ওপার বাংলায় যেন এক অস্থির রাজনৈতিক আবহ তৈরি হয়েছে! ঢাকার রাজপথে সেনাবাহিনীর (Bangladesh Army) তৎপরতা এখন নজরকাড়া। শত শত সেনা সদস্যকে রাজধানীর রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তাহলে কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে? নাকি নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানোর জন্যই এই পদক্ষেপ? আর এই গুঞ্জনের মধ্যেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামানের নির্দেশে প্রতিটি ব্রিগেড থেকে ১০০ জন করে সেনা ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সাভারের নবম ডিভিশন থেকে সেনারা একের পর এক রাজধানীতে পা ফেলছে। আর এরকম পরিস্থিতি রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই হাওয়া গরম হয়ে উঠছে।
সেনাদের তৎপরতা বাড়ল কেন?
বেশ কিছু সূত্র বলছে, সেনা সমাবেশের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, সেনাবাহিনী সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও সুদৃঢ় করতে চাইছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার রাজপথে সেনাদের উপস্থিতি দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়াকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। সাধারণত, এ ধরনের সেনা তৎপরতা তখনই লক্ষ্য করা যায়, যখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস থাকে।
সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা কিন্তু হঠাৎ করে শুরু হয়নি। এর পিছনে রয়েছে এক গোপন বৈঠক এবং কিছু বিতর্কিত মন্তব্য। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের নেতা আসিফ মাহমুদ শাজিব ভূঁইয়া দাবী করেছিলেন যে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। পাশাপাশি আরেক ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ১১ই মার্চ জেনারেল জামানের সঙ্গে এক গোপন বৈঠকের কথাও ফাঁস করে দেন। আর এই সমস্ত তথ্যগুলি প্রকাশ্যে আসার পরেই সেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।