কোড যোগ করার ফলে আর্থিক লেনদেন আরও দ্রুত এবং সুরক্ষিত হবে। এটি লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করবে এবং বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণে সময় বাঁচাবে। পাশাপাশি, উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য দ্রুত এবং নির্ভুল পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।

এবার প্যান কার্ডে যুক্ত হবে কিউআর কোড! সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, নতুন এই উদ্যোগকে প্যান ২.০ প্রকল্প নামে পরিচিত করা হবে। কেবল কিউআর কোডই নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্যান কার্ডে যুক্ত করা হবে আরও বেশ কিছু উন্নত সুবিধা। প্যান ২.০ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪৩৪ কোটি টাকা।

নতুন প্রকল্পে ঠিক কী সুবিধা মিলবে? কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতিতে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়েছে, প্যান কার্ডে কিউআর কোড অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আয়করদাতাদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত হবে।

কী কী সুবিধা পাবেন এই প্রকল্পে?(pan card update bangla)

  1. উন্নত পরিষেবা: কিউআর কোডের সাহায্যে খুব সহজে এবং দ্রুত তথ্য যাচাই করা সম্ভব হবে। ফলে পরিষেবা নেওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে।
  2. ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা: নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্যান কার্ডধারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত রাখা যাবে।
  3. আর্থিক জালিয়াতি রোধ: আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়ায় এবং উন্নত সুরক্ষার কারণে জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
  4. সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা বৃদ্ধি: এই প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে বলে সরকারের দাবি।

নতুন প্যান ২.০ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা বেশ আশাবাদী। বিশেষ করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের এক্স হ্যান্ডলে (প্রাক্তন টুইটার) জানিয়েছেন, “প্যান ২.০ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়করদাতারা অনেক সুবিধা পাবেন। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা আরও স্বচ্ছ, সহজ এবং উন্নত পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন।”

তবে, এখনো এই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, কবে থেকে এই নতুন পরিষেবা চালু হবে, তাও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। তবে, মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আয়করদাতাদের জন্য অনেক সহজ এবং আধুনিক সেবা আসতে চলেছে।

Kolkata Metro Ticket New Rule: কলকাতা মেট্রোর টিকিটে নতুন নিয়ম, যাত্রীদের জন্য কী বদল আনল মেট্রো?

Kolkata Metro Ticket New Rule: কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ গত ১৯ নভেম্বর একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, নর্থ-সাউথ লাইনের ১৫টি স্টেশনে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে নগদ লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। সেই সময়ে যাত্রীরা শুধুমাত্র ইউপিআই বা অন্য কোনও ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন।

কলকাতা মেট্রো ধীরে ধীরে স্টেশনগুলির টিকিট লেনদেন পুরোপুরি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা করছে। আনন্দবাজার পত্রিকার একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর মেট্রো কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নর্থ-সাউথ লাইনের ১৫টি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ে নগদ লেনদেন বন্ধ রাখা হবে। ওই সময় শুধুমাত্র ইউপিআই (UPI) বা অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে টিকিট কাটার সুবিধা পাওয়া যাবে। যাত্রীরা চাইলে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ডিজিটাল লেনদেনের এই নতুন নিয়ম কার্যকর থাকবে। প্রকল্পটি শুরু হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে যাত্রীদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ:
অনেকেই মেট্রোর যাত্রী ‘টেক-স্যাভি’ নন, ফলে ডিজিটাল লেনদেন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। আবার যারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, তারাও কিছুটা বিরক্ত। কারণ একাধিক টিকিট কাটতে গেলে বারবার কিউআর কোড স্ক্যান করতে হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ।

অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিনের চ্যালেঞ্জ:
স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই মেশিনে টিকিটের নির্দিষ্ট মূল্য দিতে হয়, কারণ অতিরিক্ত টাকা দিলে তা ফেরত পাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক যাত্রী এই নিয়মে অসন্তুষ্ট।

দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতার মধ্যেও, মেট্রোর টিকিট সংক্রান্ত নতুন নিয়ম যাত্রীদের মধ্যে বিরাট অস্বস্তি তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, দেশে মোট লেনদেনের মাত্র ২০ শতাংশই ডিজিটাল মাধ্যমে হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও, কলকাতা মেট্রোর ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দেওয়া যাত্রীদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার যতীন দাস পার্ক স্টেশনে পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি। সেখানে তিনি যাত্রীদের তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরপিএফ কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৩৩ শতাংশ লেনদেন বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, ভবিষ্যতে মেট্রো টিকিট কাউন্টার পুরোপুরি বন্ধ করার প্রস্তুতি হিসেবেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। যাত্রীদের উপর ডিজিটাল লেনদেন চাপিয়ে দেওয়ার এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।

Today Gold Price Kolkata: কলকাতায় সোনার দাম কমল, ১ ভরি সোনা কিনতে এখন কত খরচ?

Today Gold Price Kolkata: আপনি কি সোনা কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে, দোকানে যাওয়ার আগে কলকাতায় সোনার দাম দেখে নিন। বিয়ের মরশুম আসতেই সোনার চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। দীপাবলির সময় সোনার দাম হু হু করে বেড়েছিল, তাই এখন সোনার দাম সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক মাসে সোনার চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে, যার ফলে দামে বড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কি এখনই সোনা কিনে রাখার সঠিক সময়? যদি আপনি এমনটা ভাবছেন, তবে আজই সোনা এবং রুপোর লেটেস্ট দাম দেখে নিন এবং সিদ্ধান্ত নিন।

আজকের সোনা ও রুপোর দাম (২৫ নভেম্বর ২০২৪)

ক্যারেটসোনার দাম (প্রতি ভরি)
২২ ক্যারেট₹৭,২৮৫
১৮ ক্যারেট₹৫,৯৮১
ধাতুদাম (প্রতি কেজি)
রুপো (সিলভার)₹৮৯,৯৫১

নোট: উপরের দামের সঙ্গে ৩% জিএসটি (GST) যুক্ত করতে হবে।

Skin care tips in bangla: গরম জলের ভাপ নিলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল! জানুন কতবার করবেন ও কী নিয়ম মানতে হবে

Skin care tips in bangla: সালোঁতে ফেশিয়াল করাতে গেলেই একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন—ক্রিম দিয়ে মালিশের পর মুখে গরম জলের ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণত এই ভাপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ একটি যন্ত্র, যাকে বলা হয় ‘ফেস স্টিমার’। এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচিত ‘ফেশিয়াল স্টিমিং’ নামে।

নামীদামি প্রসাধনী কিনতে হ্যাপা পোহানোর দরকার নেই, কারণ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে পারে একেবারে সহজলভ্য গরম জল! মুখে গরম জলের ভাপ নিলেই ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে, দূর হয় দাগছোপ। এমনকি রোদে পোড়া ত্বকের কালো দাগও নিয়মিত ভাপ নিলে অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।

সালোঁতে যখন ফেশিয়াল করানো হয়, তখন লক্ষ্য করবেন, ক্রিম দিয়ে মালিশের পর মুখে গরম জলের ভাপ নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি ‘ফেশিয়াল স্টিমিং’ নামে পরিচিত, যেখানে ‘ফেস স্টিমার’ ব্যবহার করা হয়।

সালোঁয় না গিয়েও বাড়িতেই আপনি এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। তবে সঠিক উপায় মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে স্টিমিং করলে ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার হবে, রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ত্বক হবে আরও কোমল ও উজ্জ্বল।

ফেশিয়াল স্টিমিং’ করলে কী উপকার হয় ত্বকের?

সর্দিকাশি হলে চিকিৎসকেরা প্রায়ই গরম জলের বাষ্প নেওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এটি রোগজীবাণু ধ্বংস করে এবং বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে। ঠিক একই প্রক্রিয়া ত্বকের জন্যও দারুণ কার্যকর। দিনের পর দিন ধুলো-ময়লা এবং জীবাণু ত্বকের উপর স্তর তৈরি করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু গরম জলের ভাপ সেই ময়লা ও জীবাণু দূর করতে অসাধারণ কার্যকর।

ভাপ নেওয়ার ফলে ত্বকের রন্ধ্রগুলি খুলে যায়, যার ফলে ভিতরে জমে থাকা ধুলো-ময়লা ও টক্সিন সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসে। ত্বকে থাকা জীবাণুগুলিও গরম জলের তাপে ধ্বংস হয়। এর ফলে ত্বক সজীব, উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের সমস্যার জন্য ‘ফেশিয়াল স্টিমিং’ খুবই উপকারী। স্যালোঁতে নাকের উপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার আগে গরম জলের ভাপ দেওয়া হয়—এটি রন্ধ্রগুলোকে খুলে দেয় এবং ব্ল্যাকহেডস তুলতে সহজ করে তোলে। তাই বাড়িতে নিয়মিত ভাপ নিলে ত্বক অনেকটাই পরিষ্কার রাখা সম্ভব।

গরম জলের ভাপ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়লে ত্বকের কোষে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। ফলে নিয়মিত ফেশিয়াল স্টিমিং করলে ত্বকের দীপ্তি স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে, কোনো বাড়তি প্রসাধনী ছাড়াই।

গরম জলের ভাপ নিন নিয়ম মেনে, কী কী করবেন না?

গরম জলের ভাপ নেওয়ার জন্য একটি বড় গামলায় গরম জল নিন এবং মাথা একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে ভাপ সরাসরি ত্বকে লাগে এবং বাইরের বাতাস এতে বিঘ্ন না ঘটায়।

ভাপ নেওয়ার সময়সীমা অবশ্যই ৫-১০ মিনিটের মধ্যে রাখুন। এর বেশি সময় ধরে ভাপ নিলে ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই সাবধানে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন, যাতে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে।

ভাপ নেওয়ার উপকারিতা আরও বাড়ানোর জন্য গরম জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। জ়েরানিয়াম, ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা ক্যালেন্ডুলা অয়েল ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকর। এগুলি ত্বককে শুধু শীতল রাখে না, বরং তার আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

তবে মনে রাখবেন, গরম জলের ভাপ প্রতি দিন নেওয়া উচিত নয়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ভাপ নেওয়া যথেষ্ট। বেশি ভাপ নেওয়া ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুকিয়ে দিতে পারে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

যদি ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়, বা সোরিয়াসিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের মতো চর্মরোগ থাকে, কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তবে ভাপ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সতর্কতাই ত্বকের সুরক্ষার প্রথম শর্ত।

ত্বকে গরম পানির ভাপ নিলে কী হয়? (Skin care tips in bangla)

গরম পানির উপর মুখ রেখে ভাপ নিন মুখে। একে বলে স্টিম থেরাপি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই থেরাপি দারুণ কার্যকর। 

১. কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি

ত্বকে গরম পানির ভাপ নিলে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। এতে ত্বক টানটান থাকে, বলিরেখা কমে, এবং ত্বক শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

২. ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজেশন

গরম বাষ্প তৈলগ্রন্থিগুলো উদ্দীপিত করে, যার ফলে ত্বক প্রাকৃতিক উপায়ে ময়েশ্চারাইজড থাকে।

৩. ব্রণের প্রকোপ কমানো

ত্বকে থাকা জীবাণু গরম বাষ্পে ধ্বংস হয়, যা ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

4. ভেতরের ময়লা দূর করা

ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লা বাষ্পের প্রভাবে সহজেই বাইরে বের হয়ে আসে।

5. রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো

ভাপ নেওয়ার ফলে ত্বকের রক্ত চলাচল উন্নত হয়, যা ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।

6. আর্দ্রতা বজায় রাখা

রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকেও গরম জলের ভাপ আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

7. তৈলাক্ত ভাব কমানো

ভাপের সাহায্যে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করা সম্ভব, যা ত্বককে সতেজ রাখে।

8. মরা চামড়া দূর করা

ত্বকের ওপর জমে থাকা মরা চামড়া সহজেই উঠে যায়, ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যকর।

গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া কি নিরাপদ?

গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া নিয়ে অনেকেই নানা ধারণা পোষণ করেন। তবে বাস্তবিকভাবে এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।

১. ত্বকের ছিদ্র খুলে দেওয়া
গরম পানি ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে দেয়, যা ভেতরে জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

২. ময়লা দূর করা সহজ হয়
ভাপ বা গরম পানি ত্বকের ছিদ্রের ভেতর জমে থাকা তেল ও ময়লাকে নরম করে তোলে। ফলে এগুলো সহজেই ত্বক থেকে সরে যায়।

৩. গভীর পরিচ্ছন্নতা
গরম পানির ভাপ ত্বকের গভীর স্তর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে। এটি নিয়মিত করলে ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর।

চর্ম বিশেষজ্ঞরা গরম পানি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কারণ অতিরিক্ত গরম পানি ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় তেল সরে যেতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়, ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় এবং এমনকি অকাল বার্ধক্যও হতে পারে। তাই মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটি ত্বক থেকে ময়লা এবং অতিরিক্ত তেল অপসারণে সাহায্য করবে, ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

গরমকালে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ গরম পানি ত্বকের আরও ক্ষতি করতে পারে। মুখ ধোয়ার সময় গরম পানির সাথে সাধারণ পানি মিশিয়ে নিন, এরপর হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে সিবাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ত্বকে লালভাব বা ব্রণের সমস্যা হবে না, এবং ত্বকের রঙ উজ্জ্বল থাকবে।

Belly Fat Burning Tips 2024: সকালে ঘুম থেকে উঠে করুন ৫ কাজ, পেটের মেদ ঝরবে হুড়মুড়িয়ে!

Belly Fat Burning Tips: বর্তমান সময়ে স্থূলতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে স্থূলতা দ্রুত বাড়ছে। পেটের মেদ এবং বাড়তি ওজন কমাতে খাদ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেটে জমে থাকা চর্বি কেবল ব্যক্তিত্বই নষ্ট করে না, বরং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক। এটি কমানো বেশ কঠিন। অনেকেই স্থূলতা কমাতে ডায়েটিং, জিম, এবং অন্যান্য উপায়ে চেষ্টা করেন, কিন্তু অনেক সময় এর ফলাফল আসে না। তাই সঠিক পন্থা ও অভ্যাস গড়ে তোলা খুব জরুরি।

কথায় আছে, “মর্নিং শোজ দ্য ডে”—অর্থাৎ দিনের শুরুতেই বোঝা যায় বাকি দিনটা কেমন যাবে। আমাদের সকালটি কেমন কাটবে, তা অনেকটা নির্ভর করে সকালের অভ্যাসের উপর। যদি সকালে আমরা ভালোভাবে শুরু করি, তাহলে সারাদিনও ভালো কাটবে। এবং এই ভালো শুরু আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।

পেটের মেদ কমাতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি, কারণ পেটের চর্বি যে কাউকেই ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ফিটনেস কোচরা প্রধানত পাঁচটি সকালের অভ্যাসের কথা বলছেন। দিনের শুরুতেই যদি আমরা এই অভ্যাসগুলো মেনে চলি, তাহলে পেটের মেদ দ্রুত কমতে পারে। তাই আসুন, সকালে কিছু সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলি এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে আরও ভালো করি!

সকালে ঘুম থেকে উঠে পেটের মেদ ঝরানোর জন্য ৫টি কাজ করুন:

  1. পানি খান: সকালে উঠে এক গ্লাস তাজা জল পান করুন। এটি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।
  2. হালকা ব্যায়াম করুন: কিছু স্ট্রেচিং বা ১০-১৫ মিনিটের হালকা যোগব্যায়াম করুন। এটি আপনার শরীরকে চাঙ্গা করবে এবং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
  3. নাস্তায় সঠিক পুষ্টি নিন: স্বাস্থ্যকর নাস্তা করুন, যেমন ওটস, ফল বা প্রোটিন শেক। এটি আপনাকে সারাদিন শক্তি জোগাবে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমাবে।
  4. প্ল্যান করুন: দিনের পরিকল্পনা করুন। সময়মতো খাবার এবং ব্যায়ামের রুটিন তৈরি করুন, যাতে আপনি সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারেন।
  5. সকালে কিছুটা হাঁটুন: যদি সম্ভব হয়, সকালে কিছু সময় হাঁটুন। এতে ফ্যাট বার্ন হবে এবং মনও ভালো থাকবে।

পেটের মেদ ঝরবে সবজিতেই

ওজন কমাতে হলে ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানা খুবই জরুরি। যখন ওজন বাড়তে শুরু করে, প্রথমেই পেটে মেদ বৃদ্ধি পায়। পেটের চর্বি জমে গেলে, অনেকেই ব্যায়াম এবং খাদ্যতালিকার দিকে মনোযোগ দেন। কেউ কেউ কঠিন ডায়েটে খাবার খাওয়া বন্ধও করে দেন।

কিন্তু জানেন কি? এমন অনেক শাক-সবজি আছে, যা আমাদের পেটের মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। যদি ব্যায়াম এবং ডায়েটের সঙ্গে এই সবজিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হবে। তাই, আসুন সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলি এবং পেটের মেদ কমাতে এগিয়ে চলি!

পালংশাক: পালংশাকে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পালংশাক খেলে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকে, ফলে ক্ষুধাও কমে যায়। তাই যদি আপনি পেটের মেদ কমাতে চান, প্রতিদিনের খাবারে পালংশাক অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, পালংশাকে থাকা থাইলাকয়েড নামের উপাদান ক্ষুধা এবং খাওয়ার ইচ্ছা ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সবজিটি আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে পেটের মেদ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে। পালংশাকের সুস্বাদু রান্না করে দেখুন, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পথে এক ধাপ এগিয়ে যান!

শসা: শসা সত্যিই একটি অসাধারণ সবজি, যা আমাদের শরীর এবং ত্বককে সতেজ করে তোলে। এটি শরীরে পানির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই গরমের দিনে এটি বিশেষভাবে উপকারী। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, যার ফলে পেট ভরে খেলেও শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ে না। এটি আমাদের শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের করে দিতে সক্ষম, ফলে আপনার শরীর আরও পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যবান থাকে। শসাকে বিভিন্নভাবে খেতে পারেন—সালাদ, স্মুদি বা রিফ্রেশিং জুস হিসেবে। তাই এই স্বাস্থ্যকর সবজিটিকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন এবং সতেজ অনুভব করুন!

করলা: করলা অনেকের জন্য তেতো স্বাদের হলেও, এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অসাধারণ। করলায় থাকা বিশেষ যৌগগুলো ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা রক্তের শর্করা স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

যদিও করলার স্বাদ কিছুটা তেতো, তবুও এটি পেটের মেদ কমাতে খুব কার্যকর। রান্না করার পাশাপাশি করলার জুসও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি একটু নতুন কিছু ট্রাই করতে চান, তবে করলা দিয়ে তৈরি নানা রেসিপি বা জুসের চেষ্টা করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য এটি একটি দারুণ সংযোজন হতে পারে!

ফুলকপি: ফুলকপি সত্যিই একটি দুর্দান্ত সবজি, যা ওজন কমাতে সহায়ক। এতে ক্যালরি খুব কম, কিন্তু আঁশের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ইনডোলের মতো বেশ কিছু উপকারী যৌগ রয়েছে, যা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়—সাধারণ ভাজা থেকে শুরু করে স্যুপ বা সালাদে। তাই ফুলকপিকে আপনার খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পথে এক ধাপ এগিয়ে যান!

গাজর: গাজর একটি অসাধারণ সবজি, যার ক্যালরি পরিমাণ খুব কম কিন্তু আঁশের পরিমাণ বেশি। এটি প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানেও ভরপুর। গাজর বেশি খেলে পেট দ্রুত ভরে যায়, ফলে আপনার ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়।

এটি স্যালাড, স্যুপ বা নাস্তার জন্য দারুণ! গাজরের মিষ্টি স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত। তাই সুস্বাদু গাজরকে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে এগিয়ে যান!

লাউ: লাউ একটি দারুণ সবজি, যার ক্যালরি পরিমাণ খুব কম এবং পানির পরিমাণ অনেক বেশি। এ কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদর্শ খাবার হিসেবে পরিচিত।

লাউয়ে থাকা উচ্চমাত্রার পানি ও আঁশজাতীয় পদার্থ পেট দ্রুত ভরিয়ে দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। আপনি লাউকে বিভিন্নভাবে রান্না করতে পারেন—ভাজা, স্যুপ বা কোর্মা হিসেবে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় লাউকে যুক্ত করুন এবং ফিট থাকতে সাহায্য করুন!

দাঁড়িয়ে থেকেও পেটের মেদ ঝরবে যে উপায়ে

ডায়েট এবং শরীরচর্চা করেও পেটের মেদ কমানো অনেকের জন্য সহজ হয় না। পেটের মেদ ঝরাতে সত্যিই প্রচুর চেষ্টা করতে হয়। সারা দিন অল্প খেয়ে বা না খেয়ে থাকতে হতে পারে, বা জিমে ঘাম ঝরালেও মাঝে মাঝে ফলাফল মেলে না।

পেটের বাড়তি মেদ কেবল আমাদের চেহারার জন্যই সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তা বাড়ায়। অনেক সময় সতর্ক থেকেও কিছু করা হয় না, আর পেট ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর অনেকে আবার পেটের মেদ কমানোর জন্য শরীরচর্চা শুরু করেন।

তবে মনে রাখবেন, পেটের মেদ ঝরাতে সব সময় জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর প্রয়োজন নেই। এর জন্য কিছু সময় নিয়ে দাঁড়িয়ে বা ঘরে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। আপনার হাতে সময় থাকলে, মাত্র কয়েকটি মিনিট ব্যয় করে এই সহজ ব্যায়ামগুলো করে দেখুন—এটি আপনাকে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথে এটি একটি দারুণ উপায়!

স্ট্যান্ডিং লেগ রেজ: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটি পা সামনের দিকে তুলুন। কয়েক সেকেন্ড এমনভাবে থাকুন—এটি আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। তারপর ধীরে ধীরে পা নামিয়ে নিন এবং একটু বিশ্রাম করুন।

এবার অন্য একটি পা তুলুন এবং একইভাবে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। ১০-১৫ বার এভাবে করার মাধ্যমে আপনি কয়েক মাসের মধ্যে পেটের মেদ কমাতে সহায়ক হতে পারেন। এটি সহজ, দ্রুত এবং যেকোনো স্থানে করা যায়।

বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস: শরীর টান টান করে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তারপর একটি পা হাঁটু মুড়ে বুকের কাছে তুলুন। দু’হাত মাথার পেছনে রাখুন, আর খেয়াল রাখবেন যে যেই পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন, সেটির হাঁটু যেন না ভাঙে।

এই ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন এবং তারপর একইভাবে অন্য পায়ের ক্ষেত্রেও করুন। এটি ৭-৮ বার করতে পারলে খুবই ভালো! এই সহজ ব্যায়ামটি আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখবে।

সাইড লেগ লিফটস: বাঁ পা খানিক কোণ করে তুলে ধরুন। এখন উঁচু করে রাখা পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন ডান হাত দিয়ে এবং বাঁ হাতটি পাশে লম্বা করে রাখুন। কিছুক্ষণ এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকুন, তারপর বিশ্রাম নিন। যদি আপনি দিনে ৮-৯ বার এটি করেন, তবে পেটের মেদ সহজেই ঝরতে শুরু করবে। এটি একটি সহজ এবং কার্যকর ব্যায়াম, তাই চেষ্টা করুন এবং ফিট থাকুন!

কখন হাঁটলে পেটের মেদ ঝরবে?

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো একাধিক রোগ-ব্যাধিকে দূরে সরিয়ে রাখতে নিয়মিত হাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু তাই নয়, ওজন কমানোর জন্যও হাঁটা অত্যন্ত কার্যকর। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য কোন সময় হাঁটা সবচেয়ে উপকারী, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই বিষয়ে অনেক কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে হাঁটার সময় ও নিয়মগুলো আমাদের স্বাস্থ্য এবং ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে, তা সত্যিই মজার।

দিনের যেকোনো সময় হাঁটা উপকারী, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। হাঁটা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশেষত যাঁরা ওজন কমাতে চান বা যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁদের জন্য খাবার খাওয়ার পর হাঁটার বাড়তি সুবিধা রয়েছে। খাবার পর হাঁটলে শরীর আরও ভালোভাবে ক্যালোরি জ্বালাতে পারে এবং রক্তের শর্করার স্তরও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই পরবর্তী বার খাবার শেষে হাঁটতে বের হতে ভুলবেন না—এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো!

যাদের শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তারা নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের রোগ এড়াতে পারেন। তবে প্রশ্ন থাকতেই পারে, হাঁটার মাধ্যমে একদিনে কতটা ওজন কমানো সম্ভব? এটি আসলে আপনার দৈনিক পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে। যত বেশি হাঁটবেন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখবেন, ততটাই ভালো ফল পাবেন। তাই হাঁটার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও অনুসরণ করা জরুরি।

কেন পেটের মেদ ঝরতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে?

ওজন যখন বাড়তে শুরু করে, তখন সবচেয়ে বেশি ফ্যাট জমে পেটে। এবং পেটের চর্বি ঝরাতে কিন্তু সবচেয়ে বেশি সময় ও পরিশ্রম করতে হয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ যদি ১০ দিনে ঝরে, তাহলে পেটের মেদ ঝরাতে প্রায় ১ মাসের কসরত লাগতে পারে।

এদিকে, মানসিক চাপ যদি বাড়তে থাকে, এবং যদি প্রতিদিন বাটার চিকেন বা বিরিয়ানির মতো খাবার খান অথচ শরীরচর্চা না করেন, তাহলে তো ওজন বাড়বেই। পেটে চর্বি জমা গভীর কোনো অসুস্থতার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।

আপনার পেটের চর্বি বাড়ার কারণ খুঁজে বের করা জরুরি—কেন মধ্যপ্রদেশ বাড়ছে, কেন আপনার পছন্দের জিনস গায়ে আঁটছে না, এসব নিয়ে ভাবুন। সচেতন হলে এবং কিছু পরিবর্তন করলে পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে!

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাবলিজম কমে যায়, এবং যখন মেটাবলিজম কমে যায়, তখন ওজন ঝরানো সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তাই তাঁদের ভুঁড়ির সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকতে হয়।

কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও অনেকের ওজন বাড়ে না, এর কারণ হল—তাঁদের বিপাক ভালো কাজ করছে। কিন্তু যখন বিপাক স্লো হয়, তখন ওজন বাড়তে থাকে এবং পেটে চর্বি জমা শুরু হয়। যদি থাইরয়েড, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে সেখান থেকেও বিপাক কমে যেতে পারে।

এটা বুঝতে হবে যে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চা বজায় রাখাই সেরা উপায়। পরিবর্তন আনতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে আপনার প্রচেষ্টা অবশ্যই ফল দেবে!

কিভাবে বুঝবো আমার পেটের মেদ কমে আসতেছে?

পেটের মেদ কমার কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দিয়ে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার প্রচেষ্টা ফল দিচ্ছে:

  1. পোশাকের ফিটিং: যদি আপনার পুরনো পোশাকগুলো আগের চেয়ে আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা মনে হয়, তবে এটা একটি নিশ্চিত ইঙ্গিত যে আপনার মেদ কমছে।
  2. মাপজোক: নিয়মিত কোমরের মাপ নিলে আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন। টেপ মেজার দিয়ে মাপ নিয়ে তার পরিবর্তন ট্র্যাক করুন—এটি আপনাকে প্রেরণা দেবে!
  3. চেহারার পরিবর্তন: আয়নায় নিজের চেহারা দেখে এবং পুরনো ও নতুন ছবি তুলনা করে আপনি পেটের আকারের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন। এটি সত্যিই উৎসাহজনক।
  4. শারীরিক ক্ষমতা ও স্বাচ্ছন্দ্য: পেটের মেদ কমলে আপনি শারীরিকভাবে আরও সক্ষম ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। দৌড়ানো, লাফানো বা হাঁটার সময় শরীর হালকা ও বেশি সক্রিয় মনে হবে।
  5. সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি: পেটের মেদ কমলে সাধারণত ব্লাড প্রেশার ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যায়।