পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ডধারীদের (Ration Items List) জন্য বড় সুখবর! ডিসেম্বর মাসে রেশনে মিলবে ব্যাগ ভর্তি অতিরিক্ত সামগ্রী। রাজ্য সরকার প্রতিমাসের শুরুতেই রেশন গ্রাহকদের ক্যাটেগরি অনুযায়ী বরাদ্দ মাল ও তার তালিকা প্রকাশ করে। এবার সেই তালিকায় এসেছে বাড়তি সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা। এই মাসের রেশন সামগ্রীর তালিকা প্রকাশের পরেই জানা গেছে, কোন কার্ডের গ্রাহক কত পরিমাণ সামগ্রী পাবেন এবং বাড়তি কী কী থাকছে। এই বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় স্বস্তির খবর। চলুন, বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক এই মাসের বাড়তি সুবিধা সম্পর্কে!
রেশন কার্ড ক্যাটেগরি অনুযায়ী বরাদ্দ
১. অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা (AAY) রেশন কার্ড
অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার অধীনে থাকা পরিবারগুলো, যারা সবচেয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে, তাদের জন্য এই মাসে বরাদ্দ করা হয়েছে:
২১ কেজি চাল
১৩.৩ কেজি ময়দা অথবা ১৪ কেজি গম
১ কেজি চিনি
২. বিশেষ অগ্রাধিকার পরিবার (SPH) এবং অগ্রাধিকার পরিবার (PHH) রেশন কার্ড
মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো এই কার্ডের আওতায় পড়ে। ডিসেম্বর মাসে এই কার্ডধারীরা পাবেন
জনপ্রতি ৫ কেজি চাল
১ কেজি ময়দা বা ২ কেজি গম
৩. RKSY-1 এবং RKSY-2 রেশন কার্ড
খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় থাকা এই দুটি কার্ডের গ্রাহকদের জন্য বরাদ্দ হলো
RKSY-1 কার্ড: জনপ্রতি ৫ কেজি চাল
RKSY-2 কার্ড: জনপ্রতি ২ কেজি চাল
৪. জঙ্গলমহল ও পাহাড়ি এলাকার গ্রাহকরা
রাজ্য সরকার জঙ্গলমহল এবং পাহাড়ি এলাকার আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় চা বাগানের শ্রমিক এবং অন্যান্য নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য অতিরিক্ত চাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য এই সব এলাকার মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটানো এবং তাদের আর্থিক চাপ কমানো। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সরকারের দায়িত্ববোধকে স্পষ্ট করে তোলে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সরকার জালিয়াতি রোধে এবং খাদ্য সামগ্রীর সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খাদ্য বিতরণের সিস্টেমকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বরাদ্দের পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো, একদিকে দুর্নীতি বন্ধ করা এবং অন্যদিকে আর্থিকভাবে দুর্বল ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে সরকারের প্রচেষ্টা হলো সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেন সঠিক সুবিধা পান এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়।